ইস্কুলবেলার গল্প (২১)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/১২/২০১২ - ৩:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক্লাস থ্রীতে উঠেই শুনি সাংঘাতিক এক ব্যাপার নাকি আসন্ন। চার বছরের আটকে থাকা পুরস্কার বিতরণী আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নাকি অনুষ্ঠিত হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য ভালো ভালো গান আর নাচ জানা ছেলেমেয়েদের নির্বাচন করা শুরু হবে খুব শীগগীর।

ক্লাস থ্রীর ক্লাসরুম ছিল দোতলায়, ভারী অন্যরকম আর রহস্যময় সেই তলা। খোলা সিঁড়ি দিয়ে উঠে বাঁদিকে লোহার গেট, তার নিচে খুব বিপজ্জনক একটা ঢালু মেঝে, সেই মেঝের উপর দিয়ে ওঠার সময় পায়ের তলা শিরশির করে এই বুঝি হড়কে গেলাম। বৃষ্টি হলে আরো বেশি পিছলে পড়ার ভয় বেড়ে যায়। সেই অংশ পার হয়েই ক্লাস থ্রীর ঘর। সেই ঘরের পরেই একটা রহস্যময় বন্ধ ঘর, পরে জেনেছিলাম ওটা নাকি আমাদের লাইব্রেরী। ওখান থেকে কস্মিনকালেও বই দিতো না যদিও, তবে ক্লাস ফোরে একবার কী এক মহাশুভক্ষণে এক শনিবারে কয়েকঘন্টার জন্য কিছু গল্পের বই ওখান থেকে পড়তে দিয়েছিলো আমাদের। সে গল্প পরে কখনো হবে। গল্পের বই ছাড়াও ঐ ঘরে হাতের কাজের জিনিসপত্রও জমা রাখা হতো, সেও জেনেছিলাম পরে। সেই ঘর পার হয়ে একটা ছোটো ঢাকা বারান্দার ডাইনে ও বাঁয়ে ক্লাস ফোরের দুটো সেকশানের ক্লাসঘর।

ক্লাস থ্রীতে ওঠার কয়েকদিনের মধ্যেই শিল্পী নির্বাচন হয়ে গেল দিদিমণিদের। আমরা যারা নাচগান কিছু শিখতাম না তারা অবাক হয়ে দেখতাম কী জোর কদমেই না রিহার্সাল চলছে। তখন বছর শুরুর দিক, পড়াশুনো নামেমাত্র হয়ে টিফিনের পর থেকেই শুরু হতো রিহার্সাল। দিদিমণিদের নাচ ও গানের ব্যাপারে উৎসাহ দেখলে নির্ঘাৎ বাইরের লোকেরা মনে করতেন ওটা নাচ-গানেরই স্কুল!

সুদীপা সুগোপা পিউলী চন্দ্রাণী অলিপ্রিয়া শিবাণী মৌপিয়া সবাই নাচের ও গানের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল। ওরা আলাদা করে নাচের ও গানের স্কুলে ও যেত বাড়ী থেকে। খুব সাংস্কৃতিক কিনা! মৌপিয়া আবার ছিলো একজন দিদিমণির মেয়ে, তাকে তো ক্লাসের মধ্যেই এক দিদিমণি গান তোলাতেন "আমি যার নূপুরের ছন্দ / কে সেই সুন্দর কে এ এ এ এ"

আমরা যারা কিনা অ-সুর ও ছন্দোহীন, তারা টিফিনের পর রিহার্সাল দেখতে যেতাম। একটা রূপকথার গল্পকে নাচগানওয়ালা নাট্যরূপ দেওয়া হয়েছে, সেখানে পরীদের নাচ হবে, লাল পরী নীল পরী সবুজ পরী হলুদ পরী আর সাদা পরী রাজকুমারীর চারধারে সিমেট্রি রেখে নাচবে গানের সঙ্গে সঙ্গে, রাজকুমারী হলো সেই পারুলকন্যা, যে কিনা সাতটি ভাইকে উদ্ধার করবে চাঁপা ফুল অবস্থা থেকে। এই রাজকুমারীর নাচ সবচেয়ে বেশী, এই রোল পেয়েছিলো অলিপ্রিয়া। সে খুব ভালো নাচতো। গর্বে তো তার আর পা মাটিতে পড়ে না। সে আবার সেই বছরই ভর্তি হয়েছিলো আমাদের স্কুলে, আগে ঐ স্কুলে পড়তো না, অন্য ভালো ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়তো, সেখানে নাকি সবকিছুতে "এক্সেলেন্ট" পেতো। সবাই নাকি তাকে ব্রাইটেস্ট গার্ল অব এশিয়া বলতো। সাংঘাতিক অবস্থা!

দারুণ জোরকদমে রিহার্সাল চলছে একদিকে, রিহার্সাল হতো একতলায়, দিদিমণিদের বসার কমনরুমের সামনে ছিলো অনেকখানি খোলা জায়্গা, সেখানে। সেই দিকে নাচ ও গানে পটীয়সী পাঞ্চালী, শিউলি আর দেবীকা দিদিমণি নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কমনরুমের আরেকদিকে অন্যকিছু দিদিমণি মিলে আর্কাইভ থেকে উদ্ধার করছেন পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম। বাৎসরিক পরীক্ষায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের নাকি পুরস্কার দেওয়ার প্রথা। আমাদের ব্যাচের তো কেজি ওয়ান থেকে সেই পর্যন্ত সব পুরস্কারই পেন্ডিং, সেই প্রথম অনুষ্ঠান হতে চলেছে।

দিনের পরে দিন যত যায়, ততই ব্যাপার আরো বেশী উত্তেজক হয়ে ওঠে। যেন এক অলিম্পিক টাইপ কিছু আসন্ন। হু হু বাবা, আমরা ছোটো হলে কী হবে, তখন ছোটো ছোটো সাদা কালো টিভি এসে গেছে পাড়ায় কারু কারু বাড়ীতে, ওসব অলিম্পিক এশিয়াড বিশ্বকাপ এইধরণের জিনিসগুলোর বিষয়ে আমরাও কিছু কিছু জেনে গেছি, একেবারে অজপাড়াগেঁয়ে আর তখন না আমরা! নিজেরা জল্পনা করি পুরস্কার দেবার সময় মঞ্চে ভিক্ট্রি স্ট্যান্ডের মতন কিছু থাকবে কিনা যেখানে ফার্স্ট, সেকেন্ড আর থার্ড দাঁড়াবে? কেউ কেউ বলে ওরকম কিছু থাকবে না, এটা তো অলিম্পিক বা এশিয়াড না, আবার কেউ কেউ বলে থাকবে, কেন থাকবে না?

বাঁশ টাঁশ আসতে শুরু করে স্কুলের উঠানে, প্যান্ডেল বাঁধা শুরু হবে। আমাদের কী আনন্দ, টিফিনে খেলার সময় ঐ বাঁশের পাঁজায় গিয়ে খেলি আর দিদিমণিদের বকুনি খাই। তাতে কী? এইরকম সুযোগ তো আর বেশী আসে না? একবার ওখানে হুটোপাটি করতে করতে নামকরা দুরন্ত ছেলে প্রসূন পড়ে গিয়ে হাঁটু ছড়ে ফেললো, কিন্তু তাতেও সে দমে নি।

অনুষ্ঠানের দিনের কয়েকদিন আগে ক্লাস ফোরের একটা সেকশানের গোটা ক্লাসটাই হয়ে গেল গ্রীনরুম, পড়াশুনো একেবারে বন্ধ সেইসময়। পুরো সময় ধরে রিহার্সাল চলছে, যারা করছে তাদের তো উত্তেজিত ব্যস্ততায়, আনন্দে ও ঠিকমত পারফর্ম করতে পারবে কিনা এই টেনশনে একেবারে প্রায় দিগ্বিদিক-জ্ঞানশূন্য অবস্থা। আর আমরা যারা এই নাট্যোৎসবের দর্শক, তারাও উত্তেজনার আগুন পোহাচ্ছি। ঐ ঘরে তো আমাদের যেতে দিচ্ছে না, বাইরে থেকে উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছি। ক্লাসে তো কোনো দিদিমণি নেই, গল্পগাছা গন্ডগোলে ক্লাসঘর একেবারে গুলজার যাকে বলে।

পরীর নাচে সুদীপা হয়েছিল শ্বেতপরী, কিন্তু মূল অনুষ্ঠানের আগে আগে তার হলো মাম্পস, গলার অবস্থা খারাপ এদিকে জ্বরও। কিন্তু সে দমেনি, ওষুধের জোরে অবস্থা আয়ত্ত্বের মধ্যেই ছিল, ঐ অবস্থাতেই সে নেচেছিলো সাদা রেশমী রুপোজরিওয়ালা চুড়িদার আর ওড়নায় নিয়মমতন সেজে। প্রত্যেক রঙের পরীকে সেই রঙের জরিদার সালোয়ার কামিজ আর ওড়না পরে সাজতে হয়েছিল, রাজকুমারীর দুইধারে একজোড়া করে একই রঙের পরী ছিলো।

স্টেজ বাঁধা হয়ে গেল, প্যান্ডেলে ছেয়ে গেল গোটা উঠান। অন্যরকম হয়ে গেল চেনা স্কুলটা, যেন রূপকথার মায়াপুরী। অনুষ্ঠান শুরু হলো সন্ধ্যেবেলা, প্রথমে তো সভাপতি প্রধান অতিথি--এঁদের বক্তৃতা ইত্যাদি, তারপরে পুরস্কার বিতরণী।

কেজি-ওয়ানের জন্য প্রায় সবাইকেই সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছিলো একটা ভারী মজার ছবিওয়ালা বই, "ছড়ার দেশে টুলটুলি"। বিভিন্ন ছড়ার অংশ ব্যবহার করে করে একটা বড় গল্প, টুলটুলি নামের এক ছোট্টো মেয়ের আশ্চর্য ছড়ার দেশে হারিয়ে যাওয়া আর সেখান থেকে ফিরে আসা নিয়ে। অনেকটা অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ডের মতন, কিন্তু ঠিক তাও নয়। শৈল চক্রবর্তীর অসাধারণ আঁকা আর লেখা। একেকটা জায়্গা আজও মনে আছে, একজায়্গায় নদীর ধারে একটা গাছে অনেক নোটন নোটন পায়রা দেখে ঝিনেদার জমিদার কালাচাঁদ রায় বলছেন "দেখেছ, আমার পোষা পায়রাগুলো পালিয়ে পালিয়ে সব এইখানে এসে পড়েছে!" আরেক জায়্গায় কমলাফুলির বাড়ী গিয়ে টুলটুলি অতিথি, সেখানে ওকে খেতে দিয়েছে মধুমাখা সবরিকলা। শেষে রাণীহাঁসের পিঠে চড়ে টুলটুলি ফিরে এলো আপনদেশে। সবটা মিলিয়ে খুব সুন্দর বই।

সেই পুরস্কার নেবার সময় স্টেজে উঠে পুরস্কার নিয়ে সেই যে দর্শকদের দিকে ফিরে মাথা নুইয়ে সম্মান দেখাতে হয়, সেইটা করার সময় দেখি সে এক আশ্চর্য ব্যাপার। স্টেজের সামনে থেকে একেবারে ঐ দূরে গেটের কাছ অবধি শুধু মানুষের মাথা, শয়ে শয়ে মাথা-আমার মনে হলো যেন হাজারে হাজারে-লাখে লাখে, যেন শেষহীন মানুষদল। স্টেজ থেকে চুঁইয়ে পড়া আলোতে তাদের দেখা যাচ্ছে অল্পই, কিন্তু যতটুকু দেখা যাচ্ছে সে যেন একটা নিখাঁদ বিস্ময়। সেই প্রথম যেন একটা ভিন্ন ডাইমেনশন থেকে সচেতনে দেখলাম মানুষের মেলা। একটা ছোটো বিড়ালছানাকে একবার এক হনুমান কোলে করে নিয়ে উঠে গেছিল উঁচু একটা গাছে, ঘন্টাখানেক পরে নেমে এসে বিড়ালকে ফিরিয়ে দিয়েছিল ওর নিজের জায়্গায়। কিন্তু ঐ উপর থেকে দুনিয়া দেখার শিহরিত অনুভূতি বেচারা বিড়ালকে বহুদিন কেমন একটা করে রেখেছিল। স্টেজ থেকে মানুষের মেলা দেখার অভিজ্ঞতাও আমার প্রায় ঐরকমই। তারপরে জীবনে বহু অভিজ্ঞতা এসেছে, কিন্তু ঐ শয়ে শয়ে মানুষের মেলা দেখার ঝিমঝিমানি যেন একটা অনিঃশেষ বিদ্যুত-তরঙ্গের মতন রয়ে গেল মনের মধ্যে।

নানা অনুষ্ঠান চলতে থাকে তারপরে, তখন নেমে গিয়ে বসেছি মা-বাবার সঙ্গে, ঐ অনুষ্ঠানে সব অভিভাবকেরা দর্শক হিসাবে নিমন্ত্রিত ছিলেন।
একেবারে শেষে সেই নৃত্যসঙ্গীতবহুল নাটক। কী আশ্চর্য সুন্দর লাগছিল সবাইকে, সত্যিই যেন আর একসাথে পড়া সামান্য মানুষ আর নয় তারা, সত্যি যেন রূপকথারাজ্যের লাল পরী নীল পরী সবুজ পরী হয়ে তারা বেষ্টন করেছে রাজকুমারীকে, ঝলমলে জরিপাড়ের উজ্জ্বল বাসন্তী রেশমী শাড়ীতে অলিপ্রিয়াকে দেখাচ্ছিল সত্যিই যেন সেই রাজকন্যা পারুল, অভিশপ্ত সাতভাইকে যে উদ্ধার করে মানুষরূপে ফিরিয়ে আনে।

তখন ডিজিটাল ক্যামেরার নামও শোনেনি কেউ, সাধারণত ফোটো তোলা হতো স্টুডিওতে গিয়ে। কোনো কোনো করিতকর্মা লোক বড়ো বড়ো কালো কালো ক্যামেরায় ফিল্ম ভরে ফোটো তুলতেন, পরে সেগুলো ওয়াশ করে তবে ফোটো দ্যাখা যেতো। অলিপ্রিয়ার বাবা একটা সেইরকমই বড়ো ক্যামেরা হাতে উত্তেজিত অবস্থায় একবার প্যান্ডেলের এক কোণ থেকে, আরেকবার আরেক কোণ থেকে ছবি তুলছিলেন। হয়তো ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে রেকর্ড করে রাখতে চাইছিলেন মেয়ের অক্ষয় কীর্তি।

অনুষ্ঠান শেষ হলো একসময়ে, ক্লান্ত ও পরিতৃপ্ত মনে ছড়ার দেশে টুলটুলি বুকে নিয়ে ফিরে চললাম বাড়ীর দিকে, আকাশে তখন ফুটকি ফুটকি তারা আর গাছে গাছে জ্বলছে নিভছে হাজারে হাজারে জোনাকি।

( চলমান )


মন্তব্য

ইভা এর ছবি

লইজ্জা লাগে ভালো লাগল । পড়তে পড়তে ছেলেবালার কথা মনে পরছিলো টুকরো টুকরো নানা কথা কিন্তু অবাক হয়ে লক্ষ করলাম আপনার মত করে ক্লাস থ্রীতে পড়বার সব কথা মনে নেই। কত সময় পার হয়ে গেছে । পরের অংশ পড়বার অপেক্ষায় রইলাম ।

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ইভা। আমারও খুব বেশি ডিটেল যে মনে আছে তা নয়, লিখতে লিখতে লেখার টানে মনে পড়ে যায়। হাসি
আশা করছি পরের অংশ শীঘ্রই দিতে পারবো। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

বন্দনা এর ছবি

দারুন লাগলো তুলিদি, ছোটবেলায় স্কুলের নাচের সেইসব অনুষ্ঠানের কথা আসলেই ভোলা যায় না।খেলাধূলায় ভালো ছিলাম, কিন্তু নাচগান কোন্টাই শেখা হয়নি, তাই আমাদের বেলার নাচগান করা মেয়েদেরকে খুব হিংসা হত।এরা এত ভালো গান করে এত ভাল নাচ করে আমি পুরাই বেগুন।বিশেষ করে নাচের মেয়েদের সেই নাচ দেখলে চোখে পানি চলে আসতো তুলিদি।বাবামা কোনদিন নাচগান পছন্দ করতেননা, এগুলা শিখতে দেবার তো প্রশ্নই উঠেনা। তবে আমি নিজের ইচ্ছেতেই টিভিতে নাচের অনুষ্ঠান খুব নিষ্ঠার সাথে দেখতাম শিখতাম।

তুলিরেখা এর ছবি

হ্যাঁ, আমারও সেই ছোটো বয়সে নাচ গান ইত্যাদি শিখতে ইচ্ছে ছিলো, উপায় ছিল না। অভিভাবকেরা চান নি, সেখানে একেবারে যাকে বলে কঠোর "না"। প্রথমে বুঝতে পারতাম না কেন, চারপাশের আর পাঁচটা বাচ্চা যা করতে সুযোগ পায়, আমি কেন পাবো না? আমি কেন আলাদা হয়ে থাকবো? সমাজের অংশ আমি হবো কেমন করে তবে? পরে বড় হয়ে বুঝলাম আসলেই এই "কেন"র কোনো মানে নেই, অভিভাবকের ব্যক্তিগত মতই সব, কারণ তিনিই অর্থ যোগানদার ও সকল মতামত যেগুলো কার্যকরী হবে তার যোগানদার। বাড়ীতে টিভিও ছিল না যে টিভির অনুষ্ঠান দেখে শিখবো। টিভির ব্যাপারেও অভিভাবক কঠোর বিরোধী ছিলেন, বলতেন টিভি দেখলে ছেলেপিলে গোল্লায় যাবে, পড়াশোনা হবে না।

একটু বড় হয়ে নিজেকেই বিকল্প পথ খুঁজে নিতে হলো সময় ভরিয়ে নেবার। আসলে সবার জন্যই কিছু না কিছু পথ মনে হয় রাখা থাকে, সেটা খুঁজে নিতে পারলেই আনন্দ। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তারেক অণু এর ছবি
তুলিরেখা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

স্যাম এর ছবি

শুক্রবার এ পড়ার তালিকায় আপাতত নিয়ে রাখলাম ----

তুলিরেখা এর ছবি

স্যাম, সে কী???? আজকে পড়বেন না??? চিন্তিত
অফ টপিক, আপনাকে কি অন্য কোথাও লিখতে দেখেছি? অন্য বাংলা সাইটে? যেমন বাংলালাইভ বা গুরুচন্ডালি? আশা করি কিছু মনে করলেন না। আপনার লেখার স্টাইল কেন জানি চেনা চেনা লাগে। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

স্যাম এর ছবি

ঐ লেখাগুলো কী ভালো ছিল? তাহলে আমার শয়তানী হাসি

নারে ভাই - সারাজীবনে সব মিলে হাজারখানেক বাংলা শব্দ লিখেছি - তার সব ই সচলায়তনে -
তবে লেখার চাইতে বেশি ব্যবহার করেছি চলুক - হাহহাহহাহহাহহা - আপনার লেখাটা আর কালকের জন্য রাক্তে দিলেন না - স্যুটকেস 'কেস' মিলে জাওয়ার পর দেখি এবার কি লিখলেন...

তুলিরেখা এর ছবি

পড়া হলে বলবেন কিন্তু কেমন লাগলো এই কিস্তি হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অরণ্যের হুঙ্কার এর ছবি

ভাল লাগলো হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সত্যপীর এর ছবি

পাড়ার প্রোগ্রামে আমরা পিছনে বসে থাকতাম আর ভয়ংকর বেসুরে কেউ গাওয়া শেষ করলে চিৎকার জুড়তাম "ওয়ান মোর ওয়ান মোর"। একবার ছোট একটা মেয়ে গানে টান দিয়েছে "মিলঅঅঅঅঅঅঅঅঅন হবে কতওওওওওওওওও.........", আর আমরা পিছন থেকে টান দিলাম "দিইইইইইইইইনেএএএএএএএএ" হাহাহাহাহাহা। পাড়ার চাচারা ধমক দিত পিছনে ফিরে খাইছে

..................................................................
#Banshibir.

তুলিরেখা এর ছবি

আপনারা সত্যিকার রসিক মানুষ, আরে ঠিকঠাক সাপোর্ট দিলে তবেই না শিল্পী আর দর্শকশ্রোতার মিল হবে! হাসি
আমাদের পাড়ার প্রোগ্রামে বহুবিধ কেলেঙ্কারি হতো, "কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের" বলতে গিয়ে একজন "রবিগুরু কবীন্দ্রনাথের" বলে ফেলেছিল। খাইছে
এক নাটকে "মহারা-আ-আজ, হাঁড়ি নামাইয়া দেখি মাংস নাই!" ডায়ালগ ভুলে একজন বলে ফেলেছিল, "মহারা-আ-আ-আ-জ, মাংস নামাইয়া দেখি হাঁড়ি নাই! " খাইছে

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

খালি কৈশোর, যৌবনের কথা মনে করিয়ে দেন ! চলুক

তুলিরেখা এর ছবি

তাই বুঝি? হাসি
আপনিও লিখতে শুরু করুন না আপনার ছোটোবেলার কথা! হাসি
ভালো থাকবেন।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।