সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ এটি একটি নির্দোষ মৌনপ্রিয় পদ্য। পাঠকেরা কল্পনার ডানায় ভাসিতে চাহিলে নিজ দায়িত্বে ভাসিবেন। পপাত ধরণীতলের জন্য পদ্যকার দায়ী থাকিবেন না।
অচল আনি সচল হবে পিষছে কলম জোরসে জোর
গদ্যজাত পদ্য লিখেই আনতে হবে নোতুন ভোর
দোলনা দোলা শিশুর মতোন থাকবে কদিন দুধভাতে?
শব্দস্রোতের উর্মিমালা খেই হারালো মাঝপথে
ভাবের খাতায় গাবের আঠায় আটকে রাখো লালিত্য
কুলীন হলে ছাড়তে হ ...
কোনো এক কবিতা খুঁজলো মাতৃজঠর, হিরন্ময় মন
সার্থক কোনো ধাই, এক সত্যিকারের কবি।
ব্যস্ত ড্রয়িংরুমে অজস্র কবিতার স্তূপ,
দর্শনপ্রার্থীদের সমাবেশ ঠেলে
আমাদের কবিতাটি পৌঁছলো
কবির শিয়রে। বসে শুনালো
কীভাবে দিগন্তের
এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত
উড়ে যায় এক একটি ধূমকেতু-
বধুর মুখ ভেবে দু’হাতে সোনালি ধানের শীষ
কেন তুলে নেয় একটা কৃষক-
একটা ঋতু কেন ফলবতী হয়-
এই যে সভ্যতার ঘাম
তাকে আড় ...
অদৃশ্য একটা এলার্ম,
তোমার আমার মধ্যে বাজে,
সময়টাকে আকড়ে ধরি,
নিরর্থ সব প্রশ্ন মাঝে|
আর মাত্র পাঁচটা মিনিট?
একটুখানি বসতে পারো..
জানি,সময় নেইতো বাকি,
ঘড়িতে দেখছি বাজছে বারো|
আজ বিকেলে উড়াল দেবে,
যেখানে সময় উল্টো চলে
বৃষ্টি নয়,যেখানে বরফেরা,
অন্য ভাষায় কথা বলে..
জানি,বেশিনা,দুইটা বছর
দেখতে দেখতে কেটেই যাবে,
তারহীন সব যোগাযোগে,
আমাকেও রোজ দেখতে পাবে|
টিস্যু পেপার ?না লাগবেন ...
জহিরুল ইসলাম নাদিম
বলতে গেলে একটা পাখির ডাকে ঘুম ভেঙেছে আজ।
যদিও প্রাত্যহিক অন্য সব শব্দ যথারীতি কর্ণকুহরে ঢুকে
অন্তঃকর্ণের বারোটা বাজানোর তালে ছিল
তবু কেন যেন কোথা থেকে পাখিটার ডাকেই
ঘুমটা প্রথম ভাঙল।
চোখ খুলে অবশ্য পাখিটাকে দেখলাম না।
জানালার ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে থাকা
পর্দার জন্যই দেখলাম না তা নয়।
কারণ পর্দা সরালেও চোখের চৌহদ্দিতে আলসারের মতো বেড়ে ওঠা
কুৎসিত ...
একটি কান্না সলাজে হাসতে দেখে তুমি ছোটাছুটি করো চিলেকোটায়, উঠোনে। দেখো আমি কেবল হাওয়ারূপে পাখিদের কন্ঠ শোনে চারপাশ ঘুরি; ঘুরে-ঘুরে স্মৃতিস্পর্শ অবলোকন করি, সগৌরবে খুঁজি দেহসুরসহ গোপনমোহ। মুখভর্তি নীরবতা মেখে একটি কবিতা লিখবো বলে কতশত ইশারা খুঁজছি চোখের গহব্বরে
কি করে যে দিনের রূপ ফেটে ওঠে রোদের ভেতর! সন্নিকটে চতুর আকাশ চমকাতে চমকাতে ছায়াভরে দাঁড়ালে ঝরো-ঝরো রোদ্দুর রহস্যভেদ ...
মানুষ, কিংবা
যখন বিরুত বৃক্ষ হবার পথ খুঁজছে,
চাইছে আকাশ কেবল তারই ওপর উপুড় হোক-
তার কাছে সহসা উন্মোচিত হয় সকল মানুষের মানব-মুখোশ।
বিবর্তনের শিখরে দন্ডায়মান সে প্রাণির মুখ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়ে
আর তারা এক এক করে হয়ে ওঠে প্রতি প্রজাতির প্রতিনিধি স্বরুপ।
বিরুত আশ্চর্য হয়, তাকিয়ে দেখে আকাশও অদ্ভূত।
সে দেখে, সময়ের ব্যবধানে স্নেহ-মমতার মূর্তিময় আকর
কি করে হয়ে ওঠে জ্বলজ্যান্ত মাক ...
জানেন
এই দুর্দান্ত স্কেলগুলো কি দারুণ ওজন মেপে নিচ্ছে !
এই যে উল্টোদিকের বিরক্ত মানুষগুলো,
পারলে সময়ের গায়েও মেওনিস নিচ্ছেন
গাদা গাদা খবরে সকালটাকে টেনে
যদি কাদায় নামাতে না পারেন
বাসে সিট হবে না
এই নিন গাণিতিক কলা,
যতখানি ঘাম,
তার থেকে আরো বেশি আপেলের দাম
এই হল মাধ্যমিক বিপদ ;
আজ অক্টোবরের ষোল -
এবার মেয়েটা ঠিক ঠিক আঠেরোতে পা দিত
তুতুনের সত্যি ঠিকানাটা আজও দিলেননা কেউ
সত্যি ...
এক বৈশাখে একলা এসে বললে হঠাৎ ভালোবাসি
চমকানো রং ঢেউয়ের গলায় শোনা গেল একটু বসি?
বসবে মানে? চোখে বসো, বুকে বসো ও বৈশাখী
শীতলপাটি, কাঠের পিঁড়ি... কী করে যে কোথায় রাখি!
চোখ দুটো তার মেঘনা নদী ভুরু যেন প্রজাপতি
পুলক-নাচন কোনখানে নেই খুঁজে ফিরি আঁতিপাতি
কে গো তুমি স্বপ্নভুমি বানিয়ে দিলে হৃদয়টাকে
বৈশাখী ঝড় সব কুটো-খড় উড়িয়ে নিল এক কথাতে!
ও চিনেছি তুমি আমার মেলায় দেখা ছোট্ট পাখি
ও চিনেছি তু ...
কাহিনী শেষ হবার পূর্বেই একটি অনুভব শ্যামবাজারে আলাদা হতে-হতে অস্পর্শ নুড়িপাথর কুড়াতে কুড়াতে রঞ্জন ভাবে শুশ্রূষা কীভাবে গা-ঘেঁষে বেঁচেছে এতকাল! প্রায় দেড়শ বছর পূর্বে; খুব কাছাকাছি ছিলে, আছো, থাকবে। সবই ঠিক আছে। তবুও সন্দেহ। পূর্ণসন্দেহ...
পূর্ণসন্দেহ, সে কথাই ভাবছি অর্ধেকের চেয়েও কম বয়স সত্তরে। ভাবনা যত আগে আসে তত ভালো। যৌবনের ভাবনাগুলো ফুরফুরে বেশি মনে পড়ে, যেমন আশা ও ইঙ্গিতে, ...
চাপাক্রোধ আর গভীর অনুরাগে মানসিক ভারসাম্যে সংযত খুব সীমিত সময়। যার জন্য সাজানো চিত্রকলা, নিজের মত! দেখি দেহস্বপ্নভঙ্গ ! কেঁপে কেঁপে উঠে ফনিল। আমি হিসেবের আঁধারে যাই না, যত পরো ভাঙ্গিমা করো আর ঘৃণা দাও। অবস্থান, কল্পের বিপরীতে গল্প সাজাও... ভেতরে জন্মে নেয়া স-সহস্র ঘৃণা, নিজকে ধিক্কার দিয়েও এর সুরাহা হয় না। আমাকে আরো ঘৃণা দাও। চোখের বিপরিতে তুলে নাও আরেকটা চোখ। প্রদীপের আলোকে প্রত ...