ইস্কুলবেলার গল্প(৪)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: মঙ্গল, ২১/১২/২০১০ - ৬:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইস্কুলে অনেক রুমা দিদিমণি৷ রুমা মুখার্জী, রুমা বসু, রুমা সেন,রুমা দত্ত৷ তাই এঁদের ক্ষেত্রে শুধু প্রথম নামের সঙ্গে দি বা দিদিমণি জুড়ে বোঝা যেতো না কে কোন্ জন৷ এদের নাম ও পদবী দুই লাগতো৷ কেন যেন রুমা মুখার্জীকে ওনার বিয়ের আগের পদবী ধরেই ডাকা হতো রুমা কাঞ্জিলালদি৷ হয়তো সেই পদবীটা আনকমন বলেই এত জনপ্রিয় হয়েছিলো৷

এই রুমা কাঞ্জিলালদি বাংলা পড়াতেন, অগাধ জ্ঞান বাংলায়, প্রচুর কোটেশন মুখের ডগায়, প্রচুর পড়াশুনোও ৷ অসাধারণ সুন্দরী ছিলেন, গ্রীক দেবীদের মতন মুখ, ফর্সা দীঘল স্বাস্থ্যবতী চেহারা৷ একটাই মুশকিল খুবই তীব্র অহংকার আর পুরানো ভিক্টোরীয় এটিকেটের ধারনা ছিলো এনার৷ মেয়েদের নাকি চলতে হবে গজেন্দ্রগমনে, তাদের কথা বলতে হবে গলা না তুলে, থাকতে হবে খুব ফিটফাট। এইরকম খোলাখুলি উপদেশ তিনি দিতেন৷

ক্লাসে পড়ানো হয়ে গেলে দেশবিভাগে ওনাদের ওপারের জমিদারি ছেড়ে আসার গল্প বলতেন, দেশবন্ধু নেতাজী সুভাষচন্দ্র রবীন্দ্রনাথ সকলের সঙ্গেই নাকি ওনাদের পরিবারের যোগাযোগ ছিলো, এইসব গল্প গুছিয়ে বলতেন৷ অদ্ভুত একটা রটনা ছিলো এনার বিষয়ে ইনি নাকি কেবল সুন্দরী ছাত্রীদের ভালো নম্বর দেন, অন্যেরা ভালো করলেও নাকি দেন না৷ কিন্তু রটনাটা ভুল, এটার প্রমাণ পেয়েছিলাম, তা সত্বেও কিন্তু লোকের মনে ধারনাটা রয়েই গেছিলো৷

মেয়েরা এনাকে নিয়ে আড়ালে বহু কথা বলতো, এক স্থূলবপু শ্যামাঙ্গ অধ্যাপক নাকি এনাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন, ইনি শিউরে উঠে অসুস্থ হয়ে পড়েন শুনেই৷ পরে খুবই সুদর্শন এক ব্যক্তির সঙ্গে এনার বিয়ে হয়, কিন্তু সেই আগের অধ্যাপক আর কাউকেই বিয়ে করেন নি, চিরকুমার থেকে যান৷ কোথা থেকে যে এসব কথা জানা যেতো সে কেই বা জানে, কিন্তু দিব্যি আসতো এসব গল্প!

এনার পড়ানো বিষয়ে কোনো অভিযোগ ছিলো না, খুব যত্ন করে পড়াতেন, পরে এগারো বারোতেও প্রধানত এঁরই জন্য বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস আমাদের পড়া হয়েছিলো৷নাহলে কাকে বলে দিব্যোন্মাদ, কাকে বলে ভাবোন্মাদ, কাকেই বা বলে বীভৎস উন্মাদ(আমাদের শ্রীতমা আবার বদ্ধ উন্মাদ আর মুক্ত উন্মাদ এই দু'খানা ক্যাটেগোরিও জুড়ে দিয়েছিলো হাসি )- এইসব আমাদের জানা হতো না, শ্রীকৃষ্ণবিজয় কীভাবে কেন লেখা হলো তাও না, আরাকান রাজসভার বাঙালি কবিদের কথাও না৷ লাউসেন অজানাই থেকে যেতো, লোরচন্দ্রাণীও৷ উচ্চমাধ্যমিকে বাংলাকে খুব হেলাফেলা দেখার একটা কালচার ছিলো, কারণ এর তো বিষয়কৌলীণ্য নেই! তবুও এনার ক্লাসে আমাদের সমঝে থাকতে হতো, নাহলে কী বলতে চিবিয়ে চিবিয়ে কী বলে দেবেন! বকার সময় ইনি কেন জানি প্রায়শই সকলের বাবামায়ের দেওয়া শিক্ষার উপরে অবধারিত কটাক্ষ করতেন৷ এরই শোধ হয়তো মেয়েরা তুলতো আড়ালে এনার ব্যক্তিগত জীবনের কাহিনি চর্চা করে৷

কিন্তু মনে রাখার মতন ঘটনা ঘটলো একসময়, যখন জগতের নিয়মে আমাদের খুব দু:খ ও হতাশার দিন এলো, তখন ইনিই বলে দিলেন সেই কবির কথা, " দু:খের বরষায় চক্ষের জল যেই নামলো/বক্ষের দরজায় বন্ধুর রথ সেই থামলো৷" দু:সময়ে ভেঙে পড়লেই এই লাইন দুটি স্মরণ করতে বললেন বীজমন্ত্রের মত৷ এঁর স্বামীর তারপরেই বদলি হয়ে যায় অন্য রাজ্যে, ইনিও চাকরি ছেড়ে চলে যান স্বামীর সঙ্গে৷ শুধু বর্ষাসন্ধ্যার ধূপের ধোঁয়ার মতন ঐ লাইনটা পাক খায় ঘরের বাতাসে৷

সেলাইয়ের বীথিদি আর গৌরমোহিনীদি-এদের ক্লাস আবার একেবারেই অন্যরকম৷ দুজনেই ঘোর শ্যামাঙ্গিনী আর ছোটোখাটো চেহারা৷ বীথিদি খুব রগচটা আর গৌরমোহিনীদি শান্ত, মা-মা ধরনের৷ বীথিদিকে মেয়েরা নাম দিয়েছিলো কেল্টিপিসি৷ প্রয় কেউই এনার উপরে প্রসন্ন ছিলোনা আর ইনিও কারুর উপরেই প্রসন্ন ছিলেন না৷ সকলের কাজেই কোনো না কোনো খুঁত ধরতে এত দক্ষ ছিলেন যে তাক লেগে যেতো! গৌরমোহিনীদির কোনো নিকনেম ছিলো কিনা মনে পড়ছে না, তবে বাফার হয়ে তিনি আমাদের এবংবীথিদির মাঝে পড়ে অবস্থা সামাল দিতেন৷

আসন বোনা, উলের হাতপাখা, টেবিলক্লথে অ্যাপ্লিকের কাজ, কুরুশকাঁটায় ঢাকনি বানানো, হাফহাতা সোয়েটার, রুমালে গুজরাতি স্টীচের নক্সা, দড়ির পাপোষ, দু'কাটার আর চারকাঁটার উলের মোজা--এইসব হ্যানোতেন আমাদের করতে হয়েছে ক্লাস এইট অবধি৷ এসবের পরীক্ষাও হোতো রীতিমতো৷কিন্তু তবু অনুচ্চারিত কিছু চোট্টামির অভিযোগ থেকে যেতো, কেউ কেউ নাকি বাড়ীতে মাকে দিয়ে বা অন্য কোনো দক্ষ মহিলাকে দিয়ে করিয়ে আনে, তাই সেগুলো এত ভালো হয়৷

নাইনে উঠে শুরু হলো প্র্যাকটিকাল, কাপড়ে মাপে মাপে কেটে তারপরে ক্লাসে বসে সেলাই করে করে ব্লাউজ জাঙিয়া বেবীফ্রক তৈরীর ক্লাস৷বীথিদি আর গৌরমোহিনীদি দুজনেই থাকতেন সেই বিশাল ক্লাসরুমে৷ রীতিমতো ফর্মূলায় ফেলে অংক করে মাপ বের করে নিঁখুত কেটে তৈরী করতে হতো৷

পরে এগারো বারোতে বায়োলোজি প্র্যাকটিকালে এই সূক্ষ্ম কাটার জ্ঞান খুব কাজে লাগতো পাতা কান্ড মূলের প্রস্থচ্ছেদ করার সময়৷ ব্যাঙের ডিসেকশানের সময়ও৷ তবে সেসব পরের কথা৷ তখনো ঐ ফিজিক্স কেমিস্ট্রি বায়ো ল্যাব আমাদের কাছে অনেক দূরের৷ তবে বায়োলোজি ল্যাবে ঝোলানো কালো কাপড়ে ঢাকা কংকালখানা আমাদের কাছে একেবারে ফাইভ থেকে ছিলো একটা বিশেষ রহস্যেমোড়া দারুণ জিনিস৷ পরে ফটফটে দিনের আলোয় বায়োলোজি প্র্যাককটিকাল ক্লাসে যখন হাট করে খুলে বেবীদি ঐ মনুষ্যকংকালের ফ্রীজড হয়ে যাওয়া অস্থিময় হাসি দেখালেন, পুরো শিরশিরানি আগ্রহ উবে গেলো আর রহস্যই যে রইলোনা! কিন্তু সেও পরের কথা৷

তখন আমরা ব্যস্ত কর্মশিক্ষার জিনিসপত্র তৈরীতে৷ সে রীতিমতো প্র্যাকটিকাল খাতায় ছোটো ছোটো স্যাম্পেল অবধি আটকে ওগুলো সম্পর্কে লিখতে হতো৷ তার উপরে পরীক্ষাও হতো মৌখিক ও হাতেকলমে৷ এক মৌখিক পরীক্ষায় নাকি "চিকনের কাজ কোন্ অঞ্চলের লোকের পোশাকে বেশী ব্যবহার হয়?" এই প্রশ্নে ঘাবড়ে গিয়ে এক ছাত্রী বলেছিলো, " মরুভূমির লোকের পোশাকে৷" প্রশ্নকারিণী দিদিমণি ঘাবড়ে ঘ হয়ে বলেন, " মরুভূমিতে? কেন? " ছাত্রী ততক্ষণে বেশ সাহসী, সে বলেছিলো, "মরুভূমিতে খুব গরম কিনা, ফুরফুর করে যাতে হাওয়া খেলতে পারে তাই চিকনের কাজ থাকে পোশাকে৷"

আবার কালচার্ড করারও ব্যবস্থা ছিলো, একটি গান অথবা আবৃত্তি করার পরীক্ষাও থাকতো৷ তারপরে ফার্স্ট এইড বাক্স তৈরীও আমরা শিখলাম সেই সম্পর্কে গুছিয়ে লিখতেও হলো৷ কর্শিদা, হানিকম্ব ইত্যাদি জীবনে নাম না শোনা স্টীচ শিখে রুমালে করতে হলো! কী অবস্থা!

সেলাই প্র্যাকটিকাল ক্লাসে ঢালা শতরঞ্চি পাতা৷তার উপরে পাশাপাশি জমিয়ে বসে টুকটুক করে গল্প করতে করতে আমরা হেম দিয়ে ফ্রকের প্রান্ত মুড়ি যথাসাধ্য যত্নে৷ এই একটি ক্লাস যেখানে আস্তে আস্তে গল্প করা যায়, খুবই দীর্ঘ সময়, প্রায় আড়াই ঘন্টা নইলে সবাই বোর হয়ে যাবে তো! শুভাশ্রী আর আমি সেদিন পাশাপাশি, ও বেশ শক্ত মুখে বলে, "এইবারে আর ওরা আমাদের কিছু বলতে পারবে না যে কাউকে দিয়ে করিয়ে আনি৷ সামনাসামনি করতে হচ্ছে, এই ভালো হয়েছে৷"

আমি সায় দিই, সুতো ফুরিয়ে গেছিলো, নতুন সুতো পরাই৷ দিনটা খুব মনে আছে, হয়তো তখনো আমাদের শেলগুলো এত শক্ত হয়ে উঠে নি, তখনো হয়তো আমরা কিছুটা জ্যান্ত ছিলাম কিছুটা সত্য ছিলাম পরস্পরের কাছে, অসেতুসম্ভব দ্বীপে চলে যাই নি৷

কবে যেন সেই সরে যাওয়া শুরু হলো, ঠিক করে মনে পড়ে না৷ সে কি ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির কাছে অংকের টুইশন নিতাম বলে? নাকি শুভাশ্রী ইতিহাস পড়তে অমলেশ স্যরের কাছে ভর্তি হলো আমি হলাম না তখন থেকে? নাকি দেবানন্দ স্যরের কাছে ফিজিক্স পড়তে গেলাম আমি, ও গেলো কুমারপ্রসাদ স্যরের কাছে, তখন থেকে?

এক একজন স্যরের দ্বারা অনবরত বিষিয়ে দেওয়া চলতো অন্য স্যরেদের বা দিদিমণিদের কোচিং সম্পর্কে৷ নিজে নাকি উৎকৃষ্ট নোট দেন, অন্যে অতি নিকৃষ্ট ভুলভাল৷ প্রত্যেকেই অন্যের থেকে বেশী বুদ্ধিমান৷ নেহাত ভীড় নেই, দেবানন্দ স্যরের কিছুটা পাগলামির রেপুটেশানের জন্য, তাই সেখানে যেতাম৷ শুধু এই কারণেই, কারণ এনার পড়ানো তেমন আহামরি কিছু না৷ তবে অন্যেরা যেমন গ্যালারি সিস্টেমে একসঙ্গে কুড়ি/ তিরিশজন ছাত্র বসিয়ে নোট দিতেন যন্ত্রের মতো, এখানে সেরকম না, বেশ গল্প গাছা করতেন৷ পরে অবশ্য অত্যন্ত মানসিক কষ্টের মধ্যে ফেলেছিলেন, বাইরের দেশে হলে হয়তো সাইকোলজিকাল টর্চার বলতো, কিন্তু সে প্রথম প্রথম না, বেশ অনেকদিন পরে৷

বেঁটেখাটো গাঁট্টাগোঁট্টা মানুষটি দেবানন্দ স্যর, স্থানীয় বাংলা বয়েজ স্কুলে ফিজিক্স পড়াতেন৷ কিছুটা একসেন্ট্রিক৷ আই এ এস পরীক্ষা সম্পর্কে একেবারে দারুন ভক্তি ছিলো, উনি বলছিলেন, "জানো, আমি ভেবেছিলাম আই এ এস হয়ে রাশিয়াতে রাষ্ট্রদূত হয়ে যাবো৷" শুনে আমরা অতি কষ্টে হাসি চাপতাম৷ ইনি নাকি এত বেশী এই আই এ এসের গল্প বলতেন যে সহকর্মীরা তিতিবিরক্ত হয়ে ওনার আড়ালে ওনাকে এবিএফ বলে ডাকতো৷ এবিএফ হলো অ্যাটেম্পটেড বাট ফেইলড৷ এনার সম্পর্কে রটনা ছিলো যে ইনি আই এস পরীক্ষা দিয়েছিলেন কিন্তু পারেন নি, তাই পাগল হয়ে যান!

তো সেসব আমার কিছুই আগে জানা ছিলো না, সহজ স্বাভাবিক সরলমনে ঢুকলাম ওনার কাছে পড়তে, তুমুল ভক্তি করতেন ফিজিক্সকে, নাকি ওয়েভ মেকানিক্সের তুল্য জিনিস ত্রিভুবনে ও ত্রিকালে পাওয়া যায় নি৷ সময় আসার অনেক আগেই তিনি জানিয়ে দিলেন হাইজেনবার্গের নাম, এমন পদার্থবিদ নাকি ত্রিভুবনে ও ত্রিকালে খুব কম পাওয়া যায়!

আমরা মৃদু প্রতিবাদ করে বলতাম " কেন স্যর, আইনস্টাইন? "

আর যায় কোথা? উনি তুমুল তেজে বলতে শুরু করতেন কেন হাইজেনবার্গ আইনস্টাইনের থেকেও বেশী মেধাবী, কারণ ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ কখনো কোনো পরীক্ষায় দ্বিতীয় হন নি! এই ধারনাটা পরে নারায়ণ স্যানালের বইয়েও দেখেছি, কিন্তু মনে হয় না জার্মান পরীক্ষা ব্যবস্থা আমাদের চেনা পরীক্ষাব্যবস্থার মতন ছিলো৷ ওদেশে স্কুল ও তো অন্যরকম!

যাই হোক, এনার কাছে ভালো করে জানা গেলো যে সমস্ত সাবজেক্টের মধ্যে প্রকৃত কাজের জিনিস হলো গিয়ে ফিজিক্স আর যারা ফিজিক্স পড়ান তারা অবধারিতভাবে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশী ট্যালেন্টেড ও স্মার্ট৷ বাকী সব সাবজেক্ট যেমন বাংলা ইতিহাস ভুগোল জীবনবিজ্ঞান এসব যারা পড়ান তাদের বুদ্ধির কথা যত কম বলা যায় ততই ভালো৷শুধু তাই না তাদের নাকি সাহস পর্যন্ত খুব কম!

কেউ কেউ একবার অংকের হয়ে কিছু বলতে গেছিলো, দেবুস্যর বিপুল বিক্রমে বললেন প্রকৃত গণিতজ্ঞের কাছে দুনিয়া নাকি হাতের তালুর মতন৷ ঘোর অন্ধকারে টর্চ জ্বাললে যেমন আলো দেখা যায়, জিনিস খোঁজা যায়, এই দুনিয়ার প্রকৃত জ্ঞানী গণিতজ্ঞেরা তেমনি৷ প্রকৃত পদার্থবিদের সঙ্গে এদের তফাত নেই৷ কিন্তু যেসব অঙ্কের মাষ্টার এখানে আশেপাশে আছেন তারা সেরকম নন, তাদের কথা যত কম বলা যায় ততই ভালো৷ প্রসঙ্গত, ইনি নিজেরই স্কুলের এক বহু প্রাইভেট ছাত্রওলা অংকশিক্ষকের উপরে হাড়ে চটা ছিলেন কারণ সেই ভদ্রলোক দেবানন্দের নিকনেম দিয়েছিলেন বিশারদ!

কিন্তু দুনিয়া ও টর্চ এর গল্পটা আমাদের খুব ভালো লাগতো৷ অন্ধকার বিশ্ব ও আলোক-উৎস গণিতজ্ঞ/পদার্থবিদ৷ এই প্রকৃত গণিতজ্ঞ বা প্রকৃত পদার্থবিদ যে কে বা কারা সে সম্পর্কে আমাদের ধারনা ছিলো অত্যন্ত ধোঁয়াটে, হয়তো হাইজেনবার্গ, হয়তো আইনস্টাইন! হয়তো আরো অনেকে যাদের নাম আমরা তখনো জানতাম না৷

(চলবে হাসি )


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

বাপরে!!!!!! ইস্কুলবেলা থেকেই আইনস্টাইন আর হাইজেনবার্গ??? তাই তো বলি, আপনার লেখা পড়তে গিয়ে স্থান, কাল, পাত্র নিয়ে টানাটানি শুরু হল কিভাবে??? নস্টালজিক সময়ে ছিলাম এতক্ষণ; "গড় রেটিং" এসে সবকিছু নিউটনীয় করে দিল আবার............ মন খারাপ

-অতীত

তুলিরেখা এর ছবি

কী সর্বনাশ স্থান কাল পাত্র গুলিয়ে গেল? কিন্তু এটাতে তো রিলেটিভিটি বা কোয়ান্টাম ছিলো না! একেবারে ফকফকা ক্লাসিকাল। হাসি

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

দিদি এতদিন অপেক্ষার পর খুব ভাল লাগলো!

--- থাবা বাবা!

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ থাবা থাবা।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

চিকনের কাজ কী জিনিষ?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তুলিরেখা এর ছবি

একরকম সূচীশিল্প, মূলত পাঠক লিঙ্ক দিয়েছেন মনে হয়। এতদিনে আপনার দেখাও হয়ে গেছে। হাসি

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

খুব ভালো লাগলো। সিরিজ চলতে থাকুক সাথে উপকথাও।

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ শান্ত। তাদের মর্জি হলে চলবে ঠিকই।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

বাউলিয়ানা এর ছবি

বাহ্‌ মজার মজার সব গল্প।

কিন্তু দুনিয়া ও টর্চ এর গল্পটা আমাদের খুব ভালো লাগতো৷ অন্ধকার বিশ্ব ও আলোক-উৎস গণিতজ্ঞ/পদার্থবিদ৷ এই প্রকৃত গণিতজ্ঞ বা প্রকৃত পদার্থবিদ যে কে বা কারা সে সম্পর্কে আমাদের ধারনা ছিলো অত্যন্ত ধোঁয়াটে, হয়তো হাইজেনবার্গ, হয়তো আইনস্টাইন! হয়তো আরো অনেকে যাদের নাম আমরা তখনো জানতাম না৷

ও তাই বুঝি আপনিও সেই আলোক উৎসের সন্ধানে পথে বেরুলেন?

তুলিরেখা এর ছবি

আমি? পথে বেরোলাম????
বেরোলাম বটে, হাতে হারিকেন নিয়ে। হাসি

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

এই পর্বটা বেশ লাগলো, আসলে আপনি প্রচুর তথ্য দিলেও ছোটো ছোটো গল্প গুঁজে দিচ্ছেন না তেমন বলে খালি খালি লাগছিলো।

ষষ্ঠ পাণ্ডব, lucknow chikan দিয়ে গুগ্লালে ছবিও পেয়ে যাবেন।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ধন্যবাদ, এবার চিনতে পারলাম। সম্ভবতঃ এটাকেই ঢাকার গাউসিয়ার দোকানদারেরা "চিকেন" বলে থাকে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তুলিরেখা এর ছবি

গল্প গুঁজে দেবার কথাটা খেয়াল রাখবো। হাসি
ভালো আছেন তো?
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

দিগন্ত বাহার [অতিথি] এর ছবি

এ পর্বটা বেশি ভালো লেগেছে। হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

পরের পর্ব আসছে সামনেই।
হাসি

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

আব্দুর রহমান এর ছবি

"মেয়েদের নাকি চলতে হবে গজেন্দ্রগমনে, তাদের কথা বলতে হবে গলা না তুলে, থাকতে হবে খুব ফিটফাট। "

এরকম দিদিমণিরাও নেই, তাই এরকম মেয়েদের দেখাও মিলছে না। গলা তুলে কথা বলে না এমন মেয়ে পেলে আমায় একটু জানাবেন তো দিদি।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

তুলিরেখা এর ছবি

আহা তাইলে গ্রহ পাল্টান।
হাসি

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কৌস্তুভ এর ছবি

হাসি

হয়তো'টা দূর হয়েছে দেখে শান্তি পেলুম!

তুলিরেখা এর ছবি

হয়তো না হয় দূর হয়েছে কিন্তু "পারবো না" তো দূর হয় না মহাশয়। চিন্তিত
আপনার গোছগাছ কদ্দূর? কবে বাড়ীর দিকে রওনা ?

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কৌস্তুভ এর ছবি

হেঁ হেঁ... এই তো ২৭'য়ে, কেষ্টমাসটা পার করেই...

তুলিরেখা এর ছবি

চমৎকার! আনন্দে ঘুরে আসুন।

আমি তো বাড়ীতে ফোন করার সময় বলেই দিলাম এক বন্ধু বরিশাল যাচ্ছে, ভোলা যাচ্ছে, শুনে বাবার খুব আনন্দ। ওরা গত বছর শিমুলিয়া নারায়ণগঞ্জ জামালপুর এসব ঘুরে এসেছে, খুবই আনন্দ পেয়েছে। হাসি

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কৌস্তুভ এর ছবি

দেঁতো হাসি

না আঁচালে বিশ্বাস নেই, আগে তো গিয়ে পৌঁছই...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।