Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

নাহিয়েন

ইশকুল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ৩০/০৩/২০১৬ - ১:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]হয়ত আমিও চাইলে আজ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারতাম!

কিংবা ইউনিভার্সিটির বড় প্রফেসর! বড় কোন উকিল! কিংবা দেশ-বিদেশে ঘোরা অনেক বড় বিজনেজম্যান!

কিন্তু সেগুলোর কিছুই আমি হতে পারি নি। হতে পারতাম কিভাবে? ইশকুলের অংকের মোতালেব স্যার বলতেন রাজনের পড়াশোনায় একদম মনোযোগ নেই। কয়েকটা মুহূর্তও স্থির থাকতে পারে না! জিজ্ঞেস করতেন, “উপপাদ্যগুলো পড়েছিস?”


প্রতিদিনের গল্প- তৃতীয় পর্ব

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/০২/২০১৫ - ৮:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্ব এখানে
দ্বিতীয় পর্ব এখানে

[justify]মেসের জীবন আমার কখনই ভালো লাগতো না।

কিন্তু আমাকে যে কতবার মেস বদলাতে হয়েছে তার ঠিক নেই। প্রায়ই দেখা যায় আমাকে কেউ বলছে, “আরে তানিম! কি খবর?”


প্রতিদিনের গল্প- দ্বিতীয় পর্ব

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৩/০২/২০১৫ - ৪:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

( প্রথম পর্ব এখানে )
[justify]
আমি প্রথম ঢাকায় আসি ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পরীক্ষার পর।

বিন্তী তখন খুবই ছোট, আব্বা কি একটা কাজে ঢাকা আসায় আমরা সবাই এসেছিলাম। আব্বা আমাদের নিয়ে চিড়িয়াখানায় এসেছিলেন। ওখানে একটা রাস্তার পাশের দোকানে খেলনা পিস্তল দেখেছিলাম, গুলি করলে সাদা ছোট ছোট পুঁথির মত বল বের হয়। ওটা দেখে আব্বাকে নিয়ে এসেছিলাম কেনার জন্য, দেখি ততক্ষণে বিক্রি হয়ে গেছে। ওটা নাকি একটাই ছিল! আমার এত খারাপ লেগেছিল! আমার প্রথম ঢাকা স্মৃতি ছিল খেলনা পিস্তল না পাওয়ার আক্ষেপটাই।


প্রতিদিনের গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/০২/২০১৫ - ৪:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আমি প্রায়ই ভাবি, একটা ভাল কিছু লিখবো। খুব বড়, উন্নত মানের একটা লেখা। আমার লেখা পড়ে কেউ হাসবে, কেউ কাঁদবে। আমার বই শেষ না করে ঘুমোতে যেতে পারবে না। কিন্তু শেষমেশ আর কিছুই লেখা হয়ে ওঠে না। খুব সাধারণ একটা ঘটনা নিয়ে লিখতে চাই, কয়েকটি মানুষকে নিয়ে লিখতে চাই, কিছু সুখ-দুঃখের গল্প বুনতে চাই- কিন্তু এত ঘটনার ভিড়ে কোন একটা ঘটনাই মুখ্য হয়ে ওঠে না আমার। একটা সময় টুকরো টুকরো লিখতে পারতাম বোধহয়, সেই লেখা দেখলে আজ নিজের উপর প্রচন্ড হাসি পায় । কিসব ছাতামাথা লিখে নিজেকে বড় লেখক ভাবতাম! কিন্তু এখন হয়ত সেই ধ্রুব সত্যটাকে আর এড়াতে পাচ্ছি না। হয়ত নিজের অজান্তেই আমি মেনে নিয়েছি, আমি এখন আসলেই পারি না কিছু লিখতে।


সুখে অসুখে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৯/০১/২০১৫ - ১২:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
আমার বাবার মানসিক সমস্যা দেখা দেয় মা চলে যাওয়ার পর।

সবার মত পালিয়ে যাওয়া কথাটা বলতে আমার ভীষণ সংকোচ লাগে। যাই করুক না তিনি, আমার মা তো! অথচ কেউ বুঝতেই পারে না আমার কষ্টটা। কেউ যখন ও প্রসঙ্গ তোলে আমি চুপ করে থাকি। এর থেকে বেশি আর কিই বা করতে পারি?

বাবা আমাদের গ্রামের শিক্ষিত মানুষদের একজন ছিলেন। একমাত্র বাবাই নিজের চেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন। বাকিরা তো কেউ মেট্রিকই পাস করে নি। বাবা নাকি ওদের না পড়ার জন্য বেশ মারধর করতেন, দাদাজান এ নিয়ে বাবাকে কথা শোনালে বাবা ওদের নাকি পড়ার কথা আর কিছুই বলেননি। এ জন্য ওদের অবশ্য পরের দিকে যে অনুশোচনা হয়েছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।


আমার আর্টিস্ট না হওয়া এবং মানিক ভাই

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৫/১২/২০১৪ - ৬:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি একদম আঁকতে পারি না এখন, অথচ হয়তো আমার খ্যাতি এখন দেশজুড়েও হতে পারত !

ছেলেবেলা থেকেই অবশ্য আর্টের প্রতি তীব্র অনুরাগ ছিল। সবাই বলত, বাহ সামিনের তো খুব ভাল আঁকে! অন্য বাচ্চারা যখন কম্পিউটারে ভিডিও গেমস, বাইরে খেলাধুলা করত, আমি একমনে এঁকে যেতাম। আর্টের যে কোন কম্পিটিশনে আমি যে ফার্স্ট হব এটা যেন নিয়মই হয়ে গিয়েছিল। আমি গ্রামের দৃশ্য আঁকতাম, কলসি নিয়ে গ্রামের বঁধু যাচ্ছে এটা ছিল আমার প্রিয় সাবজেক্ট। এছাড়া মাঝি নৌকা চালাচ্ছে, কৃষক ক্ষেতে কাজ করছে, বাচ্চারা গাছে উঠছে এগুলো আমি অনায়াসে এঁকে ফেলতাম। পেন্সিল কালার, প্যাস্টেল কালারে আমি ভাল হলেও জলরংটা একেবারেই পারতাম না। একদম ছ্যাঁড়াবেড়া করে ফেলে আর্টের মুডটা উঠে যেত, আর বসতেই ইচ্ছে করত না।


পাহাড়ি ফুল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০৮/১২/২০১৪ - ৭:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]পায়েলের নানুমণিকে সবাই যাদুমণি বলে ডাকে।

কেমন করে এ নাম হল কেউ জানে না। এটা কিন্তু নিছক আদর বা ওরকম কিছুর নাম নয়। উনাকে জিজ্ঞেস করলে বৃদ্ধা মিটমিট করে হাসেন। পায়েলের মা অবশ্য বলেন, আম্মা যখন সুস্থ ছিলেন তখন নাকি বেশ ভাল ম্যাজিক দেখাতে পারতেন। সে কারণেই সবাই তাকে এ নাম দিয়েছিল। তিনি ম্যাজিক শিখেছিলেন তার বড় ভাইয়ের কাছে। উনি ছিলেন শখের যাদুকর। পায়েলের নানুমণি হাত সাফাইয়ের ম্যাজিক প্রাকটিস করে করে এমন দক্ষ হয়ে গিয়েছিলেন যে তার বড় ভাইয়ের থেকেও হাত সাফাইটা তিনি ভাল করতে পারতেন। আজকাল অবশ্য দেখেন না একদমই। সামনেই একটা চোখের অপারেশন করতে হবে। ডাক্তার নাকি বলেছেন, ডায়াবেটিকসটা কন্ট্রোলে আসলেই নাকি অপারেশন হবে।


পরিচয়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৯/১১/২০১৪ - ৩:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আমি প্রথমে গেটের সামনে এসে থমকে গেলাম।


বনলতা সেন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২০/১১/২০১৩ - ৩:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হাসনাত সাহেব দরজা ঠেলে ঘরটায় প্রবেশ করলেন। ঘরটা প্রকান্ড। আশেপাশের যে দশটা বাসায় ঘরগুলো দেখতে পাওয়া যায় তার সাথে এর কোনভাবেই মিল করা চলে না। ঘরটা প্রশস্ত, বিশাল। অনেকটা ক্লাসরুমের মত। হাসনাত সাহেব এ ঘরটায় প্রাণ খুলে শ্বাস নিতে পারেন। আজকাল যে ফ্ল্যাট-রুমগুলো তৈরী হয় সেখানে বেশিক্ষণ থাকা যায় না, দম বন্ধ হয়ে আসে।


অপরিচিত

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০৯/২০১৩ - ২:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]সীমার সাথে আমার দেখা হয়েছিল প্রায় পনেরো বছর আগে, আমার মত করে। এর পরে যে দেখাটা হয়েছিল সেটাকে আমি কখনও মনে করি না, করতে চাইও না।

পনেরো বছর অনেক লম্বা সময়,অন্তত আমার কাছে। এই পনেরো বছরে অনেক কিছু বদলে গেছে। আমি হয়ত বদলে যাই নি। আমি হয়ত আমিই আছি, আর আমার এই আমি থাকাটাই আজকে আমার সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হয়ে দাঁড়িয়েছে।