পূর্বলেখ:
নানান সময়ে নানান উপলক্ষে কাছের মানুষগুলোকে মুঠোবার্তায় বিদ্ধ করেছি। এগুলো থেকে প্রকাশযোগ্যগুলো সবার সামনে নিয়ে আসার চিন্তা ছিলো। কেনো জানি মনে হচ্ছে চিন্তাটা এখানে বাস্তবে রূপ দেয়ার একটা চেষ্টা করা যেতে পারে। পাঠকের ভালো লাগছে ফের চেষ্টা করা যাবে, নচেত্ শুরুতেই শেষ হোক যাত্রা।
এইবারের কিস্তি:
"নবীন মায়ের নরম কোলে
সদ্য আসা শিশু,
বিমল সুখের এমন ছবি
ফিজিক্সের রওনকের খুব ইচ্ছে ছিলো
কপালে লাল সবুজ ফেট্টি বাঁধবে
মাথায় ব্যান্ডেজ থাকায় সম্ভব হয় নি।
তারপরো তার খুশি দেখে কে
গ্রেনেড ছোড়া পাকা হাতটা মুঠো করে বারবার শূন্যে ছুড়ছে।
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শান্ত নামের ছেলেটা
যার অশান্ত স্টেনগানের বদৌলতে,
আমবাগানের যুদ্ধ থেকে বেঁচে ফিরতে পেরেছি
আজকে তাকে বড্ড প্রশান্ত দেখাচ্ছে
ক্রাচে ভর দিয়ে গুলি লাগা পা টেনে চলছে হাসি মুখে।
গ...
তোমার প্রশ্নের উত্তরে বলতে পারতাম সোনারগাঁওয়ের মালিকানা চাই
সংসদ অধিবেসনের ভেতরে কিচিরমিচির করা অসংখ্য পুরুষ্ট সন্তান চাই
সহজেই বলতে পারতাম উন্নয়ন খাতের পনের কোটি টাকা নগদেই চাই।
তুমি ভালোবাসা দেবে না বলে চন্দ্রিমা উদ্যানের পুরোটাই লিখে দিলে
শাপলা চত্ত্বরে বানিয়ে দিলে তৃতীয় বিশ্বের রোদেপোড়া এই আমির ম্যুরাল
তুমি একটু ছুঁতে দেবে না বলে জোছনার প্লাবণ বইয়ে দিলে আধপাকা ঘর...
কিংশুক-কথন
পাতালে সূর্যের বর্ধিষ্ণু সমাগম।
বাড়ে আলো, হাওয়াও স্পর্ধায়-
তাদের ধুলা-মথিত দেহ জমিনে জমায় তুষ;
হলদে দাঁত, শ্বেত চক্ষু- আরো শুকনো পাতা, খড়কুটোর স্তু্প।
অট্টালিকার পাশে গড়ায় উলঙ্গ শিশু
পুরীশ-লেপা উরু, ভুবন-ভোলানো হাসি-
হয়ত পাতালে লাভার প্রস্রবণ
ক্ষোভ কষ্ট সমবেদনা প্রত্যয়ে পরিপুষ্ট আগুন।
ক্ষণজীবী লালাভায় ক্ষণিক পরিবৃত মেঘনাদ
আর ঈষদচ্ছ কাঁচে নীলাভ বাষ্প।
হয়ত আগ...
তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখি,
তোমায় খুঁজি বাস্তবে;
পাইনা ঢাকায়, বি বাড়িয়ায়,
কোথায় তোমার বাস তবে!?
কোথায় তুমি লুকিয়ে আছো?
দেখতে কেন পাচ্ছিনে?
এই খোঁচা দাও, আবার পালাও,
এমনতো আর চাচ্ছিনে!
কোথায় তোমায় খুঁজবো বলো?
কথায়, কাজে, অন্তরে?
সবুজ মাঠে, খেলার হাটে,
কিংবা নদীবন্দরে?
এত্তো দূরে আর থেকোনা,
এরচে মনের মরণ দাও,
ভক্ত হয়ে ভিক্ষে মাগি,
এই আমাদের শরণ নাও।
যেইখানেতে যাই করে যাই
দূরে একলা পাহাড়চূড়া শিস কাটে
সময় নির্জনতামুখি, ডানা পোড়া পাখি
হঠাৎ হঠাৎ উড়ে আসে নীল পৃষ্ঠায়।
হারিয়ে যাওয়া কলরব ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে
পৃথিবীর হাট-বাজারে।
এক ফোঁটা আনন্দ, তাকে ঘিরে যতো উল্লাস,
সব ম্লান করে দিয়ে পাখি উড়ে যায়!
শূন্যে তালি বাজিয়ে হয় না ত্রিতাল
বরং উড়ে যাও পাখির খোঁজে
আমার নীল পৃষ্ঠা।
ভাব
শীতরাতে
স্বতঃস্ফূর্ত ঘুম কেনো জানি একা শুতে পারে না পুরনো গল্পের
ভেতর, পারিপার্শ্বিক নারী! জানতে না বুঝি? খরা-দেহে কষ্টফুল
কিভাবে খেয়ে ফেলছে হৃদয়; আহ্! রাত্রিপোহানোর তাবৎ মহিমা
মনে হয় শীতহীন সহস্র রাতে... ভ্যাপসা গরমে সচরাচর ঘুমোতে পারে না নাক টেনে টেনে মিশে যেতে থাকে চাওয়া,লালায় বারবার জেগে ওঠা গোপনস্মৃতি চাপা পড়েনি উল্টো বহু ছলাকলা ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জেনে,...
মাঝি কোথায় কেউ জানে না।
এই দুরন্ত খেয়ার ওপর সবই আছে
যানবাহন আর হাটের মানুষ
কোলাহলে জমিয়ে রাখা সমাজ ছবি
ভাগাভাগি করে নেওয়া বিড়ির আগুন
কিংবা পানের দু এক খিলি
উজান থেকে ভাটির চরম খরস্রোতেও
কে করে পার এপার ওপার কেউ দেখে কি
কলমুখর হট্টগোলেও চলছে ঠিকই
তারই একটি ভেতর ঘরে মাঝি বসে, কেউ জানে না
এপার থেকে যাত্রাকালের অশ্র“মোচন
ওইপারেতে অপেক্ষমান আলিঙ্গনের, সবই জানে
আখর সূতোর নক্স...
পকেট উপচে পড়া ক্যপস্টানের তাস,
চোখে ছুরি, তর্জনীতে মার্বেল,
এবার ঠিক প্রতিপক্ষ ঢুকে যাবে গর্তে
মাঞ্জামারা হাত এত কাবু নয়, তবু
তোমার লেজফিতার আট আনা কত উড়িয়েছি ধুলায়-
বলেছিলে দেখে নেবে।
দেখেতো নিয়েছো ঠিকই,
তোমার মৃগনাভে খেলে আজ বর্গী আঙুল।
বালকেরা জানেনা জীবন কতটা প্রবঞ্চক,
বালিকারা তবু ঠিকই শিখে যায় জাগতিক পাটিগণিত।
আমরা যেদিন যুথচারী হলাম
সেই দিন আমাদের কাছে স্বাধীনতা এসে নতজানু হল
আমাদের অস্থি ও মজ্জার ভেতরে যে ক্ষুধা আর আকাঙ্ক্ষা
আদিগন্ত ডুবিয়ে রেখেছিল তার প্রকাশ পেল সেই সকালে, কিন্তু
তারপরই আমরা আবার বিভক্তির বিশাল শব্দ গণনা শুরু করলাম
এক দুই তিন চার পাঁচ.........
বিভক্ত হতে হতে আমরা আমাদের সেই পরাজিত প্রতিপক্ষকে
শক্তির উৎস মুখ খুলেদিলাম, শানিত হওয়ার জন্য
তারা তাদের রশদ আরো বাড়িয়ে নিল,...