[justify]“বল না ! হিলবিলির মানুষখেকো পরিবারের গল্পটা আমাদের আরেকবার বল না -- প্লিজ!”
জন কঁকিয়ে উঠল। “আর না ! এর মধ্যে কয়বার শুনেছ তোমরা গল্পটা ?”
“প্লি-জ।” বাচ্চা দু’টো নিস্পাপ চোখদুটো বড় বড় করে মিনতিমাখা চেহারায় তাকায়। জন হাল ছেড়ে দিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, “বসো তাহলে। কিন্তু আর একবারই মাত্র, ঠিক আছে ?”
রাতে ঘুমোবার আগে একবার ঘরের বাইরে যেতে হয়। ধূমপান প্রাণঘাতী জেনেও শ্বেত ফিল্টারের একটা তামাক শলাকা দুই ঠোঁটে চেপে রেখে একটা দিয়াশলাই কাঠির মাথা দিয়ে তার ঘরের পার্শ্বদেয়ালে আঘাত করতে হয়। সেই ছোট্ট বিষ্ফোরণের শিখা থেকেই বিশুষ্ক তামাক শলাকা যোগাড় করে নেয় প্রয়োজনীয় আগুন।
কাক ডাকা ভোর। আলো পুরোপুরি ফোঁটে নাই এখনও। একটা দু'টা রিকসা চলছে রাস্তায়। মাঝে মধ্যে হুস্ করে গাড়ি ছুটে যাচ্ছে। টুকরি নিয়ে সাজু দ্রুত পায়ে হেটে চলেছে সাজু। গন্তব্য কারওয়ান বাজার। কঠিন একটি দিনের শুরু, প্রতিদিনের মতো ক্রেতাদের বাজার সদাই টুকরিতে বহন করেই তার দিনটা যাবে। কিন্তু তার মতো টুকরিওয়ালা মেলা। ক্রেতা পেতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। কাজ শেষে বঞ্চনাতো আছেই। সাজুর মনে পড়ে যায় ওই দিনের কথা। ভারি টু
'দুইটা টাকা দেন গো স্যার', হঠাৎ তন্দ্রাটা চটে যায় মামুনের। জ্যামে প্রতিদিনই আটকে থেকে বাসে বসে বসে ক্লান্তিতে তন্দ্রা মতো এসে যায়। আজ যেন সেটা একটু বেশিই।
'দুইটা টাকা দেন গো স্যার, লেবুগুলা নিয়া যান, মিষ্টি লেবু'
১.
লোকটা হাত ধরতেই এক ঝটকায় ছাড়িয়ে নিলাম।
নাছোড়বান্দা লোকটা এ বাড়ির মালিক। পিছু নিয়েছে বাড়ী বদলের দিন থেকেই। এই এলাকায় আমি নতুন। পথঘাট চেনা হয়নি। সুযোগ পেয়েছে লোকটা।
কদিন আগে হলেও দু'গালে দুটো চড় বসিয়ে দেয়া যেতো। কিন্তু আইন বদলে গেছে কদিন আগে। আমার সময় আইনের প্রতিকূলে। মন বলছে ধৈর্য ধরতে। কটা দিন গেলে ঠিক হয়ে যাবে।
এমন জিনিস দেখব জীবনেও ভাবিনি।
মরবি মর, তাই বলে এমন ভাবে! এটাকে মরা বলে?পৃথিবীতে বেঁচে থাকার মতো জিনিষের কি এতই অভাব পড়েছে যে এভাবে মরতে হবে!
মানুষের কৌতুহল আসলেই বেদনাদায়ক, মৃত্যু দেখার জন্য হাজারো জনের জটলা।
“একটা মেয়ে এইভাবে প্রকাশ্যে রাস্তার পাশে গাছে ঝুলে মারা যাবে, মানুষ দেখবে না? “ চায়ের কাপ হাতে আরেকজনের অভিব্যাক্তি।
শহরটা ভিজতেই থাকে...রোদে,বৃষ্টিতে।জবুথবু রাজপথ চিত হয়ে চেয়ে চেয়ে দেখে ধূসর (অথবা হলুদ) আকাশ।একটা নিঃসঙ্গ সানশেড ঘিরে ছটফট করে আরো নিসঃঙ্গ একটা কাক।ধুলো আর ধোঁয়া চুরি করে নিয়ে যেতে থাকে এক একটা বিকেল,দুপুর...মধ্যরাত।যান্ত্রিক ডামাডোলে নিখোঁজ হয় একটা হুতুমপেঁচার একঘেয়ে দীর্ঘশ্বাস।
গল্পগুলো বলা হয়ে ওঠে না...কখনোই।
[justify]
কাজের কথা
“টের পাচ্ছ ?” দান্তে জিজ্ঞেস করে।
কিছুক্ষনের জন্য একদম স্থির হয়ে গেল ক্লোয়ে। তারপর বলল, “হ্যাঁ। আসছে বটে।”
[justify]
-তুই অমন কইরা আমার দিকে চাইয়া আছোস ক্যান?
১.
প্রায় মাঝরাত।
জানালাটা খুলে বাইরে তাকালাম।
ব্যস্ত এ শহরটা এখনও যেন ঘুমায়নি।
অনেকদূরে রাস্তার আলো দেখতে পাচ্ছি।
ঝাপসা।
শুধু আলোর কতগুলো বৃত্ত।
হলুদ সবুজ লাল আর নীল।
যেগুলো স্থির সেগুলো স্ট্রীটল্যাম্প।
আর যেগুলো চলছে সেগুলো গাড়ির হেডলাইট।
রাত আমার ভালো লাগে।
ভালো না লাগে বলে এভাবে বললে মনে হয় ঠিক হবে, দিনের থেকে রাতটা ভালো যায়।
অন্ধকারে সবকিছু কেমন যেন ধোঁয়াটে হয়ে যায়।