রবীন্দ্রসঙ্গীত
সমবেতকণ্ঠে
চলো যাই, চলো যাই, চলো যাই —
চলো পদে পদে সত্যের ছন্দে
চলো দুর্জয় প্রাণের আনন্দে
চলো মুক্তিপথে
চলো বিঘ্নবিপদজয়ী মনোরথে
করো ছিন্ন, করো ছিন্ন, করো ছিন্ন —
স্বপ্নকুহক করো ছিন্ন
থেকো না জড়িত অবরুদ্ধ
জড়তার জর্জর বন্ধে
বলো জয়, বলো জয়, বলো জয় —
মুক্তির জয় বলো ভাই
চলো দুর্গমদূরপথযাত্রী চলো দিবারাত্রি
কর...
তিথি (ছদ্মনাম) থাকেন ঢাকা শহরের একটি সরকারি কোয়ার্টারে। বাবা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী একটি বাহিনীর কর্মকর্তা। কলেজে পড়াশোনা করেন। হঠাৎ করেই তার নামে ফেইসবুকে একটি গ্রুপ খুলে ফেললো কারা যেনো। তার ছবি ব্যবহার করা হলো সেখানে। গ্রুপের নাম ‘তিথির (আসল নামটি আমরা বলছি না) প্রেমিক আমরা সবাই’। গ্রুপটিতে তার সম্পর্কে ভয়াবহ রকমের বাজে তথ্য দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় করার যতো রকমের চেষ্টা সবই ...
মাথার ওপর একটা নীলাকাশ ছিল
পায়ের নিচে শিশির মাখা ঘাস ছিল
যেই ছেলেটা কান্না চেপে হাসছিল
তার মনেতে মন খারাপের বাস ছিল।
হাঁটতে গিয়ে হঠাৎ এলো গান মনে
সেই ছেলেটা গাইছিল তা আনমনে
চোখের কোণায় একটু শিশির প্রাণপণে
স্মৃতির সুঁইয়ে ক্লান্ত অভিমান বোনে।
সেই ছেলেটার একটা নিজের ঘর ছিল
সেই মেয়েটা অনেকটা দিন পর ছিল
সেদিন হঠাৎ... দু মনেতেই ঝড় ছিল
(তারপর..) দু দুটো মন এক ঘরে বাস করছিলো।
সেই ছেল...
কবিতা সেতো পড়ছি ও লিখছি কৈশোর জীবন থেকেই। তবুও গদ্যের প্রতি দুর্বলতাও আমার চিরকালীন। গত বইমেলার এই সময়টাতে একবার গদ্য পড়ার ভীষণ নেশা চেপে গেলো আমার। শীর্ষেন্দু, বুদ্ধদেব, সমরেশ, সুনীল, হুমায়ূন, মিলনসহ ব্লগের লেখকদের প্রায় ডজনখানেক বই পড়ে ফেললাম একটানা। ব্লগেও কিছু বইয়ের রিভিউ দিলাম।
এভাবে বিছানায় শুয়ে, টেবিলে বসে কিংবা আধশোয়া অবস্থায় বাসায় আবদ্ধ হয়ে সময় কাটানোর কারণে শরীরে ...
ভূমিকা
(সরাসরি চলে যান প্রথম পাঠে)
আমার ছেলেবেলায় বিটিভিতে “বিন্দু থেকে সিন্ধু” নামের একটা অনুষ্ঠান দেখাতো। আশির দশকের কথা ... কম্পিউটার তখন দেশে আছে হাতে গোণা কয়েকটা মাত্র। টিভিতে সেই জাদুর বাক্স দেখে অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়ে রইতাম, ভাবতাম কী জাদু জানে এই যন্ত্রটা, কীভাবে করে দেয় সব কাজ।
ঘটনাচক্রে আমার বিদ্যা লাভ করা হয় এই গণক প্রকৌশলেই। প্রোগ্রামিং শেখার শুরুটা আমার কাগজে...
বন্ধুর এই চলার পথে হাঁটতে গিয়ে টের পাই এর নানান সীমাবদ্ধতা। আমাকে মুখোমুখি দাঁড়াতে হয় আমার অহংবোধ আর ফেলে আসা দিনযাপনের সঙ্গে। আমি খুব দ্রুত বুঝতে পারি আমার ঘাড়ের বাঁকা রগটাকে যদি সোজা করতে না পারি,তাহলে এই লাইনে ভাত কেন খুদও জুটবে না। নিজেকে ধীরে ধীরে রাবার বানাতে থাকি। এই বানানোর প্রক্রিয়াটি এখনো অব্যাহত আছে। রাবার বানানো মানে ছালচামড়া খুলে বেহায়া হয়ে যাওয়া। যে যাই বলুক,ফু...
সাংবাদিক ও লেখক বিপ্লব রহমান।
সচলদের কাছে তাঁর মূল পরিচয় তুখোড় সাংবাদিক হিসেবে, সচলায়তনে বারাবার তাঁর ইউনিক সব অভিজ্ঞতার ঝাঁপি খুলে ধরেছেন বিপ্লব ভাই।
এবারের বইমেলায় তাঁর অনুসন্ধানমূলক লেখা "রিপোর্টারের ডায়েরী: পাহাড়ের পথে পথে" প্রকাশের মাধ্যমে অফিশিয়ালি লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। বিষয়বস্তুর বিচারে বইটি স্বাতন্ত্র্য খুব শক্তিশালী, এরকম সাহসী প্রকাশ খুবই কম বলেই আম...
অস্ট্রেলিয়ার আজ বড় দুঃখের দিন। যে বৃক্ষ ছায়া বায়ু আশ্রয় দেয়, ঝড়-বৃষ্টি ভূমিক্ষয় থেকে রক্ষা করে, পরিবেশ-প্রতিবেশে ভারসাম্য রাখে, সে বড় নিষ্ঠুর হয়ে উঠেছে। নিজে নিঃশেষ হতে হতে জীবন্ত দগ্ধ করে গেছে শতাধিক মানুষ।
সাময়িকভাবে হলেও এদের সাথে পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকি। এদের হাসি যেমন আমাদের আমোদিত করে, তেমনি কান্নাও আমাদের বিষন্ন আর সঙ্কূচিত করে। ঘরের ভেতর জীবন্ত পুড়ে গেছে। গাড়ি নিয়ে পা...
বুদ্ধদেব বসুর হাতে-লেখা 'প্রগতি'র চৈত্র-১৩৩৩ সংখ্যাটি সংগ্রাহক সংস্করণ হিসেবে বেরুনোর সমূহ সম্ভাবনা এখনো অটুট। সেই পুস্তকটির একটি প্রচ্ছদ তৈরি হয়েছে। প্রচ্ছদ সবাইকে দেখাতে ইচ্ছে করলো। দেখুন। মতের সঙ্গে অমতও দিন।
আঁচল
মা ও মেয়ে ঘুমোচ্চে। আজ প্রায় দুমাস লেখালেখি চাঙ্গে উঠছে। কাশির কারনে বউকে হাসপাতালে থাকতে হল আট দিন। অনেক অনুনয় বিনয়ের কারনে ডাক্তার বাসায় আসতে দিলেন। বউ পেট ভরে ভাত খাবে। মনে মনে ভাবলাম এ যাত্রায় বেঁচে গেছি। কিন্তু নতুন করে বিপদ দেখা দিল তার পর দিন। হাউস ডাক্তার রক্ত পরিক্ষার রিপোর্ট হাতে পেয়ে জরুরী তলব করলেন। এখনতো কাশি নেই, তাহলে আবার নতুন ...