দেশবিদেশের উপকথা-হিরণ্যকশিপু(মধ্যাংশ)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ১৬/১০/২০০৯ - ৩:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হিরণ্যকশিপুর ইচ্ছে ছিলো বাড়ী এসে ভালো করে স্নান টান করে কোমল শ্বেতবস্ত্র পরে পেট ভরে ভাত, ডাল, তরকারি, মাছভাজা, মাংসের ঝোল আর শেষপাতে দই মিষ্টি খেয়ে কাঁথামুড়ি দিয়ে একবেলা খুব ঘুম দিয়ে তারপরে কাজকর্ম শুরু করবে। কিন্তু হায়, রাজার জীবনে সে কি হওয়ার জো আছে?

সে বাড়ীতে পৌঁছানোর আগেই তো ত্রিলোকে ব্রহ্মার এই বরের কথা রটে গেছে বাতাসের বেগে। নানা জায়গায় তার নানারকম প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। অ্যাজ ইউজুয়াল আদিত্যরা ঘাবড়ে বিষ্ণুর সঙ্গে বৈঠক করছে, বিষ্ণু ওদের ভরসা দিয়ে বলছেন," আরে এত টেনশন নিও না, আমি দেখছি ভবিষ্যতে কি করা যায়।"

হিরণ্যকশিপু বাড়ী ফিরে কোনোরকমে স্নানখাওয়া শেষ করেই বৈঠক বসালো সহযোগীদের নিয়ে। তাদের কাছে বিস্তারিত সব শুনলো সে। তার অনুপস্থিতিতে আদিত্যগণ আক্রমণ করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছিলো দৈত্যদের। রাণীকে নিয়ে যাচ্ছিলো তবে পারে নি, ঋষি নারদ রাণীকে রক্ষা করেছেন। রাণী এখন ঋষির আশ্রমে আছেন। সেখানে তার সন্তান জন্মলাভ করেছে, নারদ ঋষি নাম রেখেছেন প্রহ্লাদ। তারা দেখতে গিয়েছিলো, রাজপুত্রের মুখ দেখে চোখ জুড়িয়ে গেছে তাদের।

এদিকে প্রজারা ও একে একে আসছিলো নিজেদের দুঃখ জানাতে, তাদের ঘরবাড়ী ও যে পুড়িয়ে দিয়েছিলো আক্রমণকারীরা! সব শুনে স্তম্ভিত হয়ে বসে রইলো হিরণ্যকশিপু। সে প্রজাদের কথা দিলো তাদের ক্ষতিপূরণ করবে আর সহযোগীদের বললো শীঘ্রই আক্রমণের প্রতিকার করার ব্যবস্থা হবে, এত সহজে ছেড়ে দেওয়া হবে না। আর সে পরদিনই আশ্রমে যেতে চায়, সেই ব্যবস্থা যেন দ্রুত হয়।

খবর চলে গেল নারদের আশ্রমে আর রাজার যাবার বন্দোবস্ত শুরু হয়ে গেল তৎপরতার সঙ্গে। রাত্রিটা কেটে গেল ছেঁড়া ছেঁড়া ঘুমে, সকালে উঠেই রেডি হয়ে আশ্রম যাত্রা।

নারদের আশ্রমে খুবই সমাদরের সাথে দৈত্যরাজকে অভ্যর্থনা করা হলো। ঋষিকে যথাবিহিত প্রণাম বন্দনা ইত্যাদি করলো হিরণ্যকশিপু। সেসব হয়ে গেলে নারদ তাকে নিয়ে চললেন ছেলের মুখ দেখাতে। দৈত্যরাণী বসে ছিলো তার জন্য নির্দিষ্ট ঘরে, কোলে ফুটফুটে ছেলে। রাজপুত্র আর রাণীকে ফিরে পেয়ে আপ্লুত দৈত্যরাজ ঋষিকে এমন করে প্রাণের কৃতজ্ঞ্তা জানাতে থাকে যে অমন যে অমন নারদ তিনিও কোমল হয়ে বলেন," আরে আমি নিমিত্তমাত্র। সবই প্রভু বিষ্ণুর কৃপা। তোমার এই পুত্র পরম পুণ্যবান, তোমার কূল পবিত্র হয়েছে এই পুত্রের জন্য। যাও, এদের সাদরে গৃহে নিয়ে যাও। পরম যত্নে পুত্রকে লালন করো।"

হিরণ্যকশিপু ভিতরে ভিতরে একেবারে কাঠিপোকার মতন শক্ত হয়ে গেছে বিষ্ণুর নাম শোনামাত্র, কিন্তু সব সময়ে সব জায়গায় তো আর সবকিছু বলা যায় না, তাই খুব চেষ্টা করে হেসে বলে, " আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে আর কি বোঝাতে পারবো বলুন! আপনি যে আমায় কতখানি ফিরিয়ে দিলেন তা আপনি জানেন না, এদের না ফিরে পেলে আমার কাছে দেবাদিদেবের বরের কোনো অর্থই আর থাকতো না, সংসার ছেড়ে অরণ্যে চলে যেতে হতো আবার। আশীর্বাদ করুন ঋষি যেন আমার যথাসাধ্য যত্নে পুত্রকে, প্রিয়জনদের ও প্রজাদের রক্ষা করতে পারি।"

নারদ হেসে বললেন, "আশীর্বাদ করি রাজা দিনে দিনে তোমার আরো শ্রীবৃদ্ধি হোক, অন্ধকার দূর হয়ে যাক তোমার হৃদয় থেকে, শত্রুকেও যেন ক্ষমা করতে পারো। মনে রেখো সকলেই শ্রীহরির অংশমাত্র, সকলেই সমান। তাহলে কেউ বন্ধু কেউ শত্রু কিভাবে হবে? "

মনে মনে হিরণ্যকশিপু বলে, "তাহলে ওরা কেন আমাদের ঘরবাড়ী আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে যায় ঋষি? কেন আমার রাণীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিলো তার গর্ভের অজাত শিশুকে হত্যা করবে বলে? কেন আমার নিরপরাধ ভাইকে তারা মেরে ফেলে ছদ্মবেশে এসে?" মুখে কিছু বলতে পারে না, কোনো কাজ তো হবে না। তাই শুধু মাথা হেলিয়ে সম্মতি জানিয়ে বলে, " আপনার সব কথা মনে রাখবো ঋষি, এখন অনুমতি দিন গৃহে ফিরি।"

ছেলে আর বৌকে নিয়ে রাজা বাড়ী ফিরলে সবাই আনন্দ-উৎসবের আয়োজন করে। কিন্তু রাজার কি আর নিশ্চিন্তে উৎসবে যোগ দেবার উপায় আছে? তার এখন ছুটতে হবে প্রজাদের ঘরবাড়ী সারাবার ব্যবস্থা করতে আর ক্ষতিপূরণের বন্দোবস্ত করতে। সৈন্যসামন্ত ও ধীরে ধীরে গুছিয়ে তুলতে হবে, শক্তি বাড়াতে হবে, আদিত্যদের উপযুক্ত শিক্ষা না দিলে মান থাকবে দৈত্যদের? নারদ ঋষি যাই বলুন, শত্রু শত্রুই। দৈত্যগুরু শুক্রাচার্যেরও এই ব্যাপারে পূর্ণ সম্মতি আছে, ওরা মেরে ধরে কেটে পুড়িয়ে দিয়ে যাবে আর তার পরে ও চুপ করে থাকতে হবে? ইয়ার্কি নাকি?

দিন যায়, সারাদিন হিরণ্যকশিপু কাজে ব্যস্ত থাকে আর রাতে এসে রাণীর সঙ্গে দুটো মিঠা মিঠা কথা বলে ঝটাপট ঘুমিয়ে পড়ে। একদিন রাণী গভীর রাতে ধাক্কা দিয়ে তাকে তুলে পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়ে ভীষণ কাঁদতে কাঁদতে বলে, "তুমি আমাকে কথা দাও আমাদের ছেলেকে তুমি হত্যা করবে না।" একে গভীর ঘুমের মধ্য থেকে হঠাৎ ধাক্কা খেয়ে জেগে গেছে তার উপরে এমন অদ্ভুত কথা! হিরণ্যকশিপু একেবারে হতভম্ব! হঠাৎ রাণীর মাথা খারাপ হয়ে গেল নাকি? ক্রিটিকাল সময়ে ওকে ওভাবে নিয়ে যাচ্ছিলো, সেই শকের প্রতিক্রিয়ায় মাথা গন্ডগোল হয়ে যাওয়া আশ্চর্য নয়, হতেই পারে। সেও কিছুটা দায়ী, সে তখন কাছে থাকলে ওরকম হতে পারতো না।

একটু ধাতস্থ হয়ে সে রাণীকে তুলে ধরে চোখ মুছিয়ে দিয়ে বলে, "তোমার কোনো ভয় নেই, কোনো ভয় নেই। এই দ্যাখো আরে তবু কাঁদে! নিজের ছেলেকে কেউ কোনোদিন ক্ষতি করে? আমি তো আমার যথাসাধ্য যত্নে তাকে রক্ষা করবো। তোমার এরকম কেন মনে হচ্ছে? "

রাণী ফোঁপাতে ফোঁপাতে বলে, "আমি ...আমি স্বপ্নে দেখলাম যে তুমি অস্ত্র হাতে নিয়ে আমাদের ছেলেকে কাটতে যাচ্ছ।"

" ও স্বপ্ন! স্বপ্ন দেখে এত ভয় পেয়েছ? না, না, এই দ্যাখো, কোনো ভয় নেই। আমাকে তুমি বিশ্বাস করো না? ঘুমাও, শান্ত হয়ে ঘুমাও। "

রাণী শুনে খানিকটা নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু রাজার আর ঘুম আসে না। সে চেয়ে চেয়ে দ্যাখে মেঝেতে জানালা দিয়ে আসা চাঁদের আলোর জালি জালি ফালি আর ঘরের আঁধারির খেলা। ঘুমন্ত রাণী আর শিশুপুত্রের মুখের উপরে আলোআঁধারির খেলা। দ্যাখে আর ভাবে কী ভয়ানক ভাবনা এসেছিলো রাণীর মনে, রাণী ভেবেছিলো সে এই প্রাণপ্রিয় সন্তানকে হত্যা করবে! ও:, তার আগেই তো নিজের মৃত্যু ভালো!

ব্রহ্মার বরের কথা মনে পড়ে, দিনে বা রাতে, ঘরে বা বাইরে, মানুষ বা জন্তুর হাতে, মাটিতে বা জলে বা বাতাসে তার মৃত্যু হবে না। তাহলে? নিশ্চয় কোনো সূক্ষ্ম দরজা আছে কোথাও, দরজার ওপাশে খুব ঝাপসা স্মৃতির মতন মনে পড়ে শুক্ল রাতের বৈকুন্ঠভূমি। আহ, আর কত দেরি? ছেলের নিষ্পাপ ঘুমন্ত মুখের দিকে চেয়ে তার মনকেমন করে, নুয়ে পড়ে ওর কপালে চুমো দিয়ে তারপরে সেও ঘুমিয়ে পড়ে।

(চলছে)


মন্তব্য

মূলত পাঠক এর ছবি

চলুক চলুক, খাসা হচ্ছে।

তুলিরেখা এর ছবি

চলছে তো। হাসি
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

হিমু এর ছবি
তুলিরেখা এর ছবি

আহা, ঝুলিয়ে কেন? চা খেতে গেলাম তো! চোখ টিপি
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

স্নিগ্ধা এর ছবি

এদ্দিনে 'দৈত্যকূলে প্রহ্লাদ' কেন বলে বুঝতে পার্ল্লাম!

তারপর?

তুলিরেখা এর ছবি

দৈত্যকূলে পেল্লাদের এখনই দেখেছেন কি? এ তো সবে শুরু! হাসি
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এই গল্পগুলা টুকরা না দিয়ে পুরাটা একসাথে দিলে হয় না?

তুলিরেখা এর ছবি

কাক্কেশ্বরের কায়দায় চুরিচামারি কইরা সময়ের টুকরা বার করি, সেই টুকরায় টুকরায় বকবকাইয়া আপলোডাইয়া দেই কোনো রকমে আরকি। সময়ের জমিদারি আর হইলো না কপালে, চৌকি দিতে দিতে চৌকিদার হইয়াই জীবন কাটিতেছে। মন খারাপ
তবে পুরোটা হইয়া গেলে জুইড়া দেওয়া যাবে।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

বর্ষা এর ছবি

@ স্নিগ্ধা, আমিও আজ বুঝলাম।
@ তুলিরেখা, চালিয়ে যান। আমি হিন্দি সিরিয়ালে দেখেছি, এখন পড়তে বেশ লাগছে।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

তুলিরেখা এর ছবি

চালিয়ে তো যাচ্ছি, এখন বিরতিতে একটু চা আর খাস্তা নিমকি খাচ্ছি। হাসি
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাফি এর ছবি

চালু

তুলিরেখা এর ছবি

চা।
হাসি
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

বইখাতা এর ছবি

আপনার এই লেখাগুলো খুব উপভোগ করি। কিন্তু একবারে সবটা দিলে হতো না !

তুলিরেখা এর ছবি

হায়, একবারে সবটা?
হয় না তো, একটু একটু করে ছাড়া দিতে পারি না।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অম্লান অভি এর ছবি

রেশ নয় শুধু স্মৃতি জাগানিয়া.....চলুক।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

তুলিরেখা এর ছবি

স্মৃতি-জাগানিয়া! বলেন কি? হাসি
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

স্নিগ্ধা এর ছবি

অম্লান অভির মন্তব্যটা পড়ে আমারও খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো জিজ্ঞেস করি, স্মৃতি জাগানিয়া হলো কী করে! ঘটনার সময় উনি কি ওখানটায় উপস্থিত ছিলেন! দেঁতো হাসি

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

ভাল লাগছে।

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ অনিন্দিতা।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

s-s এর ছবি

মুই পড়ুম না, পোলাওকোর্মা বলি পান্তা দিলি চলপেনা'নে! পুরোডা দ্যান, বেশি দ্যান, দিতি হবে। পড়ুম না নইলে পড়ুম না। ( কমেন্টামু কিন্তুক! হো হো হো)

তুলিরেখা এর ছবি

পুরাটা দিয়া দিছি, শেষটাতে আগের অংশগুলি লিঙ্কাইয়া ও দিছি পরপর, এইবারে একবারে পড়েন। হাসি
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।