গোলামের রাজত্ব ও (রাজনৈতিক) পুঁজিবাজারে মন্দা

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি
লিখেছেন ইশতিয়াক রউফ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/০১/২০১২ - ৪:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১. গোলামের রাজত্বঃ

আমি হতভাগা প্রজন্মের প্রতিনিধি। আমার জন্ম ১৯৮০-র দশকের শুরুতে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে আমার জন্মের ১১ বছর আগেই। এমন তাৎপর্যবহ যুদ্ধ শত বছরেও একবার আসে না। সেই যুদ্ধ দেখতে না পাওয়ার চেয়েও দুর্ভাগ্য আমাদের প্রজন্মের। আমি ও আমার প্রজন্ম হতভাগা, কারণ আমাদের যুগে এসে যুদ্ধের শিক্ষা হারিয়ে গেছে বাংলাদেশ থেকে।

প্রতিটি যুদ্ধই সম্পৃক্ত জাতি ও গোষ্ঠির উপর চিরস্থায়ী শিক্ষা রেখে যায়। যুদ্ধের উপলব্ধির সূচনা-পর্বে থাকে ঘর, মাটি, ও মানুষ হারানোর অমোচনীয় বেদনা। যুদ্ধের অব্যবহিত পরবর্তী কিছু বছর পর্যন্ত এই পর্ব চলে। সময়ের হিসাবে বললে হয়তো এক দশক মতো। এর পর ঘা গুলো ধীরে ধীরে শুকিয়ে আসে। নতুন জীবন, নতুন বাধা, নতুন মুখের নতুন ক্ষুধা মানুষকে মনোযোগী করে নৈমিত্তিক জীবনে।

সমাপ্তি-পর্বে থাকে বেদনাকে ব্রতে পরিণত করে সামনে এগিয়ে যাওয়া, বিদ্বেষের কালিতে আকাশ কালো হলেও রক্তের দাগে মাটিকে লাল হতে না দেওয়া। এই দুইয়ের মাঝে থাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ – যুদ্ধের শিক্ষা আত্মস্থ করা। এই পর্বে যুদ্ধকে নিয়ে আলোচনা হয়, যুদ্ধের লক্ষ্য কতটুকু অর্জিত হয়েছে তা হিসাব-নিকাশ করা হয়, যুদ্ধের জন্য যা-কিছু ত্যাগ করা হয়েছে তার মূল্যায়ন হয়। যুদ্ধ সম্পর্কে উপলব্ধিগুলো এই সময়েই মানুষের মনে স্থান করে নেয়। আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের বোধন ও বিশ্লেষণের পর্বটা কেটেছে গোলাম আজম ও অন্যান্য প্রতিক্রিয়াশীল দেশদ্রোহীদের পদতলে।

পৃথিবী অনেক যুদ্ধ দেখেছে, কিন্তু খুব কম যুদ্ধের পর পরাজিত পক্ষের হোতারা এত জাঁকিয়ে শাসন-শোষণ করে পেরেছে প্রলম্বিত সময়ের জন্য। এর পেছনে মুখ্যত দায়ী একটি মাত্র দিন – ১৪ই ডিসেম্বর। এই ক্ষতির মাত্রা আমি বিজ্ঞান ও সামাজিক উৎকর্ষ দিয়ে করি না, করি যুদ্ধের স্থায়ী মূল্যবোধ তৈরির ব্যর্থতা দিয়ে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতেই ইহুদি বিজ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবিরা পালিয়ে চলে গিয়েছিলেন আমেরিকা ও অন্যান্য দেশে। যুদ্ধের পর তাঁরা নিরন্তর গবেষণা করে গেছেন এর সামাজিক, ঐতিহাসিক, ও রাজনৈতিক গুরুত্ব নিয়ে। নতুন প্রজন্মের সামনে এঁরা তুলে ধরেছেন নাৎসি মতবাদের ভ্রান্তি, সংকলন করেছেন নিষ্ঠুরতার ইতিহাস, ভুলতে দেননি কোন রাজনৈতিক বাস্তবতার ধারাবাহিকতায় এই বীভৎস যুদ্ধের সূচনা হয়েছিলো। অপরাজনীতিকদের জন্য সময়ের চাকা উলটো দিকে ঘুরানোর সুযোগ চিরতরে বন্ধ করেছেন তাঁরা শুধু যুদ্ধের চেতনা সংরক্ষণ করেই।

তাঁদের সাফল্য খুব স্পষ্ট। আজ পশ্চিমা বিশ্বে পতাকার ডিজাইন করা অন্তর্বাস পরা যায়, কুশপুত্তলিকা দাহ করা যায়, নবী-রাসূলকে ব্যঙ্গ করে কার্টুন আঁকা যায়, যীশুর মূর্তিতে প্রস্রাব করা যায়, বিনা বিচারে নাগরিকদের আজীবন কারাদণ্ড দেওয়া যায়। শুধু যায় না হ্যালোইনের রাতে ঠাট্টা করেও নাৎসি সাজা, হিটলারের মতো মোঁচ রাখা, কিংবা নাৎসি সেলুট দেওয়া। পশ্চিমের ঢিলেঢালা সমাজেও আজ এই কথা প্রতিষ্ঠিত সত্য যে জাতিবিদ্বেষের কারণে গণহত্যা করা সবচেয়ে বড় অপরাধ, অন্য সকল বিষয়বস্তু এর তুলনায় গৌণ। এই ধরনের আচরণ দুষ্কর্ম হিসাবে দেখা হয় না, পাপ হিসাবে দেখা হয়। এই নিয়ে ঠাট্টার কারণে আমেরিকার কংগ্রেসম্যান থেকে প্রিন্স হ্যারি পর্যন্ত বহু নামী ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হয়েছে।

আফসোস, বাংলাদেশে এই চিত্র সর্বাংশে বিপরীত। এক রাতে সব শিক্ষক-গবেষক হারিয়ে আমরা পাইনি নতুন প্রজন্মকে যুদ্ধ সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়ার সুযোগ। আমরা বিশ্লেষণ করতে পারিনি যুদ্ধের সামাজিক তাৎপর্য, তাই ধর্মের দোহাই দিয়ে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে ১৯৪০-এর দশকের মুসলিম লীগপন্থী চিন্তা-ভাবনা, তৈরি হচ্ছে মেহেরজানের মতো রিকনসিলিয়েশনমুখী চলচ্চিত্র। আমরা সংকলন করতে পারিনি নৃশংসতার ইতিহাস, তাই শর্মিলা বসু গং দাবি করতে পারে দাপ্তরিক ভুলের কারণে শহীদের সংখ্যা ৩০ লক্ষ। আমরা রাজনৈতিক শোষণের ইতিহাস স্মরণে রাখিনি, তাই কালের স্রোতে মূলধারায় স্থান করে নিয়েছে আসিফ নজরুলদের মতো ছদ্মবেশী দালাল, যারা দশকের পর দশক ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লঘু করেছে, সমাজকে ড্রিপ-ফিড করেছে পাকিস্তানপন্থার বিষ, তৈরি করেছে এক বিশ্বাসঘাতক প্রজন্ম যারা যুদ্ধাপরাধীদের প্রসঙ্গে বিব্রতকর মাত্রায় নমনীয়।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ দু’টি ধর্মের মধ্যে ছিলো না, ছিলো দু’টি দেশের মধ্যে, দু’টি জাতির মধ্যে। ধর্মকে যাঁরা সংস্কৃতির আগে রাখেন, মুক্তিযুদ্ধ ছিলো তাঁদের চিরতরে ভুল প্রমাণ করার যুদ্ধ। এই যুদ্ধে শুধু হিন্দু, বিধর্মী, আর কমিউনিস্টরা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেয়নি। ভারতের প্রভাবে আমাদের ধর্মবিশ্বাস কমে যাওয়ায় যুদ্ধ শুরু হয়নি। যুদ্ধকালে পাকিস্তানিরা শুধু হিন্দু, দুষ্কৃতকারী, আর ভারতীয়দের অত্যাচার-নির্যাতন করেনি। যুদ্ধের ১৯ বছর আগে থেকেই প্রতিবাদ-প্রতিরোধের সূচনাও স্রেফ নিজেদের ভূ-খণ্ড নিয়ে “বাংলাদেশি” হবার তাগিদ থেকে হয়নি, হয়েছে নিজের ভাষায় কথা বলে নিজের “বাঙালি” সত্ত্বার স্বীকৃতি অর্জন করে নিতে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সার্বজনীন শ্লোগানে সংস্কৃতি ও জীবনধারার জয় চাওয়া হয়েছে, রাজনৈতিক মানচিত্রের না।

খুব সহজ, সরল, সাধারণ এই শিক্ষাগুলো একটু একটু করে নতুন প্রজন্মকে জানানোর কাজটুকু আমরা করিনি। বুদ্ধিজীবিদের স্থান দখল করে নেওয়া দালালরা নিজেদের মতো করে প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে উঠলে তাদের ঠেকাতেও সোচ্চার হইনি। ভুল শিক্ষাগুলো স্থায়ী রূপ নিয়েছে, অবশেষে এক পর্যায়ে এই ভুল পথের কাণ্ডারিরা সমাজের উঁচু তলায় স্থান নিয়ে নিয়েছেন। যেই গোলাম আজমদের বাংলার মাটিতে চিরকুণ্ঠিত থাকার কথা, তারাই পার করেছে সবচেয়ে আরামের জীবন। রাজত্ব করে গেছে বিজয়ী (?) যোদ্ধাদের উপর।


২. পুঁজিবাজারে মন্দাঃ

শেয়ারবাজার নয়, রাজনীতির বাজারের কথা বলছি। এই পুঁজি ব্যাক্তিগত অর্জন হলেও এর চরিত্র আর্থিক পুঁজির মতোই। অনেক বছর ধরে নিরন্তর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে এটি সঞ্চয় করতে হয়, সুযোগসন্ধানী বিনিয়োগের মাধ্যমে রাতারাতি তার মূল্যবৃদ্ধি করার পায়তারা করতে হয়, এবং সবশেষে মওকা বুঝে খরচ করতে হয় বড় কোনো অর্জনের আকাঙ্ক্ষায়।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে মুসলিম লীগের একটি ধারা অনেক কাল ধরেই প্রবহমান। ধর্মের অজুহাতে দেশ ভাগের সময় এই ধারা বিপুল শক্তির অধিকারী ছিলো। এরপর একে একে এলো যুক্তফ্রন্ট, মুক্তিযুদ্ধ, এবং স্বাধীন বাংলাদেশ। চোখ ধাঁধানো রকম ধনী এবং মনভোলানো রকম ক্যারিশম্যাটিক এই রাজনীতিকেরা এক সময় আশ্রয় করে নেয় কট্টর জাতীয়তাবাদী দলগুলোয়। আদি চরিত্রের প্রতি অনুগত থেকেই এরা ভারতবিরোধী, পাকিস্তানপন্থী, এবং ইসলামের লেবাসধারী। এই গোষ্ঠীর সফলতম উদাহরণ সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী গং, আর পাতি উদাহরণ ফেসবুক ও ব্লগে গজিয়ে উঠা সাইবার-হুজুরের দল।

এই গোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় পুঁজি ধর্ম। মুসলিমদের জন্য শান্তিময় এক দেশের যেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুসলিম লীগের জন্ম, আজ সেই একই ধোঁয়া তুলে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে যাচ্ছে এই নব্য মুসলিম লীগারদের বাণী। এদের কৌশল দ্বিবিধ। একদল সরাসরি ধর্মের চাদর গায়ে দিয়ে থাকে। এরা প্রাথমিক অবস্থায় দোয়া-সূরা বয়ানে ব্যস্ত থাকে। দু’দিন পরপর কোরানের আয়াত তুলে দিয়ে বিশদ ব্যাখ্যা করে, আয়াতের তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারলে সমাজ থেকে কত প্রকার ব্যাধি দূর হতো তার উপর আলোকপাত করে, ইত্যাদি।

দ্বিতীয় গোষ্ঠীর পথচলা শুরু হয় রম্য আলোচনা এবং সামাজিক মূল্যবোধ দিয়ে। এরা ফেসবুকে চটকদার নাম দিয়ে নতুন নতুন গ্রুপ খোলে। সেখানে বিভিন্ন দেশের সংগৃহিত কৌতুক থাকে, মজার ছবি থাকে, ক্যাপশন প্রতিযোগিতা থাকে, বাংলাদেশ জিন্দাবাদের বিভিন্ন প্রতিরূপ থাকে, এবং থাকে মেয়েদের “আপত্তিকর” কাপড়ের সমালোচনা। এখানে ধর্মের আওয়াজ কম তোলা হয়, ফোকাস রাখা হয় শুধুই বিনোদন, বাংলাদেশের বন্দনা, এবং ভারতবিরোধিতায়।

দুই ধারাতেই সময়ের স্রোতে অনেক লোক এসে জড়ো হয়। অধিকাংশই মূল উদ্দেশ্য ধরতে পারেন না। অনুসারীর সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে জমতে থাকে পুঁজি, যা এক সময় খরচ করা হয় পাকিস্তানপন্থী চিন্তার বিস্তার ঘটাতে। ধর্মনিরপেক্ষতা অর্থাৎ ধর্মমত নির্বিশেষে নাগরিক হিসাবে সমান অধিকার থাকার কথা যেই বাংলাদেশে, সেখানে এভাবেই মুসলিম লীগের মতো করেই ইসলামপন্থী করে ফেলা হচ্ছে সমাজের বিভিন্ন স্তর।

আজ এই পুঁজিবাজারে হঠাৎ ধস নেমেছে। বহু দিন-মাস-বছর ধরে যখন সাধারণ্যের আলোচনার কেন্দ্রে ছিলো বিভিন্ন রকম স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ইস্যু, তখন নব্য মুসলিম লীগারদের দুই ধারাই খোলস ছেড়ে বের হয়ে এসেছিলো বিপুল বিক্রমে। এক দল ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবালকে মুরতাদ প্রমাণ করার পুরনো মিশন চালু করেছিলো তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ সমালোচনা করে। আরেক দল টিপাইমুখ প্রসঙ্গ তুলে কৌশলে এই বার্তা প্রচারে রপ্ত হয়েছিলো যে এর চেয়ে পাকিস্থান অনেক গুণে উত্তম। ধর্ম এবং সুশীলতার মধ্য দিয়ে অর্জিত সব পুঁজি তারা এক সাথে বিনিয়োগ করে বসে বড় লাভের আশায়।

আফসোস, এতে গুড়ে-বালি হয়ে যায় গোলাম আজম গ্রেফতার হওয়ায়। কান পাতলে এক অস্থির নিরবতা শুনতে পাবেন সব দিকে। মিডিয়া, ব্লগ, ফেসবুক, সর্বত্র দেখবেন এক শ্রেণীর মানুষ সন্তর্পণে পিছপা হয়ে গেছে। প্রথম গোষ্ঠী আবার কোরানের তর্জমায় লিপ্ত। এরা দৈবচয়নে একটি আয়াত তুলে ধরছে প্রতিদিন, পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে প্রমাণ করছে এই আয়াত পড়লে হৃদয় কত শীতল হয়। আরেক গোষ্ঠী আজ আবারও বিশ্বনাগরিক। এরা ক্যান্সারের ব্যাধি, গোল্ডেন গ্লোব পুরষ্কার, নতুন সিনেমা-নাটক, টানা চারদিন ধরে শুনতে হয় এমন মরমী গান, ইত্যাদি নিয়ে আলাপে ব্যস্ত। কারণ খুব সহজ, সমসাময়িক বিষয়াদি নিয়ে বলতে গেলেই যে গোলাম আজমকে নিয়ে বলতে হবে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে বলতে হবে! লে হালুয়া, কী প্যাঁচটাই না লেগে গেল!

আজ হঠাৎ করেই বাংলাদেশের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়নি। গ্যাস নেই, বিদ্যুৎ নেই, নদীর পানির হিস্যা নেই, সীমান্তে হয়রানির শেষ নেই, বন্ধুরাষ্ট্র হিসাবে প্রাপ্য সম্মানের হদিস নেই। যারা এই সব সমস্যার দোহাই তুলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে ছিলেন, তারা সাময়িক ভাবে হাওয়ায় মিলিয়ে গেছেন নতুন পুঁজির সরবরাহ আসার আগ পর্যন্ত। এই সুবিধাবাদী শকুনেরা আবার ফিরবে পঁচনের গন্ধ পেলেই। ততদিন পর্যন্ত এরা অন্তরালে ফুঁসতে থাকবে। তুচ্ছ থেকে তুচ্ছতর কোনো ইস্যু ফেলেই ক্ষোভে ফেটে পড়বে জেহাদি জোশে। যাঁরা আজও এঁদের চেনেন না, এটাই তাঁদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ।

অন্তর্বর্তীকালে সবার প্রতি অনুরোধ, নাগরিক হিসাবে নিজের দায়িত্ব পালন করুন। আমাদের নির্লিপ্ততাই এদের আশ্চর্যজনক উত্থানের মূল কারণ। জোর কণ্ঠে নিজের মত প্রকাশ করুন – টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে, সীমান্তে হত্যা-হয়রানি-অত্যাচারের বিরুদ্ধে, ট্রানজিটের নামে নদী খেয়ে ফেলার বিরুদ্ধে, এবং অতি অবশ্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে।


মন্তব্য

মন মাঝি এর ছবি

আশ্চর্যজনক উত্থানের মূল কারণ।

শুধু 'উত্থান' নয় 'অভ্যূত্থান'-ও বটে! আজকের ব্রেকিং নিউজ দেখুন। আবারো! যদিও কর্তৃপক্ষ এবারের মত যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছেন, কিন্তু যুদ্ধাপরাধীরা যে এখন আইন-আদালতের বাইরে এইভাবে সমাধান চাইছে তা খুবই স্পষ্ট!

****************************************

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

হুঁ, দেখলাম খবর। একটু অবাকও হলাম। সাধারণত এই ঘরানার মানুষ ভ্রান্ত হলেও কর্মঠ হয়। এরা মাঠে-ময়দানে রাজনীতি চালিয়ে যায়, পাশাপাশি অনলাইনে ইতিহাস পুনর্লিখনেও নিযুক্ত থাকে। ইদানীং ই-বিপ্লবীর প্রাদুর্ভাব দেখে ভয় পাচ্ছিলাম এদের হাতে সুযোগ তুলে দেওয়া হচ্ছে। এখন অবাক হয়ে দেখলাম প্রথম বড় ঝুঁকিটা এরাই নিলো। নতুন কোনো তরিকা নিয়ে হাজির হবে দ্রুতই। আশা করি সেটা খেয়াল করার মতো হুঁশ সরকারের আছে।

অন্যকেউ এর ছবি

আমাদের নির্লিপ্ততাই এদের আশ্চর্যজনক উত্থানের মূল কারণ।

হতাশ হয়ে পড়ি যখন দেখি তরুণ মানুষেরা খোমাখাতায় "হেইট পলিটিক্স" লিখে রাখে। রাজনীতি আর রাজনৈতিক ইতিহাস নিয়ে অধিকাংশের কোনও আগ্রহই নেই। দেশের মূল ইতিহাস মনে না রেখে, যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে নিশ্চুপ হয়ে থেকে কেউ যখন জাতীয় পতাকার একটা ছবি দিয়ে দেশপ্রেমিক হয়ে যায়, তখন কিছুটা দুঃখবোধ হয় বৈকি। এই আশ্চর্য নির্লিপ্ততা আর উপেক্ষা থেকে বেরিয়ে আসা আর বের করে আনার উপায় যে কি, খুঁজে পাই না।

জোর কণ্ঠে নিজের মত প্রকাশ করুন – টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে, সীমান্তে হত্যা-হয়রানি-অত্যাচারের বিরুদ্ধে, ট্রানজিটের নামে নদী খেয়ে ফেলার বিরুদ্ধে, এবং অতি অবশ্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে।

চলুক চলুক

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

অরফিয়াস এর ছবি

হতাশ হয়ে পড়ি যখন দেখি তরুণ মানুষেরা খোমাখাতায় "হেইট পলিটিক্স" লিখে রাখে।

ওটা এখনকার কুউলল স্টাইল আর কি... কেও কিছু বুঝুক না বুঝুক ওটা লিখলেই মনে করে জাতে ওঠা গেলো, সবাই কাদা মাখা রাস্তায় চলতে চায় কিন্তু নিজের জামায় কাদা না লাগিয়ে, দেশের তরুণ প্রজন্ম যদি রাজনীতি না করে তাহলে কি বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেবার মতো করে দেশে রাজনীতিক ও ধার করে আনতে হবে নাকি??

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতিকদের কিছু বিশাআআআআআআল সাফল্য আছে বাংলাদেশে। এদের নিরলস কূটকৌশলের কারণে এখন মানুষ দুধ এবং ঘোলকে এক মনে করে। অতীতটা এদের জন্য সব সময়ই ঝামেলার ব্যাপার, তাই চাইলেও তা হুট করে মুছে দেওয়া যেতো না। প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে তাই তারা জনমনে এই ধারণা স্থায়ী করে দিয়েছে যে "বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলই সমান।"

এটা যে কত বড় সাফল্য, তা আমরা উপলব্ধি করতে পারি না সহজে। তরুন প্রজন্মকে রাজনীতিবিমুখ এবং ধর্মভীরু করে তোলা এটারই দ্বিতীয় ধাপ। এভাবেই এক সময় নতুন ইতিহাস নিয়ে প্রতিবাদ করার মতো লোকও থাকবে না।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

রিসালাত বারী এর ছবি

চলুক
গুরু গুরু

ধূসর জলছবি এর ছবি

চলুক

স্যাম এর ছবি

চলুক

উচ্ছলা এর ছবি
এলোমেলো মেঘ এর ছবি

খুব সুন্দর লিখেছেন. পরে খুব ভালো লাগলো. যদিও নিজেকে ওই নিস্পৃহ দলের একজন সদস্য ভেবে একধরনের আত্ম যন্ত্রনায় ভুগছি.

সত্যপীর এর ছবি

অতি অসাধারন।

..................................................................
#Banshibir.

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লেখা!!! সবাই ছড়িয়ে দিন!!!


_____________________
Give Her Freedom!

ঝুমন এর ছবি

ব্যালান্স করার একটা চেষ্টা থাকে এদের মধ্যে। এখন থেকে তো পাকিস্তান আমলই ভাল ছিল এমন কথাও শুনতে হয়। আজ আমাদের সমাজের নানাবিধ অস্থিরতার কারণে যদি বলা হয় এগুলো( যুদ্ধাপরাধী) নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে খাদ্য বস্ত্র এসব নিয়ে থাকা উচিত তাহলে বিবেকের সাথে প্রতারণা করা হবে। আমাদের খাদ্যের অভাব একদিন দূর হবে, বেকারত্ব থাকবেনা একদিন সেই শুভদিনে আমরা আমাদের বিবেককে(যদি ততদিনে কিছু থাকে) কী জবাব দিব?

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

খাদ্য-বস্ত্র নেই পৃথিবীর আরও অনেক দেশেরই... কিন্তু আর কেউ আমাদের মতো মেরুদণ্ডহীন না।

জিজ্ঞাসু এর ছবি

ইহুদিদের মত করে ইতিহাসের সঠিক সংরক্ষণ আমরা করতে পারি নাই এ ব্যর্থতা আমাদের আগের প্রজন্মের। কারণ যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে আর যারা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের মধ্যে যোগাযোগের বিস্তর ব্যবধানও ছিল। যার কারণে সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিলকে যুদ্ধের পরপরই গ্রেফতার হতে হয়। পরে তিনি পীরমুর্শিদ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
পরবর্তীকালে আমাদের একেকজন মহীরূহ রাজনীতিবিদের কেউ কেউ বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িতও ছিল। যাদের জড়িত থাকার প্রমাণ আমরা পাইনি বলে তাদেরকে আপাত নিরীহ মনে করছি। কোথাও একটা টানাপোড়েন ছিল এবং আছে যার কারণে আমরা জাতি হিসেবে আজও গোছাতে পারিনি ঘর।
এখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রজন্ম এবং বিপক্ষের শক্তির বা রাজাকারদের প্রজন্ম যাদের কেউই মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি তাদের মধ্যে নতুন করে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। আমি মনে করি দু'ধারারই এই নতুন প্রজন্ম কিছুটা স্টেরিওটাইপ্ড ও মগজধোলাই হওয়া। পুরাতনকে ফেলে একদিন আমাদের আবার নতুন করে পথচলা শুরু করতে হবে। দুই ধারার দুই প্রজন্মের সংখ্যা সমানুপাতিক না হলেও পাকিস্তানপন্থীদের প্রজন্ম অনেক গোছানো। ফলে আমরা কি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আরও একটি বিদ্বেষ বিষের আধার হিসেবেই কল্পনা করতে পারি বাংলাদেশকে!!
অতীতের রাজনীতিকদের ভুল ছিল অনেক বড়। ৪০ বছর পরে হয়ত আমরা দু'একজন চিহ্নিত রাজাকারের বিচার করতে পারব। কিন্তু ৪০ বছরে জলতো অনেক গড়াল। বিষয়টা সুরাহা করা দরকার ছিল তাতক্ষণিক। তাই আমাদের কপালে শান্তির আশু সম্ভাবনা দেখি না।
যদি শুধু স্বাধীনতার ইতিহাস বা তার বিচার বিশ্লেষণের কথাও বাদ দেই। তবুও দেশে শুধুমাত্র স্বজনপ্রীতির কারণে দেশ কি ৪০ বছর আগের অবস্থানেই নেই? একবার বিবিসির কোন একটা সাক্ষাতকারে কোন এক বক্তা বলেছিলেন যে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী তাদের এত দ্রুত উতকর্ষের কারণ হিসেবে বলেছেন প্রতিটি নিয়োগের ক্ষেত্রে তারা শুধু মেধাকেই সর্বোচ্চ মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করেছেন। স্বজনপ্রীতি নয়। দেশের আজকের অবস্থার জন্য এটাই দায়ী।

ইশতিয়াক রউফের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণধর্মী দৃষ্টিভঙ্গি অসাধারণ। লেখার জন্য ধন্যবাদ।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

চরম উদাস এর ছবি

নতুন করে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। আমি মনে করি দু'ধারারই এই নতুন প্রজন্ম কিছুটা স্টেরিওটাইপ্ড ও মগজধোলাই হওয়া। পুরাতনকে ফেলে একদিন আমাদের আবার নতুন করে পথচলা শুরু করতে হবে।

- নিশ্চয়ই ভালো মনেই কথা গুলো বলেছেন। তবে কিনা পুরাতনকে ফেলে নতুন করে পথ চলার কথা শুনলেই শইলডা জ্বলে, মাথা বিষ করে, পেটে ব্যাথা বেদনা হয়, আরও অনেক কিছুই হয়। এবং পরিশেষে বুঝতে পারি আমি স্টেরিওটাইপ্ড ও মগজধোলাই হওয়া। তবে সেটা বুঝতে পেরে দেহে এবং মনে শান্তি, বল ইত্যাদি ইত্যাদি পাই।

উচ্ছলা এর ছবি

তবে কিনা পুরাতনকে ফেলে নতুন করে পথ চলার কথা শুনলেই শইলডা জ্বলে, মাথা বিষ করে, পেটে ব্যাথা বেদনা হয়, আরও অনেক কিছুই হয়।

চলুক

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

চলুক

সাম্য এর ছবি

চলুক

সাফি এর ছবি

৪০ বছর পরে হয়ত আমরা দু'একজন চিহ্নিত রাজাকারের বিচার করতে পারব।

তাই বিচার অর্থহীন?

অরফিয়াস এর ছবি

রুদ্রের একটা কবিতার লাইন আমার সব থেকে প্রিয়- "জাতির পতাকা খামচে ধরেছে আজ সেই পুরনো শকুনেরা"... এর থেকে ভালোভাবে হয়তো আর বলা যেতোনা|

নব্য ধর্মীয় লেবাস লাগিয়ে অনেকেই মাথা তুলছেন, অনেকদিনের পরিচিত লিবারেল বন্ধুরাও হয়ে যাচ্ছে ধর্মান্ধ, তার একটাই কারণ, দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য, তারা যেকোনো জিনিসের পেছনেই ধর্মের কারণ দেখে, আর তাতে ধারনাটা হয়ে যায় একপেশে, দৃষ্টিকোণ বদলে যায় পুরোপুরি|

যে দেশের ইতিহাস বদলায় প্রতি ৫ বছরে, সেদেশে শক্ত মেরুদন্ডের কজন আছে, খুঁজে দেখার মতো বিষয় ...

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

যেই প্রজন্ম মুসলমানদের দেশ চেয়ে পাকিস্তান তৈরি করেছিলো, সেই প্রজন্মেরই সাড়ে সাত কোটি মানুষ "মুসলমান ভাই" হওয়ার পরও পাকিস্তানিদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছে। এরপরও যখন লোকে ধর্মের দোহাই দিয়ে পাকিস্তানপ্রীতি দেখায়, তখন ... মন খারাপ

তাসনীম এর ছবি

পৃথিবী অনেক যুদ্ধ দেখেছে, কিন্তু খুব কম যুদ্ধের পর পরাজিত পক্ষের হোতারা এত জাঁকিয়ে শাসন-শোষণ করে পেরেছে প্রলম্বিত সময়ের জন্য। এর পেছনে মুখ্যত দায়ী একটি মাত্র দিন – ১৪ই ডিসেম্বর। এই ক্ষতির মাত্রা আমি বিজ্ঞান ও সামাজিক উৎকর্ষ দিয়ে করি না, করি যুদ্ধের স্থায়ী মূল্যবোধ তৈরির ব্যর্থতা দিয়ে।

তোমাকে কুর্নিশ গুরু গুরু

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ধন্যবাদ, ভাইয়া হাসি

কাজি মামুন এর ছবি

আজ হঠাৎ করেই বাংলাদেশের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়নি। গ্যাস নেই, বিদ্যুৎ নেই, নদীর পানির হিস্যা নেই, সীমান্তে হয়রানির শেষ নেই, বন্ধুরাষ্ট্র হিসাবে প্রাপ্য সম্মানের হদিস নেই। যারা এই সব সমস্যার দোহাই তুলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে ছিলেন, তারা সাময়িক ভাবে হাওয়ায় মিলিয়ে গেছেন নতুন পুঁজির সরবরাহ আসার আগ পর্যন্ত। এই সুবিধাবাদী শকুনেরা আবার ফিরবে পঁচনের গন্ধ পেলেই।

কথাগুলো পুরোপুরি সত্য! তবে ইতিমধ্যে নতুন পুঁজির যোগান দিয়েছে বিএসএফ জওয়ানদের জওয়ানি (নাকি জাউরামি?) কীর্তি! এই ঘটনার পর আমি একটি পত্রিকার রেফারেন্স ব্যবহার করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, ''Shame on India''. পত্রিকা এবং এই স্ট্যাটাসে পাওয়া কয়েকটা মন্তব্য প্রনিধানযোগ্য:
(১) এরা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর চেয়ে আরো খারাপ
(২)যতদিন এই সরকার ক্ষমতায় আছে, ততদিন আমাদের এই অত্যাচার করবে ভারত
(৩)ভারতের প্রাণের বন্ধু হাসিনাকে জিজ্ঞাসা করুন ইত্যাদি।
যেকোনো বাংলাদেশীরই দৃঢ়কন্ঠে এই ঘটনার প্রতিবাদ করা উচিত; কিন্তু এই উছিলায় পাকিস্তানকে মহান বানানোর উদ্দেশ্য কি? তাছাড়া, হাসিনা না থাকলে কি এই ধরনের নির্মম ঘটনা ঘটত না? ভারতের এই সীমান্ত-বর্বরতা তো নতুন কিছু নয়! আর আমরা তো শুধু ভারতের হাতেই নির্যাতিত হই না! মুসলিম ভ্রাতা সৌদি কিছুদিন আগে আটজন বাংলাদেশীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় শিরোচ্ছেদ করেছে! এইসব ঘটনাকে যারা ক্ষুদ্র রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে, তারা আসলে এই সত্যটা অবগত নয় যে, আমাদের জাতিগত বিভেদ, হানাহানি, ও বিচ্ছিন্নতাই বিদেশীদের এই সুযোগ করে দেয়!
লেখককে অনেক ধন্যবাদ এমন নির্মোহ বিশ্লেষনের জন্য হাততালি !

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ধন্যবাদ। মন্তব্যের সাথে সহমত।

পৃথ্বী এর ছবি

কাদের সিদ্দিকীর মত লোক কেন জামায়াতের দিকে নুয়ে পড়ে? আমি বুঝি না, এরকম ডিগবাজির পেছনের রহস্য কি? জামায়াত তাঁকে টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে বিশ্বাস হতে চায় না। টাকার কি তাঁর এতই অভাব?

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

প্রত্যেকটা মানুষেরই একটা বিক্রয়মূল্য আছে। সারির পিছন থেকে কাউকে বড় কিছুর প্রতিশ্রুতি দিলে আনুগত্য কেনা সহজ হয়ে যায়।

দুর্দান্ত এর ছবি

"আমাদের মুক্তিযুদ্ধ দু’টি ধর্মের মধ্যে ছিলো না, ছিলো দু’টি দেশের মধ্যে, দু’টি জাতির মধ্যে।"

আমাদের মুক্তিযুদ্ধে আমরা মুক্ত হয়েছি, আর পূররবভারতীয়রা হয়েছে পাকাপোক্তভাবে বন্দী।

ভারত আমাদের মুক্তির পথে, আমাদের 'কজ' এর পক্ষে থেকেছে। আমরা ক্ররিতগ্গ। তথাপি এই যুদ্ধে আমারা বিজয়ী হয়েছি বলেই, আমাদের বিশাল ত্য়াগের ফলেই ভারতীয় মানচিত্র, অন্তত এর পূবদিকটি আজকের আকারে থাকতে পেরেছে। তাই আমি বলতে চাই, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ দু’টি ধর্মের মধ্যে ছিলো না, ছিলো তিনটি দেশের মধ্যে, ও অন্তত তিনটি (যদি আমরা ভারতীয় জাতীয়তা বলে একক কিছুর খোঁজ কোনদিন পাই) জাতির মধ্যে, যেখানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমারা জয়ী হয়েছি, আর যেখানে নাগা-মিজো-নক্সালদের বিরুদ্ধে ভারত বিজয়ী হয়েছে।

জিজ্ঞাসু এর ছবি

সহমত।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ দু’টি ধর্মের মধ্যে ছিলো না, ছিলো তিনটি দেশের মধ্যে, ও অন্তত তিনটি (যদি আমরা ভারতীয় জাতীয়তা বলে একক কিছুর খোঁজ কোনদিন পাই) জাতির মধ্যে, যেখানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমারা জয়ী হয়েছি, আর যেখানে নাগা-মিজো-নক্সালদের বিরুদ্ধে ভারত বিজয়ী হয়েছে।

এই মন্তব্যটার সাথে আমার বেশ শক্ত দ্বিমত আছে। এই ধরনের কথা তো নব্য মুসলিম লীগারদের কথাবার্তার সাথে মিলে যায় অনেকটা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে ভারত কিছু অর্জন করে থাকলে সেটা যুদ্ধের কারণ হয়ে যায় না। বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়েছে নিজেদের স্বাধীনতার তাগিদেই শুধু। আপনার কথাটা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মূল মর্মকে ঘোলাটে করে এবং যুদ্ধের আগের ২৪ বছরের সংগ্রামকে অপ্রাসঙ্গিক করে দেয়।

দুর্দান্ত এর ছবি

"আপনার কথাটা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মূল মর্মকে ঘোলাটে করে এবং যুদ্ধের আগের ২৪ বছরের সংগ্রামকে অপ্রাসঙ্গিক করে দেয়।"

কেন? ভারত আমাদের সহায়তা করেছে, আবার আমাদের সংগ্রামের উত্তাপে হাতও সেঁকেছে। কিন্তু এতে আমাদের সংগ্রামের ইতিহাস ঘোলা/অপ্রাসংগিক হয়ে যাবে কেন?
অবশ্যই আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধই কেন্দ্রীয় ও সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যেটাকে আমি-আপনি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলে উড়িয়ে দেবার কথা ভাবতে পারি, সেটাকে দিল্লীর আগ্রাসী-সম্রাজ্যবাদের ভুক্তভোগীরা অত সহযে উড়িয়ে নাও দিতে পারে।

যখন ভারতের মোটিভ নিয়ে বলা কথা নব্য মুসলিম লীগের মত শোনায় তখন ভারত সমালোচনার সোল এজেন্সী শুধু মুসলিম লীগকে দিয়ে দেয়া হয়। ৭১ এর আগে হয়তো কিছু লোকের চোখ মাত্র দুটি পন্থাই দেখতে পেত। ভারত পন্থা নয়তো পাকিস্তান পন্থা (মুস্লিম্লিগ?)। স্বাধীন বাংলাদেশী কোন পন্থা/লীগ ছাড়াই ভারতের মোটিভকে প্রশ্ন করতে পারে।

জিজ্ঞাসু এর ছবি

স্বাধীন বাংলাদেশী কোন পন্থা/লীগ ছাড়াই ভারতের মোটিভকে প্রশ্ন করতে পারে।

চলুক

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

* যুদ্ধের ফলাফলে উপকৃত হওয়া এবং যুদ্ধের নিয়ামক হওয়া কি এক?
* ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ এর পূর্ব পাকিস্তান কি ভারতের ইশারায় উঠেছে-বসেছে?
* যেই প্রজন্ম মুসলিম লীগ করে পাকিস্তান অর্জন করেছিলো তারা কি হঠাৎ ভারতপন্থী হয়ে গিয়েছিলো?

এই প্রশ্নগুলোর প্রতিটির উত্তর খুব স্পষ্ট "না!"। এবং এই নেতিবাচক জবাবের কারণেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনে ৯৫% দায় আমাদের উপর শোষণ, নিপীড়ণ, অত্যাচারের। বাকি ৫% বিশ্বরাজনীতির হালচালের উপর নির্ভর করে, কারণ কিছু ঘুঁটির চাল হয়তো যুদ্ধ কয়েক বছর পিছিয়ে দিতে পারতো, তবে যুদ্ধ হতোই।

যদি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনে ভারতের ভূমিকা বলতে হয়, তাহলে সত্যের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে এই বিষয়টা তুলে ধরতে হবে। আপনি ঢালাও ভাবে বললেন যুদ্ধের তিনটি পক্ষ বাংলাদেশ, ভারত, এবং পাকিস্তান। এতে শুনায় যে সবার দায় এক তৃতীয়াংশ করে। এই বক্তব্য পাকিস্তানের দোষ শতভাগ থেকে নামিয়ে ৩৩%-এ আনে, সহায়ক রাষ্ট্র ভারতকে সমান দোষ দেয়, এবং সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো বাংলাদেশের ঘাড়েও সমান দোষ দেয়।

প্রতিমন্তব্যে আপনি আরও বলছেন --

"আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধই কেন্দ্রীয় ও সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ।"

আবারও একদম অ্যাবসলিউট একটি ব্যাপারকে রেলেটিভ করে ফেলছেন এখানে। মুক্তিযুদ্ধ কোনো দৃষ্টিভঙ্গির ভ্রান্তি বা বিশ্লেষণের জন্য হয়নি, হয়েছে শোষণে অতিষ্ট হয়ে মুক্তি পেতে। পিরিয়ড।

আপনার প্রতি অনুরোধ, জামায়াতি প্রোপাগান্ডা মেশিন মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কী বলে বেড়ায় একটু খেয়াল করে শুনতে। তাদের ভাষ্যমতে, মুক্তিযুদ্ধ ভারতের কারণে শুরু (মিল#১), কিছু ভারতপন্থীর ভ্রান্ত ও ইসলামবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গির ফলশ্রুতিতে যুদ্ধ (মিল#২), এটা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ গৃহযুদ্ধ যেখানে নিজের সুবিধার্থে ভারত নাক গলিয়েছে (মিল#৩)। আপনার ভাসা-ভাসা, নমনীয়, অস্পষ্ট অবস্থানের সাথে ওদের মিল কত প্রকট খেয়াল করেছেন কি?

মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষ আবছা আবছা ভাবে মরেনি, তাই এর কারণ সম্পর্কেও কোনো আবছা আবছা অবস্থান অগ্রহণযোগ্য।

এবারে আসে ভারতের মোটিভের কথা। আমি কিন্তু কোথাও ভারতীয় হাইকমান্ডের কোনো অন্যায্য খায়েশকে সমর্থন করতে বলিনি। আমার লেখার মূল বক্তব্য হলোঃ বাংলাদেশের ইতিহাসে ভারত ও পাকিস্তানের ভূমিকা পৃথকভাবে দেখতে হবে। কান টানলে মাথা আসার মতো এক দেশের কথা উঠলেই আরেকটা আনা খুব বড় ভুল। প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী অনেক বছর ধরে আমাদের এভাবে চিন্তা করতে শিখিয়েছে, এখন সময় এসেছে সেটা থেকে বের হওয়ার।

সাম্য এর ছবি

চলুক

দুর্দান্ত এর ছবি

প্রথমেই আসুন একমত হই, আমাদের, বাংলাদেশীদের, মুক্তিযুদ্ধ করার জন্য ভারতের ইন্ধন, পাকিস্তানী-জামাতিরা যেমন বলতে চায়, সেটার আলাদা করে প্রয়োজন ছিলনা। ৪৭উত্তর পাকিস্তানের শোষণ নিপীড়নই বাংলাদেশীদের মুক্তিযুদ্ধ করার একমাত্র কারণ। পাকিস্তানের শোষণ নিপীড়নের দায়ভার পাকিস্তানের একার।

আমি আপনার সাথে আরো একমত যে ভারতের সামরিক হস্তক্ষেপ ছাড়াও আমরা সংগ্রাম চালিয়ে যেতে পারতাম। একটু বিলম্বে হলেও বিজয় আমাদেরই হত। বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানী বাহিনীর রসদ ও জনবল যোগান দিয়ে বছরের পর বছর দখল ধরে রাখার মত অবস্থা পাকিস্তানের কোন দিনই ছিলনা। তবে পাকিস্তান যত লম্বা সময় বাংলাদেশে অবস্থান করত, তাতে আমাদের ক্ষতিই বাড়তও। এই কারণেই মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকাকে ছোট করে দেখতে পারছিনা। পাকিস্তানীদের অত্যাচার থেকে পালিয়ে যাওয়া লাখো উদ্বাস্তু ও ৭১ মুক্তিযুদ্ধের সহায়তার কথা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা। আমাদের দেশটিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে ভারতের ভূমিকা অপরিসীম। আরো আগে থেকেই ভারত আমাদের স্বাধীনতার পক্ষে নানাভাবে সহযোগিতা করেছে। এটা ভারতের মহানুভবতার পরিচয়।

কিন্তু ধরে নিন, ৭১ সালের এপ্রিল মাসেই আমাদের মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও তাদের দালালদের পরাস্ত করে ফেলল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর আর আসার দরকার হল না। মুজিব নিখোঁজ। তাজউদ্দীন আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী। সে এবং বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ নাগা-মিজো-ত্রিপুরা-অহমদের মুক্তি-কামনার প্রতি সহানুভূতিশীল। তারা আমাদের কাছ থেকে টুক-টাক অস্ত্রপাতি পায়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্র্যাকডাউন থেকে পলায়ন-রতদের আমরা আশ্রয় দেই।

এই পরিস্থিতিতেও কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনী বা আমেরিকার টাকায় বানানও তিব্বতি গেরিলাদের বাংলাদেশে আসতেই হত। ঠিক যেমনটি এসেছিল গ্যাংটকে, আইজাওলে।

আমি বলতে চাই, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা দানের মাধ্যমে ভারত তার পূর্বাঞ্চলে উপনিবেশ পাকাপোক্ত করেছে। সেই উপনিবেশের দাম আপনার বলে দেয়া ৫% এর চাইতে অনেক বড়। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত পূর্ববাংলা ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল, পাকিস্তানের খাইসলতি দোষেই। কিন্তু যেটা নিয়ে কেউ কথা বলতে চায়না, সেটা হল পাকিস্তানী সামরিক হুন্তা আমাদের ওপর যে অত্যাচার করেছে, ৭১ এর আগে ভারতীয় সেনাবাহিনী ভারতীয় পূর্বাঞ্চলে ঠিক একই আকারের অত্যাচার করেছিল। পাকিস্তান ও ভারত উভয়-দেশের সেনাবাহিনীই মুষ্টিমেয় পশ্চিমা জমিদারদের স্বার্থে তাদের নিজ নিজ পূর্বাঞ্চলকে দমিয়ে রেখেছে।

তাই আবারো বলছি, ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ফলাফলের সমান অংশীদার।

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

চলুক গুরু গুরু

ওডিন এর ছবি

পুরা কোপা! হাততালি

আফসোস, এতে গুড়ে-বালি হয়ে যায় গোলাম আজম গ্রেফতার হওয়ায়। কান পাতলে এক অস্থির নিরবতা শুনতে পাবেন সব দিকে। মিডিয়া, ব্লগ, ফেসবুক, সর্বত্র দেখবেন এক শ্রেণীর মানুষ সন্তর্পণে পিছপা হয়ে গেছে। প্রথম গোষ্ঠী আবার কোরানের তর্জমায় লিপ্ত। এরা দৈবচয়নে একটি আয়াত তুলে ধরছে প্রতিদিন, পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে প্রমাণ করছে এই আয়াত পড়লে হৃদয় কত শীতল হয়। আরেক গোষ্ঠী আজ আবারও বিশ্বনাগরিক। এরা ক্যান্সারের ব্যাধি, গোল্ডেন গ্লোব পুরষ্কার, নতুন সিনেমা-নাটক, টানা চারদিন ধরে শুনতে হয় এমন মরমী গান, ইত্যাদি নিয়ে আলাপে ব্যস্ত। কারণ খুব সহজ, সমসাময়িক বিষয়াদি নিয়ে বলতে গেলেই যে গোলাম আজমকে নিয়ে বলতে হবে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে বলতে হবে! লে হালুয়া, কী প্যাঁচটাই না লেগে গেল!

তানিম এহসান এর ছবি

শেয়ার দিলাম। আমি সবসময়ই মনে করে এসেছি, ১৪ ই ডিসেম্বর আমাদের ইতিহাসে সবচাইতে বড় হারানোর দিন, একটি দেশের প্রজ্ঞা’র ভিত্তিভূমি’কে হত্যা করা হয়েছিলো সেদিন, এই ক্ষতি পোষাতে আমাদের আরো অনেক সময় লেগে যাবে।

আপনাকে কুর্ণিশ।

তাপস শর্মা এর ছবি

কিছুই বলার মতো ভাষা পাচ্ছিনা । শেয়ার দিলাম। সবার পড়া উচিৎ এই লেখা।

আপনাকে সালাম। গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু । এর চেয়ে ভালো বিশ্লেষণ আর হতে পারেনা । জানিনা আমি কি বলছিঃ তবে যদি এই পোস্টটা প্লীজ স্টিকি করে রাখা যায়, তাহলে অনেক অনেক ভালো হতো... এটা পড়া দরকার, সত্যিই দরকার।

সচল জাহিদ এর ছবি

চলুক চলুক চলুক


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ইশতিয়াক ভাই। সালাম দিলাম। মন থেকে দিলাম। গুরু গুরু

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ইশতিয়াক, একদম ঠিকাছে চলুক
পাকিপনা সেনাপনা সোনাপনা (জেন্ডার অপ্রেশন অর্থে বললাম, অ.ট.) - আমাদের লড়াই সবগুলার বিরুদ্ধে।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অমিত এর ছবি

চলুক

রামগরুড় এর ছবি

লেখা জব্বর হইছে, জম্পেশ।
চলুক

ধুসর গোধূলি এর ছবি

চরম। চলুক
তবে, গোলাম আযমের নানা ছুতায় এখনো জেলের ফটকের বাইরে হাসপাতালে রয়ে যাওয়াটা ভালো কথা না। তার স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা না থাকার পরেও তাকে বাংলাদেশের জনগণের টাকায় পেলে পুষে দুধ-কলা-মৎস্য খাওয়ানোর ঘোর আপত্তিকারী আমি। যে সমস্যার কথা জনৈক ডাক্তার সাহেবরা বলছেন, এই সমস্যা নিয়ে গোলাম আযম দিব্যি তার মগবাজারের বাড়িতে থেকেছে। বিএসএমএমইউ'তে থাকতে হয়নি তার। এখন কেনো থাকতে হবে?

এইসব মশকরা বাদ দিয়ে এই হারামজাদাকে জেলের ভেতর ঢোকানো হোক।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

হক কথা। এই লোক ঠিকঠাক মতো কারাবাস না করলে শান্তি হবে না। এমন আরামে রাখসে যেন ব্যাটা জাতির তালতো ভাই। তবে, মরে না যায় সেইটাও চাই। ফাঁসি ছাড়া এদের মরতে দেওয়াও পাপ।

দুর্দান্ত এর ছবি

এই ট্রাইবুনালটাই নড়বড়ে। অভিযোগপত্রে ভুল করে বসে আছে। এখন গো-আ কে জেলে পাঠানো নিয়ে কত লীলেখেলা। নিরীহ ছাত্রকে তুলোধুনে রাস্তার ফেলে রাখা যাচ্ছে, কিন্তু চিহ্নিত দালালকে দুটো জেলের ভাত খাওয়ানো যাচ্ছেনা।

অনিন্দ্য সৈকত এর ছবি

আমার পড়া এ বিষয়ে সবচেয়ে চমৎকার ও গভীর বিশ্লেষণ।

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

আর নির্লিপ্ত থাকার কোনো সুযোগ নেই

সাফি এর ছবি

চমৎকার লেখা। ফেসবুকের গ্রুপগুলোর এই বুদ্ধিটা চোখে পড়েছে। খুবই এলার্মিং বিষয়। ইন্টার্নেটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে লঘু রসিকতা আর কৌতুক বিলিয়ে শুরু হয়, আর ফাঁকে ফাঁকে ঠিকই নিজেদের এজেন্ডা মাফিক পুরিয়া ঢেলে দেয়।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এগুলার একটা ক্রনিকল করা দরকার। হাত দিবেন নাকি প্রজেক্টে?

সাফি এর ছবি

ডেড লাইনের মৌসুম চলতেসে যদিও। তবে আপাতত যেটা করা যায়, চোখে পড়লে কোথাও নোট করে রাখা যেতে পারে।

সাজ্জাদ সাজিদ এর ছবি

চমৎকার-চমৎকার-চমৎকার লেখা।

এই ক্ষতির মাত্রা আমি বিজ্ঞান ও সামাজিক উৎকর্ষ দিয়ে করি না, করি যুদ্ধের স্থায়ী মূল্যবোধ তৈরির ব্যর্থতা দিয়ে।

চলুকচলুক

ইফতি এর ছবি

ধন্যবাদ, অসাধারন লেখা একবাক্যে বলা যায়। অনেকগুলো পুরনো বিষফোঁড়ার মুখ ভেঙ্গে দিলেন, রক্ত পুঁজে একাকার মলমের দেখা নাই।

আসলে বিরুদ্ধবাদীরা এত এত নিয়ন্ত্রন পুশেছে এই ৪০ বছরে যা মিথ্যাকে, ভানকে শক্তিশালী করেছে কেবল।তবুও মনে করি জেগে উঠার কোন সময় অসময় নেই...............।।

তৌফিক জোয়ার্দার এর ছবি

অসাধারণ!! শেয়ার দিচ্ছি। গর্বিত (you know why) হাসি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ধন্যবাদ, ভাইয়া হাসি

sk nazmul hasan  এর ছবি

খুব ভাল কাকা...............,

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।