যুগ যুগ ধরে পালিত এক দিবসের নাম 'বিশ্ব ভালবাসা দিবস'। যুগের হাওয়া আমাদের এই ছোট্ট দেশখানাও ছুঁয়ে গেছে। পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন, রোজার ঈদ, কোরবানের ঈদের মত আজ আমরা ১৪ই ফেব্রুয়ারীও বেশ ঘটা করে পালন করি। প্রেমিক-প্রেমিকরা যেমন এই দিনের জন্য অধির আগ্রহে বসে থাকেন, তথাকথিত ব্যবসায়ীরাও এ দিনের জন্য ধুপ-ধুনো দিয়ে দোকানপাট হাট করে অপেক্ষা করেন। আর্চিস, হলমার্ক মালিকরা একচেটিয়া ব্যবস...
সূধী দর্শক
এক সপ্তাহ পর আবার বাংলা ছবির সে যুগের কিছু রোমান্টিক গান নিয়ে হাজির হলাম।
১. সুখে থাকো
প্রথমেই আসছে সেসময়ের সাড়াজাগানো নায়ক জাফর ইকবালের কন্ঠে তারই অভিনীত গান, "সুখে থাকো, ও আমার নন্দিনী"। খানিকটা দেবদাস টাইপের এি গান আশির দশকের মাঝামঝি সময়ে ছ্যাঁকা খাওয়া উঠতি কিশোর/যুবকদের জন্য একটা অবশ্য গাহিতব্য গানে পরিণত হয়েছিলো। আবার মাচো জাফর ইকবালের কল্যাণে সেযুগের নারী...
ছেষট্টি বা ষোলই বলো-
শিকার কে-না হয়!
ষোড়শিনীর বাঁকা হাসি-?
পেলেই ‘খবর’ হয়!
বয়সটা হয় ছেলের যদি
ষোলো কি আঠারো-
শর্ট সার্কিটে হাসির ওয়েভ-!
বাজলো ছেলের বারো!
আর যদি হয় এলোমেলো
বয়সটা চব্বিশ,
খুইয়ে যাবে দিশ-
হাসির ভেতর পাবেই খুঁজে
পুটলি ভরা বিষ!
কিন্তু যদি কানে কানে
বয়সটা হয় ত্রিশ-
বুক করে নিশপিশ
কড়কড়ে নোট থাকলে জেবে
হাসি তো কিসমিস!
ছত্তিরিশ আর বেয়াল্লিশে
কোনই ফারাক নাই
হাসির খোঁচা...
সকাল সাড়ে এগারোটায় ঘুম ভাঙতেই নারী কন্ঠ কানে আসে। বালিশে মুখ চাপা ছিল। রুমে কেউ বোধহয় নাটক কিংবা মুভি দেখছে। আমাদের বয়েজ ইউনিভার্সিটি। ইউনিভার্সিটির সীমানায় মেয়ে কিংবা নারীর প্রবেশাধিকার নেই। এখানে তাই সাউণ্ড বক্স না থাকলে নারীকন্ঠ শোনা যায় না।
বালিশ থেকে মাথা তুলে মশারির ভেতর থেকে মুখ বের করে আশেপাশে তাকিয়ে দেখি রুমে সবাই গভীর ঘুমে মগ্ন, ইমন আধশোয়া হয়ে পত্রিকার দিকে তাকিয়...
রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিল্পী: সুচিত্রা মিত্র
সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে
সার্থক জনম, মা গো, তোমায় ভালোবেসে
জানি নে তোর ধন-রতন
আছে কি না রাণীর মতন
শুধু জানি আমার অঙ্গ জুড়ায় তোমার ছায়ায় এসে
কোন বনেতে জানি নে ফুল
গন্ধে এমন করে আকুল
কোন গগনে ওঠে রে চাঁদ এমন হাসি হেসে
আঁখি মেলে তোমার আলো
প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ওই আলোতেই নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে
Sarthok_Jonom.mp3...
মাঝে মাঝে কিছু লেখা চোখে পড়ে যেগুলো দিন-দুনিয়া সম্পর্কে নিজের পুরনো ধারণাগুলোকে বদলে দিতে পারে। এই লেখাগুলো চোখের সামনে নতুন দিগন্ত মেলে ধরে, পৃথিবীকে নতুন এক আলোয় দেখতে সাহায্য করে। অনেকদিন পরে গতকাল এমনই একটা লেখা পড়লাম মনে হয়।
এর আগের পোস্টে ব্লগার জেরোম সম্পর্কে কিছু বলেছিলাম। ভদ্রলোক ফরাসী, লেখেন দুর্দান্ত। Anglo disease নিয়ে তাঁর লেখা প্রথম যেদিন পড়েছিলাম, মনে হচ্ছিলো এ আমি ক...
যে কোন ধরণের প্রতিক্রিয়া কিংবা মতামত জানানোর জন্যই বোধ করি নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখাটা খুব জরুরী। কিন্তু শাহাদুজ্জামানের “কয়েকটি বিহবল গল্প” বইটির ক্ষেত্রে আমি শুরুতেই কিছুটা প্রভাবিত হয়ে পড়ি, যখন প্রচ্ছদে লাল রঙের বক্সে দেখি, “মাওলা ব্রাদার্স কথা সাহিত্য পুরস্কার ১৯৯৬”। পুরস্কার পাওয়া মানেই সে'টা সুপাঠ্য কিছু (অন্তত ব্যক্তিগত রুচিতে) হবে, এ ধারণা থেকে বের হয়ে এসেছি অনেক...
[১]
নামের এক অংশ হঠাৎ করিয়া হাপিশ হইয়া যাবার কারনে আমার নামটিকে বড়ই দুর্বল দুর্বল ঠেকিতেছে। যোগদানের মুহূর্ত হইতে দেখিয়া আসিতেছি আমার নামের দুই খান অংশ। প্রথম দিকে নামের শেষ অংশকে খসিয়া ফেলিতে চাহিলেও কালের বিবর্তনে উহাকে নামের অংশ হিসাবে বিবেচনা করিতে লাগিলাম। মনে হইত নামে প্রথম অংশ যেন আমার লেখক সত্ত্বার উপরিভাগ আর শেষাংশ যেন নিম্নভাগ। এক সময় মনে হইতে লাগিলো যে ইহাই বুঝি আ...
করিম সাহেবের জাম্বুরা কেনা
করিম সাহেব বাজারে গিয়েছেন জাম্বুরা কিনতে। দোকানী এক গাদা জাম্বুরা সাজিয়ে বসে আছে, সবগুলো দেখতে একই আকারের লাগছে। কিন্তু জাম্বুরা কিনে কিনে চুল পাকানো করিম সাহেব ভালো করেই জানেন, জাম্বুরা যত ভারী হবে, ততো তার স্বাদ ভালো, মজা বেশি।
প্রশ্ন হলো, করিম সাহেব কী করে একগাদা জাম্বুরা থেকে সবচেয়ে ভারীটি বের করবেন।
...
ডারউইন দিবস
অভিজিৎ রায়
গতকাল ডারউইন দিবসকে সামনে রেখে নীচের এই লেখাটা লিখেছিলাম। এর মধ্যে শিক্ষানবিসের র্যালীতে অংশগ্রহনের সৌজন্যে প্রাপ্ত কিছু ছবি রেখেছি এখানে।
১২ ই ফেব্রুয়ারী। ডারউইন দিবস। কিন্তু এ বছরের ডারউইন দিবস আগের অন্য বছরগুলোর তুলনায় অনেক ব্যতিক্রমী। এ বছরের ১২ই ডিসেম্বর ডারউইনের জন্মের দ্বিশতবার্ষিকী আর তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘প্রজ...