হিসেবটা মিলছেনা ঠিক,
কেন বিষের পেয়ালায় কেটেছি ডুব-সাঁতার
কেন ফিরে-ফিরে গেছি
নগ্ন ছুরির কাছাকাছ।
নগ্ন ছুরি!
শিকারীর মত ওৎ পেতে আছে
হৃৎপিন্ডের জন্য।
কেন, তবু,
ছন্দমুখর পায়ে
অকুন্ঠ বিশ্বাসে মুখোমুখি তার,
বার বার।
কোন্ মোহ মুগ্ধতায়?
কোন্ দুর্বোধ্য প্রেমে?
আকাশলীনা।
কবিতা আর কি লিখবো?
যখন দেখি চারিপাশের পরিচিত মুখ গুলো
বিকৃত হাসে নীতির কথা শুনে।
চিবিয়ে চিবিয়ে বলে নীতিবান!
যত সব ফালতু প্যাচাল।
শব্দ মালা কি আর গাথঁবো?
যখন দেখি সভ্য মানুষের অধরের ফাকেঁ
অশ্রাব্য শব্দের ফুলঝুড়ি।
অশ্লীল বাক্য বিনিময়ের হীন মানসিকতা।
নিজেকে রক্ষা করি কি ভাবে ?
যখন দেখি পায়ে পা রেখে
ঝগড়া করার জন্য উৎসুক মানুষের দীর্ঘ মিছিল।
উত্যাক্ত করার জন্য অহেতুক খুনসুট...
দৃশ্য
উঁচু, নীচু দালান ঘেঁষে যেখানে
রাস্তা-ফুটপাত পাশাপাশি শুয়ে থাকে।
নারীরা সারি বেঁধে
সভ্যতা সেলাই করে ফিরে।
কালো কালো রাজপথ
আটকে থাকা গতরাতের বৃষ্টি।
বালকেরা বাতাসে তাদের অঙ্গ ছুঁড়ে
খেলা করে ।
এক তাল নীচে অর্ধেক দেহ
অসাড় হাত দুটি ঝুলে থাকে মরা গাছে।
ছিন্ন স্যান্ডেলে অগ্রোজ প্যাডেল চালায়
চলমান গলির মোড়ে সতর্কতা বাজে।
পার্টি সেন্টারগুলো চুমকির শরীর নিয়ে হাসে।
আলু ...
যারা পাতা ভালোবাসে
তারা উঠানে ঘাসের চাষ করে
আর যারা দুগ্ধ ভালোবাসে
তারা গাই পোষে
যারা আমিষ ভালোবাসে
তাদের গহীন বনে যাতায়াত
তাদের আলোকাটা কুঠার
কখনো সখনো তারা হরিণ পোষে
হরিণ আমিষ খাদক, পাতা খাদক
সকলেরই প্রিয় খাদ্য!
ইনফ্রারেড // নাজমুস সামস
( সবজান্তাকে)
দুটি মন এক করে দেওয়ার জন্য
এই যে ইনফ্রারেড
চুমু স্হানান্তর করে
তার মন রমে নক্সিকাঁথা বিছিয়ে
বসে আছে শক্তিশালী অন্য অন্তর আবার!
জানি তার আকর্ষণে হারিয়ে যেতে পারে ক্ষীনতনু তোমার
তবুও হৃদয়ে হৃদয় প্লান্ট করতে গিয়ে আমরা
কেবলই মাৎস্যন্যায়ের শৈবাল শিকার হয়ে যাই
অনুবাদ করে যাই দুটি মনের এক না হওয়ার
কোমল দু:খ ভরা গুনাই বিবির গান
অথবা দ...
.
তাঁকে হত্যা করার আগে
একটুও কেঁপে উঠেনি ওদের হৃদয়
কেনো না ওরা তো মানুষ নয়
মানুষ ছিলো না কোনোদিন।
তাঁর ভালোবাসায় উপচে পড়া বুকে
বুলেটের নির্দয় নগ্নতাকে তাক করার আগে
দ্বিধান্বিত হয়নি একবারও তাদের হিংস্র নখর
কারণ, ওরা মানুষ ছিলো না কখনোই
মানুষের কোনো নখর থাকে না,
মানুষের গর্বিত আঙুলে জড়ানো থাকে মোহন স্নিগ্ধতা।
ঘাতকেরা মানুষ হয় না কখনো
ঘাতকের কোনো জাতিসত্তা নেই।
(১৫/০৮/১৯৯৬)
তখন আমার বয়স কতই বা হবে, ক্লাস সেভেনে পড়ি। আমার বাবার দেয়া লাল ডাইরীটা সামনে ধরে বৃষ্টি দেখছি। বৃষ্টির ফোটাগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে দেখে লিখে ফেললাম একটা কবিতা। সম্ভবত ঐ কবিতাটাই প্রথম লেখা কবিতা। তারপর মাস খানেকের মধ্য লিখে ফেললাম আরো গোটা দশেক কবিতা। ডাইরীর শেষ কবিতাটা ছিল একটা ফুল নিয়ে, কবিতার নাম "কৃষ্ণকমল"। কবিতার মূল ঘটনা ছিল- একটা ফুল যেটা নাকি প্রতি ১০০০ বছরে একবার ফুটে, ওটা ...
যাওয়া যেতে পারে নিমেষেই লক্ষ কোটি দূর
বুকের গভীর মানে চেনা রোদ্দুর
আজ কাল, কাল আজ একইতো সময়
দূরের গভীর মানে কাছের প্রণয়
নদী যায়, বয়ে যায় উথাল পাথাল
মনের গভীর মানে বেহেড মাতাল
সাগরে উঠলে ঝড়, তার ঠোঁটে হাসি
ভুলে গেছো যতোবার ততো ভালোবাসি...
১২/০৮/০৯
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।
একেবারে হারিয়ে যাওয়া বোধহয় সঠিক না, তেমনি হুমায়ুন আজাদ'কে পুরোপুরি বিস্মৃতির অতলে ঠেলে দেওয়াটাও সঠিক কাজ নয়। শোহেইল ভাইয়ের লিখাটা পড়বার পর মনে হলো হোক পুরোনো কিন্তু স্যারের জন্য যে ভালোবাসা সেটা এখনো আছে কবিতায়, শব্দে এবং অবিশ্বাসের কাঠামোতে। মোল্লাতন্ত্রের প্রচ্ছন্ন হুমকিতে আক্রান্ত দক্ষিণ এশিয়ার এই ছবিটা তিনি অনেক আগেই দেখেছিলেন।
=============================================
অনেক শব ব্যবচ্ছেদে...
একটু উলট পালট খেলি
একটু নদীর ঘ্রাণ নিয়ে ঘষে দেই ফসলের পলি কাদায়
আহ!
আনন্দ টানি বুক ভরে
ফু দিয়ে ছাড়ি বাশের চোঙ্গে
মাটির তিন কোনা উনুনে
ভাপ বড় ভাপ
ফুয়ে পোড়ে খড়.. চোখে জল
কাশি আসে
কেশে উঠে আধশোয়া কেউ
ভয় হঠাৎ..
কাশি সংক্রামক কি?
আনন্দের মতই?
কই?
তবে কেনো দেখা যায় পাজরের হাড়?
খায়নি?
কিন্তু হাড়িতে তো ধোঁয়া উঠে তখনো ..
তবে? ...
হায় তুমি দেখোনি বালক..
এভাবেই মেশে,
মিশে যায় কিছু কষ্ট,
গোগ্রাসে ...