Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

সংস্কৃত

| চাণক্যজন কহেন…০২/০২ | ভর্তৃহরিপর্ব-০২ |

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৫/০৩/২০১২ - ৯:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(আগের পর্বের পর...)
...
ভর্তৃহরির রচনাবলী
শৃঙ্গারশতক, নীতিশতক ও বৈরাগ্যশতক- এই শতকত্রয়ের কোথাও ভর্তৃহরির নাম লেখা না-থাকলেও তিনিই যে শতকত্রয়ের রচয়িতা- এ ব্যাপারে সকলেই প্রায় একমত। তবে কারো কারো মতে অবশ্য ভর্তৃহরি শতকত্রয়ের রচয়িতা নন, সঙ্কলয়িতা মাত্র। তিনি অন্য কবিদের রচিত এবং লোকমুখে প্রচলিত শ্লোকসমূহ বিষয়বস্তু অনুসারে তিনটি শিরোনামে বিন্যাস করেছেন বলে তাঁদের অভিমত (-Dr.Bohlen Ges Abraham Roger)।
.
এছাড়া শতকত্রয় ব্যতীত ভর্তৃহরির নামের সঙ্গে আরও কয়েকটি গ্রন্থের নাম যুক্ত করেছেন কেউ কেউ তাঁদের গ্রন্থে। সেগুলো হচ্ছে- ভট্টিকাব্য (বা রাবণবধ), বাক্যপদীয়, মহাভাষ্যদীপিকা, মীমাংসাভাষ্য, বেদান্তসূত্রবৃত্তি, শব্দধাতুসমীক্ষা ও ভাগবৃত্তি। এগুলোর মধ্যে প্রথম দুটি যে শতককার ভর্তৃহরির রচনা নয় সে সম্পর্কে ইতঃপূর্বেই আলোচনায় এসেছে। অবশিষ্ট গ্রন্থগুলি সম্পর্কে পক্ষে বা বিপক্ষে যথার্থ কোন যুক্তি বা তথ্য এখনো অজ্ঞাত বলে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা এখনি সম্ভব নয়।


| চাণক্যজন কহেন…০২ | ভর্তৃহরিপর্ব-০১ |

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/০৩/২০১২ - ৭:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভর্তৃহরি
.
সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য রক্ষিত না হওয়ায় সংস্কৃত সাহিত্যের অন্যতম কবিশ্রেষ্ঠ ভর্তৃহরির জীবন-চরিতের জন্যে জনশ্রুতি-নির্ভর হওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। বিভিন্ন জনশ্রুতি-প্রসূত তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতককে ভর্তৃহরির অধিষ্ঠানকাল হিসেবে চিহ্নিত করেন। কিংবদন্তী অনুযায়ী- ভর্তৃহরি ছিলেন মালব দেশের অধিবাসী এবং জাতিতে ক্ষত্রিয়। রাজপরিবারে জন্মগ্রহণকারী ভর্তৃহরির পিতার নাম ছিলো গন্ধর্ব সেন। গন্ধর্ব সেনের দুই স্ত্রী। প্রথমা স্ত্রীর পুত্র ভর্তৃহরি এবং দ্বিতীয়া স্ত্রীর পুত্র বিক্রমাদিত্য- যার নামে ‘সম্বৎ’ সন বা ‘বিক্রমাব্দ’ প্রচলিত। উল্লেখ্য, বিক্রম সম্বৎ গণনা শুরু হয় ৫৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে।


| চাণক্যজন কহেন… | ভূমিকাপর্ব |

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: সোম, ১২/০৩/২০১২ - ৯:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রাচীন নীতিশাস্ত্র
.
প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যে ‘নীতিশাস্ত্রম’ নামে একটি বিভাগ স্বীকার করা হয়। যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায়- নীতিশাস্ত্র। নামের মধ্যেই যেহেতু শাস্ত্র কথাটি যুক্ত রয়েছে, তার উপর আবার সংস্কৃত ভাষা, তাই ধারণা হয় নিশ্চয়ই এতে মারাত্মক সব জটিল তত্ত্বের সমাহারে ভয়ঙ্কর সব শাস্ত্রীয় কপচানিই থাকবে। এবং যার ফলে, এ বিষয়ে বিরাট পাণ্ডিত্য ধারণ করা না-গেলে এই শাস্ত্র উপভোগের শুরুতেই সহজ-সরল সাধারণ পাঠক-মনে প্রথম যে ইচ্ছেটাই গজিয়ে ওঠা স্বাভাবিক, তা হলো- থাক্ বাবা! এ রাস্তায় এগোনোর চাইতে পাথর চিবানোও বুঝি সহজ কর্ম ! ভাগ্যিস এগুলো আসলে সে জাতীয় ভয়ঙ্কর কিছু নয়। এবং এগুলো যে মোটেও রসকষহীন কিছু নয়, বরং অধিকাংশই মনোগ্রাহী কাব্যধর্মী রচনা, এর উদ্দেশ্য থেকেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়। কারণ, এর উদ্দেশ্য হলো আকর্ষণীয় উপায়ে কিছু সদুপদেশ বিতরণ বা কাঙ্ক্ষিত কিছু নীতির প্রচার।


বাংলা ভাষা এল কোথায় থেকে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৬/০১/২০১১ - ১:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সংস্কৃত না পালি—ভারতের সবচেয়ে পুরোনো ভাষা কোনটি তা নিয়ে সুদীর্ঘকাল ধরেই বিতর্ক চলেছে। তবে সে বিতর্ককে পাশ কাটিয়েও বলা যায়, সংস্কৃত গ্রিকের চেয়ে বেশি নিখুঁত, ল্যাটিনের চেয়ে বেশি গভীর, এবং এ দুটো ভাষার তুলনায় অনেক বেশি নিপুণতার সাথে সংস্কারকৃত, যদিও তাদের উভয়ের সাথেই সংস্কৃতের যথেষ্ট পরিমাণে সাদৃশ্য রয়েছে। ক্রিয়াপদের মূল এবং ব্যাকরণগত গঠনপ্রণালীর দিক থেকে এ তিনটি ভাষায় এত বেশি মিল যে, ভাষাগুলোর উৎপত্তি যে একই উৎসমূল থেকে হয়েছে সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশই নেই। সেই অজ্ঞাত মূল সূত্রটি অবশ্য চিরতরে কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে।


বাংলা ভাষার ব্যাকরণ কবে তৈরি হবে?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৮/০১/২০১১ - ৯:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভাষা একদিনে জন্মায় না। বাংলা ভাষার জন্মও একদিনে হয়নি। মানুষের মুখে মুখে ধ্বনি বদলে যায়। শব্দ তো ধ্বনি দিয়ে আঁটিবাঁধা মালার মতন। সেও তাই বদলে যায় ধীরে ধীরে। একই সাথে বদলায় তার অর্থও। অনেক দিন পার হয়ে গেলে মনে হয় ভাষাটি একটি নতুন ভাষা হয়ে উঠেছে। বাংলা ভাষার আগেও এদেশে ভাষা ছিল। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতে, খ্রিষ্টীয় দশম শতকের কাছাকাছি সময়ে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়। কেউ কেউ অবশ্য ধারণা করেন খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতক থেকেই এ ভাষার অস্তিত্ব ছিল। এসব হিসেব থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার যে, বাংলা ভাষার পথ পরিক্রমা কমপক্ষে হাজার বছরের। কিন্তু অবিশ্বাস্য শোনালেও এটাই সত্যি যে, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ এখনও তৈরিই হয়নি!
[i]


বানানায়তন- ১১ | সংস্কৃত বানানরীতি বনাম বাংলা বানানরীতি |

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২১/১২/২০১০ - ১০:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“উচ্চারণ যেন ঠিক নদীর বহমান জলের মতো, প্রতি মুহূর্তে তার দিকপরিবর্তন হচ্ছে, কিন্তু বানান থাকে পাথরে খোদাই, তাকে মোছা কঠিন। লিখন ও মুদ্রণ প্রক্রিয়াই বানানের অজরত্ব এনে দেয়। বানানের কোনো পরিবর্তন দেখলেই তাই আমরা গোঁড়া হয়ে পড়ি। আরে এই ফটো তো সেই লোকের (শব্দের) নয়, একে মানি না। কানের ভিতর দিয়া যা মরমে পশে, তার চেয়ে চোখের ভিতর দিয়ে যা মগজে পৌঁছায় তার ওজন বেশি, সে খাঁটিকে ধমক দেয়, তুমি যা- ...