জীবনানন্দ,আমার জীবনের আনন্দ - ৯

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: মঙ্গল, ৩০/০৭/২০১৩ - ৪:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নরকেও মৃত্যু নেই--প্রীতি নেই স্বর্গের ভিতরে;
মর্ত্যে সেই স্বর্গ নরকের প্রতি সৎ অবিশ্বাস
নিস্তেজ প্রতীতি নিয়ে মনীষীরা প্রচারিত করে।

এমন কথা লিখেছেন বলেই তো তিনি জীবনানন্দ, যে কথাগুলো সাথী থাকে আসমুদ্রহিমাচল, উত্তর সাগর থেকে দক্ষিণে দ্বীপে, একটা বিবর্ণ খড়কুটো থেকে গুটিসুটি মেরে থাকা আকাশের চাঁদে।

অন্য এক আকাশের মত চোখ নিয়ে
আমরা হেসেছি,
আমরা খেলেছি;
স্মরনীয় উত্তরাধিকারে কোনো গ্লানি নেই ভেবে
একদিন ভালোবেসে গেছি।

ভালবেসেছি প্রিয় কবি আপনার সৃষ্টি।

কারা কবে কথা বলেছিল,
ভালোবেসে এসেছিল কাছে;
তারা নেই, তাদের প্রতীক হয়ে তবু
কয়েকটি পুরোনো গাছ আছে !
36310_10153007651605497_1469883634_n

আমরা মধ্যম পথে বিকেলের ছায়ায় রয়েছি
একটি পৃথিবী নষ্ট হ'য়ে গেছে আমাদের আগে,
আরেকটি পৃথিবীর দাবি
স্থির ক'রে নিতে হ'লে লাগে

সকালের আকাশের মতন বয়স;
182410_10153011342755497_295157288_n

সে কোন প্রথম ভোরে পৃথিবীতে ছিল যে সন্তান
অঙ্কুরের মতো আজ জেগেছে সে জীবনের বেগে!
আমার দেহের গন্ধ পাই তার শরীরের ঘ্রাণ —
সিন্ধুর ফেনার গন্ধ আমার শরীরে আছে লেগে!
পৃথিবী রয়েছে জেগে চক্ষু মেলে — তার সাথে সেও আছে জেগে!
246895_10152992937510497_503731577_n

ভালোবাসিয়াছি আমি অস্তচাঁদ, -ক্লান্ত শেষপ্রহরের শশী!
-অঘোর ঘুমের ঘোরে ঢলে যবে কালো নদী-ঢেউয়ের কলসী,
নিঝ্ঝুম বিছানার পরে
মেঘবৌ’র খোঁপাখসা জোছনাফুল চুপে চুপে ঝরে,-
চেয়ে থাকি চোখ তুলে’-যেন মোর পলাতকা প্রিয়া
মেঘের ঘোমটা তুলে’ প্রেত-চাঁদে সচকিতে ওঠে শিহরিয়া!
523995_10153073527735497_1745911523_n

শামুক গুগলিগুলো পড়ে আছে শ্যাওলার মলিন সবুজে-
তখন আমারে যদি পাও নাকো লালশাক-ছাওয়া মাঠে খুঁজে,
ঠেস্ দিয়ে বসে আর থাকি নাকো যদি বুনো চালতার গায়ে,

তাহলে জানিও তুমি আসিয়াছে অন্ধকার মৃত্যুর আহ্বান-
553367_10153028635375497_2017764269_n

থে পথে — থেমে — থেমে — থেমে
খুঁজিব কি তারে —
এখানের আলোয় আঁধারে
যেইজন বেঁধেছিল বাসা!
মাটির শরীরে তার ছিল যে পিপাসা
আর যেই ব্যথা ছিল — যেই ঠোট চুল
যেই চোখ, যেই হাত, আর যে আঙুল
রক্ত আর মাংসের স্পর্শসুখভরা
যেই দেহ একদিন পৃথিবীর ঘ্রাণের পসরা
পেয়েছিল — আর তার ধানী সুরা করেছিল পান,
একদিন শুনেছে যে জল আর ফসলের গান,
দেখেছে যে ঐ নীল আকাশের ছবি
999974_10153059992520497_1392153680_n

অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ
1000406_10153023077015497_142305589_n

আর — এক দেশের এক রূপকথা বলিল আর — একজন,
কহিল সে উত্তর — সাগরে
আর নাই কেউ! —
জোছনা আর সাগরের ঢেউ
উচুনিচু পাথরের পরে
হাতে হাত ধরে
সেইখানে; কখন জেগেছে তারা — তারপর ঘুমাল কখন!
ফেনার মতন তারা ঠান্ডা — শাদা
আর তারা ঢেউয়ের মতন
জড়ায়ে জড়ায়ে যায় সাগরের জলে!
ঢেউয়ের মতন তারা ঢলে।
সেই জলমেয়েদের স্তন
ঠান্ডা, শাদা, বরফের কুঁচির মতন!
তাহাদের মুখ চোখ ভিজে,
ফেনার শেমিজে
তাহাদের শরীর পিছল!
কাচের গুড়ির মতো শিশিরের জল
চাঁদের বুকের থেকে ঝরে
উত্তর সাগরে!
পায়ে — চলা পথ ছেড়ে ভাসে তারা সাগরেরগায়ে —
কাঁকরের রক্ত কই তাহাদের পায়ে!
রূপার মতন চুল তাহাদের ঝিক্মিক্ করে
উত্তর সাগরে
বরফের কুঁচির মতন
সেই জলমেয়েদের স্তন
মুখ বুক ভিজে
ফেনার শেমিজে
শরীর পিছল!
কাচের গুড়ির মতো শিশিরের জল
চাদের বুকের থেকে ঝরে
উত্তর সাগরে!
উত্তর সাগরে!
1000517_10153070300430497_2037296621_n

যদিও আমার চোখে ঢের নদী ছিলো একদিন
পুনরায় আমাদের দেশে ভোর হ'লে,
তবুও একটি নদী দেখা যেতো শুধু তারপর;
কেবল একটি নারী কুয়াশা ফুরোলে
নদীর রেখার পার লক্ষ্য ক'রে চলে;
সূর্যের সমস্ত গোল সোনার ভিতরে
মানুষের শরীরের স্থিরতর মর্যাদার মতো
তার সেই মূর্তি এসে পড়ে।
1003252_10152934509195497_1069130746_n

নির্জন জলের রঙ তাকায়ে রয়েছে;
স্থানান্তরিত হয়ে দিবসের আলোর ভিতরে
নিজের মুখের ঠান্ডা জলরেখা নিয়ে
পুনরায় শ্যাম পরগাছা সৃষ্টি করে;
1005905_10152965472550497_1575779613_n

মনে হয় প্রাণ এক দূর স্বচ্ছ সাগরের কূলে
জন্ম নিয়েছিলো কবে;
পিছে মৃত্যুহীন জন্মহীন চিহ্নহীন
কুয়াশার যে ইঙ্গিত ছিলো --
সেই সব ধীরে ধীরে ভুলে গিয়ে অন্য এক মানে
পেয়েছিলো এখানে ভূমিষ্ঠ হয়ে -- আলো জল আকাশের টানে;
কেন যেন কাকে ভালোবেসে!
1010454_10152931970960497_31596331_n

সূর্যের আলো মেটায় খোরাক কার ;
সেই কথা বোঝা ভার।
1013078_10152979053945497_1085710230_n

যে পাতা সবুজ ছিল, তবুও হলুদ হতে হয় —
শীতের হাড়ের হাত আজও তারে যায় নাই ছুঁয়ে —
যে মুখ যুবার ছিল, তবু যার হয়ে যায় ক্ষয়,
হেমন্ত রাতের আগে ঝরে যায় — পড়ে যায় নুয়ে —
1016193_10152987621660497_718372155_n

কোথাও পাখির শব্দ শুনি;
কোনো দিকে সমুদ্রের সুর;
কোথাও ভোরের বেলা র’য়ে গেছে – তবে।
অগণন মানুষের মৃত্যু হ’লে – অন্ধকারে জীবিত ও মৃতের হৃদয়
বিস্মিতের মতো চেয়ে আছে;
এ কোন সিন্ধুর সুর:
মরণের – জীবনের?
এ কি ভোর?
অনন্ত রাত্রির মতো মনে হয় তবু।
একটি রাত্রির ব্যথা সয়ে -
সময় কি অবশেষে এ-রকম ভোরবেলা হয়ে
আগামী রাতের কালপুরুষের শস্য বুকে ক’রে জেগে ওঠে?
কোথাও ডানার শব্দ শুনি;
কোন দিকে সমুদ্রের সুর -
দক্ষিণের দিকে,
উত্তরের দিকে,
পশ্চিমের পানে?
1017232_10152936949680497_948661758_n

যে জীবন ফড়িঙের, দোয়েলের -
মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা
970940_10152996999470497_504893127_n

সুপ্রিয় একলহমা এই পোস্টটি তোমার জন্য।

আর পাঠক, দর্শকদের জন্য প্রিয় কবিকে নিয়ে একলহমার লেখা একটি কবিতা --

জীবনানন্দ

তার সাথে সাথে আমাদের বেড়ে ওঠা, পথ চলা,
দেখে নেওয়া - প্রিয়তম মুখ, চাঁদ ডুবে গেলে পর
মরে যাওয়া, ফিরে, ফিরে আসা - অণু পরমাণু হয়ে
আলো হয়ে, শূণ্য হয়ে। জীবনের স্বাদ জিভের ভিতর
নিরন্তর মিশে যায়, অমৃত ফলের মত, ফ্যানে গলা
ভাত, ধোঁয়া ওঠা, শীতের সন্ধ্যায় অনেক ক্ষুধার পর
নিজস্ব মানুষের ঘামে ভেজা মুখ কোলে লয়ে
বাদামী রমণীর স্তন যেই ভাবে ঢেকে ফেলে চরাচর।

রৌদ্রে ও জ্যোৎস্নায়, কাপাসডাঙার বিলে বালিহাঁস
তাহাদের মতো অনায়াসে সাঁতরায়ে নিজের ভাষায়
এই সাধ বুকে - বাংলার নীল জলে আমাদের লাশ
সুবর্ণ গোধূলিতে এইসব ইতিহাস টুপ টুপ ডুবে যায়।

আবার জন্মালে যেন বাংলার মাটি, সবুজ ধানের ভোর
শাপলার ফুল, জীবনানন্দ, জেগে থাকে বুকের ভিতর।।

সিরিজের বাকী পর্বগুলি এইখানে


মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আবার জন্মালে যেন বাংলার মাটি, সবুজ ধানের ভোর
শাপলার ফুল, জীবনানন্দ, জেগে থাকে বুকের ভিতর।।

হাততালি বাহ, দুজনকেই উত্তম জাঝা!

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি
প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

বরাবরের মত স্তব্ধ হয়ে দেখলাম। এবার সবচেয়ে ভালো লেগেছে সকালের আকাশের মত বয়স ছবিটা। স্যামদা তো আসবেই এই পোস্টে, আমার মন্তব্যও দেখবে। ব্যানারের দাবী জানিয়ে রাখলাম।

তারেক অণু এর ছবি

স্যাম দা একটা অভিশাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

চমত্কার পোস্ট। আহা জীবন কবি। কবিতা আর ছবির অসাধারণ মেলবন্ধন। একলহমার কবিতাো ভালো লেগেছে।

‌‌'সুবর্ণ গোধূলিতে এইসব ইতিহাস টুপ টুপ ডুবে যায়।'
বাহ

স্বয়ম

তারেক অণু এর ছবি
তিথীডোর এর ছবি

৭ নং ছবিটা [অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ] ব্যানারের জন্য আদর্শ!
অ্যাটেনশন : স্যাম 'ব্যানার্জি'। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তারেক অণু এর ছবি

ব্যানার্জি আজকাল বেশী ব্যস্ত চোখ টিপি

স্যাম এর ছবি

জীবন দা আর অণুদার কম্বিনেশনে মনে মনে কত ব্যানার বানাই খাইছে - তবে সত্যি কথা হল ব্যানার এর চাইতে বেশি ভাল লাগবে পোস্টার বা বড় দেয়াল জুড়ে কোন ইন্সটলেশনে - এই সিরিজের একটা অডিও/ভিজ্যুয়াল এর জন্য কতদিন থেকে বলে যাচ্ছি - ব্যাটা পাত্তাই দিচ্ছেনা।

তারেক অণু এর ছবি

এহ

তানিম এহসান এর ছবি

এহ! এহ বললেই হল? কতদিন থেকে যে কথা বলা হচ্ছে সেটা করে ফেললেই হয়, নাকি? দারুণ হবে।

তারেক অণু এর ছবি
তানিম এহসান এর ছবি

একলহমার মন্তব্য পড়ে-ই মনে হয়েছিল তলে তলে ঘটনা আছে, ভুল ভাবি নাই। সিরিজ চলমান থাকুক।

উপরে স্যামদার একটা চমৎকার প্রস্তাবে “এহ” প্রয়োগ এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাইলাম। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

সুবোধ অবোধ এর ছবি

পাতার উপর শামুকের ছবিটা অসসসসাধারণ!!!
অবশ্য সবগুলা ছবিই দারুণ!!!
হাততালি

তারেক অণু এর ছবি

এস্তোনিয়ার এক বনে তোলা, শ্যাওলার উপরে শামুক পেয়ে যাব আশা করি একদিন!

অতিথি লেখক এর ছবি

আমরাও ফুটুক দেখতে পাবো আশা করি...
হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আমরাও ফুটুক দেখতে পাব আশা করি।
হাসি

------------------
সুবোধ অবোধ

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

দিনরাত-দিবাগত পাপ; ক্ষয় করবার মতো ব্যবহার শুধু!! (স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিস্ট)

তারেক অণু এর ছবি

দিনরাত-দিবাগত পাপ;

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ছবি আর কবিতা একাকার।

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

জীবনানন্দ আর কবিতা আর ছবি- এই তিনে মিলে যে সিম্ফনী তৈরী করলেন, অণু ভাইয়া, সেটার কোনো তুলনা নেই!

-এস এম নিয়াজ মাওলা

তারেক অণু এর ছবি
রণদীপম বসু এর ছবি

মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন ! তবে-
কবি একলহমা'র কবিতাটার সাথে রাখি-বন্ধনের ছবিটা দেখা যাচ্ছে না কেন !! এজন্য অণুকে ম্যাঁও

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

এই র'ম লজর দিলে চলে! দেঁতো হাসি

তারেক অণু এর ছবি
আয়নামতি এর ছবি

অণুর এই সিরিজ দারুণ লাগে। হাততালি যদিও সবগুলো দেখা হয়নি আমার।

অ:ট:
একটা লম্বা সময় ধরে সচলে আসা হয়নি আমার। হুটহাট আসি আর যাই। এর মধ্যে দেখি স্যাম নামের একজনকে সবাই 'প্রিয় ব্যানার্জি' বলে ডাকাডাকি করে। আমি ভাবলাম ওহ! লুক্টার পদবী মনে হয় ব্যানার্জি। এই সেদিন খেতে বসে ধাঁ করে মনে হলো আরে! স্যাম ভাইয়া ব্যানার বানায় তাই তাকে সবাই ব্যানার্জি ডাকে।
বেকুব গাছে ধরে না। সচলেই ঘুরাঘুরি করে দেঁতো হাসি

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি একটু আগে পর্যন্ত আমিও তো তাই মনে করতেছিলাম! অ্যাঁ (স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিস্ট)

তারেক অণু এর ছবি
সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হো হো হো

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

স্যাম এর ছবি

অপার্থিব!
এই সিরিজের শ্রেষ্ঠ পর্বের কোন প্রতিযোগিতা হলে এই পোস্ট কঠিন প্রতিদ্বন্দী হবে।

তারেক অণু এর ছবি

বললেই হল! দেখি একটা ব্যানার! তাপ্পর কথা হবে

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রিয় অণুদাদা,
তোমার সমস্ত লেখার-ই আমি মুগ্ধ অনুরাগী। ঘুরে, ঘুরে পড়ে আসি তাদের। কিন্তু তোমার এই সিরিজ-টার আমার কাছে কোন তুলনাই নেই। এই সিরিজের প্রতিটি পোস্ট-ই আমার দুই প্রিয় প্রতিভার অনুপম সৃষ্টির আশ্চর্য সংশ্লেষ।
অণুদাদা, তোমার তুলনা শুধু তুমি-ই।
কিছু কিছু আশ্চর্য সৃষ্টি দেখে আমরা অবাক হয়ে ভাবি
“এ পৃথিবী একবার পায় তারে, পায় না কো আর”
যেমন জীবনানন্দ, যেমন তারেক অণু, যেমন সচলায়তন। আমি নিশ্চিত, প্রিয় সচলায়তনের প্রায় সক্কলেই আমার এই কথার সাথে একমত হবে। (যারা হবেন না, হবেন না - আমার কিছু যায় আসে না। )
কিন্তু অণুদাদা, যে ভালবাসা তুমি আজ আমায় দিলে
তার সমাদর করার মত সম্বল আমার কিছু নেই। আছে শুধু অল্প কিছু শব্দ, তারাও সময়মত সাথ দেয় না। কি বলব বলো!
কোনদিন দেখা হলে
সোনালী তরল হাতে
দুই জনে মিলে
বুড়ি চাঁদটার -
দুই হাত ধরে
সাদা জোছনার সাথে
প্রহরে প্রহরে
করে দেবো পার!

- একলহমা

তারেক অণু এর ছবি
মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

সবগুলো ছবিই দারুণ। তবে আমার মনে হয় পয়লা ছবিটা অন্যগুলোর চাইতে অনেক ওপরে ছাড়িয়ে গেছে। প্রায় সবগুলো ছবিতেই 'কোথাও কেউ নেই' রকমের হাহাকার মন খারাপ ... এবং এই 'তবু কেন এমন একাকী' প্রশ্নের হৃদয়-বেঁধা হাহাকারই মনে হয় জীবনানন্দ!
ছবিগুলোর সাথে জীবনানন্দ মিলিমিশে গেছে একেবারে। মন-কেমন-করা... তবু দারুণ সুন্দর।

তারেক অণু এর ছবি
আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

সবগুলো ছবিই অসাধারন! ফড়িংর ছবিটা, অদ্ভূত আঁধারের ছবিটা, জেলে নৌকার ছবিটা..................

আব্দুল্লাহ এ এম

তারেক অণু এর ছবি
রণদীপম বসু এর ছবি

হিমশীতল মৃত্যুর মতো কী ভয়ঙ্কর নির্জনতা প্রতিটা ছবি ও পঙক্তির মধ্যে ! বুকটা শিনশিন করে ওঠে---!!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

তারেক অণু এর ছবি
মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

মন খারাপ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।