বয়স

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: মঙ্গল, ১৬/০৭/২০১৩ - ১:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মোহনপুর গ্রামের জয়নালের স্ত্রী প্রাপ্তবয়স্কা ছিলেন সন্দেহ নেই। তবে তার মেয়েটি কিশোরী ছিল। পাশাপাশি ঘরে মা মেয়েকে ধর্ষণ করে পাকিস্তানী বাহিনী। মা শুনতে পায় কন্যার আকুতি, অপ্রাপ্ত বয়স্ক কন্যা শুনে মায়ের আকুতি। অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েটি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।

আনোয়ারের স্ত্রী অবশ্য অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিল। আগস্টের শেষের দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেয় আনোয়ার। দালালদের কাছে খবর পেয়ে পাকবাহিনী এসে দেখতে পায় কোরআন পাঠরত আনোয়ারের সতের বছর বয়সী স্ত্রীকে। পরদিন তারা কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে সে কোথায় আছে কেউ জানেনা। আছে নিশ্চয়ই এই বাংলার মাটিতে পচা গলা লাশ হয়ে মাটির সাথে মিশে নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করে কোথাও না কোথাও।

কাদের মোল্লার নেতৃত্বে ২৬শে মার্চ হত্যা করা হয় আলী ও তার পরিবারকে। জবাই করা হয় আলীর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে। যে ছেলের জন্মই হয়নি তার বয়স কত বলা যায়? সাথে তার দু'বছরের বাচ্চাকে মারা হয় আছাড় দিয়ে। হত্যা করা হয় এগার বছরের আরেক কন্যা আমিনাকে। ও, হ্যাঁ, হত্যার আগে এগার বছরের আমিনাকে একে একে প্রায় বারোজন গণধর্ষণ করে।

জ্যোৎস্না রাণী দাশও অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাকে অবশ্য মরতে হয়নি। তবে চোখের সামনে স্বামীকে মেরেছে বাচ্চু রাজাকার। বিনা চিকিৎসায় মারা যায় তিন ছেলে। তিনজনেই অপ্রাপ্ত বয়স্ক।

পোপাদিয়ায় নিজ গ্রামের বাড়িতে ছিলেন রমা চৌধুরী। বয়স্ক মা ছিল সাথে। আরও ছিল দুই ছেলে, নয় মাসের সাগর, পাঁচ বছরের টগর। দালালরা পথ দেখিয়ে নিয়ে আসে পাকিস্তানী সৈনিককে। বয়স্ক মা আর অপ্রাপ্ত বয়স্ক দুই ছেলের সামনেই তাকে ধর্ষণ করা হয়।

চট্টগ্রামের বধ্যভূমি ফয়েজ লেকেই বিহারীরা রাজাকার কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে হত্যা করে হাজারে হাজার মানুষকে। সেখানে শতশত বয়সের ভারে ন্যুজ হয়ে যাওয়া বৃদ্ধ ছিলেন, বৃদ্ধা ছিলেন, শত শত কিশোর ছিল, কিশোরী ছিল, শিশু ছিল।

কাদের মোল্লার নেতৃত্বে মার্চে কবি মেহেরুন্নিসাকে তার দুই ভাই সহ জবাই করা করা হয়। সাথে তার বৃদ্ধা মাকেও।

মনু নদীতে উস্তার আর সিরাজুল দুই ভাইকে মেরে, পাশের বড়বাড়ি পাহাড়ে নিয়ে মারা হয় তাদের বৃদ্ধ পিতাকেও।

ময়নামতি সেনানিবাসে ভাষা সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে যখন হত্যা করা হয় তার বয়স ছিল পঁচাশি, দর্শনবিদ্যার অধ্যাপক জি সি দেবের বয়স ছিল চৌষট্টি।

রানী চৌধুরীর সন্তানকে যখন বেয়নেট দিয়ে মারা হয় তার বয়স ছিল চার দিন।

... এই লেখাটা আমি এখানেই শেষ করি। এই লেখা লিখতে গিয়ে আমাকে যা যা পড়তে হচ্ছে তার ভার বইবার ক্ষমতা আমার নেই। যাবার আগে শুধু বলে যাই, বয়সের কারণে গোলাম আযমকে মৃত্যুদণ্ড না দেয়া আমি সমর্থন করবো। আমাকে শুধুমাত্র যেই কয়জনের কথা বললাম এদের একজনকে ফিরিয়ে দিন। এদের কেউ অনেক বয়স্ক, কেউ অপ্রাপ্ত বয়স্ক, কেউবা জন্মানোর সুযোগটিও পায়নি। এদের অন্তত একজনকে ফিরিয়ে দিন বয়সের দোহাই দিয়ে। না পারলে ওই বয়সের দোহাই এর মুখে আমি পেচ্ছাব করি।

(সচলের আইন ভেঙ্গে প্রথম পাতায় আরেকটা লেখা থাকতেই এই লেখা দিয়ে দিলাম। কোন রকম আইনের প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা অন্তত আজকের দিনে আমার নেই।)


মন্তব্য

সত্যপীর এর ছবি

শুয়োরের বাচ্চাদেরই দিন.

..................................................................
#Banshibir.

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

মন খারাপ

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু এর ছবি

যাদের গভীর আস্থা আছে আজো মানুষের প্রতি,
এখনো যাদের কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হয়
মহৎ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা
শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

'মা তোর বদন খানি মলিন হলে আমি নয়ন জলে ভাসি'

মন খারাপ

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

^_^ এর ছবি

মন খারাপ মন খারাপ :( মন খারাপ ............

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

৪৩ বছর ধরেই এই ভার বয়ে বেড়াচ্ছি। মন খারাপ

আয়নামতি এর ছবি

.....

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

কোন রকম আইনের প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা অন্তত আজকের দিনে আমার নেই

আমারও নেই............. মন খারাপ

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

মেঘা এর ছবি

ভাষাহীন মন খারাপ

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

ঘুমকুমার এর ছবি

বয়সের দোহাই এর মুখে আমি পেচ্ছাব করি

মন খারাপ

অমিত এর ছবি

আমার ধারণা এই শয়তান জানোয়ারটা আসলেই আরও নব্বই বছর বাঁচবে। ২০৭১ সালে বাংলাদেশের জন্মের একশ বছর পূর্তিতে এই শুয়রটাকে বলা হবে স্বাধীনতার রূপকার। কিছুই অসম্ভব না !

চরম উদাস এর ছবি

আমারও তাই ধারণা

সত্যপীর এর ছবি

২০৭১ পর্যন্ত অপেক্ষা করার দরকার নাই, শুয়োরের বাচ্চাটারে এখনই স্বাধীনতার রূপকার ঘোষণা দেওয়া হইছেঃ

..................................................................
#Banshibir.

সাগর রহমান এর ছবি

লেখকের সাথে সহমত,
সহমত,
সহমত।

বাপ্পীহায়াত এর ছবি

মন খারাপ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

রেগে টং

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর এর ছবি

মূলধারা ৭১, একাত্তরের ডায়েরি, যুদ্ধ ও নারী, আমি বীরাঙ্গনা বলছি, রাইফেল রোটি আওরাত,
একাত্তরের স্মৃতি, একাত্তরের গণহত্যা ও নারী নির্যাতন--- কলজেতে জোর জমাতে হয় এরকম বইগুলো পড়তে নিলে...

ঐসব ভুলে যেতে আসুন বরং ' আসুন, গণিত শিখি।
৯০ বছর মানে কত দিন? কত মিনিট? ৯০x৩৬৫x২৪x৬০ = ৪৭৩,০৪,০০০ মিনিট।
৩০ লাখ খুনের দায়ে এত মিনিট মানে জনপ্রতি মাথাপিছু কত মিনিট? ৪৭৩,০৪,০০০/৩০ লাখ = ১৫ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড মাত্র।
ব্যস, এইই তো।
কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে?'

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রামগরুড় এর ছবি

একটা কথাই বার বার মনে হচ্ছে, "Dogs can lick their balls, why? -- beacuse they can."

একটা অদ্ভুত দৃশ্য কিছুতেই মাথা থেকে তাড়াতে পারছিনা। খালি বার বার মনে হচ্ছে একজন টুপিমাথায় শ্মশ্রুমন্ডিত বৃদ্ধ কুকুর তার অন্ডকোষ চাটতে চাটতে কুঁতকঁতে চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বলছে -- "তোরা হামার বালডাও ছিঁড়তি পাইরলিনা রে..."

আসিফ এর ছবি

চরম উদাস প্রথম পাতায় প্রকাশিত আপনার দুইটা লেখাই খুবই ভালো মানের ত্যানা হইছে।

আমার ভালো লাগছে আপনি গোলাম আজমের রায়ে চরম হতাশ হইয়া সচলায়তনের আইন ভাইঙ্গা প্রথম পাতায় দুইটা লেখা দিছেন। কিন্তু লেখা দুইটার কোথাও খুইজা পাইলাম না আপনি সরকার-জামাত সম্ভাব্য আঁতাতে হতাশ, ইন ফ্যাক্ট দুইটা লেখার কোন জায়গাতেই সরকার বা আওয়ামী লীগ এই দুইটা শব্দ খুইজা পাইলাম না। আমি সচলায়তনে এই বিষয়ে প্রকাশিত সবগুলি লেখাতেই চোখ বুলাইলাম। নজরুল ভাইয়ের লেখাটা ছাড়া আর কোথাও আওয়ামী শব্দটাই খুইজা পাইলাম না। অবশ্য সন্দেশ সরকারের মন্ত্রীদের মন্তব্যে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। ব্যস এই হইলো আপনাদের অনুভূতির প্রকাশ! আপনি রাক্ষসরে ঘৃণা করা শিখাইতে আসছেন, থুতু দিয়া মাইরা ফালাইবেন, কিন্তু কোন আঁতাতে রায়ে স্ববিরোধী কথা থাকে সে ব্যাপারে টু শব্দও করবেন না এইটা হইতে পারেনা। এট লিস্ট আমি মানি না।

আপনারা সাহিত্যিক (?) মানুষ, অনেক সিম্বলিক কথা বলেন। অনেক কথা সরাসরি বলেন না, কখন কে কোথায় মাইন্ড করে ফ্যালে তাই ভেবে। আমার ভাব প্রকাশের ক্ষমতা সীমিত, যা বলার তাই সরাসরি বলি - আমি কোন আঁতাতের রায় মানি না, গোলাম আজমের ফাঁসি চাই, ত্রিশ লাখ মানুষের হত্যার পেছনের মূল সহায়তাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

ভালো কথা, আপনি হাসি কর্মসূচী পালন করেছেন তো? আপাতত এইটা করেন, একটা অট্টহাসি বা মলিন হাসির ইমো দিয়া যান। মন একটু হইলেও ভাল হবে।

চরম উদাস এর ছবি

কিছু বলার উৎসাহ বা এনার্জি কোনটাই আপাতত নাই। ধরে নেন, সচল আওয়ামিলীগ থেকে বড় টাকা পয়সা পায় তাই মন খুলে লীগকে গালি দিতে পারেনা। নজরুল ভাই ভাগে টেকাটুকা কম পাইছে বলে একমাত্র উনি সরাসরি লীগকে গালি দিছেন।

আসিফ এর ছবি

রিচার্জ হয়ে আসেন, তারপর লেখেন। সচল আওয়ামী লীগের কাছ থেকে টাকাপয়সা পায় এজাতীয় হাস্যকর কথা বলার দরকার নাই। আপনার লেখা ভালো লাগে, তাই নিয়মিত পড়ি। লেখার যেটা খারাপ লাগছে, সরাসরি বলছি - মাইন্ড খাওয়া ঠিক না।

প্রসঙ্গত বলতে পারি ইশতিয়াক রউফের লেখাটা সময়োপযোগী আর বাস্তবতার সবচেয়ে কাছাকাছি।

ভালো থাকবেন।

সুরঞ্জনা এর ছবি

তা আপনার এত কথা আছে যখন পেটে, চরম উদাস কেন এই লিখলোনা সেই লিখলোনা না বলে নিজে একটা লেখা দিলেন না কেন? সেখানে আঁতাত হয়েছে না কি হয়েছে সেটা বলেন ডিটেইল, কেউ মানা করেছে?

হুদাই এসে ঝাড়ি নিয়ে কি উদ্ধার করলেন আপনি? অন্যদের যা উদ্ধার করতে বলেন সেটা নিজে করবেন না, আর অন্যরা বসে আছে আপনার মর্জিমাফিক টেইলর করে করে পোস্ট দেয়ার জন্য।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

আসিফ এর ছবি

আমি আগেই উল্লেখ করেছি আমার ভাব প্রকাশের ক্ষমতা সীমিত। তাই হয়তো ব্লগ না লিখে এখানে এসে মন্তব্য করছি।

চরম উদাস কি লিখলো বা লিখলো না তার চেয়ে আমার কাছে বড় কথা সচলায়তনের ব্লগাররা কি লিখলেন না। আপনি সেটা অনুধাবন করতে অক্ষম হয়েছেন। আঁতাতের ব্যাপারে ইশতিয়াক রউফের লেখাটার ৪র্থ প্যারাটাই যথেষ্ট, যদি আপনি তার লেখা বা বিশ্লেষণকে গ্রহণ করতে চান-

এর পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে জামায়াতের সাথে আওয়ামী লীগের সখ্য, যেকোনো কৌশলে বিএনপি থেকে জামায়াতকে পৃথক করার চেষ্টা, হেফাজতকে সংসদে আসন ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, ইত্যাদির কানাঘুঁষা শোনা গেছে। বাচ্চু রাজাকারকে সবার চোখের সামনে থেকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে। গোলাম আজমের মামলার আগে গওহর রিজভি এবং সালমান এফ রহমানের সাথে জামায়াতের ব্যারিস্টার রাজ্জাকের গোপন বৈঠকের খবর প্রকাশিত হয়েছে। সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর সাফাই সাক্ষী দিতেও যাচ্ছেন এই সালমান এফ রহমান।

আমি ঠিক জানি না কেন আমার মন্তব্যকে আপনার ঝাড়ি বলে মনে হচ্ছে। ওয়েল আমি অন্যদের কিছু উদ্ধার করতে বলি নাই, টেইলর মেড পোস্ট এর দাবীও করি নাই। শুধু সচলায়তনের ব্লগারদের আওয়ামী লীগ/সরকার বিরোধী মন্তব্য/পোস্ট প্রদানে অনীহাটা দেখিয়ে দিতে চেয়েছি।

সচলায়তনের একজন পাঠক হিসাবে এটা আমি করতেই পারি।

হিমু এর ছবি

তো নজরুল ইসলাম, ইশতিয়াক রউফ, খোদ সচলায়তনের মুখপাত্র সন্দেশ কি সচলায়তনের বাইরের ব্লগার নাকি?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

তবে নিজেই লেখো নাকো একটি কবিতা... রেগে টং

মুজতবা আলীর কাছে "সোনার তরী" কিংবা কাজী নজরুলের কাছে "মেঘনাদবধ" লেখার আবদার ধরলে ক্যাম্নে কি?

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মৃষৎ এর ছবি

আপনার একমাত্র উদ্দেশ্য মনে হৈল কোন ভিত্তি ছাড়া লেখককে গালাগালি করা!

লেখকের দুই লেখায় কার উপর বিষোদগার হৈছে সেইটা বোঝার ক্ষমতা আপনার নাই। আওয়ামী লীগ আঁতাত করছে এইটা প্রমাণ ছাড়া একজন কীভাবে বলবে আমি বুঝি না। তবে আওয়ামী লীগ ৭১ এর সাথে বেঈমানি করছে এইটা 'তারা যে রায়ে সন্তুষ্ট হৈছে বা মেনে নিছে' তা থেকে বোঝা যায়!

বাপ্পীহায়াত এর ছবি

কস্কি মমিন!
আসিফ,
খেলার সাথে পলিটিক্স মেশাবেননা
আম্লীগের সাথে রাজাকারদের প্যাঁচাবেননা

কলরব সেকশনে বদ্দার (সুমন চৌধুরী) মন্তব্য দেখেন। ডাইরেক্ট আম্লীগরে গালি দিয়ে কি হবে? সরকার কি আমাদেরকে কেয়ার করে? এখন কলিকালের যুগ - সরকারকে গালি দিয়ে সচলায়তন কি প্রমাণ করবে? সরকার এর ফলাফল পাবে, এটলিস্ট আমি দেশে আর কোন রেমিটান্স পাঠাবোনা।

এখনও যদি না বুঝেন তাইলে ডাইরেক্ট বলি আমি আম্লীগের 'অ্যাপোলজিস্ট'। এই রায়ে লীগের কতটুকু প্রভাব আছে তা যানিনা কিন্তু বুকে হাত রেখে এইটা বলতে পারি আওয়ামিলীগ ছাড়া আজকে যদি অন্য কোন সরকার থাকতো তাইলে রাজাকারদের কোনই বিচারই হতোনা।

এইটা ত্যানা প্যাঁচানোর টাইমনা - এখন লীগরে গালি দেন আর বিএনপিরে তেল মারেন, আমাদের দাবী একটাই - গোলাম সহ সব রাজাকারদের ফাঁসি চাই।

আসিফ এর ছবি

@বাপ্পী, আপনার মন্তব্যের জবাব দেব না ভেবেছিলাম, তারপরও আপনার জন্যই লিখছি।

আপনাকে ধন্যবাদ নিজেকে আওয়ামী লীগের অ্যাপোলজিস্ট হিসাবে স্বীকার করে নেবার জন্য। আপনার প্রশ্নগুলো ঠিক অ্যাপোলজিস্টদের মতই হয়েছে। আমি আশা করি আপনার নেত্রীর মতই আপনি গোলাম আজমের বিচারের রায়ে সন্তুষ্ট।

আমি জানি না আপনার পরিবার আপনার পাঠানো রেমিট্যান্স এর উপর নির্ভরশীল কিনা, যদি নির্ভরশীল হয় তবে রেমিট্যান্স আর পাঠাবেন না একথাটা লিখতে পারতেন না। অযৌক্তিক কথা না বলাটাই উত্তম।

আমি ত্যানা প্যাচাই নাই। আর লীগকে গালি, বিএনপিকে তেল মেরেছি কোথায় সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। আমি আমার মন্তব্যে এধরনের কিছু দেখতে পারছি না।

রণদীপম বসু এর ছবি

হা হা হা ! জনাব আসিফ, এই হাসিটা এলো আপনার মন্তব্যের বিষয় পড়ে নয়, মন্তব্যের উদ্দেশ্য খুঁজে ! ভুল জায়গায় আলু-পোড়া দিতে এসেছেন বলে ! হা হা হা !
আমরা প্রাণ খোলে আওয়ামীলীগকে বকাবকি করতে পারি কেননা আমরা এটা জানি যে আমাদের আশার স্থলটাও কিন্তু এখন পর্যন্ত আওয়ামীলীগই। এই আস্থার জায়গাটা আহত হলে আমরা তা প্রকাশ করি অনায়াসে। কেউ কেউ হেফাজতি-বিএনপি জামাত প্রিয়তাকে আওয়ামীলীগকে গালাগালি করে মিটাতে পারে অবশ্যই। কিন্তু ওই গালাগালির সাথে আমাদের বকাবকির যে একটা মৌলিক পার্থক্য রয়েছে এটা নিশ্চয়ই ব্যাখ্যা করে বোঝাতে হবে না। বিএনপি নিজেকে তার কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে যদি মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি হিসেবে প্রমাণ করতে সক্ষম হতো তাহলে নিশ্চয়ই আমাদের আশঙ্কার ক্ষেত্রটা তৈরি হতো না !
মোটকথা আপনাকে এটাই বোঝানো যে, আপনি ভুল জায়গায় ভুলভাবে টোকা দিচ্ছেন।
আর যদি মনে হয় যে ভুলভাবে আপনাকে আঘাত দিয়ে ফেলছি, সেজন্য আগেভাগে দুঃখ প্রকাশ করছি। ভালো থাকবেন।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রণদীপম বসু এর ছবি

মন্তব্যে একটা কড়া বাক্য ব্যবহার করে ফেলেছিলাম, সেটা মুছে দিলাম এজন্যেই যে, এখন সবাই আমরা আবেগে উষ্ণ অবস্থায় আছি খুব সঙ্গত কারণেই। হতে পারে মন্তব্যকারী আসিফও আমার বা অন্যদের মতোই খুব আবেগপ্রবণ হয়ে মন্তব্যটি করেছেন। আবেগের বশে কোন সিদ্ধান্তই আসলে নির্ভরযোগ্য হয় না, কেবল নিজেকে একটু সময় দেয়া ছাড়া।

জনাব আসিফ কি তিনি তাঁর অব্স্থানটি একটু খোলাশা করবেন মন্তব্যে ? অন্তত নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিটুকু যাতে সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

চরম উদাস এর ছবি

ধন্যবাদ রণদা। আমি নিজের কথা বলতে পারি, রায়টা শোনার পর থেকে একরকম ঘোর আর প্রচণ্ড ক্রোধের মধ্যে আছি। কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছা হচ্ছে না, কারো মন্তব্যের উত্তর দিতে ইচ্ছা হচ্ছে না। আসিফ আমার ফেসবুক বন্ধু, আমি নিশ্চিত তারও একই অবস্থা। আমি যতদূর জানি তার অবস্থান সন্দেহজনক না।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক
আজকে আসলে কারোরই মাথার ঠিক নাই... ঠিক থাকার কথাও না... ভদ্রলোকের কথা শুনে আমারও মেজাজ খারাপ হয়ে গেছিল...

যেহেতু, উনাকে চিনিনা, তাই ঊদাস'দার শেষ লাইন মেনে নিয়ে আমরা বোধহয় থামতে পারি...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

চরম উদাস এর ছবি

সবাইকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

মৃষৎ এর ছবি

আপনার একমাত্র উদ্দেশ্য মনে হৈল কোন ভিত্তি ছাড়া লেখককে গালাগালি করা!

লেখকের দুই লেখায় কার উপর বিষোদগার হৈছে সেইটা বোঝার ক্ষমতা আপনার নাই। আওয়ামী লীগ আঁতাত করছে এইটা প্রমাণ ছাড়া একজন কীভাবে বলবে আমি বুঝি না। তবে আওয়ামী লীগ ৭১ এর সাথে বেঈমানি করছে এইটা 'তারা যে রায়ে সন্তুষ্ট হৈছে বা মেনে নিছে' তা থেকে বোঝা যায়!

আসিফ এর ছবি

মৃষৎ এর প্রতি,

অনুমান করি আপনি সচল লেখক মৃত্যুময় ইষৎ, ভুল হলে সরি।

আপনার মন্তব্য পড়ার পর আমি নিজের মন্তব্যটা আবার পড়লাম। কোন জায়গাতে লেখককে গালাগালি করা হয়েছে দেখিয়ে দিলে বাধিত হব।

বিষোদগার কার প্রতি ’হৈছে’ সেইটা বোঝার ক্ষমতা আমার নাই, মাইনা নিলাম। ডাইরেক্ট না বইলা ত্যানা প্যাচাইতে বসলে আমি এই লেখা দুইটার মধ্যে গোলাম আজমের ফাঁসি না হবার দায় বাঙালী জাতির উপরও বর্তায় সেটা দেখাইয়া দিতে পারুম।

আওয়ামী লীগ আঁতাত করছে কিনা সেটা বোঝার জন্য নীড়পাতায় ইশতিয়াক রউফের লেখাটা পড়াই যথেষ্ট। দয়া কইরা পইড়া আসেন।

আপনার শেষ দুই লাইন পইড়া আপনারে চরম উদাসের ‘নরম মানুষ’দের দলে ফেলুম কিনা সে ব্যাপারে চিন্তিত হইয়া পড়লাম।
ভালো থাইকেন।

মৃষৎ এর ছবি

অনুমান সঠিক।

ইশতিয়াক ভাইয়ের লেখা পড়ে লীগের ভুল ভ্রান্তি সমালোচনা পাইলাম কিন্তু আপনি যেই আঁতাত প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছেন সেরকম কিছু পেলাম না! যদিও ফেসবুকে আঁতাত প্রামাণ্য অনেক কেচ্ছা কাহিনি পাওয়া যায় সেগুলো বিশ্বাস করতে বলছেন?

আসিফ এর ছবি

@মৃষৎ,

ইশতিয়াকের লেখা থেকেই কোট করছি -

এর পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে জামায়াতের সাথে আওয়ামী লীগের সখ্য, যেকোনো কৌশলে বিএনপি থেকে জামায়াতকে পৃথক করার চেষ্টা, হেফাজতকে সংসদে আসন ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, ইত্যাদির কানাঘুঁষা শোনা গেছে। বাচ্চু রাজাকারকে সবার চোখের সামনে থেকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে। গোলাম আজমের মামলার আগে গওহর রিজভি এবং সালমান এফ রহমানের সাথে জামায়াতের ব্যারিস্টার রাজ্জাকের গোপন বৈঠকের খবর প্রকাশিত হয়েছে। সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর সাফাই সাক্ষী দিতেও যাচ্ছেন এই সালমান এফ রহমান।

আপনি যদি এখানে আঁতাতের কোন ইঙ্গিত না দেখেন, তবে আপনার সাথে বাক্যালাপ বৃথা।
আর আমি ঠিক কোন জায়গাটায় গালি দিলাম তা বললেন না।

আপনার আর বাপ্পীর জন্য একটু খানি চরম উদাস

সব জায়গা ফেলে সচলে লেখার কারণ একটাই। সচল নরম না। সচলের হাজারো সমস্যা থাকতে পারে, এর সাথে ওর ঝগড়া বিবাদ মান অভিমান থাকতে পারে, সচল অহংকারী হলেও হতে পারে, অতিথি লেখকদের প্রতি কড়া হলেও হতে পারে তবে সচল নরম না। ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা অবশ্যই প্রয়োজনীয়। পৃথিবীতে মানুষ যেমন আছে, তেমনি ছাগু, বলদ ইত্যাদিও আছে। আপনি হয়তো আয়োডিনের অভাবে জন্মসূত্রে বা সৎসঙ্গে পড়ে কর্মসূত্রে বলদ ছাগু ইত্যাদি। দোষের কিছু নেই। বলদ বা ছাগু হওয়া আপনার নাগরিক অধিকার। তেমনি আপনি বলদ বা ছাগু হলে আপনাকে বলদ বা ছাগু বলাও অন্যের নাগরিক অধিকার। কারণ কবি বলেছেন,

কানাকে কানা বলিও না, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিওনা
তবে
ভণ্ডকে ভণ্ড বলিও, বলিতে বলিতে ডাণ্ডাইও
বলদকে বলদ বলিও, বলিতে বলিতে কান্দাইও
ছাগুকে ছাগু বলিও, সাথে অল্প পোন্দাইও

শুভ জন্মদিন ভালোবাসার সচলায়তন। শক্ত মানুষ হওয়ার ধাপগুলো তোমার কাছ থেকেই শেখা। ভদ্রতা আর সুশীলতার মুখোশে থুতু দেয়ার কায়দাটা তোমার কাছ থেকেই শেখা।

মৃষৎ এর ছবি

আঁতাতের ইঙ্গিত আর আঁতাতের প্রমাণ তো এক না। কানাঘুঁষা শোনা মানেই আঁতাত হৈছে তা প্রমাণ করে না- আমার কাছে। লীগ আঁতাত করছে এটা বিগত চার বছরে বহুবারই চাউর হৈছে, এটা একদল মানুষ সুযোগ পাইলেই প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে! কমন ফেনোমেনা।

আপনি এক কাজ করেন- সচলে একটা লেখা দেন, কানা ঘুষা বা ইঙ্গিত না দিয়া বুলস আই প্রমাণ করেন যে লীগ আঁতাত করছে। সেইখানে পরবর্তী আলোচনা করবো।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

এই রায়ের মুখে আমি পেচ্ছাব করে দিই।

অতিথি লেখক এর ছবি

নিজের দেশের মানুষের প্রতি মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধশক্তি যে বীভৎস পাইকারী নৃশংসতা সংঘটিত করেছে ইতিহাসে তার তুলনা মেলা ভার। আর তার পরে তারা যে পরিমাণ ক্ষমা পেয়েছে, পেয়ে চলেছে, ইতিহাসে তার-ও তুলনা মেলা ভার। ইতিহাস কিন্তু কাউকে ক্ষমা করেনা!
- একলহমা

mamun এর ছবি

গণআদালতের ফাঁসির রায়ই বহাল রাখলাম।

নিলয় নন্দী এর ছবি

এই রায়ের জন্য আমরা এতদিন প্রতীক্ষায় থাকিনি।
গোলাম আযমের স্বাভাবিক মৃত্যু নিশ্চিত করা হলো এই রায়ে।

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

ঠিক বলেছেন।

ফাজিল তর্ক  এর ছবি

আর কতো তামশা; উষ্টা মারি কপালে................................., নিজের ।।

রু এর ছবি

হায়রে বয়স!!

অতিথি লেখক এর ছবি

আগামীকাল মুজাহিদের রায়। জানি না কি রায় দিবে,তবে মনে হচ্ছে গরু মাইরা জুতা দানের ধান্দা করতেছে!!
মুজাহিদ 'খা পো' রে যদি ১ কোটি বারও ফাঁসি দেয় তাও ওই বুইড়া হারামী 'গো আ' এর ফাঁসি চাই!!!!

-------------------------
সুবোধ অবোধ

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যতদিন এ দেশের নির্বাচনে কোন রাজাকার দাড়াবে, ততদিন আমি কোন ভোট দেব না। আর একটা রাজাকারেরও যদি ফাঁসি না হয়, তবে আওয়ামীলীগকে এই জীবনে ভোট দেব না।
--------------
মিলন

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে এই লেখাটা কেউ প্রিন্ট কইরা ধরায়া দেক রেগে টং রেগে টং

গৃহবাসী বাঊল এর ছবি

এই রায়ের মুখে পেচ্ছাব করি রেগে টং

কালকে রাতে রায় শুনে অনেকক্ষন তাব্দা খাইয়া বইসা ছিলাম। তারপর মনে হইল সরকার, রাজনীতি, রায় সবি ভ্রান্ত।

একমাত্র রায়ের মুখে পেচ্ছাবই সত্যি। রেগে টং

তানিম এহসান এর ছবি

............................

ধুসর জলছবি এর ছবি

এর চেয়ে ওকে খালাস দিলেও ভাল ছিল, ওকে খুন করার এক্টা সুযোগ থাকত। আর এখন হারামিটাকে স্পেশাল প্রটেক্টশন দেয়া হবে, আমাদের ট্যাক্স এর টাকায় খাবে, ফুর্তি করবে, দুদিন পর পর পিজি হাস পাতালে ভর্তি হবে, আমরা চিকিৎসা দিয়ে ওকে বাচিয়ে রাখব। লক্ষ লক্ষ মানুষ মারার এই হল শাস্তি!!!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

প্রথম দুই প্যারার পর আর পড়তে পারলাম না। সাহস নাই এই মুহূর্তে।

মুকুল চৌধুরী এর ছবি

আইন ঠিক থাকলে, বিচার কেনো এমন হল।
আর সরকার যে হাসিমুখে বিচার মেনে নিচ্ছে, সেটা যে সুবিচার হয়নি তা আমার দেশের আইন কেনো বুঝলোনা।
নিজেকে দেশহীন এক জাতির আংশ মনে হচ্ছে।

আমরা পারলাম না, কিন্তু এই দেশটা থাকবে, এই জাতির কোনো একটা প্রজন্ম এমন একটা কিছু নিশ্চয় করবে যাতে তাদের পূর্বপুরুষের লজ্জা মোচন হয়। এইটুকু আশা হয়ত করতে পারি।

- মুকুল চৌধুরী

অতিথি লেখক এর ছবি

'কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে?'
কিছু বলার ভাষা জানা নেই
ইসরাত

অতিথি লেখক এর ছবি

এই রায়ে আমরা সবাই হতাশ চরম ভাবে।যা প্রকাশের কোন ভাষা হয়তো যথাযত না।
আসিফ ভাই আতত খুজতে বললেন।ভালো কথা,আচ্ছা আততটা কি হবে?ধরে নিলাম আওয়ামিলীগ আতত করেছে।আতত করে ৯০ বছর সাজা দিলে জামাতের কি লাভ?তারা কি এই রায়ে খুশি হবে?এই আতত কি জামাত মানবে?বেকুসুর খালাস না দিলে ওরা সেটাকে মানবেনা।তাহলে ৯০ বছরের সাজা দিয়ে আততটা কিভাবে হবে?সস্তা গল্প অনেক সৃষ্টি করা যায় যার বাস্তবে কোন ভিত্তি নেই।কিংবা আতত করলে এই বিচারি শুরু হতো না।আপনি যে ইশতিয়াক ভাইয়ের রেফারেন্স দিলেন সেগুলো কোনটাই প্রমাণিত না।সব শুনা কথা।আওয়ামিলীগ যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ভোটের মূলা বানিয়েছে বললে সেটা গ্রহনযোগ্য।কারন এইবার তারা বিচারটা অর্ধেক করে বাকীটা শেষ করার জন্যে ভোট চাইবে মানুষের কাছে।এটাই হলো রাজনীতি।আওয়ামিলীগ যদি এই বিচারে সম্পূর্ণ আন্তরিক হতো তাহলে বিচার আরো আগে শুরু করতো,আরো ভালো আইনজীবি নিয়োগ করতো।তাই গঠনমূলক সমালোচনা করতে হবে।

মাসুদ সজীব

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।