১.
একটি মাত্র শপথের জন্য বেঁচে আছি
থাকবোও, আরও কিছু কাল
কেউ দানছত্র থেকে অনন্ত ভালোবাসা বিলোতে পারে না
অর্থনীতির রেভিন্যু সম্পর্কেও সমান প্রযোজ্য
যদি কাঁদি কখনও, ধরে নিও তা যে কোনও শিশুর
জানোইতো মেয়ে শিশু বেশি কাঁদে
আমার জীবন, আমি, সেতো এক খেলনা, কিংবা পুতুল
দম দিয়ে দিতে পারো, সময়মতো
ধরে নিতে পারো আমি তোমার এক ধরনের ব্যাথা
যা তোমাকে জানায় যে, তুমিও বেঁচে আছো।
২.
আমি দাঁড়িয়ে আছ...
দেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুরে যখন প্রথম যাই, তখন সারাদিন ভীষণ খারাপ লাগত। সিঙ্গাপুরের যাই দেখতাম, তাতেই বিরক্ত হতাম। হয়তো বাসে খুব নিরীহ কেউ বসে আছে, সে এত নিরীহ কেন দেখেও মনে হত একটা চড় বসিয়ে দেই। আর ঢাকার যেকোন কিছুর কথা মনে পড়লেই কান্না পেত। আমাদের বিয়ের সময় কটকটে গোলাপি রঙ করা শ্বশুরবাড়ির বেডরুমটা, যেটায় ঢুকলেই এক সময় রঙ দেখে মেজাজ চড়ে যেত, দেশ ছাড়ার পরে দেখা গেল সেটার জন্যও মন কাঁদে। ...
একটা ছোটোকাগজ করবো প্রাণস্রোত নামে। সেখানে সচলায়তনের সৌজন্যে এই পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর ছাপতে চাই। অনুগ্রহ ক'রে মন্তব্যের ঘরে উত্তর দিন।
================================================
০১.
কবি বুদ্ধদেব বসু পাঠকের সঠিক মনোযোগ পেয়েছেন বলে মনে করেন?
না পেয়ে থাকলে এর কারণ কী?
০২.
বু্দ্ধদেব বসুর ভাষান্তর করা বোদল্যার ও রিলকে বাংলা কবিতায় কী
ধরনের প্রভাব রেখেছে বলে মনে করেন?
০৩.
কথা সাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসুকে ...
নাম তার হারুণ-উর-রশিদ। বয়স ১৭। বাংলাদেশের কোন এক গ্রামের ছেলে। তিন বছর আগে তার মা বাংলাদেশী এক লোককে টাকা দিয়েছিল ছেলেকে আমেরিকায় পাঠানোর জন্য। যাবার দুই দিন আগে হারুণের মা ছেলেকে বলেছিল, ‘তুই আমেরিকা যা, ওখানে তোর ভালো পড়ালেখা হবে’। তারপর বাংলাদেশী সেই লোক হারুণকে আমেরিকা নিয়ে আসল। কিন্তু পড়ালেখা করানোর পরিবর্তে সে তাকে নিউইয়র্কের এক বাংলাদেশী পরিবারের কাছে দিয়ে দিল, যে বাসা...
মাঝি নাও ছাইড়া দে
কথা: এস এম হেদায়েত
সুর: আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল
শিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন
মাঝি নাও ছাইড়া দে
ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে
গা রে মাঝি গা কোনও গান
একদিন তোর নাও মাঝি
ভাসবে না রে নীল নদীর জলে
সেদিন তোর গান মাঝি
শুনবে না কেউ গাইবে না বলে
ও কলের নৌকা কাইড়া নিবে সুর
যন্ত্রের নাও ধোঁয়া ছাইড়া
আঁধার করল নীল আকাশটারে
সেই দিন তোর নাও মাঝি
শূন্য হয়ে থাকবে রে পাড়ে
ও চল রে মাঝি যা...
সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড (ইংরেজি ভাষায়: September on Jessore Road) বিখ্যাত মার্কিন কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ রচিত একটি কবিতা যা থেকে পরে গান করা হয়েছিল। কবিতার কয়েকটি লাইন এরকম:
“ Millions of souls nineteenseventyone
homeless on Jessore road under grey sun
A million are dead, the million who can
Walk toward Calcutta from East Pakistan
Taxi September along Jessore Road
Oxcart skeletons drag charcoal load
past watery fields thru rain flood ruts
Dung cakes on treetrunks, plastic-roof huts
Wet processions Families walk
Stunted boys big heads don't talk
Look bony skulls & silent round eyes
Starving black angels in human disguise”
অ্যালেন গিন...
ঢাকায় যাওয়ারর পরদিনই হাতে আসে পূর্ণমুঠি, টুটুলভাইয়ের শুদ্ধস্বর থেকে। যদিও বইটি প্রকাশের পরপরই তিনি দুটি পূর্ণমুঠি আমার এক ভাইয়ের ( তার কলকাতায় আসার কথা ছিল) কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন আমার অনুরোধে কিন্তু সে বই আমার হাতে তখনও পর্যন্ত পৌঁছয়নি। প্রবল এক আকাঙ্খা নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম বইটি হাতে পাওয়ার, প্রথম ছাপা গল্পটি দেখতে পাওয়ার আকাঙ্খা। সে যে কি প্রবল, এখানে অনেকেই তা জানেন। যেভাব...
‘উঁহু, এটা নয়, ওইটা এখানে !’
‘হাঁ হাঁ, এটা ঐদিকে !’
ছিন্নভিন্ন দেহাংশগুলো সাজাতে সাজাতে
সন্ত্রস্ত ফিসফিসানিগুলো গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকে।
পিতার বন্ধুদের সংখ্যা কমতে কমতে সামান্য ক’জনে এসে দাঁড়িয়েছে,
কী আশ্চর্য ! ‘কোলে এসো’ বলে একবারও হাত বাড়ালো না কেউ !
‘কিন্তু এই জায়গাটা খালি যে !’
এমন অদ্ভুত প্রশ্নের নিরুত্তর মর্ম খুঁজে তন্নতন্ন হয় একজোড়া শৈশব আকাশ,
‘আয় বাবা বুকে আয়’ ডাকে যে...
ক্যাপ্টেন সং এর সাথে আমার প্রথম দেখা হয়, সেক্টর হেডকোয়ার্টারের সামনে। প্রথম পরিচয়ে সে আমাকে রীতিমত ভড়কে দিল পরিস্কার বাংলাভাষায় কথা বলে।সে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে নিজের পরিচয় দিল এই ভাবে, “ আমার নাম ক্যাপ্টেন বন্দুক।“ আমি বললাম” What ?” সে পরিস্কার বাংলা ভাষায় আবার তার নাম বলল, “বন্দুক”।আমি মনে করলাম লোকটার মাথায় মনে হয় ছিট আছে কিনচিৎ।পাশে থাকা একজন অফিসার বললেন যে, ও ওর নামকে অনুবাদ ...
কী মনে করিয়া রাজা দুষ্মন্ত একা একা শিকারে বাহির হইলেন কেউ বুঝিতে পারিলো না। এমনকি তিনি কোনো উষ্ট্র, অশ্ব কিংবা নিদেনপক্ষে খচ্চরও লইলেন না। সবাই বলিতে লাগিলো- দেশে শকুন্তলার অভাব পড়িয়াছে, তাই রাজা অভাবমোচনে শিকারে বাহির হইয়াছেন।
দুই.
পথিমধ্যে বিরান প্রান্তরে একা অশ্বত্থ বৃক্ষ দেখিয়া রাজা কিছুকাল থামিলেন। বিশ্রাম লইবেন কিনা ভাবিতে ভাবিতেই বৃক্ষতলে আঁচলখানি সাজাইয়া বসিলেন...