কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ আজ রূপ বদল করেছে মাদী কুকুরের সাথে
রুবেল
ঈশ্বর গণিত খুব পটু।
চাঁদের হিসেবে ভুল করে
মরুর বণিক।
মরুর বালুর ঝিলিক ধরা
শরীরে নেমে আসে গাঢ় অন্ধকার।
কৃষ্ণ কৃতদাস উল্লাসে ফেটে পড়ে
ব্যথাহীন হয়ে পড়ে বেড়ি পড়া পায়ের
ক্ষত গুলো।
সশস্ত্র সৌন্দর্যে কৃষ্ণ মরুভুমি নিস্তব্ধ
মরুভুমিতে কুমারীত্ব।
বণিক উন্নত যৌবনবতীর খোঁজে মশাল হাতে
বলা বাহুল্য সেই রাতে কো...
বন্ধুতার / নাজমুস সামস
যেখানে রেখেছি উঠান বলেছি বন্ধু
হাইৎনার* আলো নিয়ে
চলে গেছ বন্ধুর পথ
লন্ঠনে যে তামাক পোড়ে
তার নাশায় উশকে দিয়েছি
উইকএন্ড উৎসব
সবজি দিতে এসে
নিয়ে গেছ বন্ধু আমার!
*বৈঠকখানা
কথার মাকড়সা জাল বুনে যায়
মনের মনে। কতো কথা জমে আছে
মাটির পাঁজরে। জেগে ওঠেনা তবু
শব্দের বাগান। নীরবতার চিতায়
পুড়ে কথার কতো কথা!
ঝিনুক খোলেনি মুখ
মেঘের চক দিয়ে আকাশের সেলেটে
লেখা হয় না কোনো অক্ষর।
কথার পাহাড়ে মাথা রেখে সময়
ঝিরিয়ে নেয় আরেকবার।
স্বার্থপর সময় এর পাখনা যায় উড়ে তবু,
তুমিও তো তার ঘাতক ছায়া!
হায়রে জমানো কথা,
আমি আর আমার কথা
সেই কবে থেকে হয়ে আছি একা...
নীল
এখন আর জমা থাকে না কিছুই। খরচ হয়ে যায় সঞ্চয়ের
সুতো,রাতের রহস্য,আশ্বিনের অহংকার,আর পাড়ি দেয়া
ঘাটের ঘটনা। যে ভাবে স্রোতপাত হবার কথা ছিল সমুদ্রে,
তা,- না হবার কারণেই হয়তোবা এবার পুষ্ট হতে পারেনি
দক্ষিণের ফসল। ধানের দুরু দুরু ভয় তাড়িয়ে গেছে পাখির
পরাণ ও। তাই তারা উড়ে আসেনি উৎসের উত্তর থেকে।
আমি ধান ও ধ্যানের তবক সাজিয়ে রোল করা কাগজে করছি
সেই হিসেব নিকেশ। নির্ধারণ করছি,সমূহ জোয়ারের...
আজ এখানে বৃষ্টি হলো খুব,
ঠিক যেনো বাংলাদেশের শ্রাবণ
পথ ভুলে ভুল ঠিকানায়।
তোমারও কি মনে হল আমার কথা?
সেই কোন কালে
কত যুগ আগে, এমনই বরোষায়
শুনিয়েছিলে 'আকাশ যেনো আলকাতরা
সেনাবাহিনীর মতো ঝাঁপিয়ে নামবে বৃষ্টি';
আর আমি, তোমাকে শোনাবো বলে
পড়েছিলাম মেঘদূত, খানিকটা রবীন্দ্রনাথ।
আজও বৃষ্টি হয়,
আকাশ, আলকাতরার চেয়েও আরও
ঘন কালো মেঘে করে অভিসার,
কেবল তুমিই গোনো বরফের কাপাস;
নিরাপদ ওমে, তো...
জ্বলছে সিগারেট।
ধোঁয়ার সাঁড়াশি বিস্তারণে ঘরময় আঁধার যেন কোণঠাসা।
ইজি চেয়ারটার বাম দিকের জানালায় আকাশ থাকে।
জ্বলজ্বলে তারাদের দিকে তাকালে চোখ ছলছল করে।
আমি তারা গুনি না।
আমি গুনি রাত আর ঘড়ির সেকেন্ড কাঁটার নিশ্বাস।
নিরবতার ঘনত্বকে
রাতের গাঢ়ত্ব দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল হয় শূন্যতা।
কি অদ্ভুত!
তার চেয়েও বেশী বিষ্ময়কর ঈশ্বরের পাজল্!
কারো রাতের নকশিকাঁথায় ঘুম পাড়ানি গানের আদর,
আর...
ডেটাক্যাবল / নাজমুস সামস
ডেটাক্যাবল হারিয়ে গেছে বলে
দু:খগুলি ইন্সটল করতে পারি না
সিডিটি রয়ে গ্যাছে বিছানার তাকে
প্রতিদিন তার বিচি গুনে দেখে নেই
কতটা গাছ হতে পারে হৃদয়ে তোমার
বসন্ত মাসে সেইসব গাছ নিয়ে
বৃক্ষমেলা করব মন মাঝারে
পলিথিন মোড়ানো এইসব শিকড়গুলি
কোনোদিন মাটি পাবে না জানি
তবুও একপাড় ভাঙা নদীর কাছে
ও পাড়ের কথামালা সাজিয়ে গুছিয়ে বলতে পারি না
চর ওঠে,মহিষ চড়ে
গান গাওয়...
-সাবিহ ওমর-
#১
বৃষ্টিভেজা ভোর।
অযুত হীরের কণা
আমার শার্সিতে।
#২
বৃষ্টি বিরতি।
প্রত্যেক রেলিঙ-এ শুকায়
একটা করে কাক।
#৩
আবারো বৃষ্টি!
কালো মেঘ মুছে দিলো
রংধনু দুপুর।
#৪
কাকভেজা রাজপথ।
গাড়িটার পিছু পিছু
টেল লাইটের ছায়া।
#৫
অন্ধকার আকাশ--
কালো ছাতাটা আমার
শুকাতে দিলাম!
ওমরসাবিহ এট জিমেইল ডট কম
ওমরের ব্লগ
সম্পর্ক
সম্পর্ক এবং দুঃসম্পর্কের মাঝামাঝি
অসংখ্য তলাবাড়ী পৌছে দিতে
অসংখ্য সিড়ি অলি গলি
কালো কালো রাজপথ।
পা ডুবে যাওয়া নরম অনুভূতিতে
অনড় কেউ কেউ
বুঝে যায় সহজে
নিজের বিরোধীতা করে
শান্তি কিনে কিনে ক্লান্তিতে ঘামে
অন্যত্র পৌছাতে দিক ভুল করে
পৃথিবীতে মানুষ অবিরত।
সবটুকু অটুট রেখে
কিছু দিতে চাওয়া
এ পাগলামি।
সারাবেলা ইচ্ছেমত প্রতিদ্বন্দ্বী
মনটার প্যাথোজ চুষে নিয়ে
ছায়...
রাতের শরীর জুড়ে বাসন্তি আকাশ
নির্ঘুম সেলের একপাশে ফুটো ছাদ
তারও রয়েছে ছাউনি, একটি তারা
অনেক রাত
এখনও নির্ঘুম কেন
তারচাইতেও বড় প্রশ্ন
আমি এখানে কীভাবে?
ছোট্ট মেয়েটি আমার, ঘুমের মাঝেই
ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে, মধ্যরাতেও
আমার স্ত্রী, আমার ছোট্ট শিশুকণ্যা,
তার মা পাশে পড়ে থাকা শূন্য বালিশে
কী খোঁজে, আমার চাইতে বেশী
আর কে জানে?
ছোট্ট মামনি আমার, কাল ভোরও কি
একই বার্তা বয়ে আনবে তোর কাছে?...