মধ্যদুপুরে শ্রাবণের ফুটন্ত পুকুরে
সরীসৃপ কিশোরী সাবলীল -
বৃষ্টি কিংবা ভেজা চুল তার
কী ভীষন চমৎকার।
দ্যাখো, কইমাছের মতো নতুন
বৃষ্টির গানে তার কিশোরী শরীর
কেমন মাতাল হয় অনাগত মিলনের ঘ্রানে,
জলে খুঁজে ফেরে বাৎসায়নের বীজ।
যতটা সে চেনে শ্রাবণ
তারও চেয়ে বেশী চেনে
দীঘির আপামর লাজুক শালুক
তবু তারা যেন হতভাগা ট্যান্টালাস,
আকন্ঠ বানে, শরীরে তাদের কেন জাগেনা স্পন্দন -
এটা আমার এখানে প্রথম লেখা। সব পাঠকের মন্তব্য কাম্য।
নিঝুম দ্বীপ
এমন দৃশ্য কেউ দেখেনি কখনও।
ওষ্ঠাধরের বিচ্ছেদ স্পষ্ট
সমুখে স্বর্গ, চোখে লাগে ঘোর
সভ্যতার ইতিহাস থমকে দাঁড়ায় এখানে
নিস্তব্ধ জগত।
উদ্বায়ী স্বর্গের প্রাণীরা মেলে চোখ
চন্দ্রপ্রখর।
ধূসর প্রান্তরে জ্বলে তাই নিষ্পাপ নক্ষত্ররাজি,
নিসর্গ নির্জনে।
চাঁদের বিকৃত হাসি ছড়ায় এ নিষ্পত্র গেওয়া বনে।
বুভুক্ষু চোখ প্রত্...
জলই চিনেছি মাত্র
দিগদর্শক ভাঙা মাস্তুল- ক্ষিপ্ত হাওয়ায় বিদ্ধ
থেমে গেছে- জৈবিক থাবায়।
যৌগিক হয়েছে পথ, ভেঙে যায় প্রিয় আয়না
ভয়ের বিন্যাসে নত জানালার আলো সততায়
বিছিয়েছে মিথ্যার চাদর;
আত্মিক প্রসঙ্গ শুয়ে, শংকাকুল রন্ধ্র জুড়ে
পোকামাকড়ের বরাভয়!
পায়ের ধূলায় মৌন
এক একটি সভ্যতার ইঁট,
অলীক শহরে বাড়ে বাণীচিত্র, পুরানো কবিতা
বন্ধ্যা স্বপ্নের পায়ে যৌবনের লালিত নূপুর!
জলই চিনেছি মাত্...
১.
ওই চোখের সীমা
কাজলরেখায়
যতন করে টানা,
এই পলক তবু
থমকে থাকে
মন শোনে না মানা,
মুগ্ধ সময়
হারায় কোথা
তাও হল না জানা...
২.
তোমার গানে আমার প্রাণে
জাগলো এ কি ঢেউ,
মন সায়রে উঠলো জোয়ার
দেখতো যদি কেউ,
বুঝতো তবে অনুভবে
কেমনে আছ মিশে,
হৃদয় কেমন তোমার টানে
নিত্য হারায় দিশে...
৩.
হালকা শীতের পলকা হাওয়ায়
উড়ছিল চুল, লাগলো বেশ,
চোখের ভাষায় কাব্য ছিল
রইলো মনে তারই রেশ!
মুখের কথায় কী আসে যায়
ম...
মেঘে আর বাগান ফোটে না
কষ্ট ফোটে বিরহ ফোটে
না পাওয়ার বেদনা চিন্তা হয়ে ফোটে
আন্ত:নগর নারী ফোটে
যমুনা নদীতে পারাপার ফোটে
কালাবদরে বাস ফোটে,স্কুটার ফোটে,রিক্সা ফোটে
জন্মনিয়ন্ত্রনে জেব্রাক্রসিং ফোটে
ব্লাড ক্যান্সারের বারান্দায় পিজি লতিয়ে ওঠে
নিংরানো স্বপ্নেরা কায়া হয়ে যায়
জানালা রোদে দুই শালিক ঠোঁট খোটে
মেঘে বাগান ফোটে না
বৃষ্টির ঘ্রানে তাপ শুকিয়ে যায়
স্যাঁতস্যাঁতে ছায়া...
গোপন সাঁতারু তুমি চেনো
সমুদ্রের গভীর উত্তাপ;
বৈজ্ঞানিক বর্জ্য বুকে নিয়ে কাঁদে কি সমুদ্র মাঝরাতে?
রেখেছিলে চোখ তার চোখে
নীল নাকি ঘোলাজল খেলে;
দেখেছিলে লোভীদের বস্তুনিষ্ঠ কোপ কেমন মেরেছে কোটি মাছ
সেইসব নিরুত্তাপ রক্ত- ছিলে ছুঁয়ে অনুশোচনায়?
আকন্ঠ সাঁতার শেষে- মেখেছিলে বাহুর অস্তিনে
মোহনার কিছু অভিশাপ ;
অস্থির তিমির আস্ফালনে পেয়েছো গোপন কিছু পাপ?
কঠিন সাঁতারু বৈঠাহীন, জলক...
[justify]অ
এইসব কিছু বলতে ভালো লাগে না, তবু-ও পথ ছেড়ে জমিনে গিয়ে দাঁড়াই। কৃষকেরা আজকের মতো করে ঘরে ফিরে গেছে; আজ দিনটি সূর্যমুখী ফুলের মতো রোদের রঙ করে ছিল।
জমিন ছেড়ে আরো হাঁটি। আশা জাগে জমিনের অইপ্রান্তে যেখানে দিগন্ত আকাশের রেইনবো হয়ে আছে সেখানে একটি নদী থাকবে। রেইনবোটি চাতক পাখি হয়ে জলে চুষে যাবে নদীস্তন! হাঁটতে হাঁটতে তার কাছে দাঁড়াব। নদীর কাছে দাঁড়ালে মানুষ পাহাড় হয়ে যায়, ভিতরে।...
নাম লিখিনি, ঠিকানা লিখিনি,
এমন কি সইও করিনি,
তোমাকে পাঠিয়েছি এক সম্পূর্ন কোডেড মেসেজঃ
‘দুঃখ ছোট, দুঃখ বড়, দুঃখ মাঝারী,
দুঃখ নীল, দুঃখ লাল, দুঃখ কালো, দুঃখ গোলাপী,
দুঃখ অশেষ, দুঃখ অসীম, দুঃখ অক্ষয়,
দুঃখ অব্যয়, দুঃখ অবিরাম, দুঃখ নিরন্তর,
দুঃখ ১, দুঃখ ২, দুঃখ ৩, দুঃখ ৪,
দুঃখ ৫, দুঃখ ৬, দুঃখ ৭, দুঃখ ৮,
দুঃখ ৯, দুঃখ ১০, দুঃখ ১১, দুঃখ ১২,
দুঃখ ১৩, দুঃখ ১৪, দুঃখ ১৫, দুঃখ ১৬,
দুঃখ টু দি পাওয়ার এন,
দুঃখ টু দ...
আমার দেয়ালে ছিলো তিনটি তৈলচিত্রের অনড় পৌরষত্ব
হায় পৌরষত্ব! কতসহজে নিঃষ্প্রাণ হলো সিমির মৃত্যুগাঁথায়
অপরাধি আমি, ঠায় দাঁড়িয়ে আছি আত্মার কাঠগড়ায়।
ফাহিমার মৃত্যুর পর শুরু হয়েছিলো আমার হার্টট্রয়াল
আর কাঠগড়ার উঠোনঘিরে চলেছিলো আইন-অধ্যায়ন
সাহস দিয়েছে সবাই, কিছুই হয় না ওই সংক্রামক মৃত্যুতে
সত্যিই তাই; নিরেট বখাটের জন্য অভূত নিরাপদ বাংলাদেশ!
তৃষার মৃত্যুর দিন মনপাড়ায় ছিলো কা...
চোখ দুটো ভীষণ ক্লান্ত- তাকিয়ে থাকা দায়
অবসাদ এতো মোহময় ঠিক যেমন ব্যস্ততা—
নশ্বর আমি নত হই
লুন্ঠিত জীবনাভিযানে অবিনশ্বর অধিকার
ঢেউ আঘাত হানে
প্রকম্পিত মর্মস্পৃশ্
অথচ সারাটাদিন আকাশ দেখা হয়নি—
নোনা আস্বাদ
আধার নেই;
আঁধারে অবকাশ—
মৃত স্মৃতি, বিস্মৃতির অতল