[justify](মাসকতক আগে বন্ধু সচল স্পর্শের কাছ থেকে একটা লিঙ্ক পাই, আসিমভের একটা প্রবন্ধের। বিজ্ঞান ও তার ক্রমঃরূপান্তর নিয়ে মানুষের মধ্যে যে ভুল ধারণা, তার জবাবে এই লেখা। লেখাটি পড়ে ভালো লেগেছিলো, তাই মনে হয়েছে বাংলা ভাষায় লেখাটি শেয়ার করা গেলে অনেকের উপকার হতো। সহজ ভাষায় রচিত লেখাটির অনুবাদ করতে গিয়ে একটু কঠিন করে ফেলেছি হয়তো; তবে লেখাটি পড়ে কেউ যদি বিজ্ঞানের ব্যাপারে আগ্রহী অথবা বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার পথে একধাপও ফেলেন, সেটিই অনেক বড়ো পাওনা হবে। হাতি সাইজের প্রবন্ধটি দুই ভাগে ভাগ করে প্রথম ভাগটি পোস্ট দিলাম আজ। প্রথমদফা প্রুফ দেখে দেওয়ার জন্যে সুরঞ্জনা হক আর দ্বিতীয়দফা প্রুফ দেখায় বুনোহাঁসকে ধন্যবাদ।)
গত বারের লেখায় মেন্ডেল সায়েবের কিঞ্চিৎ বদনামের কথা তুলেছিলাম, তাতে সায়েবের জন্য অনেকে সমব্যথী হয়েছিলেন। এবার তাহলে সুনাম নিয়েই কিছুমিছু কথা হোক, আরেক জীববিজ্ঞানী সায়েবকে নিয়ে। জে.বি.এস. হল্ডেন।
(১)
গত শতকের প্রথমার্ধে হল্ডেন ব্রিটিশ জীববিজ্ঞানের জগতে এক প্রখ্যাত নাম ছিলেন। বায়োমেট্রি অর্থাৎ সংখ্যাভিত্তিক বায়োলজি নিয়ে ওনার সুবিদিত কাজ ছিল। নানা গাণিতিক মডেল উনি আবিষ্কার করেন। (আমাদের জননকোষে পিতা ও মাতার ক্রোমোজমে জিন আদান-প্রদানের যে ঘটনা ঘটে, যাকে রিকম্বিনেশন বলে, তার হার নিয়ে একটা ফর্মুলা দেন; আবার অর্থাৎ জনগোষ্ঠীর হ্রাস-বৃদ্ধির হার নিয়েও ফর্মুলা দেন।)
কিন্তু যে ব্যাপারটার জন্য হল্ডেনকে আমার বিশেষ পছন্দ, সেটা এই, যে উনি শুধু থিয়োরি-ধাঁচের কাজই করতেন না, হাতেকলমে প্রচুর এক্সপেরিমেন্ট করতেন।
স্যার রোনাল্ড ফিশার। প্রখ্যাত স্ট্যাটিস্টিশিয়ান। এবং সেই সঙ্গে বিখ্যাত ম্যাথেমেটিকাল/স্ট্যাটিস্টিকাল জেনেটিস্ট। দুর্ভাগ্যবশত, ইনি স্ট্যাট এবং জেনেটিক্স দুই মহলেই একটা ভ্রান্ত ধারণা বিস্তারের উৎস হিসাবেও সুপরিচিত, যে মেন্ডেল তাঁর সর্বজনবিদিত মটরগাছের গবেষণায় জালি করেছিলেন।
জেব্রা মাসেল (Zebra Mussel) হচ্ছে একধরনের শামুক সদৃশ ছোট প্রাণী। এর স্থানীয় আবাস কাস্পিয়ান সাগরে। ১৯৮৮ সালে দুর্ঘটনাক্রমে ইউরোপিয়ান জাহাজে করে উত্তর আমেরিকার গ্রেট লেকস (Great Lakes) এ চলে আসে। এই প্রাণীটি এখানে এসে সংখ্যায় এত দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে যে মাত্র দুই বছেরের মাথায় লেক এরির (Lake Erie) কিছু কিছু জায়গায় প্রতি বর্গমিটার পানিতে এর ঘনত্ব দাঁড়ায় ৭ লক্ষতে। স্থানীয় মাসেল ও অন্যান্য স ...
নভেম্বরের শেষ দিকে লাউয়াছড়ায় গিয়ে এই বিচিত্রদর্শন মাকড়সা গুলো দেখি। এর আগে কোনদিন এই প্রজাতি তো দূরের কথা, এই গণের কোন প্রানীও মনে হয় চোখে পড়েনি। পরে অন্তর্জাল থেকে জানা গেল এটা Gasteracantha গণের সদস্য। Gasteracantha মানে হল তলপেটে কাঁটা আছে যার। মাকড়সার দেশের পিছের অংশটা, যেখান থেকে জাল বোনার সুতা বের হয়, ওটাই তার তলপেট। এই গণের সদস্যদের পিঠের উপর তিন জোড়া পর্যন্ত কাঁটা থাকতে পারে। তবে সবার কা ...
যুদ্ধে যাওয়ার সময় বর্ম পরার নিয়ম ছিল আগে। কারণ সবার জানা। তলোয়ার, বল্লম অথবা ওই রকমের অস্ত্র থেকে আত্মরক্ষা। এখন অবশ্য সড়কি-লাঠি নিয়ে সেই রকমের যুদ্ধ আর নেই। বদলে গেছে অস্ত্র শস্ত্রের ধরণ। সেই সঙ্গে বদলে গেছে বর্ম-ও। সিনেমায়-টিনেমায় দেখেছি বিষাক্ত গ্যাস থেকে বাঁচতে নাকে-মুখে বর্ম পরে আজকাল। বোমা বিশেষজ্ঞরা ভারী ভারী জোব্বা মার্কা বর্ম পরে বোমা খুঁজতে যায়। আরো কত রকমের বর্ম আছ ...
[j]চট্টগ্রামের অন্তঃপাতী প্রত্যন্ত গ্রামে নিজের খড়ো ঘরে তেলের পিদিম জ্বেলে মাতৃকুলনাশন পরীক্ষার জন্যে রাত জেগে আধোঘুমে প্রস্তুতি নিতে নিতে তিনি নিশ্চয় কখনো ভাবেন নি তাঁর পৌত্র একদিন কৃত্রিম কিডনি আবিষ্কারের একটা দলকে সফল নেতৃত্ব দেবে।
এমনও হয়।
ইউসিএফের (UCSF=ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, স্যান ফ্র্যান্সিসকো) স্কুল অব ফার্মেসি এবং মেডিসিনের যুগ্ম বিভাগ বায়োইঞ্জিনিয়ারি ...
আজ থেকে পঞ্চাশ- একশ বছর পরে কি হবে সেটা কি আমরা বলতে পারি? সহজ কথায় এর উত্তর হবে না, পারি না। কিন্তু যদি বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি তাহলে আমরা একটা ধারণা করতে পারি যে কি হতে পারে। কলেজে থাকতে “ওয়াটার ওয়ার্ল্ড” ছবিটা দেখেছিলাম। ছবিটা বেশ ভালো। সেখানে পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশ ডুবে গেছে, অল্প কিছু মানুষ বেঁচে আছে, কিন্তু তারাও নিজেদের মধ্যে মারামারি কাটাকাটি করছে বেঁচে থাকার জন্য। ম ...
একসময় নৌচালনা আর বাণিজ্য দুটোতেই বাঙালির খ্যাতি ছিল, সিংহল থেকে সুমাত্রা এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। তারপরে একসময় মহাপণ্ডিতরা কালাপানি’র উপর নিষেধাজ্ঞা স্থাপন করলেন, আমাদের দাপটও ক্ষয় হতে শুরু করল। খালবিলের দেশ বাংলায় চাঁদ সদাগরের মত দৃপ্ত সমুদ্রযাত্রীকে ছাপিয়ে মনসার ভুজুংভাজুং ঘরে ঘরে বন্দিত হতে লাগল। অনেকে দুঃখ করেন, রুক্ষ মধ্য এশিয় ...
১.
স্বপ্ন নিয়ে কাঁটাছেড়া এ পর্যন্ত নেহায়েত কম হয়নি, কিন্তু সত্যি করে বললে তার কতটুকুই বা আমরা জানি। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এটুকু বলা যায় স্বপ্নের কথা প্রায়ই আমার মনে থাকেনা, আর যেটুকুও মনে থাকে সেটুকুও বোধহয় অনেকটাই আটপৌরে। কোন উঁচু স্থান থেকে নিচে পড়ে যাওয়া, পরীক্ষার হলে সময় খুব দ্রুত ফুরিয়ে আসছে অথচ একটি প্রশ্নের উত্তরও ঠিকঠাক দিতে পারছিনা বা কোন কিছু আমাকে তাড়া করছে, আমি ক্রমা ...