সমতলের পদ্মাপারের মানুষ, কষ্ট করে ঘাম ঝরাতে এসেছি পর্বতে চড়তে, ফ্রান্সের আল্পসে। চড়াই-উৎরাই ডিঙ্গানোতে সেবারের মতো ইতি টেনে অতি ক্লান্ত পেশীগুলোকে বিশ্রাম দিতে আস্তানা গেড়েছি আল্পসের কোলে প্রকৃতির মাঝে এক পাহাড়ী শহর শবেরিতে, পুরনো অভিযাত্রার সঙ্গিনী হেলেনের বাড়ীতে।
ভুমিকম্পের সাথে জাপানের সখ্যতা পুরোনো। শুধু গত এক দশকেই ৬ মাত্রার উপরে হয়ে গেছে অনেকবার।
থার্ড ইয়ারে পড়ার সময় বান্দরবান গিয়েছিলাম। ট্রেকিং। রুমা বাজার থেকে কেওকারাডং তাজিনডং হয়ে থানচি। এরপরে থানচি থেকে চান্দের গাড়িতে বান্দরবান শহর। রুমা বাজারে আর্মি কমান্ডার ছিলেন সেকেন্ড লেফটেনান্ট ইফতিখার। আমাদের এক ব্যাচ সিনিয়ার, ফৌজদারহাট ক্যাডেটের। চিনতামনা কিন্তু গিয়ে কথা বলার পরে মেলা পরিচিত লোক পাওয়া গেল। তার সাথে ঝিরি দেখতে গেলাম, সে এক কান্ড। ওখানে আর্মি সোলজারের নিরস্ত্র ঘুরাফিরা নিষেধ, তাই তিনি আর এক সৈন্য নৌকায় উঠলেন একে ফর্টি সেভেন বা ওইরকম কিছু সহ। নৌকায় উঠেই কমান্ডার ঠ্যাং ছড়িয়ে ঘুম, পাশে আমি যেমন বই নিয়ে ঘুমাই সেইরকম তার পাশে অটোমেটিক অস্ত্র।

প্রাইমারী স্কুলের গণ্ডিতেই আছি তখনো, চোখে মুখে রঙিন স্বপ্ন, স্কুল নামের যন্ত্রণা ছাড়া সবই পাগলের মত ভালো লাগে- কার্টুন, ফুটবল, গাছের সবুজ, পাখির উড়াল, পদ্মার চর, শহরের বিদঘুটে চিড়িয়াখানা আর নতুন নেশা- বই, মানে গল্পের বই!
যখন সেভেন এইটে পড়ি ফিডব্যাকের বঙ্গাব্দ ১৪০০ অ্যালবামটি বের হয়। ভারি চমৎকার কভার, ভাঁজ খুলে দেখা যায় প্রতিটি গানের লাইন আর সাথে পাতাজোড়া ব্যান্ড সদস্যদের ছবি। ক্যাসেটের দাম ছিল তখন চল্লিশ টাকা, একসাথে অত টাকা বের করা সহজ ছিল না। যাহোক কোনভাবে কিনে শুনার পরে মাথা ঘুরে গিয়েছিল, আরে এমন গান তো শুনিনি। এরকম গানের আগে কবিতার লাইন? কোথাও রোমাঞ্চ নেই, খাঁটি করুণ বাস্তবতা, এবং এই বাংলাদেশেরই কথা? অথবা মনে পড়ে তোমায় গানটির শেষ লাইনে “...এবং এক মিনিট নিরবতায়” কথাটির সাথে টিকটক টিকটক শব্দ? নাহ আরো কিছু গান শুনতে হচ্ছে।