[কবি জীবনানন্দ দাশ স্মরণে]
জন্ম: বাংলা ৬ই ফাল্গুন, ১৩০৫; ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯।
মৃত্যু: তার রচনা অমর।
================================
প্রতিটি মানুষ অচিরে মানুষ হয়ে নয়
তবু কারো খোঁপায় নিয়ে রোদের ক্ষয়
বরুণফুলের কাছে দাঁড়ানোর ইচ্ছে হয়
কয়েকটি নষ্ট-পাখি ভুল মার্চে চলে এলেবেলে আকাশ
মেঘের কালি ঈশ্বর লিখে গেছে কবে সেসব নাঙ্গা কাশ
পরিনির্বাণ বিষয়ক যা জানি
জানে অবশ্যই চুরি যাওয়া রেবতী
সুরমা মধুডাঙা অই ...
১৯৩৩
তোমার শরীর —
তাই নিয়ে এসেছিলে একবার — তারপর — মানুষের ভিড়
রাত্রি আর দিন
তোমারে নিয়েছে ডেকে কোন্ দিকে জানি নি তা — মানুষের ভিড়
রাত্রি আর দিন
তোমারে নিয়েছে ডেকে কোনদিকে জানি নি তা — হয়েছে মলিন
চক্ষু এই — ছিঁড়ে গেছি — ফেঁড়ে গেছি — পৃথিবীর পথে হেঁটে হেঁটে
কত দিন — রাত্রি গেছে কেটে!
কত দেহ এল, গেল, হাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে
দিয়েছি ফি...
বিবিধ বসন্তের ছাপ
==============
আবার দেখা না ও হতে পারে। অথবা না ও হতে পারে ফুল কুড়ানো
ফালগুনের সাথে গভীর মিত্রতা। কোনো কোকিল কিংবা কর্তব্যরত
সেবিকার এ্যপ্রোনে না ও লেগে থাকতে পারে বিরহী সুরের লালাচিহ্ন।
একটা গানের উত্থান থেমে যেতে পারে এভাবেই।পূবাল হাওয়ার চোখে
উদাসী চাঁদ দেখে আমাদের দরোজা থেকে ফিরে যেতে পারে এইসব
নবীন বসন্ত। তারপরও একদিন স্রোত ছিল শ্রাবণের ঘ্রাণে, ছিল
জোয়ারের জৈ...
তোমার ইচ্ছের কথা সঞ্চিত আছে গুহামুখে
তোমার জন্য অপেক্ষায় আছে রোদ
তোমাকে কেন্দ্র করে বেড়ে উঠছে
দিনের প্রথম কোলাহল
অথচ তোমাকে কাঁপাচ্ছে ঋতুমতী মেঘ
তোমাকে কাঁপাচ্ছে বর্ষাযাপনের কলা
কত আলোকবর্ষ দূর হতে
ধূপগন্ধ ছড়াচ্ছে সেইসব মৃত মুখ
--তাদের বায়বীয় ডানা
থেমে আছে, বিরতিহীন গাড়ি
নেমে গেছে সবাই যার যার বাড়ি-
কেবল চালক ও তার সহকারী
নিশ্চল চাকার মতো নিশ্চুপ লাশ...
ক্রমাগত জমেছে ময়লা আড়ালে আড়ালে
পাওয়া যেতো সহজেই হাতটা বাড়ালে
সময় হয়নি তাই
যাত্রাপথে আজ, যাত্রা নাই !
গাড়ি যাবে জম্পেশ, দুজনেই ধরেছিলো বাজি
এবেলায় দোষ নিতে কেউ নয় রাজি
দুই দিকে মুখ দিয়ে দুইজন
করে দুই গন্তব্যের আয়োজন !
বরাবর ফেলে দীর্ঘশ্বাস, গাড়ি হাসে
এভাবেই ক্রমাগত কতজন য...
আমার আয়নাতে
তুমি মুখ দেখবে বলে
হলাম দিঘির জল,
এ পথে আর হাঁটবেনা তুমি,
খবর দিয়ে গেছে
নীল মেঘেদের দল,
তোমার বাগান উপচে পড়ে
ফুলের ভারে,
আমার চোখের তন্দ্রা ভেংগে
জন্ম নিলো
স্বপ্ন ভাঙ্গা জল।
মিনা আহমেদ
পাশ ফিরে শুই
তোমার উষ্ণতার অনুভব
অনুধাবনে নিয়ে আবার কোন উতলা হওয়ার আশায়
সে কোন বৈরাগ্য আমার
তোমায় নিয়ে যে উন্মাদ উত্তাল হওয়া তারপর
নিজেকে নিযে আমার অন্য রকম লুকিয়ে যাওয়ায়
ফিরতে চাই ঘরে
নিজের অথবা অন্যের তাতে কি
ফিরতে চাই এক অবসর উদযাপনের হাওয়ায়
ভালোবাসতে চাই
ভালো কি ভালোবাসা! নোনাধরা ঘরে বসে
তোমার খোলা চুলে বেণী গেঁথে সুখ পাওয়ায়
তথাপি হে আমার ঐশ্বর্য
আমার মনবৈকল্য তোমার...
ঘাস ফুল আর পদ্ম পাতায় শুয়ে আছে আমার বর্ণমালা
থ্যাংকিউ আর গুডবাই আসন গেড়েছে ধন্যবাদ আর বিদায়ে।
হীনতায় নয়, নয় কোন ঘৃণায়- আমাদের সঞ্চয় পারিভাষিকতা
ঋদ্ধ করেছে ভাষার ভান্ডার কিন্তু শুণ্যতায় বাঙলার সংসার
তোমাদের প্রতিটি জাগরণ আমাদের জাগিয়েছে নিরন্তন, তাই-
হে একুশ আমরা ফিরে আসি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে শহীদ মিনারে
যে বোধ ছিল প্রতিটি মোর্চায় স্মারক বাহান্ন থেকে একাত্তরে
আমাদের স্বপ্ন...
এসব বললে তুমিও কুলকুলে হাসো; বলো না-হেসে পারি না; তোমার মতো কুলকুলিয়ে হাসে লাউপাতা,কচুপাতা,সর্ষেদানা। লাউ-কুমড়ার পাশে অসহায় আলু-পটল সুপারসহ পানপাতা। তারচে’ভালো ছিল বালু সিমেন্টের পাশাপাশি বাজুক দেহসমর্পণ; ইটগাঁথা দেয়ালপিঠ দেখুক স্পর্শবেদনা... তোমার পায়ের ছাপ গুনে যেতে যেতে দেখি এই তো পরবাসে জীবন বাস্তবতা!
ক্যাবিজ,কলিফ্লাওয়ার,ক্যারটের ঝাঁঝে পুড়ে
বাঁধাকপি,ফুলকপি,মুলা নাক সি...
আবার! প্রথমপাতা থেকে দেখি পুরো কবিতা পড়ে ফেলা যায়! এরকম হলে তো প্রাইভেসী নিয়ে টানাটানি। তাই উপরের এই লাইনগুলো সংযোজন করে দিলাম। লোকজন একটু কষ্ট করে চরে পড়ুক!
====================
উষ্ণতার খনিজ
====================
সিঁড়িঘরে প্রতুল অন্ধনদী, গামছা অথবা তোয়ালে আছে
দিনের সংকলন;
সে।
ঋতুস্নান।
ক্ষেতের খটকা।
ওগো বিষণ্ণ রেলিং, কার হস্তপরশে জন্ম দিয়েছ
উষ্ণতার খনিজ।
আমি।
বিভ্রান্তি কাটিয়ে চোস্ত মনে হেসে উ...