মানুষের বীরত্ব মানুষ মারায়- এ-সত্যকে চোখ বুজে
ইতিহাস তার শৈশবে দিছিলো ঠাঁই
যে যাকে পারে যেভাবে মারে নিজের প্রতিষ্ঠায়
বিজ্ঞানও নাকি বলে : টিকে থাকে যোগ্যতাই।
কিন্তু কিভাবে
ছলে? বলে? কৌশলে?
বিজ্ঞান সে-কথা আমাদের জানায় নাই
ঘটনাটা অনেক পুরনো হয়ে গেছে; পুরনো হয়ে?
তা এখন যথার্থই ঘটনা
কথা উঠলো রাজনীতি কঠিন করা হবে, হলোও;
কঠিনে ছড়ায়ে পড়লো টাকা, আমমানুষে উঠলো
রব- নেতা নেতা
কে কাকে মা...
কালির উপর আঁকা ছাইমাটি আকাশ, তারই এক ফাঁক থেকে
তপন তাতিয়ে উঠে। কালোচুল সোনালি হাসে, রোদে ভেসে যায়
কবিতার খাতা, ডাইনে-বামে তার ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলায়
বাঁওড়ি বাতাস, খোলা মাঠে কলম হাতে কবিকে দেখে। উজান ঠেলে
হাওয়ায় ভেসে শূন্যে দাঁড়ায়, আর দোল খেয়ে বলল যুগলপাখি ঃ
যাকে নি:সঙ্গতা দিয়েছে মানুষ, সে তো হাওয়ার হাত ধরে হাঁটে।
তাকে অনুষঙ্গ দেয় দূরের সবুজ-পাহাড়, পাতায়ও সুলিখিত হয়
ঝিরিঝিরি ব...
শকুন্তলা
স্মৃতির ভেতরে ডুব দিয়ে দেখেছি, দূরছায়া
স্থির আনত করে সন্ধ্যার বেগবান সিঁথি আঁকা পথ।
ক্রমশঃ ভাড়ারে সব সঞ্চয় নিঃশেষে,
পালায় অযথা রেখে উপবাসী ক্ষুধার্ত আত্মা।
স্মৃতি কিছু দেয়নি স্বভাবতঃই।
ডুবেছি রৌদ্রের তীব্র রশ্মির আলোকে
নীল সূর্যে শুধু শুধু বিদ্ধ দীর্ঘশ্বাস!
ঝড়ের প্রকোষ্ঠে গিয়ে ফিরেছি বৈরাগ্য নিয়ে
পিছে ফেলে ভাঙ্গাচোরা রক্ত-মাংশ-হাড়।
ডুবেছি গৃহস্থের জালে, গো...
তুমি বৃষ্টি দেখলেই ছুঁতে চাইতে বৃষ্টিকণা
ভিজতে চাইতে ঐ বৃষ্টির জলে
তখন আমি মনে মনে নিজেকে বৃষ্টি বানিয়ে
ঝরে যেতাম তোমার উপর দিয়ে
ছুঁয়ে যেতাম তোমায় বৃষ্টিকণা হয়ে।
তোমার কপালের নীল টিপ ছুঁয়ে
তোমার নিটোল গাল ছুঁয়ে
তোমার উদ্ধত নাসিকা ছুঁয়ে
ঝরে যেতাম আমি ক্রমাগত
কি এক অনিবার্য বাসনায় মেঘ হতে ক্রমাগত ঝরে যেতাম আমি
তোমার সমস্ত শরীর ছুঁয়ে
তুমি তার জানতে না কিছু
তোমার ...
নিশিতে নিরজনে গোপনে উড়ো খাম আসে
ছায়া আসে মায়াজাল ভাসে
ঘরের বাতাসে
তুমি আসার আগেই সে আশা নিয়ে আসে
ফিরে গেলে মন্দিরা বাজে-
নিপাট ভদ্র
উপগ্রহরা কতোখানি প্রিয়
শব্দেরা
বাক্যহারা
বাকিরা চড়ে বসে
জলে-ঘাসে
ব্যস বারে পরিধির চারপাশে
অর্জুন মান্না
বাইরে এখন চমৎকার সামার, চাঁদিফাটা গরম পড়ে নি বলে উপভোগ্য সময়। এইরকমই একটা দিনে এই কবিতাটা লেখা হয়েছিলো, তখন অবশ্য শীতের মুলুকে থাকতাম, কাজেই সামার ব্যাপারটা আরো বেশি কাঙ্খিত ছিলো। ঘোর গরম শুরু হওয়ার আগেই তাই দিয়ে দিলাম এখানে, সাভানার আর্ট একদিন পরে হবে। মোটামুটি নিজের গল্প, অনুভূতি আর ছবি নিজেরই, তবে আশা করি গোটা ব্যাপারটা সার্বজনীনই হবে। যাঁরা কবিতার নিয়মিত পাঠক নন, তাঁদ...
বাঁশি বাজবে না, বাজবে না বলে থরথর কান্নায়
ডানা ভাসালো ভিজে প্যাঁচার মতো কঠিন কুয়াশায়।
তার অনিহা হরণ করে দেখ কেমন ডাকছে সন্ধ্যা ;
রূপসীঢেলা তাকিয়ে আছে বিলের মধ্যে, আকাশে নাক্ষত্রিকলহরী,
হাওয়ার মুখে বাঁশি ধরেছে কৃষ্ণ : 'যমুনা তীরে কে বাজায়' ?
কবিতা সুন্দর
এই আমি আমার লাবণ্য ক্ষয় করে
আয়ু-স্নায়ু ক্ষয় করে তোমাকে দিচ্ছি
আমি কী বুঝি না- আর সবকিছু থে...
ভেবেছি মোহনা থেকে ফিরে আসা দ্বিধাগ্রস্থ মেঘ ঠেলে নিয়ে যাবো অন্য কোনো মোহনার দিকে
ছেঁড়া চিঠির মতো সেইসব এলোমেলো মেঘ--শিমুল তুলোর মতো সেইসব সাদাকালো মেঘ স্কুলফেরত বালিকাদের সোনালী চুল ছুঁয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে দূরগামী জাহাজের মতো নতুন মোহনার দিকে
শুধু পথ ভুল করা কিছু বোকা আলু-থালু মেঘ মাথা হেট করে ফিরে আসে বারবার
তোমার থাকা আর না থাকার মধ্যে বিস্তর ব্যবধান।
খালিপিঠে হাত রেখে বোঝা যায়, উষ্ণতা কতটুকু দরকারী ,
নাস্তার টেবিল সেজেগুজে মন্দির, আসবেন প্রেমের পুরোহিত,
ঝলমল জানালা খুলে দেবে দিনের দেবতা, একটা অর্থ দাঁড়াবে জীবনের।
উনুনগুলো জ্বলবে, নৃত্য জুড়েদেবে আধ-ফোটাচাল, মাছের ঝোল উষ্ণঘ্রাণ
ভাপ-উঠাভাত টেবিল থেকে বলবে, তোমার হলো, এতোক্ষণ কী করো!
গোসলখানা থেকে তড়িঘড়ি বেরোবে, ঝাঁকড়া চুল টাওয়েল ...
এইসব নদীপথ একদিন বন্ধ হয়ে যাবে
দেয়ালের ফাঁকে থাকবেনা একটুও বীজের উদগম
ফুরিয়েছে আনমনে কিশোর বেলা,নিজেকে ক্ষরণের পর
স্নানের জলে ডুবিয়ে করতল সেইসব মিছে প্রণতি
'এইবার ভালো হয়ে যাবো'-ভালো হওয়া হয়নি আমার।
ওহে ঈশ্বর,ভালোদের রাজা-তোমার সাম্রাজ্যে ঘরদোর,
ফলবতী বৃক্ষের ব্রীড়া, একটি ভোরের মায়া, নারী কিংবা
নীড়, শিশু কিংবা সমুদ্দুর কিছুই স্পর্শ হয়নি আমার।
আমার অপূর্ণ ঘুমের ভেতর, আমার জ...