একজন জাফর ইকবাল এবং রাজনীতির মোশতাক ও শমশের আংকেলেরা

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: শনি, ২৩/০৫/২০১৫ - ৭:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথমে ভাবলাম আস্ত একখানা এসো নিজে করি লিখে ফেলি। কিভাবে বড় আওয়ামীলীগ হবেন? How to be a Shomser Uncle নামে।পরে হাই তুলে মনে হল অত কথায় কাজ কি। অল্প কথায় কাজ সেরে ভাগি বরং। জাফর ইকবাল কে সেটা আমরা সবাই জানি। দেশের জনপ্রিয় লেখকদের একজন, নামকরা শিক্ষক, কলামিস্ট, বিজ্ঞানী, বুদ্ধিজীবী ইত্যাদি নানা পরিচয় দেয়া যায়। আমার কাছে তার পরিচয় একটাই। তিনি আমাদের আশার বাতিঘর। একের পর এক ভয়ঙ্কর সব অন্যায় হয়ে যাবার পর যখন দেশের সব বড় বড় লেখক বুদ্ধিজীবীরা গাছ ফুল লতা পাখি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তখন এই জাফর ইকবালের মতো অল্প কিছু লোককে দেখি সহজ কথাটা সহজে বলে ফেলতে। বাকিরা যখন রাজামশাই সিল্কের কাপড় পড়েছেন নাকি মসলিন সেই নিয়ে নানা গবেষণা করে যায় তখন এরকম দুই একজন বোকা লোককে এসে মুখের উপর বলতে দেখি, রাজামশাই তো ন্যাংটো! তারপরেও অনেক কারণে অনেক লোকের মন ভরে না। তিনি কেন এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন না, তিনি কেন ওই করলেন না, নিশ্চয়ই তবে তিনি সেই দলের বলে হেঁচকি তুলে কেঁদে যায়। এই বাতিঘরের কি কি সমস্যা, তার আলো কত উজ্জ্বল, তার দেয়াল কত শক্ত এসব নিয়ে যারা আলোচনা করতে চান করে যান। আমার লেখার উদ্দেশ্য বা বিষয় তা নয়। আমার কাছে দোষত্রুটি মিলিয়ে এই বোকা, আবেগপ্রবণ, আশাবাদী লোকটি এখনও আশার বাতিঘর। তাই সেটা মেনে নিয়ে এবারে বরং মোশতাকের এর কাছে যাই।

খন্দকার মোশতাক হেসেছিল কবে সেটা সবাই জানে, কাঁদার কথাটা অল্প লোকে জানে। কলকাতায় বসে মোশতাক একবার ভেউ ভেউ কান্না শুরু করেছিলেন। আশেপাশের লোকজনে জিগায়, মোশতাক ভাই কান্দেন ক্যান। হাপুস নয়নে কানতে কানতে মোশতাক উত্তর দেয়, আর বইলোনা ভাই, শেখ মুজিবের জন্য কান্দি। বাজারে তখন জোর গুজব বঙ্গবন্ধুকে নাকি ফাঁসি দিয়ে দিচ্ছে। সব মঞ্চ প্রস্তুত। তাই নিয়ে মোশতাকের সে কি ভেউ ভেউ কান্না। শেখ মুজিব বেঁচে না থাকলে আমার বেঁচে কি লাভ, শেখ মুজিব মরে গেলে স্বাধীনতা দিয়েই কি লাভ এই বলে গড়াগড়ি দিয়ে কান্না। মূল ঘটনা অন্যখানে। আম্রিকা মামা বাকি সব মোড়লদের সাথে মিলে স্বাধীনতা চাইলে শেখ মুজিবকে আর ফেরত পাইবা না, এরকম একটা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করছিল। সেই প্রোপাগান্ডায় মোশতাক প্রাণপণে তেল ঘি ডালডা রেডকাউ বাটার ওয়েল যা যা ঢালার দরকার সবই ঢেলে যাচ্ছিল। একদিকে বগলে ফাইল নিয়ে তাজউদ্দীন এখানে সেখানে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন যোগানোর জন্য। অন্যদিকে লুঙ্গির খোঁটায় চোখ মুছতে মুছতে খন্দকার মোশতাক 'কি লাভ এই স্বাধীনতা দিয়ে, শেখ মুজিবকে তো বাঁচাতে পারবোনা' বলে বলে স্বাধীনতার মায়রে বাপ করে যাচ্ছিলেন। উদ্দেশ্য একটাই, শেখ মুজিবকে মেরে ফেলা হবে এই ভয় দেখিয়ে পাকিস্তানের সাথে আপোষ করার চেষ্টা। তাজউদ্দীনের থাবড়া না খেলে সেই আপোষ হয়তো করেই ফেলতে পারতেন। যাহোক, বিস্তারিত ইতিহাস জানতে যারা আগ্রহী তাদের জন্য নিচে কিছু লেখা ও বইয়ের সূত্র দিয়ে দেই বরং। আর ইতিহাস হজম না হলে বরং শর্টকাটে মজার গল্প শুনুন বরং। মোশতাকের কান্নার গল্প তো বললাম, এবারে মোশতাকের টুপির গল্প বলি।

crocodile_tears2

চিত্র - মোশতাকের কান্না

মোশতাক বড়ই ধর্মপ্রাণ ছিলেন। ১৯৫৫ তে যখন ভাসানী যখন আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে 'মুসলিম' শব্দ বাদ দেয়ার প্রস্তাব করেন মোশতাকের আবারও গড়াগড়ি দিয়ে কান্নার অবস্থা প্রায়! ধর্মনিরপেক্ষ করার নামে এবার বুঝি আওয়ামীলীগ হিন্দুলীগই হয়ে গেল। প্রসঙ্গত নাস্তিক শব্দটি তখনও আবিষ্কার হয়নি। কলম্বাস ২০১৩ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি নাস্তিক শব্দটি আবিষ্কার করেন। তার আগে মোশতাকরা ধর্মনিরপেক্ষতা মানে হিন্দু বুঝতেন ও বুঝাতেন! দিন যায়, রাত যায় মোশতাকের কষ্ট বাড়ে বৈ কমে না। এর মাঝে ১৯৭১ এসে যায়। কলকাতায় গিয়ে মোশতাক খবর পান কোথাকার কোন কম্যুনিস্ট তাজউদ্দীনকে বানানো হয়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রী আর তিনি হাই কমান্ড এর একজন সদস্য মাত্র। মনের দুঃখে এবার মোশতাক বিলাপ করে কেঁদে বলেন, তাকে মক্কায় নিয়ে রেখে আসতে। তিনি সেখানেই মরতে চান। এই পোড়ার দেশে আর না! মোশতাকের সকল দুঃখের অবসান হয় ৭৫ এর অগাস্টে এসে। ক্ষমতায় এসেই তিনি তখন আবদার ধরেন জিন্নাহ টুপিকে জাতীয় পোশাকের অংশ করার জন্য। টুপি নাই তো আমরাও নাই, টুপি ছাড়া আমরা অসম্পূর্ণ টাইপের জ্ঞানদান করে টুপিকে জাতীয় পোশাকের অন্তর্ভুক্ত করে ফেলেন।

Mostak Tupi

চিত্র - মোশতাকের টুপি

যাই হোক, মোশতাক নিয়ে ম্যালা বকর বকর হয়েছে। এবারে বরং শমশের আংকেলের কাছে যাই।

কে এই শমশের আংকেল? এই যে ইনি এবং ইনারা হচ্ছেন শমশের আংকেল।

Shomser Uncle

চিত্র - শমশের আংকেল

লেজুড়বৃত্তি, চামচামি, তেলবাজি, মোসাহেবি সবই রাজনীতির অংশ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে পদাধিকার অনুসারে সজীব ওয়াজেদ জয় বড় কোন ব্যক্তি নন। আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দেয়ার ইচ্ছা বা যোগ্যতা তার আছে কি না সেটা সময় বলে দিবে। কিন্তু তাতে থেমে থাকবেন কেন শমশের আংকেলরা? পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির গন্ধ শুঁকে শুঁকে তারা ঠিকই হাজির হয়ে যান তেল মারতে, যদি লাইগা যায় এই আশায়। সিলেটের সংসদ সদস্য সামাদ চৌধুরীও ঘুরেফিরে সেই একজন শমশের আংকেল। প্রথমে ডক্টর জাফর ইকবালকে চাবুক মারার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তার কদিন পরেই জয় ইস্যুতে তাওয়া গরম পেয়ে এক পাশে নিজের ছবি, অন্যপাশে জয়ের ছবি বসিয়ে চ্যালাদের রুটি ভাজতে পাঠিয়ে দেন।

Samad

ডক্টর জাফর ইকবালের অপরাধ কি? তিনি কটূক্তি করেছেন। আগে জানতাম কটূক্তি করে লোকে নবী রসুলের বিরুদ্ধে। সেই অপরাধে তাদের কুপিয়ে ঘিলুও বের করা হয়। এখন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধেও কটূক্তি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। জাফর ইকবালের বক্তব্য কি দুর্বোধ্য কিছু? সহজ সরল ভাষায় তিনি বলেছেন, জয়ের এধরণের বক্তব্য মৌলবাদীদের আরও উস্কে দিতে পারে। ব্যাস এতেই হয়ে গেল? সচেতন সিলেটবাসী আর ধান্দাবাজ শমশের আংকেলদের এই কথাতেই কেঁদে বুক ভাসিয়ে জয়কে বাঁচানোর জন্য মাঠে নেমে যেতে হল? অফলাইনের শমশের আংকেল এর পাশাপাশি অনলাইনের শমশের আংকেলরাও পিছিয়ে নেই। যতদিন ডক্টর জাফর ইকবালের কথা আওয়ামী পক্ষে যায় এরা তালি দেয়। কথা বিপক্ষে গেলে নিজের পেমেন্ট হালাল করার জন্য এরা নিজের বাপকেও ছাগু বলে গালি দিতে দ্বিধা করেনা আর জাফর ইকবাল কোন ছাড়। নীতিগতভাবে অন্তঃসার শূন্য একটা দল বিএনপি। এই দেশের স্বাধীনতার সম্পূর্ণ বিপরীতে দাড়িয়ে সন্ত্রাসী মৌলবাদী সংগঠন জামাত। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য এদের একমাত্র ভরসা মিথ্যা প্রোপ্যাগান্ডা। বাঁশের কেল্লা জাতীয় সংগঠন তাদের প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু আওয়ামীলীগকে সাপোর্ট করার জন্য আর তার গুণগান গাওয়ার জন্য বিস্কুট সাপ্লাই করে কেন কিছু অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, অন্ধ আর ধান্দাবাজ লোককে ভাড়া করে নিয়ে আসতে হবে? যারা দিনরাত 'আমরা ছাগু পোন্দাই' বলতে বলতে একে অপরের পুটু মারতে থাকবে নিজেদের বখরার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য? দিনে দশটা গালি দিলে যার নয়টাই যায় নিজের অন্য আওয়ামী প্রতিদ্বন্দ্বীর ভাগে । দিনে দশটা লেখা লিখলে নয়টা জুড়েই শমশের আংকেল ঘরানার তেল ঘি ডালডা। মুক্তিযুদ্ধের সময় কি আওয়ামীলীগকে বিস্কুট দিয়ে লোক ভাড়া করতে হয়েছিল নাকি দ্বারে দ্বারে গিয়ে তরুণদের বলতে হয়েছিল, "যা ভাই একটু জয় বাংলা বলে ডাক দিয়ে আয়, সাথে একটু জয় শমশের আংকেল বলিস। তোর ইন্টারনেট বিলটা আমি দিয়ে দিমু।" ছোটবেলায় ভূগোলে পড়েছিলাম, চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই সূর্যের আলোতে চাঁদ আলোকিত হয়। জামাত বিএনপি চাঁদ হলে আওয়ামীলীগের এই শমশের আর মোশতাক আংকেলরা সূর্য বটে। দিনশেষে এই শমশের আর মোশতাক আংকেলের আলোকেই তারা আলোকিত হয়। আওয়ামীলীগ যত লম্বা সময় ধরে ক্ষমতায় থাকে, এই শমশের আংকেলদের সংখ্যা দিনে দিনে তত বাড়তে থাকে। আরেকখানা ওয়ান ইলেভেন এসে মিলিটারি চোখ রাঙ্গানো শুরু করলে এই শমশের আংকেলদের অর্ধেক গর্তে লুকায় আর বাকি অর্ধেক আংকেল হবার জন্য নতুন কোন ভাতিজা খোঁজে। সব আংকেলদের মুখ তখন থেমে যায়, থামে না শুধু ডক্টর জাফর ইকবালের মতো দুই একজন বোকা লোক। তার যা বলার, যা তিনি সত্য মনে করেন সেটা সহজ কথায় বলেই ফেলেন। সেই সহজ সত্য কথায় কখনো কারো মিলিটারি অনুভূতিতে আঘাত লাগে, কখনো কারো জামাত অনুভূতিতে, আবার কখনো কারো বড় আওয়ামী অনুভূতিতে।

ডক্টর জাফর ইকবালের লেখা পড়ে আমরা বড় হয়েছি। শৈশব জুড়ে ছিল দীপু, হাত কাটা রবিনেরা। সেইসাথে ছিল কপোট্রন, টাইট্রন, ক্রুগোরা। তিনি যদি সেইখানেই থেমে থাকতেন, তবে আজকে তাকে নাস্তিক, ধর্মবিরোধী, সিলেটবিরোধী ইত্যাদি নানা খেতাব পেতে হতোনা। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী আর শিশুকিশোরদের স্বপ্ন জগত তৈরির পাশাপাশি বাস্তবেও দেশের জ্ঞান বিজ্ঞান শিক্ষার অগ্রগতির জন্য কিছু করা, মৌলবাদীকে মৌলবাদী বলা, জামাতকে জামাত বলা, মুক্তিযুদ্ধকে মুক্তিযুদ্ধ বলার ভুতে পেয়ে বসলো যে তাকে। তিনি কোন নেতা নন, তিনি কোন মহাপুরুষ নন। তিনি এমন কোন কথা বলেন না যেটা আমরা আগে শুনিনি বা আমরা জানতাম না। সাদাসিধে সহজ কিছু সত্য কথা বলে ফেলেন শুধু মাঝেমাঝে। যেই সহজ কথা বেশিরভাগ বড় বিখ্যাত মানুষেরা কেউই সহজে বলেনা। কেউ হয়তো ভয় পায়, কেউ হয়তো সহজ কথাকে সহজ মনে করে না। আজকে যখন নাস্তিকতা আর ব্লগার ইস্যুতে আওয়ামীলীগের কেউ খন্দকার মোশতাকের ফেলে যাওয়া টুপিখানা চট করে পরে ফেলে, কেউবা দৌড়ে শফি হুজুরের আশীর্বাদ নিতে যায়, কেউবা মৃত ব্লগারকে আবার নতুন করে কোপাতে থাকে। তখন ডক্টর জাফর ইকবালের মতো দুই একজন অন্তত নাস্তিক হয়ে যেতে হবে সেই ভয় না পেয়ে পাশে এসে দাঁড়ান। পাশে দাঁড়িয়ে জ্বালাময়ী কোন বক্তৃতা দেন না বা কোন আন্দোলনের ডাক দেন না। শুধু নিজের মনের কথাগুলো মতামতগুলো অকপটে সহজভাবে বলে দেন। সেই সহজ কথা বলার জন্যই তাকে বারে বারে নাস্তিক, ধর্মবিরোধী, সিলেটবিরোধী, আওয়ামীলীগের দালাল, ভারতের দালাল আরও কত কি খেতাব পেতে হয়। এর মাঝে সবচেয়ে বেশিবার যে খেতাবটি তার কপালে জুতে সেটা হচ্ছে আওয়ামীলীগের দালাল বা আওয়ামী ঘেঁষা। ডক্টর জাফর ইকবাল কেন আওয়ামী ঘেঁষা সেটা বুঝতে আমার সমস্যা হয়না। আমি অনলাইনে লেখালেখি করি মাত্র বছর চারেক ধরে। এই চারবছরে ইন্ডিয়ার দালাল, ইহুদী, নাস্তিক, ছুপা হিন্দু, ইসরায়েলের চর, ধর্মবিরোধী, বুয়েটবিরোধী, আর্জেন্টিনাবিরোধী, ব্রাজিলবিরোধী, আমেরিকার দালাল, হল্যান্ড এর দালাল সহ নানা খেতাব আমার কপালেও জুটেছে। সবচেয়ে বেশী জুটেছে 'আওয়ামীলীগের দালাল' খেতাব। অনেককে আফসোস করে বলতে শুনেছি, এই লোক তো ভালোই লিখে কিন্তু একটু আওয়ামী ঘেঁষা! এক মুরুব্বী একদিন উশখুশ করে জিজ্ঞেসই করে ফেললেন, আমি কেন আওয়ামী ঘেঁষা। আমি বিনয়ের সাথে উত্তর দেই, আজ্ঞে রাস্তার ডানে গু দেখলে সভ্য মানুষ স্বাভাবিকভাবেই বামে ঘেঁষে আসে, একারণেই। জামাত আমার কাছে গু, বিএনপি সেই গু বহনকারী পাত্র। ডক্টর জাফর ইকবালের লেখালেখিও কেন আওয়ামী ঘেঁষা হয়ে যায় সেটা তো বুঝতে সমস্যা হবার কথা না। যেই মানুষটাই যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, রাজাকার নিয়ে সরাসরি কথা বলবেন তিনি আওয়ামী ঘেঁষা হতে বাধ্য। সেই আওয়ামী ঘেঁষা তকমা লাগা মানুষটাকে যখন আওয়ামীলীগের সাংসদ চাবুক পেটা করতে চান বা অনলাইনে অফলাইনের শমশের আংকেলরা ডক্টর জাফর ইকবাল তাদের নেতার বিরুদ্ধে কটূক্তি করেছেন বলে কান্নাকাটি শুরু করেন তখন ঘুরেফিরে সেই মোশতাকের কান্নার কথাই মনে হয়। তাওয়া গরম পেয়ে সেই কান্নাতে এসে ইনকিলাবও এসে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শরীক হয় "জয়ের প্রতি কটূক্তিকারী নাস্তিক্যবাদের হোতা ড. জাফর ইকবালকে এখনই রুখতে হবে" বলে।

দিনশেষে সহজ কথা একটাই। মোশতাকের শেখ মুজিবের জন্য কান্না আর শমশের আংকেলদের জয়ের জন্য কান্নার মাঝে তফাৎ খুব সামান্যই। বঙ্গতাজ আওয়ামীলীগ ছিলেন, বঙ্গবন্ধু আওয়ামীলীগ ছিলেন। খন্দকার মোশতাক আহমেদ বড় আওয়ামীলীগ ছিলেন! বঙ্গতাজ বা বঙ্গবন্ধু যত বড় আওয়ামীলীগ ছিলেন তার চেয়েও বড় আওয়ামীলীগ যদি কেউ হতে চায় তবে সেই আওয়ামীপনার শুরু হয় বুঝি শমশের আংকেলে আর শেষ হয় খন্দকার মোশতাকে।

প্রাসঙ্গিক -
১। একাত্তরের সেনাপতি - সুহান রিজওয়ান
২। মূলধারা ' ৭১- মইদুল হাসান
৩। মুক্তিযুদ্ধে খন্দকার মোশতাকের রহস্যময় ভূমিকা
৪। মুক্তিযুদ্ধে অন্তর্ঘাত পর্ব : খন্দকার মোশতাক আহমদ


মন্তব্য

রানা মেহের এর ছবি

সচেতন সিলেটবাসী কিন্তু সিলেটের সচেতন বাসী নন।
সিলেটের বিএনপি-জামাতের লোকজন এই নাম নিয়ে জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

এদের একেকজনের একেক ইতিহাস। কেউ শহীদ মিনার ভাঙ্গা মামলার আসামি, কেউ জামাতের বড় কর্তা, কেউ বিএনপির জান প্রান।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

চরম উদাস এর ছবি

কথা সত্য।

এর আগে গুচ্ছ পরীক্ষা বাতিল নিয়ে আর শাহজালালে সিলেটের ৫০% কোটা রাখার আবেদন নিয়ে এরাই মাঠে নেমেছিল।

গুচ্ছ পদ্ধতি বাতিল করায় ‘সচেতন সিলেটবাসী’র সন্তোষ প্রকাশ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত গুচ্ছ ভর্তি পরীা পদ্ধতি বাতিল করে আগের পদ্ধতিতে ভর্তি পরীার তারিখ ঘোষনা করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে আন্দোলকারী সংগঠন ‘সচেতন সিলেটবাসী’। এক বিবৃতিতে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, শাবি কর্তৃপ সিলেবাসীর আন্দোলনের মুখে যৌক্তিক দাবী মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। গুচ্ছ পদ্ধতি বাতিলের দাবীতে সচেতন সিলেটবাসীর ডাকে সাড়া দিয়ে সিলেটের সর্বস্তরের মানুষ গণপদযাত্রা, অবস্থান কর্মসূচী, গণসংযোগ, পথসভা এবং হরতাল পালন করেছে। দাবী আদায়ের এই আনন্দ সমগ্র সিলেটবাসী’র। নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সিলেটবাসীর আবেগ-অনুভূতি ও স্বার্থবিরোধী কোন সিদ্ধান্ত সিলেটের মানুষ কখনো মেনে নেয়নি বরং প্রতিবাদে বার বার রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছে। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় সিলেটবাসী’র প্রাণের প্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কোন চক্রান্ত, হঠকারি সিদ্ধান্ত প্রতিরোধে সিলেটবাসী ঐক্যবদ্ধ। বিষয়টি শাবি কর্তৃপরে সবসময় স্মরণ রাখা উচিত।
সচেতন সিলেটবাসী’র নেতৃবৃন্দ দেরীতে হলেও বোধোদয় হওয়ায় শাবি’র ভিসি ও একাডেমিক কাউন্সিলের প্রতি ধন্যবাদ জানান। বিবৃতি প্রদান করেন সচেতন সিলেটবাসী’র স্টিয়ারিং কমিটির আহবায়ক ভাষাসৈনিক অধ্য মাসউদ খান, যুগ্ম আহবায়ক ব্রিগেডিয়ার (অব.) জুবায়ের সিদ্দিকী, প্রফেসর কর্ণেল এম. আতাউর রহমান পীর, প্রফেসর আতাউল হক লস্কর, প্রধান মুখপাত্র লে. কর্ণেল (অব.) সৈয়দ আলী আহমদ, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সচিব ও প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সচেতন সিলেবাসী’র মূল কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি।

গতকাল বুধবার ‘গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীা বাতিল আন্দোলনের প্রধান মূখপাত্র বিশিস্ট শিাবিদ লে. কর্নেল সৈয়দ আলী আহমদ (অব.) স্বারিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ, তাদের ন্যায্য আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ এবং নৈতিক সর্মথনের জন্য সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিপিবি সিলেটের সভাপতি অ্যাডভোকেট বেদানন্দ ভট্রাচার্য, জাসদ সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক লোকমান আহমদসহ সকল সহযোদ্ধাদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতে সচেতন সিলেটবাসীর সকল আন্দোলনে শরীক হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বিবৃতিদাতারা।
বিবৃতি দাতারা হলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীা বাতিল আন্দোলনের আহবায়ক ভাষা সৈনিক অধ্য মাসুদ খান,প্রধান মূখপাত্র জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্য কর্নেল সৈয়দ আলী আহমদ (অব.), শিাবিদ অধ্য আহমদ আলী, যুগ্ন আহবায়ক কর্নেল এম আতাউর রহমান পীর, সদস্য সচিব রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, যুগ্ন আহবায়ক অধ্য আতাউল হক লস্কর, ডা.সায়েফ আহমদ, ডা. নাজমুল ইসলাম, শিা অনুরাগী সালেহ আহমদ খছরু, এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি, অধ্যাপক মাহবুবুর রউফ নয়ন, শহীদ আহমদ চেয়ারম্যান, বাদশা মিয়া লস্কর, তারেক কালাম, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, মাওলানা আসলাম রহমানী, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ডা. হোসেন আহমদ, রফিকুল ইসলাম খছরু, চৌধুরী মোহাম্মদ সুহেল, এমদাদুল হক স্বপন, জাহেদ আহমদ, শহীদুল ইসলাম, আনহার মিয়া, মো. মিজান কোরেশী, জাবেদ আলম কোরেশী, সৈয়দ মোহাদ্দিস আহমদ, শিপন আহমদ ও হাফিজুর রহমান ...

কর্নেল সৈয়দ আলী আহমদ থেকে শুরু করে সিপিবি বাসদ এদের ধান্দাবাজরাও আছে মনে হয় তালিকায়।

জি.এম.তানিম এর ছবি

বঙ্গতাজ বা বঙ্গবন্ধু যত বড় আওয়ামীলীগ ছিলেন তার চেয়েও বড় আওয়ামীলীগ যদি কেউ হতে চায় তবে সেই আওয়ামীপনার শুরু হয় বুঝি শমশের আংকেলে আর শেষ হয় খন্দকার মোশতাকে।

সেই! জগৎ ভরিয়া গেল শমশের আংকেলে।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

হে হল্যান্ডের দালাল চোখ টিপি
এটা না দেখলে পরিস্থিতির মাপজোক পাবেন না, (শেষ পর্ষন্ত দেখবেন)

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি থামাতে পাচ্ছি না গড়াগড়ি দিয়া হাসি

রাসিক রেজা নাহিয়েন

চরম উদাস এর ছবি

দেখছি তো এটা। কদিন আগে শেয়ারও দিয়েছিলাম ফেসবুকে। যতবার দেখি হাসি থামাতে পারিনা। এভারগ্রিন জিনিস হইছে একটা হো হো হো

অনিকেত এর ছবি

গুরু গুরু

মাসুদ সজীব এর ছবি

অনলাইনে আওয়ামি বিপ্লবীদের প্রচলিত কিছু বুলি দিয়ে যাই....
১। যাকে তাকে মোশতাক ট্যাগ দেওয়া আওয়ামি বিরোধীদের এখন ট্রেন্ড হয়ে গেছে।
শিক্ষা: অনলাইনে-অফলাইনে সব আওয়ামিলীগার কে এখন আপনার শেখ মুজিবুরের চেয়েও বড় আওয়ামিলীগার মেনে নিতে হবে।

২। জাফর ইকবাল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লুক, কিন্তু তার সব মতের সাথে একমত নই। কাউকে পূজা করাটা সবচেয়ে অপছন্দনীয়।
শিক্ষা: সাবধান সেই কেউ এর মাঝে শেখ হাসিনা-জয় পড়বে না। পড়লে আপনি সুশীল, ছোপা ছাগু, খাঁসি, এবং জামাতি।

৩। ছাত্রলীগের পিছনে লেগেছেন কেন? ছাত্রলীগের মাঝেও জামাত ঢুকে গেছে। আর এসব ছোটখাট বিষয়ে সময় নষ্ট না করে আমাদের ফোকাস রাখতে হবে রাজাকারের বিচারে। সরকার রাজাকারের বিচারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। বলি রাজাকারের বিচার আওয়ামিলীগ ছাড়া কে করতো? আওয়ামিলীগ না থাকলে এত লেখালেখি করার সুযোগ ও থাকতো না। যারা আজ সরকারের সমালোচনায় মত্ত তারা আসলে আরেকটা ৭৫র পুনরাবৃত্তি চায়।
শিক্ষা: মানুষ খুন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, শেয়ারবাজার লুট, নব্য মোশতাক, আবুল হোসেন, দলীয় টেন্ডারবাজীর অভিযোগ উঠলেই বলতে হবে দেশে এখন রাজাকারের বিচার চলছে! এত বড় একটা বিচার কার্য চলাকালীন অন্য কিছুর দিকে নজর দেওয়া মানে আপনি পাকিস্তান পন্থি। সুতরাং....লাইনে আসুন চোখ টিপি

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

সুসমিত এর ছবি

পঁচা কথার পাশাপাশি উনি রাজনীতির পলিটিক্সটা বোঝেন না। সব কিছু সরলীকরণ করেন। এগুলো ঠিক না।--এই ধরণের ইনায়বিনায় মহাজনী কথাবার্তাও প্রচুর দেখতে পাচ্ছি ফেইসবুকে। খাসা লিখেছেন। হাসি

খেকশিয়াল এর ছবি

এর থেকে আর ভাল করে বলা সম্ভব না। আপনারে স্যালুট!

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

স্পর্শ এর ছবি

আপনার মত যারা ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালায় তাদের জন্যই যত সমস্যা। আগে কী সুন্দর, "ঐ ব্যাটা খ্রাপ, ঐ ব্যাটা ছাগু, ওরে পুন্দাও" বলেই রাজনীতিটা সেরে ফেলা যেত। এখন আবার কে শমশের, কে মুশতাক, আর কোথায় তার টুপি সেসব নিয়েও আপনারা মাথা ঘামাতে বলতেসেন। সহজ লিনিয়ার ইকুয়েশনরে কঠিন কোয়াড্রেটিক ইকুয়েশন বানিয়ে ফেলার জন্য আপনারে ধিক্কার।

এই কারণেই বোলগারদের কুপানো হলে কেউ কিছ্যু কয়না। আর পুলিশের পজ বাটনটা চেপে রাখা হয়।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

সচেতন আর তাদের সচেতনতা'র(!) ভরে 'অচেতন বাংলাদেশ' দিশাহারা!

- ভোরের বৃশ্চিক
--- --- --- --- ---
তোমাদের চিৎকারে
কানপাতা বড় দায়।
তোমাদের ঠোক্করে,
লাল বাড়ে পতাকায়!

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার লেখা। আংকেলরা ছিল, আংকেলরা আছে। সময়ের সাথে সাথে নাম পাল্টায় খালি।

ঠিক বলেছেন, জাফর স্যার আমাদের আশার বাতিঘর। তাঁর আলো দিয়েই হয়ত প্রজন্মের পর প্রজন্ম সামনে চলার আলো পথ দেখবে। আলো কখনই নিভে যাবে না।

এ বিষয়ে সবার লেখা দরকার, সবারই। শমশের আংকেলদের প্রভাবে একদম সাধারণ মানুষেরা পর্যন্ত জাফর স্যারকে ভুল বোঝা শুরু করছে। তারা জানে স্যার আওয়ামীলিগের বিরুদ্ধে কিছু বলেছেন! কি বলেছেন? নাস্তিকদের পক্ষে বলেছেন। ও! তাইলে সিলেটে যা হচ্ছে ঠিকই হচ্ছে! এই হচ্ছে তাদের চিন্তাধারা। এ বিষয়ে যত বেশি লেখা আসবে আমার ধারণা কিছুটা হলেও মানুষ উপকৃত হবে। ব্যাপারটা হয়ত বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধার মত হয়ে গিয়েছে! আমি হাসি। কিছু সত্য কথা বলা, কিছু সত্য কথা লেখাটাও আজকাল বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধার মত কাজ হয়ে গিয়েছে!

রাসিক রেজা নাহিয়েন

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বঙ্গতাজ বা বঙ্গবন্ধু যত বড় আওয়ামীলীগ ছিলেন তার চেয়েও বড় আওয়ামীলীগ যদি কেউ হতে চায় তবে সেই আওয়ামীপনার শুরু হয় বুঝি শমশের আংকেলে আর শেষ হয় খন্দকার মোশতাকে।

কোনই সন্দেহ নেই।
ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না - এই সত্যটা মনে হয় আবারো প্রমাণ হবে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ফারাবী  এর ছবি

শমসের আংকেলদের জ্ঞান হবে না, স্বাভাবিক। কিন্তু আওয়ামী লীগের 'মুসলিম' অভিধাটি আবার ফিরিয়ে আনা দরকার মনে হচ্ছে। দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা টুপি পড়তে শুরু করবেন অতি শীঘ্রই, অনুমান করি হাসি

লেখা চরম লাগল উত্তম জাঝা!

নরম মানুষ এর ছবি

চলুক

শুভ্র দন্ড  এর ছবি

উদাস ভাই সব বুঝলাম, কিন্তু ছুপা হিন্দু আর হলান্ড এর দালাল এর সংগআ টা কি?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মিজান, পিষে ফ্যালো
প্রসঙ্গত, মোশতাক কে মোশতাক বলবেন না! চোখ টিপি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক , দারুণ!

দেবদ্যুতি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এই মোশতাক সেই মোশতাক না রে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নিটোল এর ছবি

চরম! গুরু গুরু

_________________
[খোমাখাতা]

এক লহমা এর ছবি

চমৎকার বিশ্লেষণ! ৫ তারা অবশ্যই।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

ধুসর জলছবি এর ছবি

জাফর ইকবাল স্যার শুধু আমার আশার বাতি তাই না স্যার এখন আমার ফিল্টারিং এও সাহায্য করে হাসি অনলাইন অফলাইন যেখানেই দেখি কেউ স্যার কে নিয়ে আজাইরা বেলাইনে কথা বলছে (স্যারের কোন কথার সাথে গঠনমূলক দ্বিমত এরকম না মুহাম্মদ জাফর ইকবাল নামটা নিয়েই চুলকানি সদৃশ্য আচরণ ) সাথে সাথে আমার মস্তিষ্ক তাকে ফিল্টার করে আবর্জনা বক্সে ফেলে দেয় দেঁতো হাসি :D
লেখা অসাধারণ হইছে হাসি :-) হাসি

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

সরকার চুপ। সকল প্রসঙ্গে চুপ। অভিজিৎ দাকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে হত্যা করা হলো। সরকার চুপ। আরো দুজন ব্লগারকে একই ভাবে হত্যা করা হলো। সরকার চুপ। সেগুলো স্পর্শকাতর বিষয় ছিল! এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অসৌজন্যমূলক অপবাদ এবং হুমকী শুনতে হলো জাফর স্যারকে। তাতেও সরকার চুপ। এটাও সম্ভবত স্পর্শকাতর বিষয়। মোশতাকরা যখন সরকারের মাথায় চেপে বসবে তখন কি সরকারের ঘুম ভাঙবে? নাকি তখনও সেটা স্পর্শকাতর বিষয় হয়েই থাকবে আর দল এবং দেশ দুটো নিয়েই তারা ডুববে?

চমৎকার লেখা চরম উদাস দা। এই স্যাটায়ারগুলো বোঝার মত ঘিলু যেন থাকে সরকারের নীতিনির্ধারকদের, সেই প্রত্যাশা করি। সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

shahaziz এর ছবি

এই ভেবে ভাল লাগছে যে মানুষ সচেতন হচ্ছে। কিন্তু শমশের নামটা কোথা থেকে নিয়ে এলেন ? জ্বালাময়ী ভাষণ গত সপ্তাহেই সর্বত্র শেয়ার দিয়েছি।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

মিজান, পিষে ফ্যালো

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

FARUK HOSSAN এর ছবি

কিছু মুজিব সৈনিক নাম ধারি প্রায় প্রতি দিন জাফর স্যার কে নাশ্তিক বলে এখন বুঝতে পারি এরা আসলে মোস্তাক টুপি নতুন প্রজন্ম

তানিম এহসান এর ছবি

দুর্দান্ত!

মানকচু এর ছবি

চরমের চরম লেখা

অতিথি লেখক এর ছবি

" রাস্তার ডানে গু দেখলে সভ্য মানুষ স্বাভাবিকভাবেই বামে ঘেঁষে আসে, একারণেই। জামাত আমার কাছে গু, বিএনপি সেই গু বহনকারী পাত্র। "- এত ভাল উপমা আর পাইনি রে ভাই।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।