[মুক্ত বিহঙ্গ]
সোমবার
জানুয়ারি ২, ২০০৬
[justify] আজ কেমন যেন লাগছে! অনুভূতিটা সম্পূর্ণ অন্যরকম। ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। যখন ও আজ ক্লাসে ঢুকছিলো, হঠাৎ করে লক্ষ্য করলাম আমার হৃৎস্পন্দনের গতি আর স্বাভাবিক নেই! মেয়েটার নাম জ্যোতি। ওর দিকে তাকালেই রবীন্দ্রনাথের উপন্যাসের নায়িকাদের কথা মনে পড়ে যায়! গত একমাস হল আমরা একসাথে ক্লাস করছি, কিন্তু আজকের এই আশ্চর্যকর অনুভূতি আজকেই প্রথম। আইনস্ট...
এদিকে সুরেশ্বর মানিকচাঁদকে নিয়ে হয়েছে বিশাল আপদ। ব্যাটাকে বেঁধে রেখেছিলাম মাস্তুলের সাথে, সকালবেলা উঠে দেখি মাস্তুলের অর্ধেকটাই নাই। লিকলিকে পল্টু সোম গিয়ে তাকে চার্জ করলো, “ব্যাটা মাস্তুল কি করেছিস?”
মানিকচাঁদ ঘোঁক করে ঢেঁকুর তুলে বলে, “মনে হয় বাতাসে উইড়ে গেছে কাকা!“
“তাহলে তুই উড়ে গেলিনা কেন?”
“সবই তাঁর ইশারা।“
আর যায় কোথা? পল্টু সোম ঝাঁপিয়ে পড়ে দমাদম চারটা লাগিয়ে দিল ...
মুক্ত বিহঙ্গ
ছবিঃ পহেলা বৈশাখ [উৎসঃ ইন্টারনেট]
[justify] রিফাতের ঘুম ভাঙে তার পোষা বিড়াল টেমু-র ডাকে। নির্দিষ্ট বিরতিতে সে ডেকেই যাচ্ছে- “মিঁয়াও…. মিঁয়াও…. মিঁয়াও….” যার অর্থ হলো, “এতক্ষণ ঘুমাও কেন? আমার ক্ষিধে পায়নি বুঝি?” দেয়াল ঘড়িতে দেখে রিফাত, সাতটা বাজে। সাধারণতঃ সকাল ছয়টার মধ্যেই বাসার সবাই উঠে পড়ে প্রতিদিন। কিন্তু আজ পহেলা বৈশাখ; ছুটির দিন। তাই সবাই ঘুমাচ্ছে। এটা তো আ...
০১.
পলেস্তারা খসে পড়া বিল্ডিংটায় এখনো টিকে আছে নাইসম্যান ক্লথ হাউজটি; সৃতির ভারে অমলিন হয়েও হতে পারেনি। কাগজ ফুলের লতানো ডাল গুলো এখনো পেচিঁয়ে রেখেছে পুরোনো বিল্ডিংটাকে। যে পথে শুধু রিকসার চলাচল ছিলো সেখানে সি.এন.জি নেমে এসেছে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে। চারপাশটা বিবর্তনের মতো শুধু বদলে গেছে শুধু বদলে যায়নি অতীতের সেই নাইসম্যান ক্লথ হাউজটি।
আমার স্মৃতির আয়নাটা ভেঙ্গে টু...
[justify]
পাব থেকে বেরিয়ে বেশ খানিকটা পথ হেঁটে তবে আমাদের ইউনিভার্সিটি। আর তার আবার খানিকটা ভেতরে আমাদের ডিপার্টমেন্ট বিল্ডিং। অন্যরা যে যার বাসার পথে যাচ্ছে, কিন্তু আমি আর আমির মাসুদ কেবল ডিপার্টমেন্টের দিকে যাচ্ছি।
আমির মাসুদ ইরান থেকে আগত। উত্তর আমেরিকায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে পিএইচডি গবেষণারত। অত্যন্ত অমায়িক এই মানুষটি নিদারুণ যুক্তিবাদী। বিশ্বাসে অজ্ঞেয়বাদী। তার ন...
'এই বার মোনেমকে দেইখ্যা নিমু,' পুরান লাঠাই একখান পাইছে বকুল ভায়ের কাছ থেকে তার গরুর দুদিনের ঘাস জোগাড় করে দেওয়া বাবদ। সুতলি অনেকখানি জোগাড় হইছে-দরকার মাঠা আর সাগু তাইলে 'মাঞ্জা দিমু'- 'বাবলাও কইছে মাঞ্জা দিয়া দিব'। সমস্যা হইল ' টাকা কই পামু'।সাগু আর মাঠা কেউ দিব না এমনি এমনি। মোখলেস ভাবে, 'কেমনে জোগাড় করবো টাকা'। 'ওর নাটাইটাও সুন্দর' , কইল 'গতহাটবার চাচা কিন্না দিছে' । মোনেম এতকিছ...
গুটিগুটি পায়ে ছোট্ট মেয়েটা ঘরময় হেঁটে বেড়াচ্ছে। একটু আগেই মা মাথায় ঝুঁটি বেঁধে দিয়েছেন। ওর হাঁটার তালে ছোট্ট ঝুঁটিদু’টো এদিক ওদিক দোল খায়। ড্রেসিং টেবিলের কাছে এসেই হাত বাড়িয়ে দেয় ও। পাউডার কেসটার প্রতি ওর অসীম আগ্রহ। এইতো সেদিন পাউডার কেসটা নামিয়ে মেঝেতে বসেই উল্টিয়ে ফেললো আর তারপর ওর সে কী আনন্দ। মা ছিলেন না তখন বাসায় আর নানু রান্নাঘরে। আর সেই সুযোগে নিজের মুখেই চুনকাম করা...
কদিন ধরে মনটা কেমন যেন ভিষণ এলোমেলো হয়ে আছে.... এলোমেলো হয়ে আছি আমি! মনে হচ্ছে এই আমি থেকেও নেই কোথাও! নিজেকে কেমন যেন ছাঁয়া মানুষ ছাঁয়া মানুষ মনে হচ্ছে আমার... মনে হচ্ছে আমি আছি ঠিকই কিন্তু আমার কোন অস্তিত্ব নেই,, কিন্তু সেটাও যে কি করে সম্ভব কে জানে!
নিজেকে একদম নিস্তরঙ্গ একজন হিসেবে নিজের সাথে পরিচয় করিয়েছি সে ত অনেকদিন হল... কিন্তু এবারের এই নতুন উপসর্গ টা যে ঠিক কি সেটা এখনও বুঝে উঠত...
[justify]রশীদ মন্ডলের বাড়িতে আজকে মিটিং বসছে। বাহির বাড়ির উঠানে পাটি বিছিয়ে বসেছে ফজলু, আক্কাস, মনির, গেদু, আব্বাস সহ আরো প্রায় বিশ পঁচিশ জন। এদের সামনে চেয়ারে বসে আছে রশীদ মন্ডল, পঞ্চাশোর্ধ অবস্থাসম্পন্ন গেরস্থ। গলা খাকারি দিয়ে রশীদ শুরু করে,
-তোমরা বেবাকে যে আইছ এতে আমি বড়ই খুশি হইছি। আল্লার রহমতে আমার অনেক আছে। গেল বছর হজ্ব করতে যাইয়া নিজের চোখে মক্কা মদীনা দেইখা আহার পরে আমার দেল...
ডিস্ক্লেইমারঃ ইহা গল্প প্রচেষ্টামাত্র এবং এরকম দুঃসাহস দেখাইবার জন্য আমার শাস্তি অবধারিত। পাঠককুলের যেকোন শাস্তি মানিয়া লইতে লেখক বাধ্য থাকিবে।