Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

অণুগল্প

মুহূর্তভাবনা

সৈয়দ আফসার এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আফসার (তারিখ: শুক্র, ০৮/০৪/২০১১ - ৮:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই ঠাণ্ডার দেশে ঘরে বসে সিগ্রেট টানা যায় না! যাযাবর জীবনে নিয়মনীতি মানা কষ্টের। তবুও মানতে হয়। আজ হিমবাতাস একটি সিগ্রেট জ্বালাতে তিনটি কাঠি খরচ!... সিগ্রেট টানতে-টানতে আমি নামক আত্মাটি কোথায় হারিয়ে গেছে— আর সেখান থেকে ভাবছে মানুষ প্রকাশে যেমন পোষাকেও সমান। অনেকে আশার সিঁড়ি খুঁজে দেহ দিচ্ছে উপহার… ভাবে, একবার প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেলেই সব নিরাপদ।


জীবন থেকে নেয়া

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৪/২০১১ - ৮:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

জহির সাহেব এর মেজেজ খারাপ। তার টেবিলের ওপাশে বসে থাকা খোঁচা খোঁচা দাড়ির ছোটোখাটো শুকনো গড়নের মানুষটির দিকে তাকিয়ে অনর্থক কয়েকবার গলা খাঁকড়ি দিলেন। তাতেও কোনো কাজ হবে বলে মনে হচ্ছে না। মনে মনে বললেন ‘বেকুব কোথাকার’। নিজের উপর ও এখন তার রাগ হচ্ছে। এতদিনেও তিনি ঘুষ খাওয়াটা ভালমত রপ্ত করতে পারেন নাই। অথচ তার টেবিলের উত্তর দিকের টেবিলটায় বসা রহমত সাহেব কি অবলিলায় পান চিঁবুতে চিঁবুতে চোখের পলকে বাম হাতের কাজ সেরে ফেলেন।


বাইসাইকেল

পাগল মন এর ছবি
লিখেছেন পাগল মন [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৪/২০১১ - ৭:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনুগল্পের সংজ্ঞা কী আমি জানি না, এজন্য এগুলোকে অনুগল্প বলতে সাহস পেলাম না। পরমানু গল্প, হলেও হতে পারে।


সাধারণের দিনরাত্রি

নীলকান্ত এর ছবি
লিখেছেন নীলকান্ত (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৪/২০১১ - ৭:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আচ্ছা, সাধারণ একজন মানুষ যখন বোঝে সে খুবই সাধারণ তখন তার মানসিকতা কেমন হয়?
অসহায়ত্বের??তুচ্ছত্বের?নাকি অসন্তুষ্টির?কিংবা সুখের?
অনেককিছুই হতে পারে।
আমি প্রায়ই এ অনুভূতিগুলোর শিকার হই।
প্রথম প্রথম নিজেকে প্রবোধ দিতাম, “আরে ও কিছু না। সবার মাঝেই কিছু না কিছু লুকানো থাকে।তোরও আছে। অপেক্ষায় থাক।”
কিন্তু নিজের দীনতাকে ঢাকবার চেষ্টা স্ববিরোধী তো বটেই কেমন যেন একটু কষ্টের। পীড়া শুরু হল।


ত্রিচক্র

মনামী এর ছবি
লিখেছেন মনামী (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৪/২০১১ - ১:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]হোসেন মিয়া রিকশা চালায়। যখন প্যাডেল মারতে আর মন চায়না, তখন মেয়ে প্যাসেঞ্জার খুঁজে বের করে। সবচেয়ে ভালো হয় কলেজ-ইউনিভার্সিটির ছাত্রী তুলতে পারলে। যা ভাড়া বলবে রাজী হয়ে যেতে হবে। তারপর উঠে বসলে হুডটা ঠিকঠাক লাগানোর পর কথা শুরু করতে হবে। এই খুচরা আলাপ আর কি। যেমন - মা আপনি কি ইনবার্সিটিতে পড়েন? কথা আগালেই সরাসরি আসল কথায় চলে যায় হোসেন মিয়া। আমি ভয়াবহ বিপদে পড়সি মা, কালকের মধ্যে ৭শ’ টাকা না দিলে আমার মাইয়ারে ইস্কুল থিকা বাইর কইরা দিবো। আমার দুই ছেলে এক মেয়ে মা। অনেক কষ্ট কইরা পড়াশোনা করাইতেসি। ম্যাট্রিক পাশ করলেই মাইয়ার বিয়া দিয়া দিমু। বই-খাতার যেই দাম। আর পারি না...


হাত সাফাই

মনামী এর ছবি
লিখেছেন মনামী (তারিখ: রবি, ২৭/০৩/২০১১ - ১২:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আব্দুল মতিনের শরীর শিরশির করে। বিড়বিড় করে বলে উঠে ‘আহ!’। হাত দুইটা ঢুকিয়ে দেয় দুই উরুর মাঝখানে। ভলভো বাসের দোতলার ঝাঁকুনি আর গায়ের উপর চড়ে যাওয়া মানুষ সবই ভাল্লাগে তার। ডান হাতটাতে এখনও মাখন মাখন অনুভূতি।


নেতার পলায়ন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৮/০৩/২০১১ - ১০:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আবাসিক হলের পেছন দিকের পুকুরটায় লুকিয়ে আছে রাশেদ। পুকুরটার চারপাশ ঝোপে ঢাকা। কচুরিপানায় ভরে গেছে প্রায়। হলের এই পেছন দিকটা বেশ অন্ধকার। হলের ভেতর ব্যাপক তোলপাড় হচ্ছে, শব্দ পাচ্ছে সে। নিশ্চয় প্রত্যেকটি রুম সার্চ করা হচ্ছে রাশেদের খোঁজে। হুট করে পায়ের শব্দ পেল রাশেদ। এই দিকেই এগিয়ে আসছে। ভয়ে সিটিয়ে গেল রাশেদ। বুঝতে পারছে, পুকুরের পাড়ে এসে দাড়িয়েছে। পাথর হয়ে গেল রাশেদ, মোবাইলের আলো ফেলে হচ্ছে পুকুরে।


ছয় শব্দের গল্প-৩।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৮/০৩/২০১১ - ৩:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চেষ্টা-চরিত্র করে আরো কয়েকটা লিখলাম।

২৫। “ব্যথা লাগছে?’ “নাহ”। “তাহলে চলুক।“ “আচ্ছা।“
২৬। নিস্ফলা জমিতে চাষ। দোষ হয় কপালের।
২৭। সারাক্ষণ টিভি কমপিউটরে থাকি। রাইটার্স ব্লক।
২৮। এক শব্দে গল্প? তাও হয়। “না”।
২৯। মেয়েটিকে দেখে কিশোরটি যুবক হয়ে ওঠে।
৩০। পূর্নিমা দেখবো। আলো নেভাও। মুখটা তোল।
৩১। খিদে লেগেছে। হালাল-হারাম কাল দেখবো।
৩২। রিকশাতে চড়ে ভিক্ষুকটি ভাবে, আমিই নবাব।


বিজ্ঞাপন

নিবিড় এর ছবি
লিখেছেন নিবিড় (তারিখ: বুধ, ১৬/০৩/২০১১ - ৪:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০১।

প্রতিদিনকার মত টিউশনী শেষে মেইন রাস্তায় উঠতে বিজ্ঞাপনটা চোখে পড়ে। সাদা কাগজ, ভুল বানান, জড়ানো হাতের লেখা। প্রতিদিনের মত বাসের লাইনে দাঁড়িয়ে বিজ্ঞাপনটায় চোখ বুলাই-

জরুরী বিজ্ঞপ্তী
উপযুক্ত মূল্যে একটি কিডনী বিক্রয় হইবে, ক্রয়ে আগ্রহি হইলে যোগাযোগ করুণ।


অল্প-স্বল্প-গল্প প্রচেষ্টা: এই গল্পটা আমার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৪/০৩/২০১১ - ৭:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লোকটা আমার একদম গা ঘেঁষে বসে। আমি বিরক্ত হই। নাগরিক ভব্যতা বজায় রেখে সে বিরক্তি অবশ্য লোকটাকে বুঝতে দিই না। অর্থপূর্ণ একটা হাসি দিই। লোকটা মনে হয় না আমার হাসির অর্থ ধরতে পারে। আমি আগাগোড়া লোকটাকে একবার দেখে নিই। নিম্ন-মধ্যবিত্তীয় একটা ছাপ লোকটার চোখে মুখে স্পষ্ট। এর ব্যাকগ্রাউন্ড বোঝার জন্যে শার্লক হোমস বা ফেলুদা হওয়া লাগে না। একবার দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন, এই লোক বেশিদিন হয়নি এই শহরে এসেছে। ভয়াবহ