[justify]সম্প্রতি পিএনএএস জার্নালের একটি আর্টিকেলে ভাইরাসের ডুয়েল রোল এর কথা প্রকাশিত হয়েছে। পড়ার পর অনেক আগের একটি কথা মনে পড়ল। আমার ব্লগিং এর শুরুর কথা। সময়টা ২০০৭ এর শুরুর দিকে। ফেইসবুক চিনিনি তখনো। সবে মাত্র একটু একটু করে চিনছি ব্লগ। বেশ উৎসাহ নিয়ে ব্লগস্পটে একটি একাউন্ট করে ফেললাম। বিজ্ঞান বিষয়ক ব্লগ। প্রতিদিনই
[justify]মিন, মিনু, মিনি - এক ভাই, দুই বোন। বয়স সপ্তাহখানেকের মত হল। ছোট ছোট পাখা গজিয়েছে সবেমাত্র। উড়াউড়ির প্রাইমারী ট্রেনিংটাও মোটামুটি রপ্ত হয়েছে তাদের। ব্লাড সাকিং মেথডোলজি সম্পর্কে থিওরিটিক্যাল জ্ঞান রপ্ত করলেও, প্র্যাক্টিক্যাল ট্রেনিংটা এখনো করা হয়ে উঠেনি ওদের। এতদিন তো মা নিয়ে আসতো, আর ওরা আরামসে চুষে খেতো। তবে সেই সুখ বোধহয় আর বেশিদিন থাকার নয়। কারণ জীবনের প্রথম শিকার অতিশীঘ্রি সম
সবার আগে যেটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে মানুষকে সতর্ক করা। আমি যেহেতু দেশে থাকিনা, তাই আমার স্পষ্ট জানা নেই আমাদের দেশের মানুষ এই ভাইরাসটির সংক্রমণ বিষয়ে কতটা সচেতন। পর্যাপ্ত সচেতন নয় বলেই জেনেছি। সেরকম হলে, সচেতন করা প্রয়োজন। দূর্ভাগ্যবশত এই লেখাটি গ্রামের সেইসব মানুষের কাছে পৌঁছবে না যাঁরা সরাসরি নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমনের ঝুঁকিতে রয়েছেন। কিন্তু আমি জানি, আপনারা যাঁরাই এই লেখাটি পড়ছেন সবাই কোন না কোনভাবে গ্রামের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন। আমি নিজে যা করেছি, সেটি আপনাদেরকেও অনুরোধ করি। গ্রামে স্বজনরা যাঁরা রয়েছেন তাঁদেরকে আজকেই একটি ফোন করে সতর্ক করুন। তাদেরকে বুঝিয়ে বলুন নিপাহ ভাইরাস কী এবং এটা কীভাবে ছড়ায়। তাঁদেরকে জানিয়ে দিন কীভাবে সতর্ক থাকতে হবে। স্বজনদের প্রতি এটুকু দায়বদ্ধতা বোধহয় আমাদের থাকা উচিত।
এবার আপনাকে ব্যাকটেরিয়াদের মহাশক্তির কথা বলি। মানুষের কোষ প্রয়োজন মত বদলে নেয়া যায় সে আমরা জানি মাত্র বছর ছয়েক আগে। আর মানুষের শরীরে বসে ব্যাকটেরিয়ারা এই কাজ করছে অন্তত চার হাজার বছর ধরে! এরা মানুষেরই কোষ নিজেদের মত করে বদলে নিতে পারে বলে এই সেদিন দেখালেন তোশিহিরো মাসাকি নামের একজন গবেষক। এরপর থেকে এই বিষয়টা মনে হলেই আমি হেসে ফেলছি! কীরকমভাবে মানুষেরা ব্যাকটেরিয়ার হাতের পুতুল!
পচে যাওয়ার জন্য মরে যাওয়া কোন প্রয়োজন নেই। পচে যাওয়ার জন্য কেবল জন্মানো প্রয়োজন। জন্মের পর থেকেই আপনি প্রতি মুহূর্তে পচে যাচ্ছেন। কীভাবে পচে যাচ্ছেন সেটি বোঝার আগে কীভাবে বেঁচে আছেন সেটি মোটাদাগে বুঝে নেয়া যেতে পারে। একটি কোষের বেঁচে থাকার বর্ণনা দিলেই একটি প্রাণির বেঁচে থাকার নিয়ম বুঝতে পারা যায়।
কোষ একটা আপাত স্বয়ংসম্পূর্ণ জৈবিক সত্ত্বা। অনেকগুলো প্রোিটন মিলে খানিকটা তেল জাতিয় পদার্থ আর শর্করার সঙ্গে একটা থলি বানিয়েছে। সেই থলির ভেতরে বেশিরভাগটাই পানির মধ্যে ডুবে আছে আরো এটাসেটা প্রোটিন, শর্করা, চর্বি, ছোট ছোট যৌগ এসব। আর আছে নানারকমের জটিল কলকব্জা। কলকব্জা তৈরি হয়েছে ওই প্রোটিন-চর্বি-শর্করা মিলিয়েই। এইসব কলকব্জা প্রতিমুহূর্তে ঘটঘট করে কাজ করছে। বেঁচে থাকতে তাদের বিরতি নেই, কেবল খাটনি আর খাটনি। তেল মশলায় চুবানো কলকব্জা ভর্তি প্রোটিন-শর্করার এই থলি হচ্ছে একটা কোষ।
১৬০৫ সালের অক্টোবরের প্রায় শেষ সময় বিছানায় শুয়ে শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন মোঘল সম্রাট আকবর দ্যা গ্রেট। মন-মেজাজ কিছুই ভাল না। অক্টোবরের শুরু থেকেই মোটামুটি লোটা নিয়ে প্রক্ষালন কক্ষে দৌড়া দৌড়ি করতে হয়েছে। নামি দামী কত হাকিম কবিরাজ, কত লতা-পাতা, শেকড়-বাকড়, পানি পড়া খাওয়া হলো কিছুতেই কিছু হয়ে উঠছে না। আর উঠে দাড়াতে পারছেন না। ঘুরে ফিরে শুধু [url=http://www.sachalayatan.com/mir178/45722]সত্যপীরবাবার[
মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংসকারী (Human Immunodeficiency Virus) ভাইরাস, এইচআইভি-র প্রতিষেধক এখন আমাদের হাতের নাগালে! এইচআইভি-র হাত বেঁধে দেয়ার দড়ি (পড়ুন এন্টিবডি) এতদিন তৈরী হতো টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং বা সেল কালচারে। খরচ সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
অনন্ত জলিলের পরের ছবির শেষ দৃশ্যঃ তার বন্দুকে গুলি এক কিন্তু শত্রু দুই। এক নম্বর শত্রু ইউটিউবে ভিডিও আপ্লোডকারি আর অন্যজন সুজন চৌধুরী, যে কিনা তার ভুরিওলা কার্টুন একেছিল। এখন যদি সে একগুলিতে দুই শত্রুকে খতম করতে চায় তাইলে তার রজনিকান্তের বলাকা ব্লেড থিওরি ছাড়া উপায় নাই!!
জাতির ভাইয়া যখন লনটন থেকে আবার দেশে আসবে তার কয়েকদিনের মধ্যেই সে একবার সাধারণ ডায়রিয়ায় (এখন থেকে লেখায় ডায়রিয়া বললে সাধারণ ডায়রিয়া বুঝতে হবে) ভুগবে। কারণ হলো ঢাকায় পারা দিয়েই সে সবার আগে গুলিস্তানের হকার ইয়েছদিনের হাতে বানানো পিয়াজু, চটপটি, চা আর ডেসার্ট হিসেবে ফালুদা খাবে। (এই গ্রুপকে আমরা বলব "নো এক্সপোসার" বা বিদেশী গ্রুপ)
ব্যক্তিগত জীবনে আমি দেখেছি এমনকি খুব সচেতন মানুষের মাঝেও রোগ এবং সংক্রমণ সম্পর্কিত মারাত্মক ভ্রান্তি রয়েছে। কুসংস্কার এবং প্রচলিত ধারনার সঙ্গে দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা মিলিয়ে শিক্ষিত লোকেরাও এসব ভ্রান্তিকে সত্য বলে মনে করেন। এই সিরিজে আলোচনা করা হবে কেন এইসব ভ্রান্তি সত্য নয়, কেন আমরা এসব বিষয়কে সত্য বলে মনে করি, ইত্যাদি প্রাসঙ্গিক বিষয়।