জাতি নিয়া খুব গর্বই করি, পাকিদের কই পাইক্কা,
পাহাড়ে আমরা ধর্ষণ করি, অগো অধিকার নাইক্কা।
আমরা বাঙালি, আমরা শ্রেষ্ঠ,
আমরাই ভালো, আমরা বেষ্টো।
পাহাড়িরা বেশি বাড় বেড়ে গেলে, মেরে দেই বাঁশ আইক্কা।
জাতি নিয়া খুব গর্বই করি, পাকিদের কই পাইক্কা,
হিন্দুরা মোটে আট পারসেন্ট, অগো অধিকার নাইক্কা।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হবে,
জিজিয়া দিলেই হিন্দুরা রবে।
বেশি বাড়াবাড়ি যদি করে ফেলে, ভারত পাঠামু ছাইক্কা।
কতোকাল আর বেলাইনে রবে, এসে পড়ো ভাই লাইনেই।
দেখো কতো লোক, তাগুতকে ছেড়ে, এলো আল্লার আইনেই।
এ দুনিয়া আর কতোকাল রবে?
ডাক আসলেই উঠে যেতে হবে।
জেনে রেখো ভাই, বেইমান হলে, আরশের তলে ঠাঁই নেই।
বিধর্মি সব বন্ধুকে ছাড়ো, মুসলিম বিনে ভাই নেই।
দেখো ভাই এই নেক রাহে এলে, জান্নাত পাবে ফাইন এই।
চলো ভাই আজ মসজিদে চলো,
আল্লার পথে তলোয়ার তোলো।
দেখো আল্লার কুদরত তুমি, তলোয়ারের এই শাইনেই।
ঘাটতলা লোকারণ্য মহা ধুমধাম
মুক্তচিন্তক হত্যা শেষে হাত ধোয়ার প্রোগ্রাম
জঙ্গী বলে 'আমি ধোবো', শান্ত্রী বলে 'আমি!'
মন্ত্রী বলে 'ধোবো, একটু রিসার্চ কইরা নামি'।
(মোখলেস হোসেন)
আমার বন্ধু মিরাজ
পঁচিশ ইঞ্চি উদরে তার
দৈত্য করে বিরাজ।
কোথায় ঠাসে এত্ত খাবার!
শেষ করে কয় খাচ্ছি আবার
চায়না গিয়ে বায়না ধরে
সবকটা চাইনিজ শহরে
খাইতে হবে খানা।
চিংড়ি খাবো মুরগি খাবো
গিরগিটি সাপ ব্যাঙ সাঁটাবো
বাংলা মেনুর গুষ্টি কিলাই
পারলে খাবো হোঁতকা বিলাই
শুনবো নাকো মানা।
আমার বন্ধু মিরাজ
খেতে খেতে হয়েই গেলো
পেটুক রাজাধিরাজ।
বাবুকাকা বেকার,
তাই বলে কি সাধ নাই তার বার্সা ঘুরে দেখার!
খেলতে কাকু ভালই পারে, যতই লাজুক দেখায়
গোলটা এবার দেবেই দেবে, সাধ্য যে কার ঠেকায়!
মাঠের কোণে প্লেয়াররা সব ভয়ে জড়োসড়ো
হাত ভাঙতে বাবুকাকার সুনাম আছে বড়।
ওরে ভুলু, ওরে মতি,
হালার পো সব, খাওতো কেবল কচুর লতি।
আনাও এবং বানাও খবর
শোন রে লেখক-প্রকাশক, তোরা প্রকৃত বুদ্ধিজীবী না
বই লিখে কেউ শামসু ভাইরে কোনো উসকানি দিবি না
লেজ না নাড়িয়া যে কুকুর বলে "ঘেউ", তারে ধরে মুগুরে
উসকানি খাতে ঠ্যাঙায়ে সটান করিবে শামসু হুগুরে
শামসুর কথা না মানিলে জাতি মেলায় তোদেরে পাবে না
লুসকানি যদি হয় কিছু, হোক, উসকানি হওয়া যাবে না।
একটুখানি সময় আমায় কেউ কি দেবেন ধার?
বেশি কিছু না--দু'তিন দিনের ছুটির দরকার
দু'তিন দিনের ছুটি পেলে যাব মেঘের বাড়ি
দু'তিন দিনের ছুটি পেলে ফেবুর সঙ্গে আড়ি
আসব না আর এই পাড়াতে
দেব সবার হাড় জুড়াতে
কোন নেটওয়ার্ক পারবে না আর আমায় ছুঁতে ভাই
এমন কোন জায়গায় আমি ছুটি নিতে চাই।
যেদিক পানে তাকাই দেখি ক্লান্ত শ্রান্ত মুখ
আলো ঝলমল এই নগরের কোথাও নেইকো সুখ
হাত বাড়ালেই মানুষ কেবল
কিছুদিন আগে গেল আমার ছড়া ও ননসেন্সগুরু সুকুমার রায়ের জন্মদিন। আমার অন্ধকার সময়ে যে মানুষগুলো শক্তি যোগান, তাদের একজন তিনি; নিজের মৃত্যুশয্যায় যিনি তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিমের আবোল তাবোল গল্প বলে গিয়েছিলেন। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর ক্ষমতা আমার নেই, আছে কেবল অনুকরণের ক্ষুদ্র প্রয়াস, আর এই সামান্য উপহার।
ওঁত পেতেছে হিংস্র শ্বাপদ তোমার ঘরের কোণে,
দুধ-কলাতে পুষছ তাদের নিরপেক্ষতার ভানে।
চেক-অ্যান্ড-ব্যালেন্স করে ভালো যাচ্ছে কেটে দিন,
সকাল বিকাল বাজাও কেবল সুশীলতার বীণ।
মরছে মরুক যত মুক্তমনা, তোমার তাতে কি !
দু'দিক সামলে চললে তবেই জুটবে পাতে ঘি।
ভক্তরা সব দিচ্ছে তালি, বাড়ছে মুখের জেল্লা,
ভার্চুয়ালে বয়ান ফলাও, সেইফ রাখিতে কল্লা ।
মৌলবাদ আর জঙ্গি নিয়ে- কিসের কথা বল্?
বাবা যখন খোকার সাথে রাস্তা হবেন পার,
হঠাৎ করেই পথের কোনায় নজর গেল তার।
"নাউজুবিল্লা" বলেই তিনি বসেন কেটে জিব,
দিনের আলোয় করছে এ কী নাপাক দুটি জীব?
সাধেই কি লোক কুত্তা বলে? করছেটা কী! শিট!
একটা পেতে, আরেকটা তার পেছন থেকে ফিট!
দেখলে খোকা ভাববেটা কী, ভাবতে বাবার কান
টুকটুকে লাল হতেই মারেন খোকার হাতে টান!