তোমার বগলে লোম নেই
তাই স্লিভলেস পড়ে
অহরহ মগজের বকলেস
খুলে দিতে,
চালে ঘি’তে মিলে
দমবন্ধ পড়ে থাকা
শেষ হয় পোলাওয়ের খাই খাই গন্ধে,
কাবাব রেজালা খতমের পর
বেঁচে থাকা সবেধন শ্রেণীশত্রু
মিত্রপক্ষে নিরন্তর হাই ফাইভ করে যায়
লড়ে যায় তথাস্তু প্রাণায়াম ভালোবেসে
সাইকেডেলিক রেশে
জাগতিক জানালার বাড়িঘর
সরাসর
নিয়মিত মেরামতি
যতিচিহ্নে বহমান কালাজ্বর
ডরপুক ঝাড়ফুঁকে লাভক্ষতি
হালখাতা ...
কোজাগরী পুর্ণিমায়
ঠাকুমা বিষাদ মুখ বেয়ে
শব্দ ঝড় নেমেছিলো-,"এ দেখি আবারও এক মেয়ে!"
আতুর বেড়ার ফাঁকে
বাবার চিবুকে চোরা সুখ-
"মেয়ে দেখি চন্দ্রাবতী-! তোমার মুখের মতো মুখ!"
বড় হ্ও বেড়ে ওঠো
অবহেলা সয়ে নিতে শেখো।
একদা আকাশে চুল--পা দুখানি কাদাজলে মেখো।
মাটিরে আদোর দিয়ে
বর্ষা জলে বেঁধে নিও বীজ
অংকুরের সময় এলে--সে কিশোর ছিঁড়বে কামিজ।
শাড়ী নিও, শাড়ী দিয়ে
ঢেকে রেখো শরীর, সে মন
পাছে পুঁথি ...
নীল
_____________________________________________
পুরাতন কবরের পাশে বসে কষি সম্পর্কের হিসাব-
পাতা ঝরে, ফুল ফুটে, নদী মরে
বৃক্ষের গায়ে লাগে করাতের ধার
স্মৃতি আফিম খেয়ে পাখিরা বিস্মৃতি হয় মন মন্দিরায়-
আমাদের কেঁদে যাওয়া দিনগুলো
ডায়েরি থেকে মুছে যায়
শহরের গণিকারা ভুলে যেভাবে
তাদের গত রাতে খদ্দরের শয্যা।
বিরহের পাহাড় ভেঙে-
অজানা দরিয়ায় ভাসাই
মায়ার নৌকা- মরণ চাঁদ
ছুঁয়ে-ছুঁয়ে, তিলে-তিলে নিতে
চায় ম...
গত শীতে জমিয়ে রাখা কিছু তুষার
এই গরমে উল্টে-পাল্টে দেখতে গিয়ে
শিরাওঠা লাল চোখে উড়ে এলো ধোঁয়া
উড়ে এলো সকালের একগ্লাস দুধ
উড়ে এলো নবারুণ-শিশু।
এয়াব্বড় চোখ মেলে শিশুপার্ক-নিউমার্কেট
জলরঙে জ্বলজ্বল ব্যাট-বল-ফুটবল
একুশের ময়দান থেকে বুকে চেপে একগাদা বই
এরই মাঝে উঁচু হয়ে মহীরুহ কোন
বিষন্ন সব রাস্তায় ছায়া দিয়ে যায়।
জনমানুষের ভীড়ে ইদানীং দূরাগত এইসব ধোঁয়া,
পুরানো বইয়ের পৃষ্ঠা আর...
মণিকা রশিদ
এখানে থাকবো কেন, এখানে কী আছে!
আমার সাঁতার আমি রেখে এসেছি
জন্মদাতা, পিতামহী, করবীর কাছে!
আমার কৈশরে তুমি নির্মোহী বালক
একা রেখে চলে গেলে ইলিশ শিকার
এখন যৌবনে এই ক্লান্ত অবেলায়
একা একা গুনে চলি পিছের পালক।
আমার রোমাঞ্চ পলি ভুলেভরা ক্ষেতে
পায়ে দলে চলে গেল শব্দ অবরোধ
এখন প্রবল ক্ষরা, হুতাশে মাটির
পার্বত্য সীমান্ত কর্ষি প্রচন্ড আক্ষেপে।
বাগানের রোদ দিচ্ছে শান্তি...
তোমার চোখের অসীম তারায়
দিগান্তরের আকাশ হারায়
অতল জলের গভীর কালো
কাঁপন তোলে বৃষ্টিধারায়,
দখিন হাওয়া আপনি এসে
ঢেউ তুলেছে দীঘল কেশে
নিকষ কলো আঁধার যেন
সুর তুলেছে পাগলপারায়!
অঙ্গে তোমার ছন্দ জাগে
বাঁশুরিয়ার গভীর রাগে
বনের পথে উদাস মনে
পথ হারানোর দ্বন্দ্ব লাগে,
তেমনি হারায় তারার মেলা
রাত্রি দিনের নিত্য খেলা
পলক তরে দেখবে বলে
ফুল ফুটেছে কুসুমবাগে...
রূপাবলী
ভেতরে আমার সতেরোশ’ ডাহুক ডাকে
হতে পারে শুধুই সতেরো, অথবা সতেরো হাজার-
এমন নির্জনে এলে যার কথা মনে পড়ে খুব
যে আমার কষ্টের ক্ষরণ মুছে মুছে বাড়ায় কেবল
সেই তো সে রূপাবলী...
চেনা চেনা অক্ষরে এতো যে অচেনা সে-
নাম তার রেখেছিলাম ‘রূপাবলী দে’। #
(১৯৯৬)
[কাব্যগ্রন্থ: অদৃশ্য বাতিঘর]
পুরানা একটা অপ্রকাশিত লেখা চোখে পড়লো, ভাবলাম সবাইরে একটু দেখাই। লেখার মান নিয়া আমার কোনই মাথা ব্যথা নাই। আমার কীবোর্ড, আমি টাইপাইছি। কীবোর্ড তথা শব্দ নিয়া খেলার অধিকার সবারই আছে হ। যদি অহজমেবল লাগে, বমি কইরা দেন, চাইলে গালিও দিতে পারেন, দুঃখ পামু না।
[center]স্বপ্ন ভাঙ্গা জীবন নিয়ে
চলছি পথে নির্বিকার,
এই আমাকে কষ্ট দেবে
এখন তেমন সাধ্য কার?
চাওয়া-পাওয়া মিললো কিনা
হিসেব তো আর কষি না,
...
উপমান আর উপমিত সমাসের মাঝখানে পড়ে, কিঞ্চিৎ টানাহ্যাঁচড়ায় আমার সুকন্যাকে ভালো লেগে গেল। সুকন্যার চেহারাই সব, সেটাই দৃশ্যমান, ভালোলাগা তৈরির জন্যে সেটুকুই যথেষ্ট, এই উপসিদ্ধান্তে আসতে আমার সময় লাগে না; সুতরাং উপমান সমাসের নিকুচি করেই আমি সুকন্যার জন্যে আকুল-ব্যাকুল হয়ে উঠলাম, কুলকুল ঘামতে লাগলাম বিলকুল। এভাবেই সুকন্যার সাথে আমার প্রেমের শুরু হবে। আমরা দুর্দান্ত প্রেম শেষে হা...
নিঃশব্দ ধূসর সন্ধ্যা নতমুখে স্থির
দ্বারপ্রান্তে গাঢ় চিন্তাজাল
অন্ধকারে কঁেপে ওঠে বৃদ্ধদেহ বিষণ্ণ কবির,
জন্ম নেয় দুরন্ত সকাল।