ব্রিজের উপর দুর্বৃত্তের সাথে ধস্তাধস্তির কোনো পর্যায়েই শক্ত মাটিতে পতন আমার আশঙ্কায় ছিল না। অথচ তাই হল। বড় বড় বাতিগুলো ব্রিজের উপর সুদূরগামী নৈশকোচকে পথ দেখায়। তলার খোঁজ নাই। অন্ধকার অংবং খেলছে। আর শক্ত শীতল মাটি। গোঙাতে গোঙাতে বললাম - জেগে থাকো - সভ্যতায় ফিরতে হবে। আসা যাওয়ার এই রাস্তায় ফেরা তো অবশ্যই যায়। দুর্বৃত্তসকল ব্রিজের উপর দিয়ে ফেরে। উহারা সংসারগামী।
আমার স্বল্পদৈ ...
১.
এই শুক্রবারটা গড়পড়তা অন্য দিনের মত ছিলনা, সেদিন ঢাকার এক নিভৃত কানাগলিতে কোন অনাহুত আগন্তুককে দেখে নেড়িকুত্তারা সশব্দে ঘেউ ঘেউ করে ওঠেনি, হকারের উচ্চকিত কোরাসে ঐ গলি প্রকম্পিত হয়ে ওঠেনি, সামনের রাজপথের রিকশাগুলো বেপথু হয়ে একটা দুটো কানাগলির সামনে এসে গোত্তা খায়নি, তবে মির্জা আসলাম ঠিকই গোসল সেরে ফুরফুরে মেজাজে বেরিয়েছিলেন। সুপুরুষ এই তরুণের প্রিয় পোশাক পাঞ্জাবি,বনেদি কা ...
গল্পটি রগরগে নয়। শিরোনামটি কিছুটা। চরিত্র ৪টি। চতুর্থজন আপনি স্বয়ং।
***
এই চারদেয়ালে পড়ে থাকি দিনের পর দিন আর উত্তরাধুনিক কবিটি আমাকে এসে এসে ধর্ষণ করে দিয়ে যায়। দিয়ে যায় ! চারদেয়ালে এই নিরন্তর ধর্ষণোপহার গ্রহণে মনোযোগী হতে না পেরে আপাতত, হ্যাঁ আপাতত, বাইরে আসি ধূসর সন্ধ্যায় ...
বাতাসে ফুলের গন্ধ আর কীসের হাহাকার। সমর সেনের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাই এবং আপনাদেরও জানাই। কৃতজ্ঞ ...
১
ব্যপারটা অনেকটা হাডুডু খেলার মত। লম্বা দম নিয়ে শত্রুর ডেরায় ঢুকে পড়ো তারপর চালাও দাবড়ানি। যে কয়টাকে পারা যায় ঘায়েল করো। কিন্তু দম যাওয়ার আগেই ফিরে আসতে হবে নিজের লোকদের মধ্যে। ধরা খেলে কাম সাবাড়।
রানু কোনোদিন হাডুডু খেলে নাই। হাডুডু ছেলেদের খেলা দেখে না, খেলাধুলা করার মত অবসরই কোনদিন পায় নাই। হাত - পা শক্ত হওয়ার পর থেকেই মানুষের বাসায় ঝিয়ের কাজ করতো। শেষ যে বাড়িতে ও কাজ করতো ...
খুব ঠান্ডা। গান বাজছে।
“হাওয়া মে উড়তা যায়ে,
মেরা লাল দোপাট্টা...মল মল কা হো জি...হো জি।”
গাড়ির কাঁচ সবকটা উঠানো। কালো কাঁচ। বাইরের কোন চ্যাঁ-ভ্যাঁ ভেতরে আসছেনা। পেছনের সিটে বেশ আয়েশ করে হেলান দিয়ে আছে নীলা। চোখ বন্ধ। চোখ খুলতে ইচ্ছা করছেনা।
“হাওয়া মে উড়তা যায়ে,
মেরা লাল দোপাট্টা...মল মল কা হো জি...হো জি।”
গানটা এবার যেন কানের ভেতরে হচ্ছে। চোখ খুলতে ইচ্ছা হচ্ছেনা। বাজুক গান। চোখ বো ...
সবে ভোর হলো। আলো গড়িয়ে গড়িয়ে আসছে। জানালা খোলা। বাতাসও আছে। জানালার সামনে লোহার পাত বসিয়ে পাখিদের বসার জায়গা করে দিয়েছি। বাড়িতে গাছপালা ভালোই আছে। ওগুলোতে পাখিরা থাকে। ঠিক সামনে একটাই বাড়ি। চারতলা। আটটা বারান্দা। নানা দৃশ্য। সকালের দৃশ্য।
বুড়ো দাদু বই পড়ছেন। কি বই কে জানে।
একজন দাঁত মাজছেন। ঘ্রোঁ-ঘ্রা- হ্যাক থু। থু থু রাস্তায়।রাস্তা সাদা। বুকে বানরের মত লোম।
মা তার বাচ্চ ...
আরে ভাইগ্না, এতো দেরি হইলো? আসো। অই, অরে চা দে।
মাহমুদ আলীর আনানো এই চা আর লাঠি বিস্কুটই সাইফুলের সকালের নাশতা। প্রথম যেদিন এখানে এসেছিল সেদিন থেকেই এই নিয়ম। মাহমুদ আলীর দেখাদেখি এখানকার সবাই তাকে ভাইগ্না ডাকে। সে যদিও কাউকে মামা ডাকে না। সাইফুল কথাই বলে কম। বড় বড় চোখ তুলে শুধু চেয়ে থাকে। চকসার্কুলার রোডের দোকানিদের সাইফুলের জন্য বাঁধা বরাদ্দ - দুই টাকা।
সাইফুল খুব দ্রুত হাঁ ...
কারখানার বিশাল ফটকের ভিতরে শ্রমিকেরা ইতস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এর তার সঙ্গে একটু আধটু আলাপ, বিড়ি টানা। ম্যানেজারবাবুরা তখনো এসে পৌছননি। শ্রমিকেরা এই চৌহদ্দির মধ্যেই থাকে, তাদের দূর দুরান্ত থেকে কাজে আসতে হয় না। তাই ম্যানেজারবাবুদের জন্য অপেক্ষা। তারা এসে হুকুম দিলে সেইমত শুরু হবে খাটুনি।
বাবুদের বহন করে আনা গাড়িগুলো ফটকের বাইরে এসে দাড়াবার শব্দ পাওয়া যায়। ফটক এক্তু ...
শেষ ক্লাশ। মুনিয়ার ব্যাগ গোছানো হয়ে গেছে। কাজটা করতে হয়েছে খুব সাবধানে। ঘন্টা বাজার আগেই ব্যাগে বই-খাতা ঢুকাতে দেখলে রফিক স্যার খুবই রাগ করে। তাই বইটা সামনে রেখে দিয়েছে আর খাতা, পেন্সিল বক্স, পানির বোতল ঢুকিয়ে ব্যাগের ওপরের চেইনটা খুলে রেখেছে। টিফিন পিরিয়ডের পর সায়মাকে পটিয়ে বেঞ্চের কিনারে বসেছে, এক পা দিয়ে রেখেছে বাইরে। শিমু লীনাকে কি জানি বলবে তাই ওদের বেঞ্চে এসে ব ...
শয়তান এইবার আরো জোর দিয়ে বললো, "কি হলো! তোমার এত ক্ষমতা তবে কি কাজের শুনি? একে ব্যবহার কর! কিছু একটা করে দেখাও!"
সামনে বসা যুবকটির চেহারায় পরিষ্কার দ্বিধা ফুটে উঠলো। "দেখো, লুসিফার...এইটা অনেক বড় একটা দায়িত্ব...কিছু একটা ভুল হয়ে গেলে?"
কালো আলখেল্লা পড়া বয়স্ক লোকটি এইবার খেঁকিয়ে উঠলো। "ধ্যাত! থাকো তাহলে তোমার এই একঘেয়ে জীবন নিয়ে। অপচয় কর তোমার এইসব ক্ষমতা! তুমি একটা কাপূরুষ, এলোহিম! আফস ...