অথবা কোনো অসমাপ্ত নিশুতি রাতে,
জানালার শিক বেয়ে স্মৃতি হয়ে উঠে এসে,
উঁকি দাও যদি বেখেয়াল সন্তর্পণে-
হয়ত দেখবে তুমি বিষাদের চাদরে ঢাকা
নিশ্চুপ দেহের ভাঁজে বিস্মৃতির ধূসর আবরণ।
ছুঁয়ো না গো মেয়ে আমায়
নিরন্তর এ বিষে তুমি নীল হয়ে যাবে।
হাত ধরার নামে তুমি ছুঁয়ে দিচ্ছ বিষাদ, ফলে
তেতে উঠছে ক্রোধ--অদৃশ্য কাটা দাগ
ভোর হবার আগেই লিখে ফেলছো
কুয়াশামাখা পাখিদের গান; আর
তাদের ফেলে যাওয়া পালক থেকে
তুমি তুলে নিচ্ছ ভয়--গতিপ্রবাহ
আকাশযাপনের নামে আজ যদি কিছু মিথ্যে বাহাদুরি
ভুল করে ঢুকে পড়ে গোটানো জামার ফাঁকে
কিংবা আজ যদি গতিপ্রবাহের নামে
কিছু পাখি ঝরে যায়
তার পতনরীতি তোমায় কতটুকু ভাবাবে--
সন্ধ্যাভাষা বুঝে ভালো পাখি--পাখির নিকট তাই বার্তাবাহী মেঘেদের ভীড়--
পাঠ নিতে গিয়ে বুঝে ফেলি কীসব অদ্ভূত শলাকায় বাঁধা পড়ে আছে আমাদের প্রত্যাবর্তন। তাতে রহস্য ঘনীভূত হলে আমার বারবার মনে পড়ছে অচেনা পাখিটির ছুটাছুটি এবং তার ভেতর থেকে উঠে আসা ক্রুদ্ধ চিৎকার
আজ লুকিয়ে রেখেছি ভয়--চোখে কৌতুহল। আমার চোখের উপর ধাই ধাই নেচে বেড়াচ্ছে অচেনা পাখিটির মৃতদেহ
এরকম আরও কিছু
উডিউডপেকার হেসে
বেকুব বেঁচে থাকি
চিবুরাস্কা চোখে
ধূসর রেখাচক্রের
কূটিল ডিগবাজি
নিমরাজী জিগজ্যাগে মাতে
প্যারালালবারের চারপাশে
আমাদের সনাতন হাঁশফাঁশ
চিবুরাস্কা চেয়ে থাকে
ঝাঁকে ঝাঁকে ফ্লিপকথা
××× চিবুরাস্কা সোভিয়েত আমলের জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র।
...
নিশিতেও নিশান্ধনিশাচর, নিশান্তে ঘুমোতে যাবে,
তাতে কী কারও কষ্ট হবে ? এই যে শয্যায় শুয়ে আছেন
যে রমণী, তার পিঠ থেকে খসে পড়ে আছে
রুপোলী শাড়ী। তিনি কী জানেন এই সৌন্দর্য
আমি রাত জেগে পাহারা দিয়েছি ?
একটি পূর্ণতম কবিতার কাগজ ভেবে।
অথবা, যেখানে জীবনে কিছু লেখা যায়।
তার তন্দ্রাতুর খোলা-চওড়া পিঠে,
গ্রীবায় চুপিচুপি চুম্বন করতে আসবেন না ঈশ্বর,
তাই বলেছি, খুব দুর্ভাগ্য নিয়ে জন্মেছেন তিন...
আমি ভালোবাসি প্রেম
ভালোবাসি কাম
আর লদকালদকি
ঘন ঘন, সপ্তাহে কমপক্ষে পাঁচবার
বৃষ্টি পড়ে
পাতা নড়ে
রাস্তাঘাটে কাদা হয়
মেঘ আসে
বাস ট্রাক গাঁহ গাঁক হর্ণ দিয়ে যায়
নিঝুম নিশুতি রাতে ড়্যাবের টহল বলে পোঁ পোঁ পোঁ পোঁ
অমনি আমার খুব ভালোবাসা ভালোবাসা লাগে
ইচ্ছে হয়, তোমাকেই হামলা করি
কিন্তু জানি, তোমার বাপের আছে
লাইসেন্স করানো বন্দুক
তাই আমি
বালিশের বারোটা বাজাই
আর ব্লগে ঢুকে লিখে যাই
...
আদিতে অখণ্ডে একত্রে বাঁচা!- কে বলে তা ঐশ্বর্য?
কে বলে তা সত্য?
দিনেদিনে আগায়েছে, কিন্তু কী তা? কী নাম তার
যা আগায়ে গেছে অনর্গল?- স-ভ্য-তা, সভ্যতা
সুতরাং দিনেদিনে আগায়েছে মানুষ, হইছে সভ্য
খামারের যৌথতা ছাড়ছে, বাদ দিছে একত্রপরাণ
-চিনছে পরিবার-
কিন্তু সভ্যতা যে! সুশীল সভ্যতা!
পরিবারও নাকি যৌথতা ছিলো!!
কোন্ এক কালে!!
সেই কালটা উড়ায়ে এসেছে বাঙালি; সে এখন সুশীল
সুশীলেরই মতো আরো যারা দুই প...
পাঠচক্র -১
ফোনে ধরি তাকে, 'কবিতাটা পড়েছো,
ওমন চমৎকার হয়না, তাইনা?'
'এটা বুঝি চমৎকার হলো?
তবে হ্যা, গোটা দুই উপমা জীবন্ত ছিলো।
দেখেছো, কি লিখেছে দাউদ হায়দার?'
'হুম, ভালো লাগেনি একদম।'
'ভালো লাগাতে হলে পড়তে হবে, আরও।'
'বেশতো, পাঠাও না'; 'পাঠাবো।'
পাঠচক্র -২
আমাকে যেখানে ভাষা মুগ্ধ করেছিলো,
তাকে সেখানে কনটেন্ট -
আমরা দুজন এতটাই পৃথক ছিলাম।
তবু একই লেখক পড়ে পড়ে
আলোচনা, সমালোচনায় পার্থক্যের
...
রচনা :: নভেম্বর, ২০০১ - ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ ॥ পরিমার্জন :: ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ - এপ্রিল, ২০০৯
'ক্যাশিয়ারের খাতা ॥ প্রথম ভাগ'-এর আগের অংশ পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
*
... ভাবো তবে দোষটা কার। তীরে হ’লে তীরে,
ছুড়ে হ’লে ছুড়ে, যেভাবেই হোক পতন কিন্তু
আছি পাশেপাশে। নিরক্ষর নাকি! জীবনে ও প্লাবনে
নিরর্থকতার দাম আছে
মুচলেকায় পতন ঠেকে আছে- টিপছাপ;
আঙুল তো আছে?
ও...
ধনঞ্জয় রাজকুমার
আ মা র ক বি তা
এক.
নিজেদের নিষ্ঠুর যন্ত্রনার অস্তিত্ব আমরা অস্বীকার করতে পারিনা। এবার তো আমাদের হৃৎপিন্ড ফালি করা ফোটা ফোটা রক্ত দিয়ে কবিতা লেখবো। গভীর রাতে ঘুমের ভেতরে আমরা চিৎকার করে উঠি। কবিতা তুমি বিশুদ্ধ, তুমি পবিত্র, তুমি আমার ঘৃণা - মৃত্যু - পাপ - ঈশ্বর। ঈশ্বরের সাথে তুলনা করতে যেয়ে দেখি আমি কতখানি নিম্নজ, কতখানি অসহায়। আমাকে অংহকারী কর। আমি কবিতা লিখি, আমা...