দেশবিদেশের উপকথা-পারস্য

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০৭/২০০৯ - ৫:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বহুকাল উপকথা বলা বন্ধ আছে দেখে মনে হলো, না: এবারে একটা বলেই ফেলা যাক। এপাশ ওপাশ খুঁজে দেখি আহুরমাজদা আর আহরিমান। প্রাচীন পারস্যের উপকথা। এ উপকথায় আছে আলো ও অন্ধকারের চিরন্তন দ্বন্দ্বের কথা।

আহুর মাজদা আর আহরিমান-আলোর ঈশ্বর ও আঁধারের প্রভু, এঁরা যমজ ভাই, একই সঙ্গে এদের জন্ম। প্রথমে আহুর মাজদা চেয়েছিলেন সুখেশান্তিতে মিলে মিশে থাকতে আহরিমানের সঙ্গে, কিন্তু কিছুতেই তা সম্ভব হলো না। ভালো আহুর মাজদা যাই ভালো গড়েন, আহরিমান ভেঙে দেয়। আহুরমাজদা আলো জ্বালতে চান, আহরিমান নিভিয়ে দেয়। আহুরমাজদা ফুলবাগান করেন, আহরিমান আগুনবৃষ্টি করে পুড়িয়ে দেয়।

শেষপর্যন্ত আহুরমাজদা ওকে কইলেন,"ভাই রে, আর তো পারা যায় না। তুমি বরং চলেই যাও। আমাদের দু'জনের মনমানসিকতা ভাবভাবনা কিছুতেই মিল নেই, কী হবে একসঙ্গে থেকে ঝামেলা বাড়িয়ে? তুমি বরং অন্যখানেই যাও।"

আহরিমান চলে গেলে মনের সুখে এবারে আহুরমাজদা সূর্য গড়েন, চন্দ্র গড়েন, আকাশে ছড়িয়েছিটিয়ে দেন ফুটকি ফুটকি তারা। এমন সুন্দর ব্যবস্থা করেন যেন সকালবেলা সূর্য ওঠে, সন্ধ্যায় ডুবে যায়, আসে কালো রাত। তারারা ফোটে। সবকিছু নিয়মে শৃঙ্খলায় চলে। তিনি গড়েন মেঘবৃষ্টি,বজ্র-বিদ্যুৎ। গড়েন নীল-সবুজ-বাদামী পাহাড়ের সারি, গড়েন গাঢ় সবুজ অরণ্য। নদী বইয়ে দেন উপত্যকায়, ফলের গাছে ফল ধরান, ফুলের গাছে ফুলে ভরিয়ে দেন। পশুপাখিও গড়েন সব।

সবই হলো কিন্তু এখনো কোনো মানুষ নেই। তিনি প্রথম মানুষ গড়লেন-নাম দিলে কায়মর্ত্য ( ইংরেজিতে Gayomart )। এই কায়মর্ত্যকে তো তৈরী করলেন আহুরমাজদা, কিন্তু তিন হাজার বছর ধরে সে নড়ে না চড়ে না, গভীর ধ্যানে সে মগ্ন। রোজই এসে দেখেন তিনি, ওর ধ্যান তো ভাঙে না! ঠোঁট কামড়ে আহুর মাজদা ভাবেন, "আরে কী মানুষ বানাইলাম রে বাবা! এ মানুষ জাগেই তো না!"

তিনহাজার বছর পরে ধ্যান ভেঙে জাগলো কায়মর্ত্য, আড়মোড়া ভেঙে দেখলো সামনে আহুরমাজদা, আনন্দে তিনি প্রায় নাচছেন। "জেগেছে রে জেগেছে, আমার মানুষটা জেগেছে! "

জ্ঞানী কায়মর্ত্য নিযুক্ত হলেন অগ্নিমন্দিরের পুরোহিত হিসাবে। বেদীতে স্থিত অনির্বাণ অগ্নির দেখভাল করা আর আহুরমাজদার পূজার্চনাই হলো তার প্রধান কাজ। এইসব কাজ ছাড়া তিনি ফুলবাগান আর ফলবাগানের পরিচর্যাও করতেন আর মাঝে মাঝে আহুরমাজদা বেড়াতে এলে তার সঙ্গে এদিক-ওদিক ঘুরতেন।

এইসব খবর আহরিমানের কানে উঠলে তিনি ক্ষেপে বোম্‌! "বলে কি? সব এত সুন্দর নিয়মে শৃঙ্খলায় গেঁথে ফেলেছে আহুরমাজদা? আবার একটা মানুষও বানিয়ে ফেলেছে? দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা! হুঁ হুঁ বাবা, আমার নামও আহরিমান! ”

তিনি আকাশ ভেঙে এসে পড়লেন দলবল নিয়ে-আগুনবৃষ্টি রক্তবৃষ্টি শুরু করলেন! আহুরমাজদার সুন্দর সুখময় কল্যাণময় জগতে নিয়ে এলেন রোগ-শোক-আধি-ব্যধি-জরা-মৃত্যু। সাজানো ফুলফলের বাগান শুকিয়ে গেল, নদীর জল ফুরিয়ে গেল।

অগ্নিবেদীর সামনে উপাসনারত কায়মর্ত্য তখনও জানতেন না এসব কীভাবে কী হচ্ছে! তিনি ভাবে বিভোর হয়ে এইধরনের একটা গান গাইছেন, "এ মোর হৃদয়ের বিজন আকাশে/ তোমার মহাসন আলোতে ঢাকা সে..."( আসল গান আমি পাবো কোথা? তাই রবিকবির গান দিয়া দিলাম হাসি ) , ছদ্মবেশে আহরিমান এসে তার খাবারে বিষ প্রয়োগ করলেন। সেই খাবার খেয়ে কায়মর্ত্যের মৃত্যু হলো।

আহুরমাজদা বললেন," নাহ এর একটা বিহিত না করলেই নয়। যখন তখন এসে সব উলৎখন্ড করবে আহরিমান? ওকে ধরে ফেলবো, আটকে ফেলবো।"
আহুরমাজদা সত্যিই আহরিমানকে আটকে ফেললেন কালের গন্ডীতে, সে আর বেরুতে পারলো না, রয়ে গেলো সৃষ্টির মধ্যেই, কালের যখন শেষ হবে, তখন তারও শেষ।

এইবার কায়মর্ত্যের কোষ থেকে আহুরমাজদা বানালেন প্রথম মানুষমানুষী-মহাশয়(Mashye) ও মহাশয়া(Mashyane)। ওদের বললেন," তোমরা বাপু আবার ধ্যানে ট্যানে বসে যেও না হাজার বছর, তোমরা সুখে সংসার করো।" তো, তাই হলো। এরা ধ্যানট্যান করে না, এরা ঘোর সংসারী মানুষ। কালে কালে এদের সন্তান সন্ততিরা পৃথিবী ভরে ফেলল মানুষজাতিতে। আমরা সকলেই সেই মহাশয় ও মহাশয়ার সন্তান।

আহুরমাজদা সকলকে স্বাধীনতা দিয়েছেন ভালো ও মন্দ বেছে নেবার। সেই হিসাবেই সকলে নিজ নিজ ইচ্ছা মতন আলো বা অন্ধকারের উপাসনা করে। কোনো জুলুম নেই।

তবে কিনা একেবারে শেষে যখন কালের শেষ হবে, আহরিমান নতজানু হয়ে আহুরমাজদার শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নেবে, তখন কায়মর্ত্য ফের বেঁচে উঠে আসবেন আমাদের সকলকে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে। তখন স্বর্গমর্ত্যের মাঝের নদী হয়ে উঠবে ফুটন্ত আগুন আর গলন্ত ধাতুর নদী, সবাইকে সেই নদী পার হতে হবে। পার হবার সময় ভালোদের কোনো অসুবিধাই হবে না, মনে হবে দিব্যি স্নিগ্ধ জলের নদী পার হয়ে এলাম। কিন্তু মন্দরা একটু জ্বলেপুড়ে যাবে, মানে ঐভাবে পাপক্ষয় হবে আরকি! তারপরে সবাই মন্ত্রপাঠরত কায়মর্ত্যকে অনুসরণ করে সেতু পার হয়ে সোজা স্বর্গে।

***


মন্তব্য

এনকিদু এর ছবি

চলুক


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

তুলিরেখা এর ছবি

হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

আবার পড়লাম, ভাল্লাগ্লো আবারো।

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

হিমু এর ছবি

দু'টি নিকটবর্তী সভ্যতার পুরাণ তুলনা করলে অনেক কিছুর আভাস মেলে। যেমন, আর্যদের আদিবাস ছিলো পারস্যের আশপাশেই। পরে তারা দু'দলে ভাগ হয়ে গেলো। একদল চলে এলো ভারতে, অন্যদল পারস্য আর তার উত্তরে। একদলের দেব পরিণত হলো অন্যদলের দানবে। পারস্যের আহুর হলো ভারতীয় আর্যের অসুর, ওদিকে পারস্যের পুরাণে বর্ণিত দানব ইন্দারকে ভারতের আর্য দেবরাজের পদে (ইন্দ্র প্রকৃতপক্ষে পদটির নাম, ব্যক্তির নাম নয়) বসিয়ে দিলো। কিন্তু দুই দলের মধ্যেই দেখা যায় নদীকে জীবনের অন্তের এক ভীষণ বাউন্ডারি হিসেবে নেয়ার প্রবণতা, যা পার হতে হবে রীতিমতো পরীক্ষা দিয়ে। বোঝা যায়, আর্যেরা নদীশাসন করতে শিখেছে বহু পরে। আরো বোঝা যায়, তারা ছিলো বড় কোন নদীর ওপারে, যা হয়তো ভারতমুখী আর্যের দলটি পেরিয়ে আসে চিরতরে। ওরকম বড় প্রাচীন নদী ঐ এলাকায় দু'টি, ওক্সাস আর ইয়াক্সার্টেস, আমুদরিয়া আর শির দরিয়া। হয়তো এই দুই নদীর কোনটির তীরেই কোন পারস্য আর্য যুবক গোত্রত্যাগী নদী পার হওয়া ভারতগামিনী প্রেমিকার উদ্দেশ্যে সজল নয়নে গান ধরেছিলো, ওপারে তুমি রাধে, এপারে আমি, মাঝে নদী বহে রে ... ।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

তুলিরেখা এর ছবি

একদম।
কিছু কিছু বিপুলা নদী পরে ভূপ্রাকৃতিক পরিবর্তনে শুকিয়েও গেছিলো।

আর্যেরা আসার আগেই উপমহাদেশে অনার্যদের বিরাট নগরসভ্যতা ছিলো, বিশাল বিশাল দুর্গ টুর্গ ছিল, নিজস্ব লিপি ছিল। হরপ্পা মহেঞ্জোদাড়ো লোথাল এইসবে যা খুঁজে খুঁজে কিছু পাওয়া গেছে। (আজকাল নাকি এরকম একটা ধারণাও উঠে আসছে বেদ উপনিষদ পুরানো দ্রাবিড় সভ্যতারই অবদান। যদিও বিতর্কিত। )

তো, অার্যেরা লিপি টিপি বানায় নি প্রথমে বহুদিন, মুখে মুখে গান কবিতা রচনা করতো । শুনে শুনে মুখস্ত করে রাখা। শ্রুতি আর স্মৃতি। এদিকে দ্রাবিড়েরা তখন সাইনবোর্ড অবধি লিখতে শুরু করেছে। অার্য তরুণ প্রেমে পড়লো দ্রাবিড় কন্যার, শ্বশুর কিছুতে রাজি হন না, তিনি লিপিকুশল দ্রাবিড় পাত্র চান জামাতা হিসাবে। তখন সে বেচারা যুবক গান গায় তার প্রেমিকার কাছে গিয়ে, "স্বরলিপি আমি আগেও লিখি এখনো লিখি না তাই/ মুখে মুখে ফেরা মানুষের গানে শুধু তোমাকেই চাই।" হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

এনকিদু এর ছবি

ভাল কথা মনে করিয়েছেন । সুমেরীয় সভ্যতার লিলিথ আর হিব্রু/সেমাইট মিথের লিলিথ নিয়ে একটা লেখা লিখতে হবে ।

সুমেরীয়দের উপাস্য লিলিথ, হিব্রুদের কাছে হয়ে গেল আদিপাপের জলজ্যান্ত প্রতীক । তবে আমার মনে হয় সুমেরীয়দের হাতে কয়েক শতাব্দী মার খাওয়ার ফল এটা ।

অসুর সম্পর্কে মনে পড়ল নর্ডিক মিথের Æsir.


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ভুতুম এর ছবি

নর্ডিক Æsir এর কথা মনে পড়ছিলো, তার আগে আপনিই বলে দিয়েছেন।

আর তুলিপু, অ্যাজ ইউজুয়াল, খুব ভালো লাগলো।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ ভুতুম।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

খেকশিয়াল এর ছবি

লিলিথ আমার খুব পছন্দের একটা চরিত্র, লেইখা ফালাও

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

তুলিরেখা এর ছবি

লিলিথের উপকথার অপেক্ষায় রইলাম।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

খেকশিয়াল এর ছবি

এই তুলনাগুলি দারুন লাগে, অনেক চিন্তা ভাবনার দিক খুলে দেয়, আর পুল সিরাত, বৈতরণী কনসেপ্টটা তো সবখানেই দেখি

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ধুসর গোধূলি এর ছবি
তুলিরেখা এর ছবি

ওখানের থেকে উদ্ভুত ধর্মগুলোর প্রাচীন রূপ ও অনেকটা একই।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দারুণ একটা সিরিজ...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ নজরুল।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

শামীম রুনা এর ছবি

স্বর্গমর্ত্যের মাঝের আগুন নদীর সেতুকে সম্ভবত পুল-সিরাত বলা হয়।
বরাবরের মতো ভালো হয়েছে।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

তুলিরেখা এর ছবি

থ্যাংকস, শামীম রুনা।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

খেকশিয়াল এর ছবি

আপনে সপ্তাহে দুইটা কইরা উপকথা লিখবেন, নাইলে আপনের আইপি সহ ব্যান দাবি করুম সবাই! দেঁতো হাসি

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

তুলিরেখা এর ছবি

দাবি করতে হবে না ভাই, এমনিতেই আমার হয়তো চলে যেতে হবে। মন খারাপ
ভালো থাকবেন সবাই।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

এমনিতেই আমার হয়তো চলে যেতে হবে।
মানে কী?
কোথায় যাবেন আপনি? কেনো যাবেন?

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।