কন্টকফুল
সৈয়দ আফসার
হাততালি দিয়ে দেখো খেয়াল-খুশির
অন্য-নাম হতে কি পারে না? আলাপ
চোখের ভেতর যে রকম চর্চা হয়
গোপন-পরিচয়
আমার তাড়া দেখে সেও বলছে 'নিজস্বঝগড়া'য়
খুলে দেখো; জোড়া চোখের ভেতর তিনটানে
লটকানো স্মৃতি পুরো অন্দরমহল...
খেয়াল-খুশির ভেতর কাকে তাড়া দিচ্ছো
সাত-সতের সেন্টিগ্রেটে কাঁপছে সুঁতো ও জাল
তাকে তাড়া শেখাতে এসে আন্তরিকফুলগুলো
দোটানায় বড় হতে হতে আমাকে শেখাচ্ছে কৌশল
...
(হিমু ভাই এর খোমাখাতা ভাবনায় হৃদয়াময়ের কথা পড়েছি। সেটা হলে নাকি কবির হৃদয় থেকে নিয়মিত তরল ও খনিজ প্রেম কবিতা হয়ে ঝরে ঝরে পড়ে। আমি যেহেতু প্রায়ই কবিতা লেখার চেষ্টা করি, তাই হৃদয়াময়ের মতো আরেকটি জটিল কবিরোগের কথা আমার মনে পড়ে গেল। সেটা হলো কাব্যকাঠিণ্য। এই রোগ হলে যেটা হয় তা হল... অনেক চেষ্টার পরেও কবিতা বের হতে চায় না। এই রোগের উপসর্গ হল পিসিতে নোটপ্যাড অথবা এম এস ওয়ার্ড খুলে বসে থা...
তুলে রাখি বরফছানা । দানা বাঁধা দুঃখের সম্ভার । পার হবো বলে যে নদীর
দ্রাঘিমায় দেখেছি নিজের মুখ, সেই স্রোত কেও সাক্ষী রেখে যাই। সাজাই
সুরের সাতরঙের ছায়া। কায়া হলে স্পর্শ করতে পারতাম। নিতাম বুক ভরে
নিবিড় নি:শ্বাস । দাস হয়ে থেকে যেতাম এই লোকরূপায়নে। জেনে সব ভোর
আর দুয়ারের বুঝাপড়া। সাড়া দিয়ে যেভাবে নক্ষত্র ও আসে কাছে ; আর বলে
বাধ্য থেকে যাবো আজীবন। হায় ! বপণের রাত-- তুমি তো জানো কিভাবে ...
কাঁটাতার
সৈয়দ আফসার
পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে আকাশে উড়ে
বেলা শেষে ঝাঁক ভেঙে একা, নীড়ে ফিরে
তুমি বিচ্যুত হলে প্লাবিত আমি আর নারী
অস্থি মাংশপোড়া হাড়ে
দগ্ধ ডানায় ছিটকে পড়বো কাঁটায়-
কাঁটাতারে
তোমার শৈশবে কী ছিলো কোন খাঁচা?
বালিহাঁসের নরম পালকের মায়াঘেরা
বেশ কিছু পুরাতন শুকনো কঞ্চি দিয়ে
সুতোয় বাধা চৌকোন ঘরের বেড়া।
জোড়াতালির ফাঁকগুলো সেখানে
হাঁ হয়ে ছিলো হা-ভাতের স্বাদ
পোষা ময়না, শালিক আর টিয়ে
বাদামী চোখের নিচে ছিলো না-
যাদের ফুড়ত ফুড়ত সুবিধাবাদ।
পাখিদের থাকে লালটুকটুক হৃদয়
মায়াবী দুটি পায়ের কাছাকাছি
মাটি ছুঁয়ে, ঘাস ছুঁয়ে, পাতা ছুঁয়ে
হেঁটেছিলো তারা অচল আয়তনে
অব...
দেশের দৈনিক আছে যত কেন হয়না সব বন্ধ
সারাপৃষ্ঠা জুড়ে ব্যথা কান্না ময়লা আর দুর্গন্ধ
পড়তে পড়তে বেদনায় ভারাক্রান্ত হই
এ শরীর পঙ্গু হয়ে যাক আমি অন্ধ কেন নই
সব কিছু দেখে যাই সব কিছু শোনে এই কান
হাত পা নিশপিশ করে মুখে ওঠে খিস্তির তুফান
আমি কেন দেখতে পাই সবকিছু কেন শুনি
গুনীজন মার খান রাস্তায় ললিপপ চুষে খান উনি
ক্যামেরা ধরলেই কথার তুবড়ি ছোটে জনতার সম্মুখে
সকলে দখেতে পাই - মাছি ভন ভন ...
অন্য কোথাও আমার অস্তিত্ব ছিল, তাই তোমাদের যকৃতে কোন নিমের ক্ষেত বুনে দেই নি।
জলে স্বচ্ছন্দ হয়ে গেছি
পাতায় ভেসে ভেসে শুভালক্ষ্মী
জলে শরীর খুলে আছি
কাহার দৃষ্টিতে ডাকে মীনআঁখি
মুঠোমুঠো ছইয়ের কোমল
গেঁথে নিয়েছি জলভ্রমণে,
ক্ষেতের দোয়েল মখমল
বাতাসে ডুবি দেয় সন্তরণে;
আমি দোয়েলছায়ার মর্মর
জলে আঁকি তোমার শরীর
তুমি নক্ষত্র হও, আমি নিমের ক্ষেত বুনে দিব।
মোরগফুল বলে একটা অদ্ভূত ফুলগাছ ছিলো ছেলেবেলায়
‘ঐ দেখা যায় তালগাছ’ পড়ার বয়সে ফুলগাছটা ছিলো
পড়ার টেবিল বরাবর জানালার কাছে
প্রতিদিন জানালার গরাদে আমি ওর উচ্চতা মেপে রাখতাম
শিক বেয়ে প্রতিদিন একটু একটু উপরে ওঠতো সে
তরতরিয়ে লকলকিয়ে আলোর সাথে পাল্লা দিতো
সারাটা সকাল বাংলা বই নিয়ে ঠায় বসে থাকি
বাতাস এলেই মোরগফুলের পাতাগুলো নড়ে
কবিতার আট লাইনও মুখস্থ হয় না সারাদিনে
স্কুলের বারা...
পথ কি কখনও প্রজা ছিল আমাদের প্রথম সকালে
কিংবা নদীর নিকট থেকে কিছু ঢেউ ধার করে ফেলে
আমরাই সাজিয়েছিলাম বেদনার ঢেউ। এমন আখ্যান
আর হেরে যাবার প্রণম্য বিধান
খুঁজে আবার গোনতে বসি ধূলির বিস্তার
ছাপগুলো পরখ করে দ্যাখি ,একটা পর্দা ঝুলে আছে ঠিক তার
বিপরীতে। হাতে নিয়ে পথগুলো লিখিত গন্তব্য ও ঘোর
এটাও জেনে যাই - ছেড়ে যাওয়াই পৃথিবীতে, আনন্দের অনাগত ভোর।
ছবি- মার্টিন হুচিংগস
মুখোমুখি দাঁড়ানোর আগে ধারাপাত শিখে রাখা ভাল, তারও আগে মৃত্যুর অধিক কোনো শূন্যতার দিকে গেলে--ব্যর্থতা বার-বার রাত্রি হয়ে ফিরে-ফিরে আসে!
রাত্রি নাচতে জানে--তার স্পর্শ তুমি এখনো বোঝনি! এই শীতরাত্রি তোমাকে নামিয়ে দিয়ে গেছে পথের কিনারে--কোথাও যাবার নাই বলে তুমি দাঁড়িয়ে আছো পথে।
ততদিনে তুমি চিনে গেছ আকাশ--আশার বদলে আজ আকাশ মুখ খুলে দাঁড়িয়ে আছে তোমার দিকে
ভেতরে সমুদ্র তোমাকে ডাকছে--ত...