ছুটছি! খানাখন্দ, মাঠঘাট, বাড়ীঘর পেরিয়ে ছুটছি। এ চলার কোন শেষ নেই। ক্লান্ত পা, পেশীতে পেশীতে কাটা কাটা যন্ত্রনা! তারপরও ছুটে চলেছি। যে করেই হোক, আমাকেই আগে পৌঁছুতেই হবে। নইলে জীবন আর মরণের মাঝখানে যে সামান্য সেতুবন্ধন, তা ভেঙ্গে এক...
পাগলই হয়ে গেল ডোনা ম্যাডোনা। ঘুনাক্ষরেও ভাবতে পারে নি কেউ। এই বস্তিতে থেকেও নানা ঘটনাপ্রবাহে এতেটা সুচারু নজর যার, অন্যের সমস্যা সমাধানে যার এতোটা ধৈর্য, সে মানুষটি এতো সহজে পাগল হয়ে যাবে, তা সহজে মেনে নিতে পারলো না বস্তির লোকজন...
মেয়েটির যা করলো, তাতে বিরাট এক ধাক্কা খেলো বসতির বাসিন্দারা । সাহেব লোকজনের এতে কিছু যায় আসে না। তাদের অনেক জরুরী ভাবনা চিন্তা রয়েছে। কিন্তু বস্তিবাসীদের মাঝে বেশ আলোড়ন তুললো ঘটনাটি। ওদের প্রতিদিনের “নুন আনতে পান্তা ফুরোনো” দ...
ভদ্রলোক বারান্দায় আরাম কেদারাতে বসে খবরের কাগজ পড়ছিলেন। সকাল আটটার মত হবে। মেঘেদের আজ বুঝি ছুটি হয়েছে। কয়েক ফোঁটা রোদ্দুর এসে খবরের কাগজের অক্ষরের সাথে মিশে যাচ্ছে। এমন সময় একটা মেয়ে এসে বারান্দার সামনে দাঁড়াল। হাতে একটা কাগ...
প্রজাপতি উড়ছে। ঘরময়, এদিক সেদিক, হাওয়ার শরীর বেয়ে।। একবার বসলো ভাঙ্গা আয়নার সামনে পড়ে থাকা চিরুনীর গায়ে। তারপর সেখান থেকে উড়ে বসলো বিছানার উপরে সযত্নে শুইয়ে রাখা অনেক দিনের পুরানো পুতুলটির গায়ে। মত...
[ঘটনা কিংবা চরিত্র সব নিছক কল্পনা মাত্র]
১.
আমার শোবার ঘরের জানালা সবসময় বন্ধ থাকে। বাবা বলেন...
- মাইয়া মাইনষের ঘরের জানালা খোলা রাখা ঠিক না... খারাপ নজর পড়ে।
কাঁচের জানালা বন্ধ থাকলেও ভেতর থেকে আকাশ দেখা যায়। কিন্তু আমার ঘরের জান...
কাজের বুয়া খুজছে অনেকদিন ধরেই। তাবুও এমন বুয়া রাখবে, তা ভাবতেই পারে নি সুমি। বিকট চেহারা, বাজখাই গলার আওয়াজ, গায়ের রং আষাঢ়ের মেঘের মতো কালো। কাজের বুয়াকে সুন্দরী হতে হবে, এমন উৎকট দাবী কে করে? কিন্তু একটা তো একটা সীমা থাকা চাই। বাচ...
বাসা থেকে বেরিয়ে পাশের গলিটা দিয়ে বড় রাস্তায় নেমে সেটা টপকে ওপারে গেলেই মুচির আখড়াটা। একসারে বারো জন জুতোর কারিগর তাঁদের পসার সাজিয়ে তৈরি হয়ে বসে।
এক নজর দেখে যে খুব শ্রদ্ধা আসবে তা হলফ করে বলা যায় না।
বড় রাস্তার পাশের এঁদো পুকুরটা আড়াল করার জন্য সরকার যে হলুদ দেয়ালটা তৈরি করেছে - সেইটে ভর করেই পুরো আখড়াটা দাঁড়িয়ে। সব কারিগরের আস্তানা কম বেশি একই রকমের ক...
রান্নার ঘরটাতে একটা হুটোপুটির মতন শব্দ হলো। বিছানায় শুয়ে সিলিং-এ নানারকম অদৃশ্য আঁকিবুকি কাটছিলাম আমি। খুব জোরে ঘুরতে থাকা পাখাটা অবশ্য প্রায়শই বাগড়া দিচ্ছিলো। মনে মনে একটা বাঘ কিংবা ভাল্লুক এঁকে শেষটানে হয়তো আঁকবো তার গোঁফ কিংবা লেজ, অমনি বিচ্ছিরি শব্দ করে ডেকে ওঠে সেটা। আর মনোযোগ নড়ে যায় আমার।
কী করে হতচ্ছাড়া পাখাটাকে সাজা দেয়া যায় ভাবছিলাম, ঠিক তখন গুটুরমুটুর শব্দে কান খ...
১.
উত্তরা থেকে গাড়িটা যখন চলতে শুরু করে তখন দুপুর খানিকটা হেলে পড়েছে। ছোট্ট সাদা ঝকঝকে ডাইহাটসুর ভেতরে তখন সেদিনের পত্রিকায় চোখ বুলাচ্ছে ডক্টর সালেহীন। বাইরে তুমুল বৃষ্টি। গাড়ি যখন মূল রাস্তায় তখন সে হঠাৎ খেয়াল করলো, গাড়ির এসি...