তবু ভালোবাসি তোমায়
জানিনা এ লেখা তুমি পড়বে কিনা? কিন্তু বুকের ভেতর জমে থাকা কষ্টগুলো আর চেপে রাখতে পারলাম না। তাই এই খোলা চিঠি তোমাকে দিলাম। কেমন আছ তুমি? জানি এর কোন উত্তর তুমি দেবে না। অনেকদিন হয়ে গেছে তোমাকে দেখিনা। তোমাকে দেখার তৃষ্ণায় যখন ছটফট করতে থাকি, তখন আর কিছু না পেয়ে ইন্টারনেটের পাতায় খুঁজে বেড়াই তোমাকে। সেখানে তোমাকে খুঁজে পেলেও তোমার মুখটা আমার কাছে অদৃশ্যই থেকে যায়।
আমরা তাকে ডাকবো, মিস্টার এক্স, ঠিক একটা হলিউডি সিনেমার মত। কারণ তার শোবার ঘরটা ঠিক একটা হলিউডি সিনেমার মত এবং তিনি ঘুম ভাঙ্গার পর ঠিক একটা হলিউডি সিনেমার মত যান্ত্রিক চক্রাকার পথে দৌড়াতে দৌড়াতে টেলিভিশন চালু করলেন। স্বাস্থ্যবতী সংবাদপাঠিকা হাসি হাসি মুখে ঠিক একটা হলিউডি সিনেমার মত ব্রেকিং নিউজ উপস্থাপন করলো।
প্রিয় দর্শক এই মাত্র পাওয়া একটি খবরে জানা গেছে যে, পৃথিবী থেকে দারিদ্র দূর হয়ে গেছে।
টেবিলটায় অনেক্ষণ ঝিম মেরে বসে থাকার পর কলম হাতে তুলে নেন লেখক সাহেব। মাথাটা বড্ড ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। কলম ধরা হাতটাকে কাগজের ওপর হাওয়ায় কয়েক পাক ঘুরিয়ে চুলগুলোকে চেপে ধরে হঠাৎই একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন তিনি। আজকে যে একটা গল্প লিখতে খুব ইচ্ছে করছে তার। কিন্তু কী লিখবেন!
বাবলুর মেজাজটা খারাপ। আব্বা এখানে এসে সেই কখন থেকে বসে আছে। নড়েও না চড়েও না। কথাও বলেনা। বাবলু একজায়গায় বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারেনা। তার হাত-পা কামড়ায়। সে অনেকক্ষণ গা মুড়ামুড়ি করেছে । তারপর বলেছে তাকে মশা কামড়াচ্ছে। সেকি একটু ঘুরে আসবে? কিন্তু আব্বার কোনো সাড়া নাই। তারপর ক্ষিদা লাগসে বলে সে শুরু করেছে ঘ্যানঘ্যান। তারও বেশ কিছুক্ষণ পরে আব্বা তার দিকে তাকিয়ে আস্তে আস্তে বললো, বাবলু একটা কাজ করতে পারবি বাবা?
কি?
কাজটা আমরা দুইজন মিলা করবো, বুঝছিস?
কাজটা কি?
লোকজনের কাছে টাকা চাবো
কি বলবো?
বলবি, তোর মা হাসপাতালে, অপারেশনের জন্য টাকা দরকার। আমাদের সাহায্য করেন। পারবি না?
এইটা কি আদৌ কোন গল্প হইল কিনা- জানিনা। গল্প লেখার চেষ্টাও বোধ হয় করিনি। শব্দ নিয়ে কিছু খেলা করলাম মাত্র।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
"ওই, তোরা আরেকটু পা চালায় আগা।"
"কুদ্দুস, তোর লাইগা সবতে বামে হাটতেছে, আরে আরে রহিম, করছ কি? চউক্ষের মাথা খাইছছ? আমাগরে মারবি নি তুই?"
"হ, ওস্তাদ, উপরে থাইকা এইসব কওন খুব সস্তা, এইদিকে আমগোর জানে পানি নাই।"
"হ, এম্নেই এত্তবড় একডা ওজইন্যা জিনিস লইসেন, তার উপর কই আমাদের লগে ধরবেন, তা না খালি উপ্রে থাইকা ফাল পারতাছেন।"
"বাপরে, তগো লাইগাই তো সব, এইডাও বুঝস না! আর উপরে তো কাউরে না কাউরে থাকন ই লাগব, নইলে আর এইটা লইয়া যাওন লাগত না তগো। "
"কেন বাকি লোকগুলারে লইয়া আইলে কি হইতো, খালি আমাগোর উপর দিয়া সবতে খাইব ক্যান?"
[justify]পিচ্চিবেলায় আমার বিকাল-সন্ধ্যা গড়াইত ক্রিকেট খেলিয়া। সুদূর মালয়-মুল্লুকে আকরাম-বুলবুল বাহিনীর বিজয়ের পর হইতে শুরু, এই খেলা যেন আমাদের হাফপ্যান্ট আর স্যান্ডোগেঞ্জি শোভিত শৈশব পুরাটাই দখল করিয়া লইয়াছিল। হাটে-বন্দরে, ঘরে-অন্দরে, প্রমাদে-প্রমোদে, প্রলয়ে-প্রহলাদে, সাজঘর কিম্বা শ্রেনীকক্ষে, আলস্যে কিম্বা দক্ষযজ্ঞে- প্রায় সর্বত্রই এই ক্রিকেটীয় আলোচনা, পর্যালোচনা আর শিশুতোষ সমালোচনায় সর্বক্ষন আচ্ছন্ন থাকিতাম। কিছুক্ষেত্রে এই ক্রিকেটপ্রীতি স্বাভাবিকতার সংজ্ঞা অতিক্রম করিয়া যাইত। কোন কোন কিশোর বোলিং চর্চা করিবার ছলে জোরসে পাথর ছুঁড়িয়া পাড়ার জেঠুমনির ঝাঁ-চকচকে চাঁদিখানি মনের অজান্তেই অব্যর্থভাবে
হন্তদন্ত হয়ে বাসায় ঢুকেই রুমে চলে এলেন মিজান ভাই। সাথে এক অপরিচিত লোক, প্রায় মিজান ভাই এর সমবয়সী। আমি তখন তিন ছিদ্রের চৌবাচ্চা পানি ভর্তি করতে ব্যস্ত অংকের খাতায়। আম্মু রান্নাঘরে। আব্বু অফিসে গেছে আগেই। এখন বাজে প্রায় এগারটা। ছুটে এসেই ফিসফিস করে মিজান ভাই আমাকে বললেন তোমার ইংরেজি গ্রামার বই কোথায়? তাড়াতাড়ি দাও। আমি কিছু না বুঝে ছিদ্র বন্ধ না করেই ছুটলাম বই এর তাক এর দিকে। এদিক ...
- অনন্ত আত্মা
অ্যালার্মের শব্দে সুমনের ঘুম ভাঙে। আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে ও ঘড়ির দিকে তাকায়, সাড়ে আটটা বাজে অথচ জানালা দিয়ে বাইরেটা দেখে সেটা বোঝার কোন উপায় নেই; আকাশ জোড়া মেঘের সারি।
বিছানা থেকে নেমে পায়ে স্যান্ডেলটা গলিয়ে দরজা ঠেলে বারান্দায় আসতেই আসিফের সাথে দেখা।
- কিরে সুমন, উঠলি?
- হুম।
টানা বারান্দার শেষ প্রান্তে বাথরুম। হাঁটতে হাঁটতে সুমন ভাবতে থাকে, আজ ছয় দিন হল সে আর পাভেল ফ ...
।।শামীম।।
ফুটপাথের এক কোনায় পাশের পাগলটার গা বাঁচিয়ে সাবধানে বসলাম। মোটা এক ধরনের কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা গা থেকে ক্যামন বিটকেলে গন্ধ। আজকাল আর শান্তিতে কোথাও বসার উপায় নাই! পিছনের থামের মত দেখতে বিল্ডিংটার এদিকে বিকালে রাজ্যের মানুষজনের ভিড়, তাই পেছনের বাগানের পাশ দিয়ে যাওয়া ফুটপাথে জিরানোর চেষ্টা করি একটু। দুপুরের খাবারটা এখনো কেমন ভুটভাট করছে পেটের ভেতর। একটু ঝিমিয়ে নিই, ...