তুই কাছে আসলেই আমার জগত কেন বৃষ্টিময় হয়ে ওঠে?
বুকের ভেতর ফিসফিস শুকনো পাতার ঝর ঝর শব্দ
আসমান ফালি ফালি করে শিহরিত বিজলির ফলা
বৃষ্টি বৃষ্টি দু’কূল ছাপিয়ে ওঠে বেসামাল জলরাশি
তুই কাছে আসলেই গা ছম ছম একলা আমার ঘর
এই বুঝি কেউ কলিংবেল বাজালো হঠাৎ
জানালার পর্দাগুলো ওড়াউড়ি করে আকাশ পাতাল
কার্নিশের বেড়ালটা আচমকা ম্যাঁও করে দৌড়ে পালায়
তু্ই কাছে আসলেই শুকনো পদ্মায় সুনামি আঘাত হানে...
সুসময়
বিলাসী দেয়াল সমান্তরাল
জানালায় রেশম হওয়ার আবাদ।
চুলবুলে উড়োউড়ি কিছুটা সময়।
লজ্জিত নগ্ন টেবিলে বিন্যস্ত মনুসংহিতা,
বোখারী তারপাশে কার্ল মার্কস, নিউটন মননে
পড়ে থাক। প্রেম শরীর ছেনে ঘেটে,
শরীর হনন প্রক্রিয়ায় চুরমার অনায়াসে।
দূর শান্ত মেঘের পাশ থেকে ডানা ভরে
অলিক এনে দেয় কোন সাহসী আঁধার।
তার কিছু রং মেখে আকাশ জুড়ে ঝুলে থাকে
চাঁদ-সূর্য-তারা ভরা গ্রহের সচেষ্ট বুনন
এক...
উৎসর্গ- দিলারা সুলতানা মেরী
আয়নামুখে এক নির্জন মানুষ দেখি;
তার চোখে শাপলার ঝিল, কবেকার
বর্ষার মেঘগুলোর বধ্যভূমি;
নাকি দলাপাকানো থুথু!
চাঁদের আদুরে বৈঠকে জানালায় মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরে
যত পুতুলগুলো। এঘর ওঘর ছুটে একসময় ঘুমায় ভুতগুলোও;
রূপকথার গল্পের বই থেকে এক পাখাওয়ালা ইউনিকর্ণ আমাকে
কাঁধে চাপিয়ে নিয়ে যায় দূর এক জাদুময় অরণ্যে; সব যুদ্ধ জিতে
আমি তোমার মার্বেল প্রাসাদে...
আস্থা হারানো কাটা চামচ
সৈয়দ আফসার
আস্থা হারানো কাঁটা চামচ দীর্ঘশ্বাস!
বিগত দিনের মতো উড়ে যাচ্ছে না
অনুতাপ শুধু আস্থা হারাচ্ছে
ছানিপড়া চোখে
খাবার টেবিল-প্লেইট ঘষাঘষি কাঁটা চামচ
দেখছি আঙুলের ইশারা ঠিক সাড়ে পাঁচ
দীর্ঘশ্বাস আমাকে কেন যে গাঁথছ বুকে
ফাঁক গুগলে দাঁড়ানো অক্ষম শূন্যতা আমি
ভাঙাছাঁচ
সৈয়দ আফসার
পর্ব
অদ্ভুদ লোভে কেঁপেছিল শরীর
তারও বেশি জেগেছিল অঙ্গের স্তর
তবু শঙ্কিত হয়নি ঝুলে পড়া চোখ
কোনক্রমে উঠে থমকে গেছে বে-ভোলাস্মৃতি
ছিটকাপড়ের তলে
ফলে প্রাত্যহিক রুটিন কাজ গুনে রাখি আঙুলে
২.
অমন চেহারা দেখে খুলে যেতে পারে
অগ্রহায়ণ
পউষের শীতে আমাদের ভ্রমণ...
স্বভাবত তখন শতকণ্ঠে শুনি বাতাসের গায়ে
বৃষ্টি ছিটাছিটা ক্রন্দন
অবেলায় না-ফেরা সুনসান ... ...
তুমি বড় হয়ে যাচ্ছো
পোশাকের ভেতর নিজেকে লীন করে রাখছো,
তোমার ভেতর তো সেই কবেই অর্ধেক লীন হয়ে আছি;
আমিও কি পূর্ণ রূপে বেড়ে উঠছি?
জানিও তো। আমার বেড়ে ওঠা তোমার সমস্যা না হলে
জানাতে হবে না! মনে রেখো। দেখো ভুল করে
আবার জানিয়ে দিও না...
তুমি তো অনেক ভুল করো
অথবা আমার শুদ্ধ-কে ভুল ভেবে বসো।
অভিমানের মেঘ দিয়ে ঢেকে রাখো সম্পর্কের সূর্য!
তোমার ভেতর তো সূর্য নেই তবে এতো আলো আসে
কোথায় হতে? আমি ...
আজ আর বলবার মতো কিছু নেই
বলার যেটুকু ছিলো সেই অস্তমান আকাশের নিচে
গোধূলির ধূলিকণা সাক্ষী রেখে তাকে বলেছিলাম
তাকে বলেছিলাম - বাতাসের বর্ণে লেখা পুকুরের জলের ভাষায়
তখন উত্তরা বাতাসে কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে কালো তরবারির মতো
ঝুলছিলো ফলগুলো
তখন আলোর আভাস পেয়ে মাটির ভেতর কেঁপে উঠেছিলো
সর্ষের নরম শেকড়
তখন সন্ধ্যা ঘুমিয়ে পড়েছিলো
নির্জন মাঠের উপর থমকে থাকা গেওয়া গাছটার নিচে -
যার ...
কোনো একদিন পৃথিবীতে তোমার হৃদয় জীবিত
হয়েছিল প্রেমে-ঘেমে উঠেছিল তোমার শরীর
-তারপর কত রাত্রি আর দিন, পিয়ানোতে
তোমার নিপূণ আঙ্গুল তুলেছিল সুর
দু'টি পা তুলেছিল মাংশল মুর্চ্ছনা ব্যক্তিগত ড্রয়িং রুমে।
তুমি দেখাতে চেয়েছিলে স্বপ্নতাড়িত তাবিজ সমূহ
পৃথিবীর ছুড়ে দেয়া উপহাসে তুমি ছিলে আত্মবিশ্বাসের দু;খ
মুর্চ্ছনা শেষ হয়, প্রেম থাকে কই মানুষের মনে
তুমি ডুবে গেছো মস্কোর চুলখোলা অন্...
স্বপ্ন অবসরযাপনে ক্ষনকালের তরণী
এক.
আমি নিরবধি,
আমার মিত্ররা ভ্রমর খেলায় উপহাসের পাত্র হয়ে উঠে
একখন্ড মেঘ পাশ দিয়ে যেতে যেতে স্থির
একটি ক্ষেত্র, আর্দ্র এবং প্রশস্থ
স্বপ্ন অবসরযাপনে ক্ষনকালের তরণী
দুই.
আমি এখানে অন্য একজন মিত্রের অপেক্ষা আছি
যার ভ্রমণ ছিলো এই ক্ষেত্রটিতে
উপহাস কিংবা মীমাংসায় নয়
মেঘ, ক্ষেত্র, ভ্রমর খেলা
আমাকে হিসেবের বাইরে ঠেলে দেয়
(গত এবং আগত সকল আত্মহত্যপ্রবণ কবিদের)
যে কবিতা শেষে কপালে ঠেকাবো রিভলবার
তার কথা ভাবি- নিদ্রাহীন কাটে রাত।
সারাদিন তাকিয়ে থাকি শাদা কাগজের দিকে
হাতে নিয়ে কলম, শব্দের ওজন মেপে মেপে
অভিশাপে কুঁচকে যাওয়া কপাল, দু'চোখে নিন্দা
আমারই ওপর বর্তেছে আজ বিশ্বনিন্দুকের ভার!
আমিইতো সেই, ইতিহাস যাকে সাক্ষী মেনেছে
মানুষের সকল কু-কর্মের
আমাকেই সভ্যতা উপহার দিয়েছে
ক্লাসিক নারী ধর্ষনের ইত...