ওই পথের রঙ ছুঁব কি ছুঁব না ভাবতে ভাবতে উড়ে গেল পদতল-মাটি আর
জলভেজা বালির কথা তবুও বাঁধা পড়তে হলো শুকনো জল আর পিঁপড়ের
নিকট এসে অথচ জলপতনের আগে আমাদের ডুবে যাবার কথা ছিলো
ঝোপজঙ্গলের পাশে, আর ওই পথ ছুঁব না বলেই তখনও আমরা খুঁজেছি
বহুবর্ণ পথের ডাঁটা;তোমার কথা শুনে লতা পাতার মতো বোবা হতে থাকি
স্বর্ণলতা গাছের মর্মরে...শুনেছি এখনও অতিযত্ন করে গুনে রাখো নীরবতা
যেন পত্রলিপিতে কেঁপে ওঠে স্...
সূর্যের সাথে ঘুম থেকে
উঠে দেখি টেবিলে লাল খাম,
দরজায় অপেক্ষায় কিশোরী মেঘদল
তারও পিছে ঢেউয়েরা গায় প্রাতসঙ্গীত।
দুটো বালিকা জোস্ন্যা
সদ্যাগত যৌবনোষ্ণতায় এলোমেলো
আঁচলে উন্মুক্ত করে পদ্মনাভ,
পড়ে পাওয়া রাঁধাচূড়ায় মৃত কিন্নরী বোনে
বিরহের কাঁথা, কাবুলীওয়ালা ফেরী
করে ফেরে হাছনের ঘর।
কবিদের আরাধনা পাবে বলে
স্বরস্বতী ভাঙেনা মনসার পন –
যতসব চিত্রকল্প সদলে ইশকুল পালায়,
পাড়ার ই...
রোদ ম্রিয়মান হলে এ শহর নিজেরে ঢেকে দেয় কুয়াশার কাফনে
ফুটপাত ধরে হেঁটে যাই, কনকনে বাতাস, মিহি থেকে তীব্র হয়
আমাদের চেনা এ পথে এখন সকলই অচেনা মুখ, অচেনা সুর
সড়ক দ্বীপে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক পুলিশই শুধু চেনা জানা
কেননা সেই পুরনো পোষাকেই দাড়িয়ে থাকে সে, তোমার
আমার মতো বারবার পাল্টায়না খোলস।
নীল পোষাক, সাদা পোষাক, খয়েরি পোষাক তোমার...
স্লাইড শোর মতো একটার পর একটা ছবি দ্রুত মিলিয়ে যায়
...
হঠাৎ মেজাজ হারিয়ে ফেলা আবহাওয়া আমার জানলায়।
বাইরের ক্যানভাসটা ধূসর, বাতাসে বৃষ্টির ডিম,
হিজলের ডালে পায়ে মেহদির মত জলকণার ছাপ নিয়ে
দৌড়চ্ছেনা কোনো কাঠবেড়ালি, যার লেজতুলে পালানো দেখে
অকারণ হেসে উঠে আমার চারমাস বয়েসী ছেলেটা।
আজ, তিনমাসের বন্ধ্যাত্ব ফুরালো, আজ মেঘলা দিন
আজ জলরং নিয়ে বসার দিন, আজ ফেব্রুয়ারীর একুশ তারিখ।
কালো একটা ফতুয়া পড়িয়েছে ওর মা,
খালার খেয়ালি আলপনা কালোর ম...
৭১.
সীরাতুল মুস্তাকীমের সোয়াপোনে বিন্দুতে ফুললেন্থ মুযিযা: মেরেকেটে পুঁজি যা জমেছে তাঁর পুরোটাই ডাঁসা মাই চিনে সনাতন দুর্দিনে প্রশান্ত ডাইভ দেয় ক্ষিরিগুর্দার ঝোলে
৭২.
এইভাবে ভ্যাজরভ্যাজর করতে ভালো না লাগার কোন কারণ না থাকার পরিণতি বিস্মৃত হয় হঠযোগাবনত চলমান ছোঁক ছোঁক শোকবিশুখের মহাভোগ চেটেপুটে
৭৩.
কোপনলগ্ন বাড়িবয়ে এসে ফিরে যাবার দিন ফুরালে অনপেক্ষ কুড়ালের কানায় ব্র...
পরিস্থিতি তাড়া করে ফেরে মানুষকে।
লয়
সৃজন কিংবা রক্ষণ?
জীবন-আনন্দ কখনো বা নিক্ষিপ্ত ট্রামলাইনের
মৃত্যুহিম নীল খাদে।
কখনো বা আজকের সীজারের দুচোখে
চিরকালীন অজ্ঞতা ও বিস্ময়;
জগদ্দল পাথরের মতন- “ব্রুটাস, তুমিও?”
অমলের দুচোখের পাতায় কালো যবনিকা;
স্টিকিং প্লাস্টারের মতন।
পঙ্কিল ধূসরতায় আচ্ছন্ন হরিৎ।
ব্যতিক্রম কখন আসে
রসায়নের পদার্থশ্রেণীর মত।
দায়িত্ব নেয় সৃজন, লালনের।
মুক...
গন্তব্য জেনে নিয়ে সোজা পথে হেঁটে যাওয়া ভালো
পেছনে ঝিমানো রাত, সিদ্ধির শরবতের মত
দুঃখ দুঃখ, সুখ সুখ, স্বপ্ন স্বপ্ন আলোর কপাল।
কেবলই শীতের রাত্রি
চাদরের উষ্ণ মৃদু আলিঙ্গণে ভেজা।
এরই মাঝে বাথটব সমুদ্র সঙ্গমে তীব্র ডাকো
তোমাতে সর্বাঙ্গ ডুবে আবাহণ হ্রদে চলে যাই...
বেতবন-করবী –বট আর আশ্বত্থের প্রেম
নদীর অতলদেশে বুকজুড়ে সুকোমল হাত
নাভীর তটিনী ঘেরা সামাজিক প্রবেশ-নিষেধে চলে যাই।
এ...
দুটো দুঃখ পরস্পর হাত মেলায়
আজ সন্ধ্যাটা তারা একসাথে কাটাবে।
এক দুঃখের দুঃখ ভারী, বহুদিন একখানে
থেকে থেকে বোরড্ হয়ে গ্যাছে। অন্যজনও
কষ্টে আছে; বেচারার কোথাও কোন স্থিতি
নেই, আজ এখানে, তো কাল ওখানে – রোলিং।
আমাদেরো বহুদিন পর দ্যাখা, একই সন্ধ্যায়,
তুমিও ছিলে বেশ হাসিখুশী - জোভিয়াল।
জিজ্ঞাসা মিথ্যা হয় কথায়, বাঁকে বাঁকে উথালা হাওয়ায়
আমার জিজ্ঞাসার ভেতর মুছে যায় চোখ; পরিচিত মুখ
প্রত্যাশিত আশার’চে রোদটুকু চুষে নিক আলোর পোশাক
পতনের কথা ঘুরেফিরে আসুক; এভাবে চলে কি সময়?
আমার আসা-যাওয়া, ঠিক সময়ের সাথে বেড়ে ওঠা অ-মঙ্গল
আমার চেনা অনুভব; তোর পরিচিত চোখে আবিষ্কৃত ব্যাপার
বলছে কি পেলাম না বহুকাল ধরে? কি যেনো স্পর্শ দরকার
আশা আমার প্রিয়বন্ধু; তোর পূর্ণতৃষ্ণা ধরে রাখা...
আমার একজন পিতা আছেন
আমি তাকে আব্বা বলে ডাকতাম...
আমার খুব মনে আছে,
তিনি যখন কোরান পড়তেন -
সুবেহ সাদিকের স্বর্গীয় নীরবতার মধ্যে
তার কণ্ঠস্বর অদ্ভুতভাবে বেজে উঠত
তার সৌম্য অবয়ব হতে কোন এক
অন্য ভুবনের আলো ঠিকরে বেরুতে দেখতাম -
আমি, তখন ভুল শুনতাম
আমার দেখায় ভুল ছিল ।
আমার একজন আম্মাও ছিলেন
আমি তাকে কোনদিন হাসতে শুনিনি...
সারাটা বছর থাকতেন রোগাক্রান্ত
পর্দার আড়ালে দুর্বল, শীর্ণ, কাল...