পথ যে এমন জটিল হতে পারে সেটা তার জানা ছিলো না। বেশ চলছিলো তরতর করে, হঠাৎ করেই ডাল পালা সব উধাও, এমন মসৃণ পথে এগুনো মুশকিল। ঠিক মসৃণ বললে অবশ্য ভুল হবে, এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বেশ কিছু খোড়ল, কাঠ ঠোকরাদের কীর্তি। তিনটে খোড়লে খুর ঠেকিয়ে চতুর্থটির খোঁজে পা বাড়ায় ঘৃতকুমারী। কানের পাশে ভনভন করতে থাকা নীল ডুমো মাছিটাকে লেজের ঝাঁপটায় ছিন্নভিন্ন করে দেওয়ার ভাবনা অনেক কষ্টে দমন করেছে সে। কল
আমার তখন দশ বছর বয়স। গ্রীষ্মকাল- স্কুল বন্ধ, বন্ধুরা সব যে যার দেশের বাড়ি। দুপুর বেলায় খা খা করে আমাদের পাড়া। আমি তিন নম্বর সাইজের একটা ফুটবল নিয়ে গলির ভেতর একা একা ঘুরে বেড়াই, লাথি মেরে পাঠিয়ে দেই গলির মাথায়, তারপর দৌড়ে গিয়ে আবার উল্টো লাথি। একা একা আর কত খেলা যায়!
“বাবা ওটা কী ছিল?”
"কোনটা অমিয়?”
“ওই যে যেটা আমি দেখলাম”
“কী দেখেছ অমিয় সোনা”
“ওই যে যেটা চলে গেলো!”
অমিয়র তখন আড়াই বছর। সারাদিন তুরতুর করে কথা বলে। এটা সেটা, কত কথা, কত জিজ্ঞাসা! আর বলেও খুব পরিষ্কার, আধো আধো বুলি ওর মুখে শুনিনি কোন দিন। কথা শেখার সময় ছেলেটা আমার কাছে ছিলোনা। ওর যখন চোদ্দ মাস, আমার স্ত্রী একদিন বলল,
এক।।
ঃ বুঝলে আহমেদ, আমরা ছিলাম এগারো ভাই। আমি সবার ছোটো। বড় ভাইয়ের সাথে আমার আঠারো বছরের তফাৎ। কেনিয়া তে এটা অবশ্য তেমন কোন ব্যাপারই না। বিশেষ করে আমরা যে গ্রামে থাকতাম সেখানে।
ঃ তোমাদের গ্রামের নাম কি হামফ্রে?
ঃ নাম জেনে কী করবে? উচ্চারণ করতে পারবেনা। ধরে নাও সোহালি।
ঃ এ নামটাও মন্দ নয়। বাংলাদেশে কাছাকাছি নামের একটা গ্রাম রয়েছে।
ঃ তাই নাকি? কী নাম সে গ্রামের?
সানগ্লাসটার জন্যই যা একটু মন খারাপ হয়।
ভারি ফ্রেম আর বড় কাঁচ, এইধরনের সানগ্লাস ক'টাই বা চোখে পড়ে আজকাল? মানুষের রুচি বদলায়, সেই সাথে প্রযুক্তি। এখন সময় মিনিয়েচারের। টুথপিকের মতো ফিনফিনে ডাঁটি, তার সাথে কোনমতে আটকে থাকা দুফালি সরু কাঁচ, যাকে বলে রিমলেস। ওতে কি আর চোখ ঢাকে? সানগ্লাস তো নয়, যেন নাকের বিকিনি।
গাইবান্ধায় দমবন্ধ লাগছিলো, ঈদের ছুটিতে ঢাকায় ফিরে যেন প্রাণ ফিরে পেলাম। কোন তাড়া নেই, ব্যাস্ততা নেই, প্রগাঢ় আলসেমিতে দুপুর অবধি শুয়ে বসে সময় কাটছে আমার। একদিন খুব ইচ্ছে হল সিনেমা দেখার। গুলিস্তানের তখন রমরমা, শহরে এয়ারকন্ডিশন্ড হল তো ওই একটাই।
আমার সমস্যা তো নামে নয়, নাহয় থাকলোই বিদঘুটে একটা নাম। তবে কিনা আনোয়ার খুব চালাক ছেলে। অবন্তীর প্রতি আমার দুর্বলতা তার নজর এড়ায়নি। ছেলেটার একমাত্র উদ্দেশ্য আমাকে খেলো করা। কলেজের দেয়াল পত্রিকায় বেনামে একটা লেখা লিখেছে, লেখার নাম - ঘাঘটের কুলে ধইঞ্চার সারি। পড়ে আমার ব্রহ্মতালু যেন দাউদাউ করে জ্বলে উঠলো। গল্পের প্রধান চরিত্র নদীর পারে উবু হয়ে বসে কাশের ডগা চিবোয় আর ঢেউ গোনে। শেষের বাক্যটি ব
সানগ্লাসটার জন্যই যা একটু মন খারাপ হয়।
ভারি ফ্রেম আর বড় কাঁচ, এইধরনের সানগ্লাস ক'টাই বা চোখে পড়ে আজকাল? মানুষের রুচি বদলায়, সেই সাথে প্রযুক্তি। এখন সময় মিনিয়েচারের। টুথপিকের মতো ফিনফিনে ডাঁটি, তার সাথে কোনমতে আটকে থাকা দুফালি সরু কাঁচ - রিমলেস। ওতে কি আর চোখ ঢাকে? সানগ্লাস তো নয়, যেন নাকের বিকিনি।
১।
ঃ তর পুতেরে দিয়ালা। হুদাই জিদ করতাসস। একখান গ্যালে আরও তিনখান অইব, এইলায় আমার টাইন থাওক।
ঃ আফনে কেলা? আমারে রান্দা কারতাসুইন ক্যান?
ঃ আমি কেলা জাইন্যা তর কাম নাই। লইতাম আইসি, দিয়ালা। জামাইরে কইস হিয়ালে লইসে।
ঃ দিতাম না। আমারে ছাইরা দেন।
ঃ আইজ তাইলে উডিরে কইন্যা। কাইল আবার আইবাম, তর পুতেরে দিয়ালাইস। ও কইন্যা, পুতের কফালো এইতান কী লাগাইসোস?
আগের পর্ব গুলোর লিংকঃ
তৃতীয় পর্বঃ http://www.sachalayatan.com/guest_writer/55738
দ্বিতীয় পর্বঃ http://www.sachalayatan.com/guest_writer/55688
প্রথম পর্বঃ http://www.sachalayatan.com/guest_writer/55630
তানবুর