জিজ্ঞাসা

উজানগাঁ এর ছবি
লিখেছেন উজানগাঁ (তারিখ: মঙ্গল, ০৯/০৬/২০০৯ - ৬:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হাত ধরার নামে তুমি ছুঁয়ে দিচ্ছ বিষাদ, ফলে
তেতে উঠছে ক্রোধ--অদৃশ্য কাটা দাগ

ভোর হবার আগেই লিখে ফেলছো
কুয়াশামাখা পাখিদের গান; আর
তাদের ফেলে যাওয়া পালক থেকে
তুমি তুলে নিচ্ছ ভয়--গতিপ্রবাহ

আকাশযাপনের নামে আজ যদি কিছু মিথ্যে বাহাদুরি
ভুল করে ঢুকে পড়ে গোটানো জামার ফাঁকে
কিংবা আজ যদি গতিপ্রবাহের নামে
কিছু পাখি ঝরে যায়
তার পতনরীতি তোমায় কতটুকু ভাবাবে--


মন্তব্য

মুস্তাফিজ এর ছবি

ভালোই তো পারেন

...........................
Every Picture Tells a Story

উজানগাঁ এর ছবি

আপ্নের মতো ভাল করে তো কোনো জিনিসই পারি না।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

বিষাদ ছুঁয়ে দেয়ার ব্যাপারটাই কি মোহময়, তাই না?

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

উজানগাঁ এর ছবি

আসলেই মোহময়। হাসি

অনিকেত এর ছবি

হাত ধরার নামে তুমি ছুঁয়ে দিচ্ছ বিষাদ

ভোর হবার আগেই লিখে ফেলছো
কুয়াশামাখা পাখিদের গান
------

কী সব অসাধারন অভিব্যক্তি!!
মনটা একেবারে আলোয় ছেয়ে গেল।

শুভেচ্ছা জানবেন!!!

উজানগাঁ এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

আকাশযাপন! আহা ভারী চমৎকার লাগলো কথাটা।
কবিতা খুব সুন্দর। অনুভবী কম্পনময়।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

উজানগাঁ এর ছবি

মন খারাপ থাকলে এই আকাশযাপনটা খুব কাজের জিনিস। দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খুব দারুণ লাগল কবিতাটা।

উজানগাঁ এর ছবি

ধন্যবাদ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনার বেশিরভাগ পোস্টেই ট্যাগ থাকে আত্মজীবনী।
এটা লক্ষ্য করলাম। কিন্তু এ বিষয়ে আমার কিছু বলবার নেই।

আপনার কবিতা, সে অতি সুন্দরম, সুখপাঠ্য, তা নিয়েও আমার কিছু বলবার নেই

শুধু বলবার আছে... আপনে হালায় ছবি পোস্ট করেন না কেন? আপনে যে অসাধারণ ছবি তোলেন সেইটা আপনে কেন জানেন না!!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

উজানগাঁ এর ছবি

প্রচণ্ড খেপছেন আপনি আমার উপরে। দেঁতো হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

সুন্দর।

উজানগাঁ এর ছবি

ধন্যবাদ

হাসান মোরশেদ এর ছবি

একটু সমালোচনা করি হাসি
'ফলে' 'যেহেতু, সেহেতু', 'একারনে, সে কারনে' এইসব যুক্তিবোধক শব্দগুলো কবিতাকে খুন করে। কারন এই শব্দ গুলো কার্যকারন ব্যাখ্যা করে, কবিতার যে রহস্যময়তা সেটাকে মুছে দেয়।

হাত ধরার নামে তুমি ছুঁয়ে দিচ্ছ বিষাদ,
তেতে উঠছে ক্রোধ--অদৃশ্য কাটা দাগ

এই দু লাইন বরং অধিক কবিতাতর হাসি

(ক্ষমা করবেন, কবিতা লেখার চেয়ে সমালোচনা করা সহজ, সহজ কাজটা করে ফেললাম সহজে)
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

জিফরান খালেদ এর ছবি

অনেক আগে, এই নিয়া আপনার লগে একবার কথা হইসিলো। আপনি আমারেও একই কথা বলসিলেন।

আপনার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এইটাই বলবো, যদি বেয়াদপি না নেন, যে - কবিতায় রহস্যময়তার ব্যাপারটা আরোপ করে আপনি কি আসলে কবিতারে নরম্যাটিভ করতেসেন না? আপনি কি খোঁজেন, সেইটা জানলাম, কিন্তু, সেইটা তো কোনোমতেই কবিতার কবিতা হওয়া ঠেকাইতে পারবেনা। প্রতিটা শব্দই কার্যকারণ ব্যাখ্যা করে। এইটা আপনার চেয়ে ভাল কে বুঝবে?

মায়াময়তা দারুণ জিনিস, সেইটা কার্যকারণের ভিতরেই থাকে বইলা আমার অভিজ্ঞান। এই সকল শব্দবন্ধ নিতে পারার মতো অগ্রসরতা কবিতায় আসছে বইলাই আমার পাঠ-অভিজ্ঞতা।

এইটা নিয়া বিস্তারিত কথা বলা যায় হয়তো। কিন্তু, জাস্ট আমার কথাটা জানাইলাম। অন্যভাবে নেবেন নারে ভাই আমার।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আপনি কি খোঁজেন, সেইটা জানলাম, কিন্তু, সেইটা তো কোনোমতেই কবিতার কবিতা হওয়া ঠেকাইতে পারবেনা।

এই ক্ষেত্রে পাঠক হিসেবে আমিই যে ঈশ্বর, স্বয়ম্ভূ :)। যেহেতু কবিতার কবিতা হয়ে উঠার কোন এলজেব্রিক ফর্মুলা নাই, সেহেতু কবিতা হলো কি হলোনা সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার পাঠকের একেবারে নিজস্ব। যে কবিতা আমার কাছে কবিতা হলোনা, সেই কবিতা পাশের পাঠকের কাছে শ্রেষ্ঠতম হয়ে উঠতে পারে, নাকি?

কবিতামাত্রই যুক্তিহীন প্রলাপ হবে, সেটা বলছিনা। বলছি তার কাঠামোর কথা। গদ্যের কাঠামোতেই যুক্তিবদ্ধতা ঠিকাছে কিন্তু কবিতার ক্ষেত্রে লজিক্যাল স্ট্রাকচার আমার পাঠরুচির সাথে যায়না।

সব পাখি ঘরে আসে--সব নদী--ফুরায় এ-জীবনের সব লেনদেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।

এটি কবিতা।

সব পাখি ঘরে আসে--সব নদী--ফুরায় এ-জীবনের সব লেনদেন;
তারপর থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।

এটি গদ্য। কেনো বুঝে নাও হাসি

যদি প্রশ্ন করো কেনো উপরের লাইন কবিতা , আর 'তারপর' লাগানোতেই এটা গদ্য?- প্রশ্নের উত্তর দেবোনা। পাঠক ঈশ্বর এ ক্ষণে নীরব।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

জিফরান খালেদ এর ছবি

ঈশ্বর ও কর্তাব্যক্তি জাতীয় ধারণায় আমার আস্থা নাই, আমি ঐ চিন্তায় যাইতে পারি না।

আমি 'রহস্যময়তা'র কথা বলতেসিলাম। কার কাছে কোনটা হয়ে উঠলো না উঠলো আমি একদমি জানতে চাইনা ঐটা। 'কার্যকারণ'-সমেত যে বাক্য, তাতে আপনার যে অনাসক্তি, সেইটা থাকতেই পারে। খুন খারাবি একটা মারাত্মক বিপজ্জনক ঔচিত্যবোধের হুশিয়ারি দেয় আর কি।

জীবনানন্দ দাশ-ই এমন সব শব্দ আনসে, যেইগুলা কবিতারে খুন করে বইলা মাতম উঠসে। আজকে আপনি সেই মাতমরে উপহাস করবেন। আমিও করি।

ঈশ্বর মনে হয়না খুব ইভলভড একটা প্রাণী। তার মতো পাঠককেও আমি আসলে একটু ভয়ই পাই।

অগ্রসরতা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এইটা আমি আশা করতেই পারি কারো কারো কাসে। তারা আমার আশা পূরণ না করতেই পারেন। কিন্তু, এই জন্যে তারা আমাকে তাদেরকে উপহাস করবার মতো জায়গা করে দিবেন, এইটাও আশা করি না।

কোনটা কবিতা আর কোনটা না, কিভাবে এবং কেন, এইসবে আমি সিদ্ধান্তহীন। নীরব না।

আবারো বলি, অগ্রসরতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

১।ঈশ্বর এখানে কর্তৃপক্ষীয় ধারনা নয়, জবাবদিহীতার প্রসঙ্গ মাত্র।পাঠকের কাছে কোনটা কবিতা হবে, কোনটা হবেনা সেইটা সে জবাবদিহী করবেনা কবির কাছে।

২। হতাশ করা এবং হতাশ হওয়া দুইটাই মানবিক অধিকার দেঁতো হাসি

৩। অগ্রসরতা কাকে বলে? কোন দন্ডে মাপা হয়? হাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

জিফরান খালেদ এর ছবি

যে দন্ডে সজনীকান্তকে আমরা ফালতু বলি, ঐ দন্ডে মনে হয় ভাই। আপনার এই ক্ষেত্রে কিছু শব্দকে কবিতায় মাইনা নিতে আপনার যে আপত্তি, সেইটা অনগ্রসর পাঠ। এইটাই মনে হয় আরকি। ভুল হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা যদিও। নাদান বালকের কথা ছাড়েন। আপনি কি ইয়েটস, ব্লেক-দের পরের আর কারো কবিতা ঐভাবে পছন্দ করেন নাই? কৌতূহল শুধু।

আর, আপনার খুনের ব্যাপারটা মাথায় রাখলে আসলে আমার নিজের কবিতা তো বটেই, গত পঞ্চাশ-ষাট বছরের বেশিরভাগ কবিকে বাদ দিয়া দিতে হবে। নিজের ঐ পড়ার জন্যে যে সময়, ঐটাকে এভাবে বাদ দিতে মন সায় দেয় না। আপনি বললে দিব অবশ্য। আসলে, আপনার এই ধরণের খুন-এর কথা শুনে আমি নিজেই আক্রান্ত বোধ করলাম তো, তাই এই কথা তুললাম। ছোট কবির-ও তো একটা দাড়াঁবার জায়গা আসে, তাই না? ঐটারে ধইরা রাখনের একটা চেষ্টা আর কি।

তবে, এক্সাম্পল হিশেবে জীবনানন্দ একটু বেশি প্যারাডক্সিকাল হয়া যায় আর কি। বেচারা আপনার কথা মোতাবেক তখনকার প্রেক্ষিতে এত খুন খারাবি করলো, আর, আজকে তাকেই শিল্ড বানানো হইতেসে একই আলাপে।

আপনার উপদেশটা মনে থাকবে ভাইয়া। তারেকরেও বোধহয় বলসিলেন। আমি ওরেও মনে করায়া দিব। আর, শাওন ভাই তো জানলেনই।

তবে, এইটা সমালোচনা হয় নাই, আরোপ হইসে। তাই না?

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সমস্যাটা হলো -সজনীকান্তকে 'আমরা' ফালতু বলছি। এই আমরা কারা? 'আমরা' কিন্তু সমগ্র পাঠককুলকে প্রতিনিধিত্ব করেনা। হতে পারে একটা বড় অংশ যাদের পাঠরুচি সমভাবাপন্ন। এখন সজনীকান্তকে যদি একজন পাঠকের ও 'জরুরী' মনে হয় তাহলে 'আমরা' সবাই মিলে তাকে বাতিল করে দেবো?

আমি আসলের পাঠকের স্বাধীনতা এবং পাঠমুল্যায়নে চরম স্বাতন্ত্র্যের কথা বলছি। আমি যা বলছি, তারেক কিংবা তোমাকে আগে যা বলছি-সেটাকে কোন মতবাদ হিসেবে দাঁড় করাতে চাইছিনা। এটা ব্যক্তি আমি, যে কবিতা পাঠক তার নিজস্ব এবং একেবারেই নিজস্ব মুল্যায়ন মাত্র। অন্য পাঠক হয়তো মুল্যায়ন করবেন আমার বিপরীত। এই মুল্যায়ন ঠিক না বেঠিক, ভুল না শুদ্ধ সেই সিদ্ধান্তে আসা ও জরুরী না মনে হয়। কবিতা আদতে কবিতাই, আইনশাস্ত্র না।

এ হিসেবে এটাকে আরোপ বলা হলে সেটা আমার প্রতি অন্যায্য আচরন হবে :)। কবি যেহেতু তার কবিতা প্রকাশ করেন, ধর্তব্য যে তিনি পাঠকের প্রতিক্রিয়া কামনা করেন। কবি লেখার সময় যা সৃষ্টি করছেন, পাঠক পড়ার সময় ও কিন্তু পুনঃ সৃষ্টি করে নিচ্ছে( দেরিদা'র বিনির্মান থিওরি টানছিনা, তথ্য টানতে ভাল্লাগেনা যখন নিজের কথা বলছি)। সুতরাং এই সৃষ্টিতে তার ও অংশীদারিত্ব আছে। সে তার অংশীদারিত্ব অনুযায়ী তার মতামত জানানোর অধিকার রাখে। এতে যদি কবি পাঠককে অনগ্রসর মনে করেন, করতে থাকেন-পাঠকের কিচ্ছু যায় আসেনা। যদি মনে করেন- পাঠক তো আমার উপর কিছু চাপাইয়া দিলো, সে ক্ষেত্রে কবির জন্য উত্তম তার কবিতারে অসূয্যস্পর্শা করে রেখে দেওয়া হাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

জিফরান খালেদ এর ছবি

জ্বি ভাইয়া। সেটাই।

দেরিদা এখানে এমনিতেও আসবে না অবশ্য। আসলে ফুকো আসতে পারে।

আপনি যা বলসেন, সেইটা সমালোচনা হয় কি-না, সেইটাই এখন আমারে চিন্তায় ফেললো। আর, একি বক্তব্য যখন অনেকের ক্ষেত্রে দেখি, তখন আসলে মতবাদ না হলেও একটা তত্বের মতো মনে হয় আর কি। পাঠকের স্বাধীনতা বা অধিকার ঐসব নিয়া ক্যাচাল তুললে দেরিদা ফুকো না শুধু, দেল্যুয লাকারাও আসবে।

অগ্রসরতা আসলে এই অর্থে বলা, যেটা আমি ভাবসি আপনি ধরবেন, যে অনেক কিছু যা-কে যার যার কাব্যতত্ব অনুযায়ী অগ্রহনযোগ্য মনে হয় কবিতায় বা শিল্পে, সেইগুলোর যে মর্তবা থাকতে পারে কালের বিবর্তনে, সেইটাতে আগ্রহী হওয়া, নিদেনপক্ষে চেখে দেখা। আমি আইনের ছাত্র বটে, , কবিতায় আইনচর্চা করি না কিন্তু, আপনি যাকে রহস্যময়তা বলেন, ওমন মিস্টিক না হইলেও আমি বিশুদ্ধতায় আস্থাশীল, সেইটা যে ভাষাতেই আসুক না কেন। যেভাবেই... জ়ীবনানন্দকে যদিও ভুলভাবে এইখানে ব্যবহার করা হইলো...

যাক, আপনি কখনই 'যেহেতু', 'কিন্তু', 'অথচ', এইগুলারে গ্রহন করবেননা আপনার ভাল লাগা কবিতায়, এইটাই তো?

বেশ!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

যাক, আপনি কখনৈ 'যেহেতু', 'কিন্তু', 'অথচ', এইগুলারে গ্রহন করবেননা আপনার ভাল লাগা কবিতায়, এইটাই তো?

হাহাহা... এরকম নিশ্চয়তা দেই কেমনে বলো? অন্য কোথাও, অন্য কোনদিন ভালো লেগে ও তো যেতে পারে। কবিতা পাঠে আমি আবার যথেষ্ট স্বৈর, একেবারেই শুদ্ধবাদী নই হাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

জিফরান খালেদ এর ছবি

'বিশুদ্ধতা' নিয়া লাগলেন? হাহাহা

ব্যাপারটা হইলো শুদ্ধবাদী হইয়াও আমি অগ্রসরতারে, কবিতা ভিতরে, বাহিরে - জায়গা দিতে, দেখতে আগ্রহী।

ঐটা না হইলে আসলে আপনি যে বলসিলেন 'সব তো লিখা হয়েই গেসে' ঐ হিশাব টেনে বসে থাকতে হবে।

আপনার ঐ চিন্তাটা কেন যে হয়, এখন একটু একটু ধরতারতেসি মনে হয়।

ব্লগ বড়ই কঠিন শার্লক হোমস।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ব্লগ বড়ই কঠিন শার্লক হোমস।

দেঁতো হাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

জিফরান খালেদ এর ছবি

কবিদের ভিতরে, মানে, শ্রদ্ধেয় কবির মাঝে যখন ডুবে যাওয়া সভ্যতার মতো কইরা অনগ্রসরতা দেখি, তখন খারাপ লাগে বৈকি। ঐটাই বলতে চাওয়া। খারাপ লাগাটারে বানোয়াট বানায়া দিলে এইটার সমাধান হয় যদিও।

ঈশ্বর আর কতৃপক্ষ দুইটারেই আমি আলাদা রাখসিলাম। জবাবদিহিতার ব্যাপারটা এখানে অবান্তর। আপনি সরাসরি কবির পোস্টে কথা বলতেসেন। ওনার বই নিয়া বাসায় বা অন্য কোথাও কথা তো বলতেসেন না। সেই হিসাবে এইটা খাটে না।

ভুল ভাল কইয়া থাকতে পারি, হইলে মাফ দিবেন আর কি।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এতো বিনয়, অতি বিনয় কেনো হে কবি জিফ্রান? হাসি

আমরা তো স্রেফ কবিতা নিয়েই কথা বলছি, এতে ব্লাস্ফেমী হয়না মনে হয়। সো ভুল টুল, মাফ টাফ কেনোরে ভাই?

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

জিফরান খালেদ এর ছবি

এইটা কিন্তু চোরের লক্ষণ না!!! হাহাহা

উপহাসের হইতারে!! হাহাহা

কিডিং ম্যান।

হ, কবিতাই তো, আমরা আমরাই।

জিফরান খালেদ এর ছবি

কবিতার আওয়াজ তো সুন্দর খুব। আপনি 'কবিতা' করে তুলছেন আপনার শব্দগুলোকে। এই 'করা'টাতে মাঝে মাঝে জোরজবরদোস্তি টের পাইতেসি।

কিন্তু, ওই যে বললাম, আওয়াজটা বেশ। কিন্তু, আওয়াজতো বেশিক্ষণ থাকে নারে ভাই।

প্রীতি জানবেন।

পলাশ দত্ত [অতিথি] এর ছবি

কিছু মনে না-করলে মাঝখান থেকে আমি একটা কথা বলি?

এই যে দুটি লাইন

হাত ধরার নামে তুমি ছুঁয়ে দিচ্ছ বিষাদ, ফলে
তেতে উঠছে ক্রোধ--অদৃশ্য কাটা দাগ

এখানে আসলে মোরশেদ যে বলছেন 'ফলে' শব্দটি ব্যবহারের কারণে ‌'রহস্যময়তা' নষ্ট হয়- ব্যাপারটা ঠিক তা নয়। এখানে 'ফলে' শব্দটাকে অতিরিক্ত বলে মনে হয়; এবং তা পাঠকের মনোযোগ-অনুভব-স্বাদকে বিঘ্নিত করে। এই 'ফলে' শব্দটি না-থাকলেও লাইন দুটি অনুভবে কোনো সমস্যা হয় না।

মাঝখান থেকে এসে মন্তব্য করার কারণে ক্ষমাপ্রার্থী।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ক্ষমা করা হইলো :)। আসলে এই কথাই বলতে চাইছিলাম।
কবি আর অ-কবির বলার মধ্যে পার্থক্য হইলো এই মন খারাপ
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

পলাশ দত্ত এর ছবি

জ্বী, ক্ষমা মহত্ গুণ। এটা কবি-অ-কবি ভেদ করে না; কারো থাকে কারো থাকে না। আপনার আছে বইলা বাইচা গেলাম এ-যাত্রা। চোখ টিপি
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

জিফরান খালেদ এর ছবি

পলাশ দা,

আমি কবিতারে নিজের মতো কইরা পইড়া লই না। যা লিখসে, তা-ই পড়ি।

আমার কাসে 'ফলে' শব্দটার গুরুত্ব আসে।

'ফলে' না দিলে পরের লাইনটা একটা আলাদা অবজারভেশান মাত্র; আর, ঐটা দিয়া পড়লে, কবি যে এই পরের লাইন্টা কিভাবে হয়া উঠতেসে, এই ব্যাপারে সচেতন, এবং, aware, এইটা জানান দেন। এবং অবজারভেশানটা, বা, দৃশ্যটা একটা আলাদা এবং সিগনিফিক্যান্ট টোন পায়। এই শব্দ আমারে কবির সচেতন থাকার ব্যাপারটা বলে, যেইটা না থাকলে আমি জানতাম না।

আপনেরা হয়তো বুঝবার পারতেন। কিন্তু, আমি যেহেতু প্রতিটা শব্দকে কবিতার শরীরের সমগ্রতার অনিবার্য শর্ত হিশাবে পড়ি, তো, আমার কাসে এইভাবেই পড়াটা হয়। এবং, অর্থ বা অনুধাবনটাও বদলে যায়।

পলাশ দত্ত এর ছবি

প্রতিটি শব্দকে কবিতার সমগ্রতার অনিবার্য অংশ হিসাবে পড়ি বলেই সমগ্রতায় সমস্যা সৃষ্টি করে এমন শব্দ চোখে লাগে, মনে লাগে, অনুভূতিতে লাগে।

================
কবিতাকে পাঠকের নিজের মতো ক'রে প'ড়ে নেয়ার সুযোগ না-থাকলে জিনিসটা কবিতা হতো না। বিজ্ঞান/ইতিহাস/ধর্ম/অনাবিষ্কৃত অন্য কিছু হতো।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

জিফরান খালেদ এর ছবি

হাহহা

সেটাই ভাইয়া। আমি শব্দ বাদ দিয়ে দিয়ে পড়বার কথা বলতেসি। ইচ্ছা মতো পাঠ-এডিটিং।

আমার মনে হয় 'ফলে' এখানে চোখে লাগলে চোখ একরকম দেখবে বলেই লাগে, অনুভূতিও সটান দাড়াঁনো...

যাই হোক, লাগতেই পারে। কবির অনুভূতি তো ফেলনা না। আইনের ছাত্র আমি। আমার কথা ফেলান।

লন, কবিতা পোস্ট দেন একটা। হাসান ভাইও দেন। আমরা পড়ি।

পলাশ দত্ত এর ছবি

পরীক্ষা দেব না। চোখ টিপি
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

জিফরান খালেদ এর ছবি

হাহাহা...

আমার মতো অকবির কাছে আবার পরীক্ষা কি? মশকরা করেন।

তবে, এইটা ঠিক হাসান ভাই আর আপনার পাঠ যদি এমন হয়, তো আসলে আমি চাইবো আপনারা এইরম 'অতিরিক্ত' শব্দে ভরা কবিতা টবিতা পইড়েন না আর। কবির উপর বড়োই অনাচার হবে। কবিদের সমনজারি বইলা কথা।

লন, দেন। কবিতা খাই। ভাইয়ে ভাইয়ে।

পলাশ দত্ত এর ছবি

কবিতা তো লেখাই হয় পড়া ও আলোচনার জন্য।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।