দেশবিদেশের উপকথা-রহস্যময়ী ( কেপ ভার্দে )

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০৬/২০১১ - ৪:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কেপ ভার্দের এই উপকথাটির সঙ্গে মিল আছে আরো নানা দেশের উপকথার, যেখানেই পুরানো মত ও পথের সঙ্গে নতুন মত ও পথের সংঘাত হয়েছে, সেখানেই। কেপ ভার্দে দীর্ঘকাল ছিলো পর্তুগীজ উপনিবেশ।

দেশের রাজা এক বিরাট সমস্যায় পড়েছেন, রাজকুমারীকে নিয়ে রহস্য। রাজকুমারীর ঘর থেকে প্রত্যেক সকালে সাতজোড়া ভাঙাচোরা নাচের জুতা পাওয়া যায়। এক রাতে এত জোড়া জুতা এভাবে ক্ষয় হয় কী করে, তার কোনো কিনারা পাওয়া যায় না। রাজকুমারী কিছু বলে না, তার মুখে কুলুপ। নানাভাবে জেরা করেও কিছু পাওয়া যায় নি রাজকুমারীর মুখ থেকে। শেষমেষ রাজা ঘোষণা দিলেন, দেশের যে যুবক এই রহস্য সমাধান করতে পারবে, সে পাবে অর্ধেক রাজত্ব আর এই রাজকুমারীকে তার সাথেই বিয়ে দেওয়া হবে। আর না পারলে সেই যুবকের প্রাণদন্ড।

ঘোষনা শুনে দেশের উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম থেকে যুবকেরা এলো নিজেদের ভাগ্য পরীক্ষা করতে। কিন্তু কেউ সফল হলো না, সবাইকে প্রাণ দিতে হলো।

এক গ্রামে ছিলো এক গরীব ছেলে। বাবা নেই, মারা গেছেন। শুধু আছেন মা। এক জীর্ণ কুটিরে তারা মা-ছেলেয় থাকে আর নানারকম ঠিকা কাজ করে কোনোরকমে দিন চলে তাদের। ঘোষণা সেই ছেলেও শুনেছিলো। সে মাকে বললো, "মা তিনখানা রুটি বানিয়ে আমার সঙ্গে দাও তো ঝোলায় ভরে। আমি রাজার কাছে যেতে চাই। রাজধানী তিনবেলার পথ।"

মা ও ঘোষণার কথা জানতেন, ছেলে যে একদিন রওনা হবে সেও জানতেন। কিন্তু ও যে নিশ্চিত মৃত্যুর পথ! রাজা খুব নিষ্ঠুর মৃত্যুর ব্যবস্থা করেন যে ব্যর্থদের জন্য! ছেলেকে নিবৃত্ত করতে অনেক চেষ্টা করলেন মা, কিন্তু ছেলে জেদ ধরে বসে রইলো, সে যাবেই। তখন মা তিনটে রুটি বানিয়ে তার সাথে দিয়ে দিলেন। গোপণে রুটিতে বিষ দিয়েছিলেন যাতে সে পথেই মারা যায়। রাজার হাতে পড়ার চেয়ে তা ঢের ভালো।

ছেলে পথ চলে, একবেলার পথ চলে সে বসলো বিশ্রাম নিতে আর কিছু খেয়ে নিতে। যেই না প্রথম রুটিটা বের করেছে খাবে বলে অমনি এক থুরথুরে বুড়ো সাধু এসে হাজির, সাধু বলেন যে তিনি খুব ক্ষুধার্ত, রুটিটা পেলে বেঁচে যান। ছেলেটা আর কী করে, রুটিটা দিয়ে দিলো। সাধু তখন তাকে বললেন "ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করবেন", বলেই সাধু চলে গেলেন। যেন উবে গেলেন।

বিশ্রাম শেষে ছেলেটা উঠলো আর পথ চললো আরো একবেলা। তারপরে সে বসলো বিশ্রাম নিতে আর কিছু খেয়ে নিতে। যেই না দ্বিতীয় রুটিটা বের করেছে খাবে বলে অমনি এক থুরথুরে বুড়ী এসে হাজির, বুড়ী বলে যে সে খুব ক্ষুধার্ত, রুটিটা পেলে বেঁচে যায়। ছেলেটা আর কী করে, রুটিটা দিয়ে দিলো। বুড়ী তখন নিজের দেবীরূপ ধারন করে তাকে একটা পোষাক দিলেন, " এই পোষাক পরলে কেউ তোমায় দেখতে পাবে না, এটা অদৃশ্য হবার পোষাক", বলেই তিনি চলে গেলেন। যেন উবে গেলেন।

ছেলেটা পথ চলে আর চলে, আরো একবেলা শেষ হয়। রাজধানীতে ঢোকার আগে গাছতলায় বিশ্রাম নিতে বসলো সে। যেই না সে শেষ রুটিটা বার করেছে খাবে বলে, এক ভবঘুরে এসে হাজির। ভবঘুরে বলে যে সে খুব ক্ষুধার্ত, রুটিটা পেলে বেঁচে যায়। ছেলেটা আর কী করে, রুটিটা দিয়ে দিলো। ভবঘুরে তখন নিজের দেবতারূপ ধারণ করে তাকে একটা সরু লাঠি দিলেন, বললেন " এই লাঠিটা বাতাসে যেই না নাচাবে, অমনি মুহূর্তের মধ্যে বিরাট দূরত্ব পার হয়ে যেতে পারবে", বলেই তিনি চলে গেলেন। যেন উবে গেলেন।

এইবারে রাজধানীতে ঢুকে ছেলেটা সোজা রাজার কাছে গেল। রীতিমাফিক কুর্নিশ টুর্নিশ করা হলে সে বললো কেন এসেছে। রাজা আগেও বহু যুবকের আসা ও যাওয়া দুই ই দেখে দেখে একেবারে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন, তেমন উত্তেজিত হলেন না। কেউ পারে না রহস্য সমাধান করতে আর এই সাদাসিধে ছেলে পারবে? "হাতিঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল? "

যাইহোক তেমন উৎসাহিত না হলেও রাজা এই ছেলের খাওয়াদাওয়া আর বিশ্রামের ব্যবস্থা করে দিলেন। রাজকুমারীর পাশের ঘরে থাকার ব্যবস্থাও।

রাজকীয় খাবার খেয়ে ছেলেটা ঘরে এসে দেখলো পুরু গদির উপরে টান টান কোমল আবরণ ওয়ালা রাজকীয় বিছানা, এলাহী ব্যাপার। ছেলেটা পত্রপাঠ কম্বলমুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লো। রূপার পাত্রে জল রেখে গেল পরিচারিকা, সে ভাবলো ছেলেটা ঘুমিয়ে গেছে। এদিকে ছেলেটা কিন্তু ঘুমায় নি, ঘুমের ভান করে টনটনে সজাগ হয়ে আছে।

মাঝরাতে সে দেখলো রাজকুমারী চুপিসাড়ে দেখে গেল সে ঘুমায় কিনা! তারপরে পা টিপে টিপে চলে গেল। রাজকুমারী নিজের ঘরের দিকে চলতে থাকতেই ছেলেটা উঠে অদৃশ্য হবার পোষাক পরে নিয়ে সেই যাদুলাঠি হাতে নিয়ে রাজকুমারীর আগে আগেই রাজকুমারীর ঘরে ঢুকে গেল।

সে দেখলো রাজকন্যা খুব সেজেগুজে একটা পেটিকায় ছয়জোড়া বাড়তি নাচের জুতো নিল। তারপরে এদিক ওদিক চেয়ে ঘরের জানলা টানলা সামনের দরজা সব বন্ধ আছে কিনা দেখে নিয়ে ঘরের মেঝের একটা পাথরের চৌকো টুকরো আলগা করে একটা গোপণ পথের দরজা খুললো। অদৃশ্য অবস্থায় থাকা ছেলেটা তো চমৎকৃত!

রাজকুমারী গোপণ পথ দিয়ে চললো, অদৃশ্য অবস্থায় থাকা ছেলেটা চললো পিছন পিছন। একসময় তারা একটা বাগানে এসে হাজির। রাজকুমারী সোনালি ফুলের ঝাড়ের কাছে গিয়ে একটা ফুল তুলে মাথার চুলে গুজে নিয়ে বললো, "সোনার ফুলের গাছ, শুভ রাত্রি। "
সোনালী ফুলের গাছ বললো, " রাজকুমারী, শুভ রাত্রি তোমাকে আর তোমার সাথীকে। "
"আমার আবার সাথী কোথায়?" বলে রাজকুমারী চকিতে পিছনে তাকিয়ে দেখলো, কাউকে দেখতে পেলো না। ছেলেটা তো অদৃশ্য। রাজকুমারী এগিয়ে চললো, অদৃশ্য অবস্থায় থাকা ছেলেটা নিজেও একটা সোনালী ফুল তুলে নিয়ে রাজকুমারীর পিছন পিছন চললো।

এরপরে তারা এলো রূপালী ফুলের গাছের কাছে। রাজকুমারী রূপালী ফুলের ঝাড়ের কাছে গিয়ে একটা ফুল তুলে মাথার চুলে গুজে নিয়ে বললো, "রূপার ফুলের গাছ, শুভ রাত্রি। "
রূপার ফুলের গাছ বললো, " রাজকুমারী, শুভ রাত্রি তোমাকে আর তোমার সাথীকে। "
"আমার আবার সাথী কোথায়?" বলে রাজকুমারী চকিতে পিছনে তাকিয়ে দেখলো, কাউকে দেখতে পেলো না। ছেলেটা তো অদৃশ্য। রাজকুমারী এগিয়ে চললো, অদৃশ্য অবস্থায় থাকা ছেলেটা নিজেও একটা রূপালী ফুল তুলে নিয়ে রাজকুমারীর পিছন পিছন চললো।

তারপরে তারা তামার ফুলের কাছে আসলো, সেখানেও একই কান্ড হলো।

বাগান পার হয়ে তারা এলো একটা নদীর কাছে, সেই নদীর উপরে সেতু। সেতুর শুরুতে একটা সাদা ঘোড়া, রাজকুমারী সেই ঘোড়াটার পিঠে চড়ে বসলো, তারপরে চললো, সেতু পার হয়ে বেশ কিছুটা পথ, তারপরে এক বিরাট প্রাসাদ। সেই প্রাসাদে আলো জ্বলছে, খুব নাচগান উৎসব চলছে। দৈত্যদানবেরা নাচগান করছে।

এদিকে ছেলেটা তো যাদুলাঠি নাচিয়ে বাতাসের বেগে আগেই এসে পড়েছে সেই প্রাসাদে। সে দেখলো রাজকুমারীকে খুব সমাদরে বরণ করে আনলো এই দৈত্যরা। তারপরে রাজকুমারী সারারাত নাচলো দৈত্য-রাজকুমারের সাথে। একেক জোড়া নাচের জুতা ছিন্ন হয়ে যায়, রাজকুমারী আরেক জোড়া পরে নাচতে থাকে। এইভাবে নাচতে নাচতে রাত ফুরিয়ে গেল।

শেষরাতে উৎসবক্লান্ত রাজকুমারী ফিরে চললো ঘোড়ায় চড়ে। ছেলেটা আগেই ফিরে গেল যাদুলাঠির কেরামতিতে। ফিরে গিয়ে নিজের ঘরে কম্বলমুড়ি দিয়ে পড়ে রইলো। ফিরে আসা রাজকুমারী চুপিসাড়ে দেখে গেল সে সেখানেই আছে কিনা। যাক, কিছু জানতে পারে নি, এই ভেবে নিশ্চিন্ত হয়ে রাজকুমারী নিদ্রা গেল।

পরদিন সকালে উঠে রাজার কাছে গিয়ে ছেলেটা সব রহস্যভেদ করলো। প্রমাণ হিসাবে সেই তিনটি ফুলও দেখালো। রাজকুমারীকে ডাকিয়ে এনে রাজা কড়াভাবে জানতে চাইলো এসব সত্যি কিনা। রাজকুমারী দেখলো অস্বীকার করে লাভ নেই, সে সব স্বীকার করলো।

শর্ত অনুযায়ী ছেলেটা এখন অর্ধেক রাজত্ব আর রাজকন্যাকে পাবে। ছেলেটা অর্ধেক রাজত্ব নিলো কিন্তু রাজকন্যাকে বিবাহ করতে রাজি হলো না। সে বললো "যে মেয়ে দৈত্যদানবদের সাথে নাচে, তাকে বিবাহ করতে পারবো না মহারাজ। মাফ করবেন। "

এরপরে রাজকুমারীর কী হলো তা আর জানা যায় না। তাকে রাজা নির্বাসন দিলো নাকি আর কিছু করলো কিছুই বোঝা গেল না। রহস্যময়ী ই থেকে গেল সে।

কিন্তু ছেলেটার খুব সুখ হলো, সে তার দুঃখিনী মাকে আনিয়ে তার সুখের রাজত্বে সুখেশান্তিতে বসবাস করতে লাগলো।

*****


মন্তব্য

অপছন্দনীয় এর ছবি

রাজাটা ছাগল। আরে ব্যাটা, তোর মেয়ে কী করে তার রহস্য তুই ভেদ করতে পারিস না, তার জন্য অন্যের মুন্ডু যাবে কেন? নিজেরটা কাট না। মেয়ে কাকে বিয়ে করতে সেটা বলারই বা তুই কে?

(প্রথম মন্তব্য)

আয়নামতি1 এর ছবি

পছন্দনীয়ের ব্যান চাই ...কী রে বাবা! খেয়ে দেয়ে আর কোন কাজ থাকেনা আপনার রেগে টং ভেবেছিলাম আজকে আপনার আগেই মন্তব্য করবো সে (গুড়) এ বালি রেগে টং

তুলিরেখা এর ছবি

ওহে বালক, এ জিনিস সেই কালের যখন মানুষ কেনাবেচা হতো। সেই তুলনায় মেয়ের বিয়ে ঠিক করে দেওয়া তো যাকে বলে বার্থরাইট!
আজকে তো একেবারে প্রায় টাই হয়ে যাচ্ছিলো, রিপ্লে চালিয়ে ফোটো ফিনিশ দেখে বোঝা গেল। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অপছন্দনীয় এর ছবি

মোটেই টাই-এর ধারেকাছেও যায়নি, আয়নামতি এক ঘন্টা এক মিনিট দেরী করেছে। তাছাড়া আমার চ্যালেঞ্জার ছিলো ওই রামপাখিভোজনলিপ্ত ব্রাহ্মণপুঙ্গব, আয়নামতি আবার তার দলে যোগ দিলো কবে? সব ষড়যন্ত্র!

আয়নামতি1 এর ছবি

পছন্দনীয়র আগেই আমি মন্তব্য করতে চাই শয়তানী হাসি

অপছন্দনীয় এর ছবি

ফের ফেল মেরেছেন... শয়তানী হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

ফের ফেল মেরেছেন...

হো হো হো

আয়নামতি1 এর ছবি

আমি যখন সচলে আসি তখন তুলিদির এই পোষ্টে একটাও মন্তব্য ছিলোনা। আর সচলদের মধ্যে পছন্দনীয়ও লগডইন ছিলেন না। ভাবলাম এই সুযোগ! ভাইয়াটার জ্বালায় আমি একদিনও মন্তব্য করতে পারিনা। আজব ভোজবাজির কান্ড দেখি! কোত্থকে এলো মন্তব্যটা! নিশ্চয়ই তিনি যাদুর পোষাকে ছিলেন রেগে টং ছিঃ কেমন নির্দয় মানুষজন সব। কেউ ফেল্টু খেলে কই সমবেদনা জানাবে তা না হাসে কেমন সব! ওঁয়া ওঁয়া 'দেখিস একদিন আমিও................' পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

অপছন্দনীয় এর ছবি

একটু 'কুইক' হতে হবে হে... পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

আয়নামতি1 এর ছবি

মায়ের মুখে এটারই অন্য রকমের ভার্সনটা শুনেছি। সে গল্পে ছিলো সাত রাজকন্যা। তখন আমার এক কাজিন খালি প্রশ্ন করতো 'আচ্ছা রাজার বেটিদের ছেঁড়াজুতা বয়ে আনার দরকারটা কী?' গল্পে বাঁধা পড়তো বলে আমরা হৈ হৈ করতাম 'চুপ! চুপ! এত প্রশ্ন করলে ভাগো তুমি গল্প শুনতে হবে না।' কিন্তু এখন দেখি প্রশ্নটা আমার মাথাতেই জব্বর ভাবেই এলো, রাজকুমারীর কেন ছেঁড়া জুতা বয়ে আনতে? ও তো ওসব ফেলেই দিব্বি গটমটিয়ে চলে আসতে পারে। প্রশ্নটা এজন্যই বিন্দাস করলাম কারণ এটি তো আর সরাসরি আপনি লেখেননি, তাই শুনতেও হবেনা 'ভাগো তুমি এত যুক্তি খুঁজলে রূপকথার গল্প পড়তে হবেনা!' রূপকথায় সবই সম্ভব। আহা অদৃশ্য হওয়া যায় এমন একটা পোষাক যদি পেতাম দারুণ হতো! অনেক ধন্যবাদ তুলিদি কে হাসি আজ মনে হয় আমি(খুব সম্ভবত) প্রথম মন্তব্যটা করতে পেরেছি! পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম আপনার জন্য (গুড়)

ফাহিম হাসান এর ছবি

এই ভার্সনটা আমিও শুনেছি

ফাহিম হাসান এর ছবি

ছোটবেলার একটা গান মনে পড়ল - থাকতো যদি আমার একটা যাদুর পেন্সিল!

তুলিরেখা এর ছবি

পেন্সিল ও সর্বকর্মা মনে পড়িয়ে দিলেন। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কৌস্তুভ এর ছবি

সেইটা জানি কী?

তুলিরেখা এর ছবি

এ নাচ যতদূর মনে হয় কোনো রিচুয়ালিস্টিক নাচ। ছেঁড়া জুতার সম্ভবত রিচুয়াল ভ্যালু থাকতো। যেমন কিনা অশ্বমেধের বা রাজসূয়ের পরে যজ্ঞস্থানের মাটি সংগ্রহ করে রাখা হতো বিশেষ পুণ্যমাটি বলে, তারপরে কামাখ্যা থেকে কিজানি এরকম সংগ্রহ করে রাখা হয়। হাল আমলে ভালো ক্রিকেট ম্যাচের ভালো প্লেয়ারের ব্যবহার করা ব্যাট বা ফুটবল ম্যাচের ভালো খেলোয়াড়ের ঘেমো জার্সি নিলাম হয় বা ধরুন বার্লিন ওয়ালের ভাঙা টুকরা রাখা হয়, সেরকম। হাসি
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তুলিরেখা এর ছবি

আরে আয়না, তোমাকে রিপ্লাই দিলাম কালকেই, সেটা লাফাং হয়ে কোথায় চলে গেল। চিন্তিত
আবার দিই।
রাজকুমারীর এ নাচগুলো যতদূর মনে হয় কোনো রিচুয়ালিস্টিক নাচ। ছেঁড়া জুতার সম্ভবত রিচুয়াল ভ্যালু থাকতো। যেমন কিনা অশ্বমেধের বা রাজসূয়ের পরে যজ্ঞস্থানের মাটি সংগ্রহ করে রাখা হতো বিশেষ পুণ্যমাটি বলে, তারপরে কামাখ্যা থেকে কিজানি এরকম সংগ্রহ করে রাখা হয়। হাল আমলে ভালো ক্রিকেট ম্যাচের ভালো প্লেয়ারের ব্যবহার করা ব্যাট বা ফুটবল ম্যাচের ভালো খেলোয়াড়ের ঘেমো জার্সি নিলাম হয় বা ধরো বার্লিন ওয়ালের ভাঙা টুকরা রাখা হয়, সেরকম। হাসি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তিথীডোর এর ছবি

চলুক হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কৌস্তুভ এর ছবি

খিক্ষিক, তুলিদি সবাইকে রিপ্লাই করেছেন কিন্তু খুকিকে করেন নাই... শয়তানী হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কৌস্তুভ এর ছবি

এইরকম একটা গল্প উজবেক না ইরানী রূপকথার বইতে ছিল, সেখানে অবশ্য ওই রাজকুমারীর নাচের আসরে ছেলেটার অদৃশ্য হয়ে যাওয়া পর্যন্ত। তারপর আরো অনেক কিছু ছিল, রাজকুমারীর সঙ্গে ছেলেটার ভাবসাব, ইত্যাদি ইত্যাদি। সব মনে নেই।

তুলিরেখা এর ছবি

আরে গ্রিমভাইদের রূপকথার বইয়ে আছে এই গল্পের খুব সফি সফি একটা ভার্সন। যাকে বলে ফুটফুটে টিপটপ সব রাজকুমারী, টিপটপ সব রাজকুমার, তারা নৌকো বেয়ে রাজকুমারীদের নাচতে নিতো। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

গপটায় মজা কম

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তুলিরেখা এর ছবি

ঠিক কইসেন। ছোটো আয়তনে এই গপ এক্কেরে মশলা-ছাড়া সালুনের মত পানসা।
আসলে এই গপ থ্রিলার হওয়ার জন্য, বেশ গরগরে করে রহস্য রোমাঞ্চ রেখে পাতার পর পাতা ধরে লিখলে তবে এই গপ জমে। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সজল এর ছবি

রাখালটারে বর্ণবাদী মনে হইলো। রাক্ষস যুবরাজের সাথে নাচে বলে রাজকন্যারে বিয়ে করতে চাইলো না, এ ভীষণ অন্যায়।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তুলিরেখা এর ছবি

মারাত্মক ধরনের। তাও তো আমি রেখেঢেকে কয়েছি। আরো নানা কিছু ছিলো।
ঐ যে শুরুর তিনজন, সাধু বুড়ী আর ভবঘুরে, ওরা নাকি এক সেইন্ট, মা মেরী আর স্বয়ং উপরের তিনি। ওনারা এসে সাহায্য করলেন যাতে এই সব পাগান নাচের থেকে রাজ্যটা বেরোতে পারে। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অপছন্দনীয় এর ছবি

এই খেয়েছে! উপরের উনি আবার কোন অশ্বডিম্বে তা দিয়ে ছাগলছানা উৎপন্ন করতে এলেন এখানে? উনি যদি সবই জানেন এবং সবই পারেন, তাহলে পাগানিজম থেকে বেরোবার জন্য এত মেহন্নত না করে পাগানিজম যাতে কোনদিন পৃথিবীতে তৈরীই না হয় সেই ব্যবস্থা করলেই তো পারতেন!

তুলিরেখা এর ছবি

আর কইয়েন না। হাসি
তিনি লীলাময়, লীলারস জমে যাতে তাই না এই যতো লুসিফর, ডেভিল, পাগান সব নাচগান, বাসুকী গিয়ে নাকি ফল খাওয়ালো হাওয়ারে, হাওয়া গিয়ে খাওয়ালো বাবা আদমেরে---সবই লীলাময় জানেন, তবু রাখেন, নইলে লীলা নাকি জমে না। হাসি
দ্যাখেন না পিতামহ নিজেই গড়লেন পেয়ারের নাতি সুরদের আর তত পেয়ারের না সেই অসুরদের। তারপরে লেগে যা, সুরাসুরের লড়াই চলছে তো চলছেই।
মাঝখান থেকে ভুগে মরি বেচারা মনুষ্যরা আমরা। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।