ছলনার রায় মানি না,
অন্য কিছু জানি না,
শুধু এটাই জানি-
ঘুচেনি আজো গ্লানি।
হতভাগা ঘাটের মড়া
(তোর) মুখ থেকে হাসি সরা।
ভাবিস না তুই বেঁচে গেছিস আজি
অল্পতে তুই পার পাবি না অলপ্পেয়ে পাজি।
দেশের মানুষ আছে এখন সজাগ সর্বক্ষণ
প্রয়োজনে শাস্তি দেবে দেশের জনগণ।
ঝুলবে? নাকি ঝুলবে না?
(চুদুরবুদুর চলবে না!)
এক মাওলানা গেলেন প্রত্যন্ত এক এলাকায় ধর্ম প্রচার করতে। এই এলাকায় তিনিই প্রথম ইসলামের আলো নিয়ে আসলেন। এলাকাবাসীকে ঈমান, আকীদা নানা বিষয়ে জ্ঞান দিলেন। নামাজ শেখালেন, দোয়া দুরুদ শেখালেন। এইভাবে সুন্দর করে ধরমচর্চার তরতরিকা শেখালেন, দেখতে দেখতে প্রায় বছর পুরতে চলল। রমজান মাস সমাগত হলো।
(একটা উকুন পেটের ডাক্তারের কাছে গেল কোঁকাতে কোঁকাতে। )
ডাক্তার: নির্ঘাৎ ইফতারে ভাজাপোড়া খেয়েছেন। দাঁড়ান ঔষুধ লিখে দিচ্ছি। সকাল থেকে কয়বার পাতলা পায়খানা হয়েছে?
উকুন: গতকাল সন্ধ্যা থেকে আর পাতলা হচ্ছে না। নরমাল।
ডাক্তার: তাহলে তো ভাল হয়ে গেছেন। আমার কাছে আসলেন কেন? যান একটু আরাম করলে ঠিক হয়ে যাবে।
উকুন: না না। এমন ঔষুধ দেন যেন এটা আরো কিছুদিন থাকে।
ডাক্তার: মানে কি? ফাজলামি করেন?
১. গোলামের রাজত্বঃ
আমি হতভাগা প্রজন্মের প্রতিনিধি। আমার জন্ম ১৯৮০-র দশকের শুরুতে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে আমার জন্মের ১১ বছর আগেই। এমন তাৎপর্যবহ যুদ্ধ শত বছরেও একবার আসে না। সেই যুদ্ধ দেখতে না পাওয়ার চেয়েও দুর্ভাগ্য আমাদের প্রজন্মের। আমি ও আমার প্রজন্ম হতভাগা, কারণ আমাদের যুগে এসে যুদ্ধের শিক্ষা হারিয়ে গেছে বাংলাদেশ থেকে।
মিনমিনে ম্যাৎকারধ্বনি শুনতে পাই, ইতিহাস নাকি বিজয়ীর হাতেই লিখিত হয়। ইতিহাসের এ মহাপন্ডিতরা কি ভুলে গিয়েছে বিজয়ীর হাতে লিখিত এ ইতিহাসের খলনায়কদের কি পরিণতি হয়? দু:খ আমাদের এটাই- পলিমাটির দেশে জন্মানো নরম বাঙ্গালী ইতিহাসের সে দ্বিতীয় অধ্যায়টিই লিখতে পারলনা চল্লিশ বছরে। আজ এই বরাহছানারা চার্চিলের বরাত দেয়, ‘History is written by the victors’.