Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

মোখলেস হোসেন

ইকবাল সাহেবের কালো বাক্স

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০৯/২০১৮ - ১:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক।।

ইকবাল সাহেবের তিন মেয়ে। তিনজনই অনিন্দ্য সুন্দরি। বড় মেয়েটির নাম মিথিলা।

আজ মিথিলার জন্মদিন। এই মুহূর্তে সে আলুথালু চুল নিয়ে বিছানার উপর বসে। পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কয়েকটি নতুন জামা, কিছু গোলাপ, আর কালো রঙের একটি বাক্স। ইকবাল সাহেব কয়েকবার এসে তাড়া দিয়ে গিয়েছেন। মিথিলার যেতে ইচ্ছে করছে না, কিন্তু উপায় নেই। এ বাড়ির এটাই নিয়ম।


গ্রীষ্মের কয়েকটি দিন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৭/২০১৮ - ৩:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের বাগানের পশ্চিম পাশটায় সূর্যের আলো খুব একটা আসেনা। রোদ না পেয়ে একেবারে যা তা অবস্থা ঘাসের। হামবার নার্সারির ম্যানেজার আলফান্সোর কথামতো গতো দু-মাসে চার বার সার দিয়েছি। সার মানে কম্পোস্ট, যেমন তেমন নয়, পাহাড়ি ভেড়ার নাদি মেশানো কালো কালো মাটির দলা। সেই দলা রোদে শুকিয়ে, হাত দিয়ে ভেঙে, গুঁড়ো গুঁড়ো করে মেশাতে হয় ঘাসের গোড়ায়। কাজের কাজ কিছুই হয়নি, বরং উৎকট গন্ধে এদিকে আসাই দায়। একগাল হেঁসে আলফান্সো বললো, সারে কাজ হবে না।


বিশ্বকাপ, আর্জেন্টিনা, এবং হারিয়ে যাওয়া সেইসব মানুষেরা (তিন খণ্ডে সমাপ্য)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/০৬/২০১৮ - ২:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভণিতা ১।।

অনুবাদে আমার দারুণ ভয়। একটা সময় তীব্র আনন্দ নিয়ে সেবার অনুবাদ পড়েছি, অপেক্ষায় থেকেছি কখন রিটার্ন অব শি কিংবা কাউন্ট অব মন্টিক্রিস্টো ছাপা হয়ে আমাদের পাড়ার সুমন ভাইয়ের দোকানে আসবে। পড়তে পড়তে ভাবতাম ইংরেজি পড়ার এবং সেইসাথে ইংরেজিতে লেখা বই কেনার মুরোদ হলে লেখাগুলো আবার পড়ে ফেলবো।


মোহন মিয়ার অসুখ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৩/০৬/২০১৮ - ৮:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক।।

রাত একটা বাজতেই মোহন মিয়ার চায়ের তেষ্টা পায়। তবে তেষ্টা পেলেই তো আর উঠে যাওয়া যায় না, সব কিছুরই একটা নিয়ম রয়েছে। বিরক্ত মুখে কী বোর্ডের দিকে হাত বাড়ালেন তিনি। টেবিলের উপর একগাদা বই, কিছু খবরের কাগজ, একটি কালির দোয়াত, আর দোয়াতের পাশেই রুপোর মতো ঝকঝকে একটা পার্কার কলম পড়ে। মোহন মিয়া পুরনো দিনের মানুষ, টাইপ করার আগে একবার কাগজে না লিখলে তাঁর চলে না।


প্রজেক্ট আইবেক (দুই)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৬/০৫/২০১৮ - ৫:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আগের কথা

(.........................আমাদের শেখানো হচ্ছে কী করে বেঁচে থাকতে হয়। আপাতত শিখছি সংগ্রহ এবং বিনিময়, তারপর শিখবো উৎপাদন।

দু ধরনের নারকেল গাছ রয়েছে সমুদ্র তীরে, সবুজ আর লাল। যেকোনো নারকেল গাছে চড়তে পারি আমি, কেবল একটাই শর্ত। নিজে যে রঙেরটা সংগ্রহ করবো সে রঙেরটা রাখতে পারবো না। অন্য কারও নারকেলের সাথে বদলে নিতে হবে। নারকেল বিনিময়ের জন্য আলটপকায় একটা নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে, পূবের পাহাড় থেকে অনেকটা পথ দৌড়ে যেতে হয় সেখানে। আমরা সারাদিন দৌড়াই। ঘুম থেকে উঠে দৌড়ে যাই নারকেল বনে, নারকেল হাতে দৌড়ে যাই বিনিময়ের জায়গায়, সেই নারকেল কুঁড়েতে রেখে আবার নারকেল বনে, আবার বিনিময়, আবার কুঁড়ে……এই চলে দুপুর অবধি। ব্যাপারটা সহজ নয় মোটেই। হয়তো আমি পেড়েছি সবুজ নারকেল, আমার তাই প্রয়োজন লাল। কিন্তু বিনিময় কেন্দ্রে পৌছুতে পৌছুতে সব লাল শেষ। হাতের সবুজ নারকেল তখন জমা হয়ে যায় আলটপকায়। আমার মাথায় একদিন একটা বুদ্ধি এলো।)

নারকেল হাতে এতোটা পথ দৌড়ে যাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়, বিশেষ করে বেলা যখন বাড়তে থাকে। পূবের পাহাড় থেকে আরও খানিকটা পূবে একটা ছোট্ট ঝর্ণামতো রয়েছে, তারই ধারে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ জিরিয়ে নেই আমরা। সেদিন দুহাতে দুটি দুটি চারটি লাল নারকেল নিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে ঝর্ণার ধারে পৌঁছুতেই দেখি ভীষণ শোরগোল। একজনকে জিগ্যেস করে জানতে পারলাম নারকেল নামিয়ে রেখে ঝর্ণায় নেমেছিলো শান্তনু। ফিরে এসে দেখে সব উধাও। বেশিক্ষণ খুঁজতে হয়নি, মাথার উপরে কিচকিচ শব্দ শুনে তাকাতেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে গেলো। কোত্থেকে একদল বানর এসে জুটেছে এখানে, নারকেলগুলো ওদেরই কব্জায়।


প্রজেক্ট আইবেক

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১২/০৫/২০১৮ - ৪:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক.
আজ মঙ্গলবার, তেইশে অগাস্ট দু’ হাজার ষোল। প্রজেক্ট আইবেকের একত্রিশতম দিনে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি প্রথম চিন্তক। আমার পাশে রাগী রাগী চেহারার যে মানুষটিকে আপনারা দেখছেন তাঁর নাম ইর্তেজা নাসির।


ফেসবুকীয় ভাবনা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৪/০৪/২০১৮ - ৬:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক।

যদি ব্যাংকারই বোঝে ডাক্তারি, আর
ডাক্তার সব খেলা।

যদি হো মো এরশাদ নিজেকেই ভাবে
নেলসন ম্যান্ডেলা।

যদি মনোবিদ বোঝে অর্থের নীতি
ইন্টারনেট ঘেঁটে।


বুমেরাং

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০৩/২০১৮ - ৭:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি একবার বুমেরাং বানিয়েছিলাম।

স্কুলে কী একটা প্রতিযোগিতায় জেতার পর দারুণ একটা বই দিয়েছিলো আমাকে। রাশান বই, সেই বইয়ে নানান রকম জিনিসের গল্প। একটা গল্প ছিলো বুমেরাং নিয়ে। লেখার শেষে ছোট্ট করে বলে দেওয়া কী ভাবে বুমেরাং বানাতে হয়- নিখুঁত বর্ণনা, একেবারে ধাপে ধাপে, মাপে মাপে।

প্রথমে বানালাম কার্ডবোর্ড দিয়ে। এটা মডেল, দেখতে চাই কাজ করে কিনা।


দড়ি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৯/০৩/২০১৮ - ৫:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জুলমত আলির মন ভালো নেই। মনের আর কী দোষ! আয়না বানুর পাল্লায় একবার যে পড়েছে তার কি কোন উপায় আছে!

পেয়ারা গাছের শক্তপোক্ত একটি ডালে পা ঝুলিয়ে বসে হাতের দড়িটার দিকে তাকালো জুলমত আলি। কী সুন্দর দেখতে! ভারি নরম, যেন কাঠবিড়ালির ফোলা ফোলা লেজ। চারিদিকে আজকাল নাইলনের ছড়াছড়ি, সে দড়িতে গিঁট দিতে গেলে হয় পিছলে যায়, নয়তো খুলে আসে হালকা টানেই। আর নাইলন জিনিসটা খুব বাড়াবাড়ি রকমের রুক্ষও, টান লাগলে চামড়ায় দাগ রেখে যায়।

একই সমস্যা নারকেলের ছোবড়া দিয়ে বানানো দড়িতে। অনেক খুঁজে পেতে শেষটায় রায়েরবাজারের গুড়পট্টির পেছনে যে ঘুপচি ঘুপচি দোকান গুলো রয়েছে তারই একটা থেকে মেলা টাকা খরচ করে কিনে এনেছে এই দড়িটা। পাটের দড়ি, পনেরো ষোল হাত হলেই চলতো, কিন্তু দোকানদার গোছা থেকে কেটে দিতে রাজি হয়নি। কত কষ্টের টাকা, আহারে!


কাৎলাসেন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ৩০/০১/২০১৮ - ৬:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক।।

বিয়ের পর এই প্রথম অরণিদের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। গ্রামের নাম কাৎলাসেন। সেখানে থাকেন অরণির বড়মামা, তিনি অকৃতদার। কাৎলাসেন ঢাকা থেকে খুব বেশি দূরে নয় অথচ যাই যাই করেও যাওয়া হয়নি এতদিন। এবারে ঈদ, বড়দিন, আর অনিন্দ্যর স্কুলের ছুটি, সব একসাথে পড়ে যাওয়ায় বেশ লম্বা একটা সময় মিলে গিয়েছে হাতে। বছর জোড়া ট্রাফিকজ্যাম-অফিস-বাজার আর ড্রইংরুমের বৃত্তে আটকে থেকে আমিও হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। অরণির মামার চিঠি পেয়ে ভাবলাম, যাই তিনটা দিন কাটিয়ে আসি।

অনিন্দ্য কখনো গ্রাম দেখেনি। আমি ঢাকায় বড় হওয়া মানুষ, গ্রামের সাথে যেটুকু যোগাযোগ ছিল বাবার মৃত্যুর পরে তার সবটুকুই ঘুচে গিয়েছে। আমার আগ্রহ অনিন্দ্যের চেয়ে কম নয় কোন অংশেই। অরণি অবশ্য চেয়েছিল দেশের বাইরে বেড়াতে যাই, নেপাল, শিলং কিংবা ভুটান।