বর্ষার আগের কথা, সিরাজগঞ্জের ভদ্রঘাটে
অভদ্রের মতো আমি হারিয়েছিলাম পথ, জানো
কী করি, পথের বাঁকে হারানোর নিশানা লুকানো
বর্ষার আগের কথা, এখনও স্মরণে পথ হাঁটে।
যমুনা না করতোয়া, ভদ্রঘাটে নদীর কী নাম
না জেনেই পা বাড়িয়ে, কিছুক্ষণ পর চেয়ে দেখি
আমার দু'পাশে গ্রাম, তেঁতুল আর শিরীষ সাবেকি
সম্ভ্রমে দাঁড়িয়ে। আমি পথ বরাবর তাকালাম।
কেমন সোনালি আলো সহসা ঝিলিক মারে চোখে
হঠাৎ তেঁতুল ঝাড়ে ডাক...
২৭শে আষাঢ়
এক.
‘জানালা’, ‘বৃক্ষ’, ‘বোবা কান্না’....
‘ভয় ভয় এক দমবদ্ধ ব্যাকুল অনুভূতি’
সবই বড্ড পুরনো.....
তবু আদিম মানুষ খুঁজে ফেরে নিত্য নিরবধি।
মেঘলা আবেশ দুঃখ বিলাস জাগিয়ে তোলে যদি
মুঠোফোন আর চ্যাটবক্সে কবিতার ঝুনঝুনি।
দুই.
আমায় তুমি ছুঁতে পারো।
চকচকে ঐ জলকণা মুছে দেবার অভিপ্রায়ে-
বৃষ্টি ধোয়া সন্ধ্যেবেলায়
শুকতারাটা খুঁজতে পারো।
হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা পথ, চলতে চলতে বুঝতে শেখা-
...
এক চোখ অন্ধকার
এক চোখ শূন্যতা
চোখের আকাশ,
এক টুকরো মেঘ।
অসম্ভবের ট্রাক চালিয়ে দিগন্তের
পথে চলে যায় সম্ভবের সবুজ প্রজাপতি!
চোখের শূন্যতা। শূন্যতার আকাশ।
আকাশ অন্ধকার।
কোনোদিন হবে না কি আর সকাল,
প্রজাপতিরা যাবেই চিরকাল?
নীল
[center]দিন-রাত সারাবেলা;
টক-ঝাল প্রেম খেলা;
তুমি আর তুমি মিলে কি যে চাও বুঝিনা।
হাসি-গানে বাগড়া;
খুনসুঁটি, ঝগড়া;
আজব খেলার সেই মানে আর খুঁজি না।
তাকে নিয়ে কাঁদো, হাসো;
প্রাণ দিয়ে ভালোবাসো;
চাওয়া পাওয়া মিলছে না; তাই এতো কষ্ট?
সে তোমার ছিলো, আছে;
হয়তো দূরে বা কাছে;
কেটে ছিঁড়ে মনটাকে কেন কর নষ্ট?
“অপেক্ষা! তুমি নাই”;
“এটা কেন? ওটা চাই”;
এভাবেই মন ভেঙ্গে হবে চুরমার!
ত্যাগের চর্চা ধর;
স্বার্থক...
একটি রাত হঠাৎ এসে কড়া নেড়ে যায়
আলনায় রাখে মেঘের জামা
সেই জামাটা ধরতে গিয়ে পড়তে গিয়ে
আমার ঘরে স্বপ্ন দেয় হানা
বৃষ্টিটা ঠিক তক্ষুনি নেমে পড়ে
ঘুম ভেঙে যায় অবাক চোখে
দেখি সব ফাঁকি আলনায় তোর জামা
কোথায় আছিস তুই, কোন সুদূরে
ভুলে গেছিস কি রাত দুপুরে
আড্ডাবাজি, ঝগড়াঝাটির নেই ‘কমা’
বৃষ্টিটা ঠিক তক্ষুনি নেমে পড়ে
ঘুম ভেঙে যায় অবাক চোখে
দেখি সব ফাঁকি আলনায় তোর জামা
এইতো পাশে, তেমনি আছ...
১৯৯৮ এর ১৭ ফ্রেব্রুয়ারি। স্বভাবকবি, বন্ধুবর মঈনের সাথে সন্ধ্যা থেকে ডিউটি করছি ডিপার্টমেন্টের বারান্দায়। পরের দিন পিকনিক। ডিউটি মানে পিকনিকের আগের রাতের যোগাড়যন্ত্র করা আরকি। সেসময় মাঝেমধ্যেই কবিকবি ভাব আসতো। সব কিছু গোছগাছ হলে শেষ রাতের দিকে মাথায় ভাব জেগে উঠলো। মঈনকে বললাম চল দোস্ত রাতের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দেখে আসি। নিশিপরীরা এতক্ষণে নিশ্চই তাদের পাট চুকিয়েছে-- ফলে আম...
বোতলে জল বোতলে স্থল
বোতলে রসাতল ফন্দি
আলোতে কালো বাজে
বুকে নূপুর নাচে
অপারে ঠাকুর সাজে
কাঁঠালে- আমের সন্ধি
কবরে
সাদা কাপড় বন্দি
অর্জুন মান্না
অক্ষরের উপর গড়িয়ে স'রে চোখ
তোমার বুঝি জ্ঞান নেই,হয়তো আছে
শেষকৃত্যের আড়ম্বরে হারিয়ে স্বর
কোথাকার মাটি,কোথাকার জলে গিয়ে
ফিরে আসে। তবুও হাঁটতে পার চোখ;
শব্দের নীল সুধা,সমস্ত গন্ধরাজ
কিছু বিস্ত্রস্ততা পেরিয়ে দেখা কী যাবে
কী আছে লেখা?মৃতদের শরীর ছুঁয়ে
তেঁতে উঠি। বিরল নি:শ্বাস,অর্থহীন
নিভৃত কথার তোড় টেনে নেয় দূরে;
তোমারই পাশে শুয়ে বোধশূন্য গান
রচনা করি প্রতিরাতে। না যেন হয়
আয়না স...
লোকে যে বলে
সুলভেই সবকিছু দাও-
কাজলরেখা,
সে কথা সত্যি নয়।
ফিরিয়ে দেবার আঘাত পেতে
ভালোবাসতে হয়েছে একুশটা বছর,
প্রত্যাখানের চিঠি পেতে
দিতে হয়েছে সহস্র সমর্পনের চিঠি,
আর মনে যে রেখেছো
সেজন্য ভোলার চেষ্টা করতে হয়েছে সারাটা জীবন!
পাখীরা ফিরেছে ঘরে
অথবা ঘরে ফেরে বলেই তারা পাখী।
আমাদেরই কোন ঘর নেই
শুধু ঘরের স্বপ্ন আঁকি।
এক টুকরো বাগান, আধখানা ঘর
আর বারান্দায় তোমার শাড়ী -
নাকি তোমাকে ভাবিনি বলেই
আমরা আজও, দীপান্তরী।