জহিরুল ইসলাম নাদিম
সাত সকালের রোদটি এতো মিঠে
রঙ যেন তার কমলা লেবুর কোয়া,
মিষ্টি এমন খাচ্ছি যেন পিঠে!
না জানি কোন সোনার রঙে ধোয়া।
সুর ছড়িয়ে সাঁঝের মায়া ভুলে
লক্ষ পাখি মেলছে হাওয়ায় পাখা,
তাদের কোমল পালকে ঢেউ তুলে
নাম না জানা স্বপ্নরা রয় আঁকা।
উত্তুরে শীত হাড় কাঁপানো হিমে
মন ভোলানো উপহারের ডালা,
মিশিয়ে রাখে ফুলকপি আর সিমে
কেমন যেন দিন বদলের পালা!
ছায়ার নিচে সে যদি রোদ কুড়ায় তবে
সেলাইকলের টানাটানা শব্দগুলো
বাদ যাবে কেন, কলঘরের একটানা শব্দও
কুড়াক
নৈঃশব্দ জানে না সোনামুখী সুইয়ের ছিদ্রকথা-
সুতোহীন দীর্ঘশ্বাসে যতটা থেকে যায়; ওড়াটাই
শুকনো পালকে জ্বররুগ্নতা...
সেও যদি উড়তে পারে তবে বালুচরে না-হেঁটেও
চোখের ভেতর জেগে উঠবে চর- তারপর
নিঃশ্বাসে মশলার ঘ্রাণে লোভ বাড়ে; কলকব্জা-হাড়ে
দগ্ধপাঁজর জুড়ে চুম্বনের হাসি পাবে, ম ...
সকল স্বপ্নদোষই যৌনঅভিজ্ঞতামূলক
সুতরাং সকল যৌনঅভিজ্ঞতাই স্বপ্নদুষ্ট
য়ে স্বপ্নে হানা দেয় শানদার খান সাহেবেরা
যে স্বপ্নে অবারিত দ্বার বসুবাড়ির ঝিয়েদের মায়েদের
তথাপি আমার চু্ক্তিবন্দি অংশীদার
নিয়ত সন্দেহে জ্বালা ধরায় প্রস্রাবে
প্রস্টেট নিঃসরণেও যার নিদান হয় না আর।
[ছবিগুলো অনুজপ্রতিম শেখ আলমামুনের অনুমতিপুর্বক তাঁর Illusion of Shadows অ্যালবাম থেকে নেয়া হয়েছে। মূলত ছবিগুলির অসামান্যতাই আমাকে নিচে জুড়ে দেয়া পদ্যটি লিখতে অনুপ্রাণিত করেছে! কৃতজ্ঞতার নিদর্শনস্বরূপ লেখাটি শেখ আলমামুনকে উৎসর্গ করলাম।]
উদাস দুপুর বাজায় নুপুর
কাঁপায় বনের ছায়া
কোনটা মাতায় মনটাকে তোর
ছায়া না তার কায়া?
তুমি চলে যাবার পর,
আমাদের এক অদ্ভুত অচিন অবসাদ গ্রাস করে।
যে দুটো বক উড়ে গ্যালো, সায়াহ্নে,
কিংবা তাড়িত দুপুরে তারস্বরে যে কাক চেঁচাচ্ছিলো,
আমাদের মতো তাদেরো তোমার বিদায়ের সাথে
কোন সম্পর্ক আছে কিনা, সে প্রশ্নে আমাদের
দার্শনিক বন্ধুর কপালকুঞ্চন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে।
আর আমাদের মধ্যে যে কবি,
স্বপ্ন নিয়ে যার জীবনযাপন,
তার স্থির বিশ্বাস হয় যে - তুমি ফিরে আসবেই;
সে বলছিলো, কব ...
সড়ক চলে যায় সড়কের গন্তব্যে
আমার বাস থামে অজানা স্টেশনে।
নির্জন রাত, সুনসান নীরবতা
পাশ থেকে কে যেন বলে- হ্যালো
ছড়ি হাতে বৃদ্ধ পথিক ফিরছে ঘরে
জীবনের প্রশ্নবোধক জড়িয়ে গায়ে।
কী যেন আহ্বান ছিলো আমাকে ঘিরে
ফিরে চাই আমি নিষ্পলক চোখে
কিছু কি বলবে সে?
কিছুই বলে না নিশীথ রাতের সাথী
অবশিষ্ট জীবনের আশীর্বাদ জড়িয়ে চোখেমুখে
হেঁটে যায় সম্মুখে
আর শুধু বলে যায়- হ্যালো।
০৩.১০.২০১০
ইচ্ছে ছিল তোর সাথে যাবো
ভরা বর্ষায়!
তাই ভিজে গেলো শরীর
উলটো হাওয়ায়
ভরা বর্ষায় বাড়ির চারপাশ জুড়ে
জলভাঙার শব্দে বৃষ্টি গুঁড়ো হয়ে মিলায়
ঝরে চিলেকোঠায়, বারান্দায়
তুই কী জানিস-
আমাদের জলকেলি খেলা নিয়ে
জলে-স্থলে কত সংশয়
কু-উ-উ-উ-ঝিক-ঝিক-ঝিক---কু-উ-উ-ঝিক-ঝিক-----
চলে যাচ্ছি----চলে যাচ্ছি-----চলে যাচ্ছি-----------
ছুটে চলেছে বিশাল ড্রাগন মুখে আগুনের ধোঁয়া ।আস্তে আস্তে মিলিয়ে যাচ্ছে স্টেশন----চেনা শহরের শেষ চিহ্ন।
দু'পাশের ধানক্ষেত --ক্ষেতে কাজ করা চাষী---মাঠে চরা গরুর পাল--বাঁশী-বাজানো রাখাল-বালক----খাল-বিল-----নদী-
মাছের জাল আটকে রাখা বাঁশের মাচান---দূরগ্রাম---হাটুরে মানুষ; কত দ্রুত পিছনে চলে যাচ্ছে সব---আড়াল হয়ে যাচ্ছে।
জ ...
মনের সাথে মনের মিল, প্রাণের সাথে প্রাণ,
বুকের মাঝে আয়রে সখা, আয় ধরি সেই গান।
ছোট্টবেলা নদীর ধারে, জলের মাঝে পা দুলিয়ে,
গান জুড়োতাম গলা ছেড়ে। সময়টা দেয় সব ভুলিয়ে।
তবু ভুলিনি সেসব স্মৃতি, শতকথা তোমার-আমার।
বুঝিনি তখন বন্ধুত্ব কী, গুরুত্ব কী তোমার।
ঝড়ের রাতে আম কুড়োতাম মজিদ মিয়ার বাগে;
ফিরলে বাড়ি, কান মলুনি দিতেন মা রাগে।
সন্ধ্যেবেলা জ্বরের ঘোরে কেঁপে কেঁপে মরি,
চুরি করে এনে দিতে জ্ ...