ব্রিটিশ লাইব্রেরীতে বিশ মিনিট

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/০৭/২০১২ - ৬:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কয়েক মাইল হাঁটা হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই ব্রিটিশ জাদুঘরের মধ্যে, এই করতে যেয়ে দুপুরে খাওয়া তো দূরে থাকা গলা ভেজাবারও সময় পেলাম না, ভাবলাম একদিন কম খেলে ক্ষতি নেই, বরং সেই পনের মিনিটে বেশ কিছু মাস্টারপিস দেখা যেতে পারে। এই করতে যেয়েই বিকেল পাঁচটে বেজে গেল, বিলেতবাসী কৌস্তভদা এসে হাজির হলেন এক্কেবারে সময় মত আর ফিনল্যান্ড থেকে লন্ডন ঘুরতে আসা বিপু ভাই সপরিবারে। প্ল্যান হল বেকার স্ট্রিটে শার্লক হোমসকে পাকড়াও করে তার কাঁধে রহস্য চাপিয়ে তারপর এখানকার চায়না টাউনে যেয়ে ভূরিভোজন করা হবে। কিন্তু মনে মনে পরিকল্পনা করা ছিল অল্প সময়ের জন্য হলেও ব্রিটিশ লাইব্রেরীতে যেয়ে একটি বিশেষ বই চাক্ষুষ করার, সেটি কি তাহলে বাদ? কারণ পরের দুই দিনের পরিকল্পনা ঠাসা আছে, কোন বাড়তি জায়গা ঘোরার সুযোগ নেই, কি করা যায়!

সাহায্য করলেন কৌস্তভদা, বললেন যেহেতু ব্রিটিশ লাইব্রেরী কাছেই তাই হেঁটেই যাওয়া যেতে পারে,এই ফাঁকে নেট থেকে জানা গেল আজ এই বিখ্যাত গ্রন্থাগার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত খোলা, কাজেই হাতে সময় আছে বটে কিন্তু অল্প। তাই শেষমেশ রফা হল ভো দৌড় দিয়ে ব্রিটিশ লাইব্রেরীতে সেই বিশেষ বইখানা দেখার ব্যবস্থা করতে হবে, কিন্তু কেউই জানতাম না এই শেষ মুহূর্তে তারা দর্শনার্থীদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয় নাকি দেয় না!

564463_10151963183655497_1288751071_n

যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ! যখন ব্রিটিশ লাইব্রেরীর মূল ফটকে পৌঁছালাম তখন বাজে পাঁচটা চল্লিশ! গেটের নিরাপত্তা রক্ষী মৃদু হাসি মুখে ঝুলিয়ে কপট রাগের ভঙ্গীতে বলে উঠল- টু লেট! হাতে সময় আছে মাত্র বিশ মিনিট! এর মধ্যে সেই বিশেষ বইখানা দেখতে পারব তো? সে ঘাড় দুলিয়ে বলল- পারবে! সোজা স্যার জন রিটব্লাট গ্যালারীতে ঢুঁকে যাও, নিচ তলাতেই। আর হ্যাঁ, টিকেট কাটতে হবে না, মুফতেই প্রবেশাধিকার সবার সবসময়ই!

১৫ কোটি বস্ত নিয়ে ইহার বিশ্বের বৃহত্তম গ্রন্থাগার, সেই সাথে ১৪ মিলিয়ন পুস্তক নিয়ে বই সংগ্রহের দিক দিয়ে এর অবস্থান সাড়া বিশ্বে ২য় ( কেবল যুক্তরাষ্ট্রের লাইব্রেরী অফ কংগ্রেসের পুস্তকসংখ্যা এর চেয়ে বেশী) , ফি বছর এর সংগ্রহে ৩০ লক্ষ আইটেম যোগ হওয়ায় নতুন সেলফের আয়তন বাড়ে ৯,৬ কিলোমিটার! বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম নিচতালার বিশেষ কক্ষে বাংলাদেশের ১৯৫২ থেকে শুরু করে ১৯৭২ পর্যন্ত মূল্যবান সব খবরের কাগজ আছে, কিন্তু হাতে সময় সেই ২০ মিনিট!

418326_10151970903210497_1224555936_n

কি আর করা দুইতলার এক রিডিং রুমে খামোখায় উঁকি মেরে সোজা সেধোলাম জন রিটব্লাট গ্যালারীতে, যেখানে আছে বইপ্রেমীদের আরাধ্য বেশ কিছু অমূল্য বিশ্বসম্পদ। প্রথমেই চোখে পড়ল এক কাঁচের শোকেসের সামনে কয়েক হাজার জাপানীর ভিড় ( হাজার না, ঐ মুহূর্তে কয়েকজনকেই মেজাজ খারাপ করে কয়েক হাজার ভেবেছি), ভাবলাম সেই খানেই আছে সেই বিশেষ গ্রন্থখানা, দিলাম ত্রস্ত পায়ে হাঁটা, কাছে যেতেই দেখি কে বা কাহারা কানে হেড ফোন লাগিয়ে আবার গান শুনছে আর শোকেসের ভিতরে নানা জিনিসপত্রের মাঝে পরিচিত চারখানা মুখ উঁকি মারছে- দ্য বিটলস!

সেখানে আছে তাদের সর্বাধিক জনপ্রিয় গানগুলোর একটি ইয়েসটার ডে-র হাতে লেখা ম্যানুস্ক্রিপ্ট, যা দেখার জন্য এত বেশী জাপানীদের ভিড়, অন্য জাতিও আছে কিন্তু চোখে পড়ে না, সমস্ত জাপানিজই জন লেননকে জামাই মনে করে কিনা! আর সেই জন্যই সামনে হেড ফোন, আরামে গান শুনতে শুনতে গুণগুণ করা যাবে বিশ্বের সেরা গানগুলোর একটি--

Yesterday, all my troubles seemed so far away.
Now it looks as though they're here to stay.
Oh, I believe in yesterday.

Suddenly,
I'm not half the man I used to be,
There's a shadow hanging over me,
Oh, yesterday came suddenly.

Why she had to go
I don't know she wouldn't say.
I said something wrong,
Now I long for yesterday.

Yesterday, love was such an easy game to play.
Now I need a place to hide away.
Oh, I believe in yesterday.

Why'd she had to go
I don't know she wouldn't say.
I said something wrong,
Now I long for yesterday.

Yesterday, love was such an easy game to play.
Now I need a place to hide away.
Oh, I believe in yesterday.

এর পরপরই চোখ পড়ল একটা আলাদা আঁধার কক্ষের দিকে, ছুটলাম আরাধ্য বইয়ের সন্ধানে, সেখানে দেখি আছে ইতিহাসখ্যাত ম্যাগনাকার্টা! ১২১৫ সালে ল্যাটিনে লেখা এই ডকুমেন্টই ছিল ইংল্যান্ডের কোন রাজার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রনের পক্ষে রচিত প্রথম দলিল( রাজা জনের বিপক্ষে), এক অর্থে গণতন্ত্রে উত্তরণের বুনিয়াদ ছিল এই ম্যাগনাকার্টা! বেশ তাড়াহুড়ো করে চোখ বুলিয়ে আবার ছুটলাম বাহিরের মূল প্রদর্শনী কক্ষে ।

যেখানে ঢুকতেই প্রথমেই সামনের তাকে নজর কাড়ল প্রথম সার্থক ইংরেজ কবি খ্যাত জিওফ্রে চসার রচিত ক্যান্টরবেরি টেলসের পাণ্ডুলিপি! সেই সাথে ১৬২৩ সালে ছাপা শেক্সপীয়ারের প্রথম ফোলিও, জেন অস্টেন, শার্লট ব্রন্টি, লুই ক্যারল, রুডইয়ার্ড কিপলিং, চালর্স ডিকেন্স, জর্জ ইলিয়ট, টমাস হার্ডি, ভার্জিনিয়া উলফ প্রমুখ সাহিত্যিকের নানা রচনার পাণ্ডুলিপি! লুই ক্যারলের বইটা কিন্তু ছিল ছোট্ট মেয়ে এলিসকে নিয়েই!

এক কোনায় সেলফের ভেতরে চোখে পড়ল একটি হাতে লেখা কোরান, যা হাজার বছর আগের, সাদা কাগজে কালো কালিতে লিখে যাওয়া সাদামাটা ভাবে কোন অঙ্গসজ্জা ছাড়া। সেই সাথে অটোম্যানদের সময়কার কারুকার্যশোভিত কোরান।

নানা যুগের বাইবেল এবং গসপেলের ছড়াছড়ি ছিল সবদিকেই, ১৭০০ বছর আগের বিখ্যাত কোডেক্সের আলতো নজর বুলিয়ে গেলাম , যা ছিল গ্রীকে লেখা নিউ টেস্টামেন্টের প্রথম সম্পূর্ণ রূপ!

অভিযাত্রীদের কর্নারটিতে ক্যাপ্টেন কুকের জার্নাল দেখে সমুদ্রযাত্রার আহ্বান শুনতে পেলাম বটে কিন্তু সত্যিকারের রোমাঞ্চ বোধ হল প্রিয় অভিযাত্রী রবার্ট ফ্যালকন স্কটের দিনপঞ্জি দেখতে পেয়ে, জীবনের শেষ দিনগুলোতে দক্ষিণ মেরু জয়ী বীর লিপিবদ্ধ করে গেছেন সেই বরফ প্রান্তরের নির্মমতা আর সহযাত্রীদের মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বার মর্মস্পর্শী বর্ণনা। কি অসাধারণ, অকুতোভয় মানুষ ছিলেন তারা! স্যালুট ক্যাপ্টেন স্কট! সেই সাথে ছিল চার্লস ডারউইনের চিঠি। এবং সবচেয়ে অবিশ্বাস্য – লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির নোটবুকের একাধিক পাতা, তাতে স্কেচসহ তার বিখ্যাত উল্টো করে লেখা !

এদিকে লাইব্রেরী বন্ধের সময় হয়ে এসেছে কিন্তু আমার আকাঙ্ক্ষিত বইখানার সন্ধান এখনো মেলে নি, ভেবেছিলাম নিজে নিজেই খুঁজে নিজে পারব তাই গাইডের সাহায্য নেয়া হয় নি। তীরে এসে তরী ডুবল মনে হচ্ছে! এই সময় কৌস্তভদার সাথে দেখা, সে আবার সন্ধান দিল বিটোভেন, মোজার্টের আসল সুরলিপির! সেটা একনজর দেখেই শেষমেশ এক নিরাপত্তা কর্মীকে যেয়ে হাফাতে হাফাতে প্রশ্ন করলাম- গুটেনবার্গের বাইবেলখানা কোথায়?

বুঝলেন তো কোন বইখানার তল্লাস করে ফিরছিলাম ক্ষ্যাপার মত? বিশ্বের প্রথম ছাপা বই, ১৪৫০ সালের জার্মানির মেইনে জনার গুটেনবার্গের ছাপাখানায় মুদ্রিত বাইবেলের জোটে এই বিরল সন্মান, ধারণা করা হয় সারা বিশ্বে মাত্র ৪৮ খানা টিকে আছে যা এটিকে পরিণত করেছে বিরলতম বইগুলোর একটিতে, এবং অবশ্যই সেই সাথে সবচেয়ে দামী বইয়ে। দাম- আপাতত জানার দরকার নাই, কিন্তু নিলামে উঠলে বাংলাদেশের টাকায় দশ কোটি ছাড়িয়ে যাবে প্রথম ডাকেই!

সেই কর্মীই দিক নির্দেশনা দিলেন- ঐ যে, ঐ তাকেই মাঝখানে! তাকের মাঝখানে? মানে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান বইটির আলাদা একটা কক্ষ দূরে থাক একটি নিজস্ব শোকেস পর্যন্ত জোটে নি! অবশ্য কাছে যেয়ে কিছুটা বুঝলাম কেন, এটি যেমন প্রথম ছাপা বই, তার পাশেই আছে ব্রিটেনে ছাপা প্রথম বই, এমন কিছু ইতিহাসের সাক্ষী একসাথে রাখা হয়েছে আর কি! বিমুগ্ধ নয়ন আনন্দিত চিত্তে দেখে গেলাম অপূর্ব কারুকার্য করা স্বপ্নগ্রন্থখানি! কত শুনেছি এর কথা, ছবি দেখেছি নানা পত্রিকায়, সুনীল গাঙ্গুলির কাকাবাবু হেরে গেলেন উপন্যাসে বর্ণনা পর্যন্ত পড়েছি ( সত্যি কথা বলি, উপন্যাসটি বাস্তবঘেঁষা নয়, গুটেনবার্গের বাইবেল নিয়ে সুনীল যেভাবে দুষ্কৃতিকারীদের চলাচলের বর্ণনা দিয়েছেন মনে হয় না বাস্তবে এটা সম্ভব হত), আর আজ দেখছি সেই বইটাকে। এটি নিছক একটি বই নয়, একটি সভ্যতার প্রতীক, এর ছাপার মাধ্যমেই তো শুরু হয়েছিল মানবজাতির নবঅগ্রযাত্রা।

614825_10151949680260497_230271607_o

ছবি তোলা নিষেধ কিন্তু এই ছবি না তুলে থাকি কি করে!

আমাদের ২০ মিনিট কাটায় কাটায় পূর্ণ হতে সদল বলে বুক ভর্তি ফুরফুরে আনন্দ নিয়ে বেরিয়ে চললাম বেকার স্ট্রিটের দিকে, তখনও বিশ্বাস হচ্ছে না চাক্ষুষ দেখা পেলাম গুটেনবার্গের বাইবেলের!


মন্তব্য

নীলকান্ত এর ছবি

মন খারাপ হইলো।


অলস সময়

তারেক অণু এর ছবি

ক্যান চিন্তিত

অমি_বন্যা এর ছবি

চলুক উত্তম জাঝা!

তারেক অণু এর ছবি
সুমাদ্রী এর ছবি

মার্কস কে নিয়ে আলাদা কোন চেম্বার আছে কি? উনার বিশাল একটা সময় কেটেছিল এই লাইব্রেরিতেই।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

তারেক অণু এর ছবি

খুজে বাহির করার সময় পেলাম না, পরের বার। মার্কসের সমাধি অবশ্য লন্ডনেই।

সত্যপীর এর ছবি

গুটেনবার্গ বাইবেল কি ধরনের কাগজে ছাপা অণু ভাই? হাতে বানানো?

..................................................................
#Banshibir.

তারেক অণু এর ছবি

খুব উন্নত ধরনের কাগজ , এতটুকুই জানতে পেরেছি, লিলেন থেকে তৈরি।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

হায় হায় লীলেনদা করলটা কী? উনারে দিয়া কাগজ বানানোর কী দরকার??

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু এর ছবি

কবি হে, লি আর লী!

অবনীল এর ছবি

অণু হে, লিলেন আর লিনেন। খাইছে লেখা জোস হইছে, আরো ছবি চামে দিয়া তুলতে পারলে আরো জোস হইত। হাসি

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

তারেক অণু এর ছবি

ব্যাটারা তাকায়ে ছিল, দেখি সামনের মাসে যদি পারি চোখ টিপি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

এই বিশ মিনিট আপনাগো সাথে দৌঁড়াইলাম আমিও।
এইবার কিছু ঠান্ডা খাওয়ান, মিয়া!

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তারেক অণু এর ছবি

খানার জন্য রানা মেহেরাপা আছে! আমারে বইল্যা কুন লাভ নাইক্যা!

অতিথি লেখক এর ছবি

ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে বাঙলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ডকুমেন্ট আছে কি? চোখে পড়েছে কি? ভ্রমণালোচনা খুব ভালো লাগলো্।

শনিবারের চিঠি

তারেক অণু এর ছবি

খুব ভালো ডকুমেন্ট আছে ব্লেই এক স্থানীয় বন্ধু জানাল। পরের বার দেখার চেষ্টা করব।

অতিথি লেখক এর ছবি

অণুদা, আপনার লেখা পড়লে সব সময় একটা মিশ্র অনুভূতি কাজ করে।

প্রথমত, আপনার লেখা পড়তে পড়তে নিজের অজান্তেই মনে হয় আপনার সাথে সেসব জায়গায় চলে গেছি। সেসব জায়গা চাক্ষুস না করলেও মনে হয় আধ্ধেক ঘোরা হয়ে গেছে।

দ্বিতীয়ত, এক ধরণের হাহাকার। ফেসবুকে আপনার ছবির অ্যালবামগুলো দেখলে মনে হয়,ইসস! যদি কোনদিন সত্যি সত্যি যেতে পারতাম।

ইচ্ছা আছে, একটা সময় অনেক ঘুরবো। সারা পৃথিবীটাকে দেখবো। তবে বুয়েটের লীলাখেলায় যদি আজীবন ছাত্রই থেকে যেতে হয় তাহলে সেই আশায় গুড়ে-বালি।

আরো অনেক লেখা চাই, যা আমাদের মত পাঠকদের অন্তরে নিয়ত হাহাকার তুলে দিয়ে যায়।

শুভকামনা।

ইশতিয়াক।।

তারেক অণু এর ছবি

হাহাকার কোথায়! আমি তো পড়লাম কেবল আশাবাদের কথা!

এই আশা, এই স্বপ্নই তো আমাদের পথ চলার পাথেয়, চলুক স্বপ্ন, চলুক ভ্রমণ।

অতিথি লেখক এর ছবি

সেটাই ভাইয়া, তবে পুরো পৃথিবীটা দেখার আগে নিজের দেশটা আরো ভালো করে ঘুরে দেখতে চাই। কেন যেন মনে হয় এর সাথে কোন কিছুর কখনোই তুলনা করা যাবে না। হাসি

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই!

নিজে কিন্তু জীবনের প্রায় ৭০ ভাগ সময় বাংলা নামের দেশটাতেই ছিলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

দেঁতো হাসি

তারেক অণু এর ছবি

সত্য বলিতেছি! ব্যপক ঘুরঘুর করেছি একসময়ে আনাচে কানাচে।

ক্রেসিডা এর ছবি

আপনার ঘুরে বেড়ানোর গল্প ও ছবি .. এবং আমাদের সাথে তার পরিচয় করিয়ে দেয়া.. সেটাও সচলায়তনে একটা লাইব্রেরির মতো হয়ে থাকছে।

ভালো লাগলো লেখা।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

তারেক অণু এর ছবি

হা হা, ধন্যবাদ ভাই, ওত বড় কাজের কাজ কিন্তু করছি না।

ক্রেসিডা এর ছবি

ভাই আমার জন্যে অনেক..অন্যের কথা জানি না.. এত্তো সুন্দর সব প্লেসে হয়তো কোনদিন যাওয়া হবে না.. টাকা সমস্যা.. আরো অনেক প্রতিকূলতা। হয়তো গুগল করে রিলেটেড ফিচার সম্পর্কে কিছু জানা সম্ভব. . কিন্তু সেটা বেশীরভাগ সময়ে হতো না.. এখন হচ্ছে .. শুধু মাতৃভাষায় আপন করে.. সহজ করে পড়তে পারছি বলে।

ধন্যবাদ।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

তারেক অণু এর ছবি

(গুড়)

PaMaALe এর ছবি

ভাই পড়ে খুব ভাল লাগলো। যাব যাব করে যওয়া হয়নি। সামনে ছুটিও আছে। এবার যাবই যাব। প্রেরণার জন্য ধন্যবাদ। এ অধমের মজুরগিরির জায়গা এর থেকে দূরে নয় বড় একটা।

তারেক অণু এর ছবি

সাবাশ, যেয়ে বড় করে পোস্ট দিয়েন, বিস্তারিত তথ্যসহ

অরফিয়াস এর ছবি

গুটেনবার্গ বাইবেল নিয়ে কি শুধু কাকাবাবু, অনেক গল্পই আছে, সব বইপাগলের জন্য এটি তো মহার্ঘ বস্তু। এমনকি "দ্যা ডে আফটার টুমরো" চলচ্চিত্রটাতেও তো যেই বইটা বৃদ্ধ মানুষটি শেষমেষ বাঁচানোর চেষ্টা করে সেটাও এটা। আহা কি জিনিস ফ্রেমবন্দী করলে হে ঘনুদা !!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

চামে!

অরফিয়াস এর ছবি

চলুক

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

তার আগে ডানে-বামে তাকিয়ে ছিলাম অবিশ্যি!

অরফিয়াস এর ছবি

ঘনুদা বলে কথা !! সতর্ক থাকতেই হবে !!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি
কড়িকাঠুরে এর ছবি

আহা- গার্ডদের কী ভাগ্য- সারাদিন এতসব বিখ্যাত জিনিসের সাথে থাকে...
উছুত কাম হইছে- ছবি তুলছেন... আরও তুইলেন... উত্তম জাঝা!

তারেক অণু এর ছবি

হ , আমরারও শখ করে !

কড়িকাঠুরে এর ছবি

আপনার শখে আটলান্টিক মহাসাগর ঢাইলা দিলাম...
আপনে ঘুরাঘুরি না করলে আর কেঠা কর্বো...

তারেক অণু এর ছবি
সাবেকা এর ছবি

আপনার ভাগ্য যে কেউ হা হা করে ছুটে আসে নাই ছবি তুলা দেখে হাসি গিয়েছি কয়েকবার, বাড়ি থেকে মাত্র পনেরো মিনিটের পথ ।

তারেক অণু এর ছবি

আহ, এত কাছে থাকেন !

PaMaALe এর ছবি

(গুড়)
[restrict:সচল][/restrict]

তারেক অণু এর ছবি
ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

এত আজিরা জায়গায় না ঘুইরা ভ্যাঙ্কুভার আসেন মিয়া।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু এর ছবি

আসুম আসুম, নো ওরিস। দূরে তো, সেই পরিমাণ সময় হাতে নিয়ে আসতে হবে।

আশরাফুল কবীর এর ছবি

#প্রিয় তারেক অণু ভাই, শার্লক হোমসের ছবি কই, দেখতে মুঞ্চায়। কৌস্তভদার সাথে আপনার একটি ছবি চাই।

#দারুন বরাবরের মতোন, ভাল থাকুন বাঘের বাচ্চা

তারেক অণু এর ছবি

হোমসের ছবি আসিতেছে!

আশরাফুল কবীর এর ছবি

ইয়েস বাঘ মামা, ইয়েস!!!

তারেক অণু এর ছবি
রিয়েল ডেমোন এর ছবি

বরাবরের মত দারুণ অনুদা।

তারেক অণু এর ছবি
ভবঘুরে এর ছবি

ধুরু মিয়া! নিজের ইউকে ভ্রমণ নিয়ে আজ পর্যন্ত কোনো আক্ষেপ ছিল না। আপনার লিখা পড়ে মনে হচ্ছে বিশাল মিস হয়ে গেল! ধুররর!!!!

তারেক অণু এর ছবি

পরের বার যাবেন, আসলেই এত বেশী কিছু দেখার!

মন মাঝি এর ছবি

চলুক চলুক চলুক
দারুন লেখা!

বিশ্বের প্রথম ছাপা বই,

আমার তো ধারণা ছিল চীনারা এরও প্রায় ৪০০ বছর আগে মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কার করে ও বই ছাপায়। কোরিয়ান, জাপানি, এমনকি তুর্কিস্থানের উইঘুররা পর্যন্ত নাকি চীনা প্রযুক্তি ধার করে এর আগেই বই ছাপিয়ে ফেলে।

****************************************

তারেক অণু এর ছবি

দেঁতো হাসি ঠিকই ধরেছেন, সঠিক ভাবে বললে পাশ্চাত্যে ছাপা প্রথম বই বা ইউরোপে।

শান্ত এর ছবি

আপনার কপালটায় যদি আমার কপাল একবার ঘষতে পারতাম ..........

__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত

তারেক অণু এর ছবি

হ, আর কাজ নেই ! খামোখা এই গরমের দিনে কপাল ঘষাঘষি!
কোলাকুলি

অতিথি লেখক এর ছবি

"এই বিশ মিনিট আপনাগো সাথে দৌঁড়াইলাম আমিও।"

সৌরভ কবীর

তারেক অণু এর ছবি

রেডি হন, এবার নাচের আসরে যাব।

জুন এর ছবি

আলাব্বু। আমি খেলুম না। ইয়ে, মানে... এই লোকের কী শরীরও ব্যাথা করে না এত দৌড় পাইরা? ঃঃঃঃঃঃ(

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

তারেক অণু এর ছবি

আলাব্বু, সেদিন একটু আধটু ব্যাথা তো করেছিলই!

তমস্থানীয় এর ছবি

তীব্র ভ্রমণেচ্ছুক, অথচ ভ্রমণে অক্ষম (আমার মত); তাদের একমাত্র উপায় ভ্রমণকাহিনী পাঠের মাধ্যমে মানস-ভ্রমণ করা। লেখকের ব্রিটিশ লাইব্রেরি ভ্রমণের কাহিনী সত্যিই অতুলনীয় ।

তারেক অণু এর ছবি
তমস্থানীয় এর ছবি

তীব্র ভ্রমণেচ্ছুক, অথচ ভ্রমণে অক্ষম (আমার মত); তাদের একমাত্র উপায় ভ্রমণকাহিনী পাঠের মাধ্যমে মানস-ভ্রমণ করা। লেখকের ব্রিটিশ লাইব্রেরি ভ্রমণের কাহিনী সত্যিই অতুলনীয় ।
আচ্ছা, বারট্রান্ড রাসেল এর উপর আলাদা কোন চেম্বার নেই?

তারেক অণু এর ছবি

বলতে পারছি না, সামনে মাসে আরেকবার যাবার ইচ্ছা আছে, তখন উকি দিব।

শাব্দিক এর ছবি

ছবি চুরি করে তুলসেন? ছিঃ খাইছে

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

তারেক অণু এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।