জন্মদিনের খাবারদাবার
ক্যাটেগরি:
যাদের যাদের জন্মদিন হয়ে গেল আর যাদের যাদের জন্মদিন আসছে, যাদের অনেকদিন আগেই জন্মদিন হয়ে গেছে আর যাদের আরো অনেকদিন পরে আসবে দিনটা, সকলের জন্য শুভেচ্ছা জানাতে মন চায়।
শুকনা মুখে শুভেচ্ছা জানিয়ে আর কী হবে, সঙ্গে কিছু খাবার দাবার থাকলে ভালো হয়। খুঁজে খুঁজে পেলাম লুচি আলুরদম, কাজুবরফি, রসমালাই, পায়েস। সকলের জন্য তুলে দিলাম সেইসব সুখাদ্য, কে না জানে সুখাদ্যেই সুখ, সকলে খেয়ে দেয়ে বলবেন কেমন লাগলো।
ভাববেন না শুধু আপনাদের দিলাম, নিজের প্লেট ভরে নিয়ে আগে আগে দৌড় দিয়েছি। 
লুচি-আলুরদম
কাজুবরফি
রসমালাই
পায়েস
জন্মদিন ও তার আনন্দ উৎসব বিষয়ে আমার মনোভাব চিরকালই পরিবর্তনশীল। ছোটোবেলা খুব ইচ্ছে হতো লালনীল কাগজের শিকলি আর বেলুন দিয়ে ঘর সাজিয়ে বেশ জন্মদিন হবে, নিমন্ত্রিতেরা এসে উপহার দেবে, বেশ মজার খাওয়াদাওয়া হবে, চমৎকার হবে। হয়নি অবশ্য সেসব কখনো। সবসময়ে জন্মদিনে জ্বর নাকি থাকতো আমার, কেজানে থাকতো হয়তো।
তবে আশ মিটিয়ে মজা করে নিয়েছি বন্ধুর জন্মদিনে, খুব কাছের বন্ধু ছিলো সে, প্রতিবার নভেম্বরে সে নেমন্তন্ন করতো, ছোট্টো ছোট্টো উপহার-কখনো গল্পের বই, কখনো চকোলেটের প্যাকেট, এসব নিয়ে আমরা বন্ধুরা সব যেতাম। ওর মা এমন চমৎকার সব খাবার বানাতেন! উলস! মোরগ পোলাও সেখানেই আমরা প্রথম আস্বাদন করি। আর বেসনে ডুবিয়ে ছাঁকা তেলে ভাজা সেই ফুলকপির বড়ার স্বাদ এখনো পরিষ্কার মনে আছে।
বড় বয়সে জন্মদিন বিষয়ে আগ্রহ কমে গেছে, রঙীন বেলুন টেলুন সব কেমন ছেলেমানুষী মনে হয়। নিজের জন্মদিন এসে গেলে বয়স বেড়ে যাবার কথাটাই খালি খালি মনে পড়তে থাকে। বুড়া হয়ে যাবার লক্ষণ বোধ হয়।
জীবন নদীতে বড় বড় ঢেউ উঠে কে কোথায় ভেসে গেছি। সেই বন্ধু আজ থাকে দূর দেশে, ভরা সংসারে ব্যস্ত। নিজের ছেলেমেয়ের জন্মদিন পালন করে, নিজেরটা হয়তো ভুলেই গেছে। বন্ধুর মা, আরো অনেক দূরে, যেখানের কোনো খবর আর এখানে আসে না। অবশ্য একদিন সবাইকেই সেখানে যেতে হবে। সেদিনের সেই অন্য বন্ধুরা ও সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে কে কোথায় চলে গেছে। কারুর কারুর সাথে মাঝে মাঝে যোগাযোগ হয়ে গেলে দু'পক্ষই অবাক-খুশী হই।
তবে চির-অপরিবর্তনীয় হয়ে রয়ে গেছে খাবারদাবারের ব্যাপারটা। সকলের জন্মদিনে তাই দাওয়াত পেতে ইচ্ছে করে, দাওয়াত দিতে ও ইচ্ছে করে নিজেরটায়। এ পরবাসে তাও তো আর সম্ভব না। আধেক পৃথিবী দূরে দূরে সব বন্ধুজন। তাই ভার্চুয়াল খাবারদাবারের ছবি দিয়ে কিছুটা দর্শনে অর্ধ প্রাপ্তি করে দিলাম।
খাবারের সৌজন্য: আন্তর্জাল
- তুলিরেখা এর ব্লগ
- ৪৫৯বার পঠিত
মন্তব্য
শুভ জন্মদিন তুলিপা!
রসমালাইটা পাড়ার দোকান থেকে খেয়ে নিলাম!
...................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
আরে কী সর্বনাশ! আমার জন্মদিন এখন না, চৈত্র মাসে।
প্রথমেই বলে নিয়েছিলাম যাদের যাদের জন্মদিন গেল আর আসছে তাদের সবার জন্য। মানে আপনাদের সবার নিজ নিজ জন্মদিন হিসাবে নেবেন খাবারগুলো।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
“…তাই ভার্চুয়াল খাবারদাবারের ছবি দিয়ে কিছুটা দর্শনে অর্ধ প্রাপ্তি করে দিলাম। ”
আগে জানতাম ঘ্রানে অর্ধভোজন আর এখন দেখি দর্শনে অর্ধ প্রাপ্তি।থিওরিটা ভালো এখন থেকে যা দেখবো তার অর্ধেকটা আমার…
থ্যান্কু আপু। অনেককিছু পাইনি এতোদিন। এখন থেকে……
ভেজা নক্ষত্র
…………………………………………………..
বৃষ্টিটা তুলিতে নিয়ে নদীর জলে আকাঁ ঝুঁকা
হ্যাঁ, হ্যাঁ যা দেখবেন সবের আধেক আপনার।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
- ঠাডা পড়বো ঠাডা, বুঝলেন? ইয়া বড়, প্রমাণ সাইজের একটা ঠাডা পড়বো আপনের রান্না ঘরে, চুলার উপর!
আপনার জন্মদিন? তাইলে ঠাডা পড়া আপাতত অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত। কিন্ত ফের এইসব উল্টাপাল্টা ফটুক চোখের সামনে টাঙ্গাইলে কৈলাম আমি কিছু জানি না!
আর বহুদূরের দেশ, যেখানে সবারই যেতে হবে দুইদিন আগে আর পরে, ঐটা নিয়া ভাইবেন না। জর্ম্মন দেশের এক দার্শনিক নি(য়ে)ৎশে বয়ান করিয়াছেন মৃত্যু মানে আমাদের জীবনের শেষ না বরং একটা লুপের একটা আবর্তন শেষ। এইবার আবার লুপের প্রথম লাইনে ফেরত যান, আর টাব ঘুরুন্টি খাইতে থাকেন এর মধ্যে। এই লুপের কোনো রিটার্ন ভ্যালু নাই, খালি ঘুরুন্তিসই হইলো এর কাম।
এই যেমন আমি যে এখন এই কমেন্টটা লেখতেছি, নিৎশে'র মতে আমি এই কমেন্টটা আরও কয়েক হাজারবার (মিলিয়ন-ট্রিলিয়ন বারও হৈতারে) লেখছি, এবং আরও কয়েক হাজারবার (এইখানেও মিলিয়ন-ট্রিলিয়ন বার হৈতারে) লেখতে থাকবো।
এই হইলো গঠনা আরকি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আরে না না আমার জন্মদিন এখন না, চৈত্র মাসে।
আপনাদের এই নীয়েৎশে মশাইকে দেখলেই উল্টাদিকে দৌড় দিয়া পালাই।
ভালা থাইকেন , শালিকা বালিকা সবাইরে লইয়া রাইনের তীরে হাওয়া খান, আর ফুচকার ব্যবসা যদি জর্মন দেশে চালু কইরা দিতে পারেন, তাইলে দেখবেন আর চিন্তা নাই, স্বয়ং নীয়েৎশে দশজন জর্মন শালিকা লইয়া আইয়া ফুচকা খাইয়া ঝালে আহ উহ করবেন আর আনন্দে লাফাইবেন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
শুভ জন্মদিন তুলিরেখা!!
আমার দেখা সচলায়তনের সবচাইতে ব্যস্ত লেখকদের মাঝে আপনি একজন। কেবল বহুলপ্রজ নন, একই সাথে সব ক'টি লেখাই মনোমুগ্ধকর। সব্যসাচীর মত লিখে চলেছেন গল্প, কবিতা। সাথে সহজ সরল ভাষায় বিজ্ঞানের কঠিন কঠিন বিষয়ে করছেন আলোকপাত।
একই সাথে এটাও জানি যে আপনার গবেষণার ক্ষেত্রেও আপনি তুমুল কাজ করে চলেছেন।
কী ভাবে যে আপনি সব কুল রক্ষা করে চলেন সেইটা আমার কাছে একটা অমীমাংসিত রহস্য হয়েই রইবে।তবে কামনা করি আপনার এই সৃজনস্পৃহা অব্যাহত থাকুক।
জন্মদিনে আবারো অনেক শুভেচ্ছা রইল।
কী অবস্থা! বিনা জন্মদিনেই শুভেচ্ছা পাইতাছি। তবে শুভেচ্ছা কিনা কখনো বাসি হয় না, তুইলা রাখলাম সোনার কটোরায়।
আপনে এমুন সব প্রশংসার কথা কইলেন যার যোগ্য তো আমি না, কান বেগুনি হইয়া গেল গা এক্কেরে।
ভালো থাকবেন, অনিকেত। আপনার সব শুভ হোক।
----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তুলি আপা... প্রথমে জন্মদিনের শুভেচ্ছা...
তারপরে কই, আপনে আমার দেখা একটা বিস্ময়... আপনে একে বিজ্ঞানী... কঠিন কঠিন বিষয় নিয়া কাজ করেন, যার এক বর্ণও আমি বুঝি না... তার উপরে আপনি একের পর এক কী অদ্ভুত সুন্দর লেখা লিখে চলেন... আপনার সব লেখায় কমেন্ট করার ভাষা খুজেঁ পাই না... তাই পড়ে চুপ করে চলে যাই...
আপনেরে শুভেচ্ছার পাশাপাশি শ্রদ্ধাও জানাইলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মনে থাকে যেন, চৈত্রমাসে আবার জানাইবেন, আমার এখন জন্মদিন না।
এইসব শ্রদ্ধা ট্রদ্ধা কইয়া বেগুনি কান এক্কেরে নীল কইরা দিবেন না।
ভালো থাইকেন নজরুল, আপনার লেখাগুলিন বড় ভালা পাই।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
শুভ জন্মদিন তুলিদি
কিন্তু খাওন দাওনের ছবি দেখাইলেন, এহন খাওয়াইতে হইবো!!
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আসল জন্মদিনে খাওয়ামু।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
শুভ জন্মদিন তুলিরেখা!
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
ধন্যবাদ আহির ভৈরব, তবে অনেক আগে আগে হয়ে গেল।
চৈত্রমাস আসতে তো এখনো অনেক দেরি।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
জন্মদিনে খাওন্দাওনের ছবিতে মাইনাস
আরে এগুলি তো আপনাদের জন্য।
----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
শুভ জন্মদিন! ভালো থাকুন, পরে বিস্তারে কথা হবে।
আমার জন্মদিন আসিতে এখনো বহু দেরি, তবে শুভেচ্ছা জমাইয়া রাখলাম।
বিস্তারে কথার জন্য অপেক্ষায় আছি, মেইলান। ----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
দেখেন, কী লেখা আছে (যার জন্য সবাই কনফুজিয়াগয়ে):
"দাওয়াত দিতেও ইচ্ছে করে নিজেরটায়। এ পরবাসে তাও তো আর সম্ভব না। আধেক পৃথিবী দূরে দূরে সব বন্ধুজন। তাই ভার্চুয়াল খাবারদাবারের ছবি দিয়ে কিছুটা দর্শনে অর্ধ প্রাপ্তি করে দিলাম।"
যাক এইবছর দুইবার জন্মদিন। আর হ্যাঁ পাঠিয়ে দেন সেই লেখা যথাস্থানে। আপনার লেখা খারাপ হয় কবে?
এ হে! কিন্তু তার আগের লাইনে যে সবার জন্মদিনে দাওয়াত পাবার একটা খায়েশ ছিলো, সেইটা?
আপনার একটু ডিটেল রিভিউ পাবার ইচ্ছে ছিলো, মানে স্ট্রং আর উইক পয়েন্ট গুলো যদি একটু বিস্তারিত বলতেন, মেইলে। তারপরে সেই অনুযায়ী মেজেঘষে পাঠাতাম।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
শুভ জন্মদিন।
ধন্যবাদ বইখাতা।
আমার জন্মদিনের এখনো বহু দেরি, ডবল শুভেচ্ছা পেলাম ভেবে ভালোই লাগছে।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন