মার্কেজ হাতে ল্যাতিন আমেরিকা

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বিষ্যুদ, ২০/০৬/২০১৩ - ৯:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বই ছাড়া আমি থাকতে পারি না, সে হোক ঘর বা বাহির, টাট্টিখানা বা বিমানের অন্দরে, পুস্তক লাগবেই, ইদানীং অবশ্য পিডিএফ নামক প্রযুক্তির ফলে সেটা দিয়েও কাজ চলে। আর ভ্রমণের সময় বই বাছাই করি একটু সাবধানে, যাবতীয় ভ্রমণে টিনটিন নামের রিপোর্টারটি পাশে থাকবেনই, এবং এলাকা বিশেষে উনার কাহিনীও বাছাই করা হবে সেই ভাবেই, যতবার নেপালে গেছি তিরতির আনন্দ এবং মিগুর সাথে দেখা হবার উৎকণ্ঠা নিয়ে পড়েছি তিব্বতে টিনটিন, মধ্য ইউরোপে যাওয়া মানেই একবারের জন্য হলেও অটোকরের রাজদণ্ড পড়া হবেই, সান সালভেদরে পড়ার জন্য রেখেছিলাম বিপ্লবীদের দঙ্গলে, পেরু- বলিভিয়াতে মমির অভিশাপ, সূর্যদেবের বন্দী। ভ্রমণজনিত ক্লান্তি, উদ্বেগ, মেজাজ খারাপ হওয়া দূর করতে টিনটিন বা টেনিদা আসলেই কার্যকর, পরীক্ষা প্রার্থনীয়। সেগুলো থাকে কম্পু নামের জাদুবাক্সের ভিতরে, কিন্তু হাতে বা ব্যাগেও থাকে রীতিমত হার্ডকপি, শক্ত মলাটের এক বা দুইখানা পুস্তক। সেটা কি হবে, তা নির্ভর করে অবশ্যই মুডের উপরে, এবং সেই সাথে কিছুটা হলেও যে এলাকায় যাচ্ছি তার উপরেও।

মেক্সিকো থেকে টো টো করতে করতে যেবার ব্রাজিল যাবার পরিকল্পনা করা হল, ঠেসে ঠেসে সমস্ত জীবন স্বপ্নগুলো আঁটানো হল সেই তিন সপ্তাহে, যেখানে বইপড়ার সুযোগই ছিল না বিমান ভ্রমণের ফাঁকে ফাঁকে ছাড়া, সেইখানে অনেক চিন্তাভাবনা করে একখানা প্রিয় বই বগলদাবা করলাম- গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের ওয়ান হানড্রেড ইয়ারস অফ সলিচিউড।

মার্কেজের পরিচয় আমার কাছে একটাই- শব্দজাদুকর। এই শব্দের মাঝেই আছে তার মানুষ বোঝার তীক্ষ্ণ অন্তর্ভেদী ক্ষমতা, চরিত্র গঠনের মুন্সিয়ানা, আদিগন্ত বিস্তৃত ফাঁকা প্রান্তরে বুনো মোষের মত ঘটনার ঘনঘটা ঘটিয়ে, হঠাৎ তীব্র বজ্রপাত হেনে ঝলসে ওঠান কোন দৃঢ় চরিত্র বা উধাও করিয়ে দেন প্রেক্ষাপট থেকে, আশ্চর্য নির্লিপ্ততায় তাকে বাদ দিয়েই প্রবাহ এগিয়ে চলে। আর আছে অগুনতি বাক্য- খুব সাধারণ- জীবনের মত আটপৌরে, কিন্তু গভীর- জীবনের মতই, ভারী- জীবনের মতই মহান, ভালোবাসা এবং ঘৃণায় পূর্ণ- জীবনের মতই, আলো ও আঁধারে ঢাকা জীবনের মতই।

তার চরিত্রদের সাথে এগিয়ে যাই চুপিসারে সবুজ বন, ঘোলা জলের নদী ছাড়িয়ে লাল ইটের শহরের দিকে, একনায়কের প্রাসাদে, জিপসি জাদুতাবুতে, তামাকচাষীর কাতারে, নীল সমুদ্রে ডুবু ডুবু ভেলাতে গাংচিলের সাথে, ইন্ডিয়ানদের জীবনযাত্রায়।

কিউবার ভিনিয়ালেসের জাদু উপত্যকায় চোখ ঝলসানো সবুজের মাঝে একাকী চালাঘর দেখে অবচেতন মন বলে উঠেছিল- এই তো মাকেন্দো, এইখানেই বুয়েন্দিয়া পরিবারের স্মৃতি ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে আছে, আছে সব চারপাশেই কেবল খুঁজে নেবার অপেক্ষা। যেভাবে রূক্ষ চেহারার তোবড়ানো গালের কঠোর অভিব্যক্তির এক লোককে দেখেই মাথায় ঝিলিক দিয়েছিলে জনাব বালথাজারের কথা, সে বাদে আর কেউই হতেই পারে না মুরগীর বাজারের কানাগলিতে দেখা হওয়া শক্তপোক্ত বৃদ্ধ মানুষটা।

এভাবেই মার্কেজ দেখা দেন বারংবার, শুধু রঙ ঝলমলে ল্যাতিন আমেরিকায় না পাশুটে উত্তুরে শীতেও।

এল সালভেদর থেকে প্লেন ছেড়েছে, গন্তব্য---- বিশ্বাস করবেন না জানি, তাই আগেই বই টেনে থুক্কু গুগল করে দেখে নিন মার্কেজের জন্মভূমি কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতার বিমান বন্দরের নাম কি, তবে মুহূর্ত দুই চিন্তা করলেই পেয়ে যাবেন সঠিক উত্তর-

এল দোরাদো!!!

অলৌকিক কিংবদন্তীর সেই সোনায় মোড়া শহরের নামের নামকরণ করা হয়েছে দেশের ব্যস্ততম বিমানাশ্রয়ের, এমনিতেই দেহ মনে যথেষ্ট পুলক অনুভব করছিলাম এল দোরাদোতে খানিকক্ষণ থাকার জন্য, সেই জগত আলো করা মুহূর্তে দেখা হল রেমিদিওসের সাথে- ''দুপুর দুটোর ঘুমপাড়ানিয়া গানে রেমেদিওস, গোলাপের কোমল নিঃশ্বাসে রেমেদিওস, প্রজাপতির জল- ঘড়ি রহস্যে রেমেদিওস,সকালের ধোঁয়া ওঠা রুটিতে রেমেদিওস, প্রতিটি স্থানে রেমেদিওস, অনন্ত কাল রেমেদিওস--- সেই সুন্দরী রেমেদিওস রাজসিক চালে হেঁটে যাচ্ছিল এল দোরাদো বিমানাশ্রয়ের মাঝ দিয়ে, সমগ্র মহাবিশ্ব যেন স্থাণু হয়ে গেল ক্ষণিকের জন্য, একবার মনে হল উড়ন্ত বিমানের পাইলটেরাও বুঝি দেখতে পারছে রেমেদিওসের অমর আগুনের মত রূপ, হয়ত কিছু ক্রাশ ল্যান্ডিং ঘটবে আজ, এখনই। সবজান্তা ঈশ্বরের মতই রেমেদিওস জানত হতভম্ব মানুষদের নির্নিমেষ চাহনির কথা, শুধু মদির কটাক্ষ হেনে হারিয়ে গেল সে যেন আকাশের মেঘে। সহযাত্রী হুয়ান ভিয়াল বার কয়েক ঢোক গিলে বলল- সাক্ষাৎ তরুণীকালের সালমা হায়েক। দাঁত খিছিয়ে বললাম- তোর মুণ্ডু, ও রেমেদিওস , আর কেউ-ই না। হায় রেমেদিওস, তোমার সাথে একই মুহূর্তে অবস্থানের চেয়ে মানবজন্মের সার্থকতা আর কী হতে পারে?

বিমানে ভূমির আদর ছেড়ে শূন্যের কোলে আশ্রয় নেবার সময় শহর ছাড়িয়ে দূরে ঘন আঁধারের মাঝেও টিমটিমে বাতির অস্তিত্ব নজরে আসে, সেখানেই কি অ্যারাকাতাকা? যেখানে জন্ম নিয়ে বেড়ে উঠেছিলেন গ্যাবো মার্কেজ স্বয়ং এক অনন্য পৌরাণিক বিশ্বে। জন্ম হয়েছিল মাকেন্দোরও সেখানেই, পথের ধূলায় বেড়ে ওঠা এক শিশুর স্বপ্ন বিহ্বল চোখে যার কাছে বরফ ছিল সর্বযুগের মহানতম আবিস্কার। যার কানে চুপি চুপি মার্কেজ বলে দিয়েছিল- জীবনে সবসময়ই ভালবাসার জন্য কিছু না কিছু থাকেই।

কিছু দুরেই সেই দেশের ২য় বৃহত্তম শহর কালি, যেখানে থাকে প্রাক্তন প্রেমিকা জুলিয়ানা আন্দ্রেয়া গোমেজ, জুলিয়ানার সাথে কথা হয় না কত দিন, বিস্মৃতির কবর থেকে ঠেলে বাহিরে আসে কত উদ্দাম স্মৃতি, মনে পড়ে যায় তাকে ফারমিনা নামে আহবানের পেছনের কারণ ছিল মার্কেজের এক চরিত্র, এক অসাধারণ গল্প, শতবর্ষ আগের কলম্বিয়ার কর্দমাক্ত, মিহি ধুলাময়, চটচটে ঘামের গন্ধযুক্ত, তোতাপাখির সপ্তবর্ণা পালকের মত বিচিত্রময় সেই কাহিনী। ঘটনার ঘনঘটা আমায় নিয়ে চলে আমাজনের সবুজ থেকে উপনিবেশিক ধূসর ভুবনে, ঘোড়সওয়ারদের আস্তানা থেকে চিকিৎসকের চেম্বারে। পৃথিবীর প্রতিটি প্রেমিকাকে আমার এখন একটি নামেই ডাকতে ইচ্ছে করে --- ফারমিনা। পৃথিবীর মধুরতম নাম, সাবলীলতম শব্দ, পাহাড়ি নদীর কুলকুল ধ্বনিময় শীতল হাওয়ার পরশ বুলানো সম্বোধন- ফারমিনা, ফারমিনা দাজা। জুলিয়ানার সাথে আজ এক আলোকবর্ষের ব্যবধান, জাহাজ কোম্পানির মালিকের মত বুকের ভিতরে হাওয়া ঘুরে ওঠা সন্ধ্যায় চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে আবেগপ্রবণ বর্তমানের উদ্দেশ্যে- আমার হৃদয়ের প্রকোষ্ঠের সংখ্যা একটা গণিকালয়ের সকল কক্ষের চেয়েও বেশী! বলতে পারি না, শুধু মনে মনে বলি জীবনের সুদীর্ঘ পথে কি ঘটেছে তার চেয়ে অনেক অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ তাদের মাঝে তুমি কি কি মনে রেখেছ এবং কিভাবে মনে রেখেছ।

পেরুর উপত্যকার এক গ্রামের রৌদ্রকরজ্জল ফুলের বাগান, যেখানে সূর্যকিরণের প্রাচুর্যে সূর্যমুখী ফুলেরা বুঝে ওঠে না যে কোনদিকে তাদের মুখ ঘোরানো উচিৎ, সেই বাগানেই মধ্য দিয়ে হেঁটে চলা একপলক দেখা বিশালদেহীই কি ছিল এস্তেবান? জগতের সবচেয়ে রূপবান পুরুষটি, নাকি পথ ভুলে বিশ্বে চলে আসা এক দেবদূত, যার আশ্রয় হবে শীঘ্রই মুরগীর পূতিগন্ধময় খোঁয়াড়ে।

এইখানেই শেষ দিনগুলি ধুকেছিলেন ত্রাতা বলিভার, অস্ত্র ও বুদ্ধির জোরে মহাদেশকে স্বাধীনতা এনে দেওয়া সেনাপতি ভালবাসার জোয়ারে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলে দাসী তরুণীর ভাগ্যে, এক পর্যায়ে বলেছিলেন- স্মৃতিকে জয় করা আমার কাজ না, সে-ই উল্টো আমাকে জয় করে আছে ! মার্কেজের লাইনের মূর্ত হয়ে উঠেছে গোলকধাঁধায় সেনাপতির শেষ দিনগুলো।

ভোরের শিশির ভেজা শিউলির মত স্নিগ্ধ অপাপবিদ্ধ আর্জেন্টাইন তরুণী হিমেনার সাথে দেখা হয়েছিল পুনো শহরের অতল হ্রদের প্রান্তে, সে চলেছে আন্দেজের গহনে ভিলকাবামবার খোঁজে, আমরা চলেছি তারই স্বদেশে, বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না, শেষে মার্কেজ এসে দাঁড়ান আমাদের মাঝে “Do not allow me to forget you” বলেই আবার দেখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

দিন শেষ হয়ে আসে ল্যাতিনের ভূখণ্ডে, হাতে ধরা তখনো প্রিয় বইটা, মহাসাগরের মাঝে ডুবু ডুবু ব্রাজিলের পাহাড়সারি, ঘন কালো বন, উড়ে যাওয়া বুনো পাখি, সঙ্গীতের উদ্দামতা, আর গোধূলি সূর্যের শেষ আভা, সাথে মার্কেজ, বলেন চিরতরুণ শব্দজাদুকর - I discovered to my joy, that it is life, not death, that has no limits.


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

হাততালি । আসলেও টেনিদা মন ভাল করার অসাধারন দাওয়াই।

তারেক অণু এর ছবি

আর বলতে গড়াগড়ি দিয়া হাসি

 মেঘলা মানুষ এর ছবি

একটাও ছবি নাই!
যদিও লেখাটাই হল মূল, আর সচলায়তন তো ফ্লিকার না, তবুও আপনার পোস্টে ছবি না থাকলে মনে হয় খালি খালি লাগে।

ভাল থাকুন। আর, জায়গার সাথে মিলিয়ে বই পড়ার আইডিয়টা মনে ধরেছে, সুযোগ পেলে তাই করব।

তারেক অণু এর ছবি

কিছু ছবি ছিল অবশ্য মার্কেজের লাইনের সাথে মিলিয়ে, অন্য কোনদিন চেষ্টা করা যাবে।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আপনে লোকটা আসলেই অদ্ভুদ। আমি কমেন্ট কইরা সুমায় পাইনা, আপনে খালি পুস্টের পর পুস্ট দেন। ক্যাম্নে পারেন?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু এর ছবি

জীবন অদ্ভুদ চোখ টিপি

আলম সাব্বির এর ছবি

সুন্দর

তারেক অণু এর ছবি
সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

এক কথায় অসাধারণ! আপনার সাথে ভ্রমণের স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম। মনেরাইখেন।

তারেক অণু এর ছবি
সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
স্যাম এর ছবি

মার্কেজ এর নাম সম্ভবত প্রথম জানি সেবা থেকেই ?! ঠিক মনে নাই - তবে প্রথম পড়েছিলাম কর্নেল কে না লেখা নিয়ে লেখাটা - এরপর হটাত খুঁজে পাওয়া শর্ট স্টোরিজ কালেকশন কোলকাতার নিউমার্কেট এর পাশে - ব্যাস সেই থেকে মার্কেজ (আমাদের স্টাডি সার্কেল এর অনেকেই প্রোনাউন্স করতাম মারকোয়েজ)। অণুদাকে অনেকেই (আমিও) দেখে ইবনে বতুতা হিসেবে - কিন্তু এই লোক্টা 'বইপড়ুয়া' এর ও মডেল হিসেবে পোজ দিতে পারে অনায়াসে। আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয় লোকটা আসলে ভ্রমণ করেনা - বই এর পাতায় পাতায় হাঁটে শুধু, খুঁজে বের করে মিল-অমিল, জানায় আমাদের আর হয়ে যায় পেপার প্রিন্স এর বাস্তব নায়ক।
অটঃ আপনার টেকাটুকা নিয়া চরম উদাস যাই বলুক (একটা বদলুক) আর আমরা যাই ভাবি (স্মাগ্লার যে তা ভাবি নাই!!!) পাত্তা দিয়েন্না! লং লিভ তারেক অণু!!!!!

তারেক অণু এর ছবি

উদাস একটা চ্রম বদ লুক রেগে টং , কিন্তু তেলের খনি পেলে আমাকে স্পন্সর করবে বলেছে বিধায় কিছু বলছি না। শয়তানী হাসি

মেঘা এর ছবি

মার্কেজ মানেই ছন্দময়, জাদুময় এক সুদীর্ঘ কবিতা। এতো মুগ্ধ করে না আর কারও লেখা আমাকে ইদানিং।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

তারেক অণু এর ছবি

আসলেই ! ডুবে আছি, ডুবেই থাকতে ইচ্ছে করে

অতিথি লেখক এর ছবি

"ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ার্স অব সলিচিউড" আমার পড়া মার্কেজের প্রথম বই এবং তার পর থেকেই আমি উনার মহা ভক্ত!!
যাই হোক,আপনে আসলেই একটা অদ্ভুদ!!!
পড়েন কখন,ঘুরেন কখন আবার লেখেন কখন?!!!!
অ্যাঁ

-------------------
সুবোধ অবোধ
----------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

প্রথম লাইনেই তো আছে, উনি পড়েন টাট্টিখানায়, বাকী সময় ঘোরেন... হাসি ... তয় লেখেন কখন বুঝতারলাম্না ইয়ে, মানে... অণু'দা আসলেই অদ্ভুদ! লেখা মনে হয় ইউএসবি ক্যাবল দিয়া একবারে মাথা থিকা অনলাইন হয়ে যায় ... সবাই খালি উনারে জ্বিন-ভুতের কাতারে ফেলতে ব্যাস্ত... ভাইসব, বিজ্ঞানের লাইনে আসুন... এমুন ও তো হইতে পারে যে ভদ্রলোক আসলে রবোমানব দেঁতো হাসি

তারেক অণু এর ছবি

ইস, কিছু কথা থাক না গুপন

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

অ্যাঁ

তারেক অণু এর ছবি

আমি প্রথম পড়েছিলাম জাহাজাডুবি নাবিকের গল্প

এপোলোনিয়া এর ছবি

“Discovered to my joy, that It is life, not death, that has no limits.” চলুক চলুক

তারেক অণু এর ছবি

সত্য

রিয়াজ এর ছবি

অণুদা,বাংলার আরেক ক্লাসিক ভ্রমণগুরু সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখায় পড়েছি ফিনল্যান্ডের মানুষ বেশ লম্বা হয়।গড়পড়তা কয় ফুট হবে,এখন?ঐখানে মনে হয় ছয়/সাড়ে ছয় ফুট পড়েছিলাম।

তারেক অণু এর ছবি

নাহ, সেটা নরওয়ের। ফিনল্যান্ডে ৬ ফুট অনেক লম্বা।

তাসনীম এর ছবি

There is always something left to love - চমৎকার লাগলো।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লাগল।

আচ্ছা আপনে এত্তো ঘুরে বেড়ান আবার এত্তো এত্তো বই পড়েন কোন সময়ে? আপনার দিন কি ৩৬ ঘন্টায় শেষ হয়?
দোয়া করি আপনার বিয়া যেন এই বছরই হয়ে যায় তারপর বুঝবেন ঠেলা।

আর যদি এই বছর বিয়া না করেন তাইলে অস্ট্রেলিয়া ঘুরতে চলে আসেন - আপনার সাথে গ্রেট ব্যারিয়ার রীফে ঢুঁ দেয়া যাবে - যদিও আপনাকে উদাস'দার ১২ রকমের ভ্রমণসাথির কোনটার তালিকাই ফেলতে পারছি না চিন্তিত

তারেক অণু এর ছবি

গ্রেট ব্যারিয়ার রীফ হাততালি

মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

অশোক দাশগুপ্ত'র অনুবাদ করা মার্কেজের একটি বইই পড়েছি, 'নো ওয়ান রাইটস টু দ্যা কর্নেল' মন খারাপ
আরো পড়তে হবে, আমি এতো ফাঁকিবাজ ক্যান ? ওঁয়া ওঁয়া

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

অনুদা একটি অভিশাপ! (লেখা ভালো লাগার এক্সপ্রেশন!) খাইছে

তারেক অণু এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।