গতবছর এই সময়টায়

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: বুধ, ১৯/১২/২০০৭ - ১১:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার সমস্যা হল, কিছুই ছোট করে লিখতে পারিনা। মনে হয়
'সারাংশ' , 'সারমর্ম' এই বিশেষ ক'টি ক্ষেত্রে ছোট বেলাতে ট্রেনিংটা তেমন ভালো হয়নি।

এই লেখাটি আমার কিছু 'বিশেষ' সময়ের স্মৃতিকথা। ভাবছিলাম, টুকরো করে করে দেব। পরে মনে হল না থাক।
কিছু জিনিস অক্ষত থাকুক।

সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।

===========================================================================================
গতবছর ঠিক এই সময়টায়,
আমি দেশে।

আমি জানিনা, সবার ক্ষেত্রে এমন হয় কিনা। ডিসেম্বর মাসটা আমার কেন জানি ভালো কাটেনা। কখনোই ভালো কাটেনি---শুধু গতবছর ছাড়া।

গতবছর বলতে এই বিগতপ্রায় ২০০৭ বুঝাইনি কিন্তু। ২০০৬ এর কথা।

বেশ কিছু দারুন ঘটনা ঘটল।

এক রাজকন্যের সাথে ছিল এই অধমের পরিচয়। প্রায় আট বছর সঙ্গে থাকার পর, রাজকন্যে তার রাজপুত্রের খোজে বেরুল। আমি রইলাম পথের ধারে।মাথায় নিঃশেষিতপ্রায় কিছু কেশ অনাবশ্যক টানাটানি করতে করতে আমি সাত-পাঁচ ভাবতে লাগলাম।

এইদিকে খেলা আরো জমে উঠল যখন জানতে পারলাম, আমার Advisor এর চাকরী চলে গেছে, Tenure পাননি বলে! আমি প্রায় ৩ বছর ব্যয় করে একটি যন্ত্র প্রায় নাট-বল্টু পর্যায় থেকে গড়ে তুলেছিলাম। কিন্তু যেহেতু সময়টা গড়ার কাজেই গিয়েছে কাজেই এই ৩ বছরের কাজ আসলে আমার কোনোই কাজে লাগল না। আমার এই প্রজেক্টের সাথে যুক্ত ছিলেন পঞ্চাশোর্ধ এক 'ছাত্র'। আমি তৈরি করছিলাম একটা অংশ, বাকি অংশ তিনি। তো তিনি দেখা গেল এক রৌদ্রকরোজ্জল সকালে বদ্ধ উন্মাদ হয়ে গেলেন। সত্যিকারের উন্মাদ।

Acute Schizophrenia। চোখ মুখ সর্বদা লাল। ল্যাবের মাঝে হঠাৎ হঠাৎ কোন 'অশরীরি' বন্ধুর সাথে আড্ডা দিতে দিতে উচ্চকন্ঠে হাসি। কেন জানি সেই হাসিটা আমার ঠিক হাস্যকর লাগছিল না। হুমায়ুন আহমেদের সকল নাটকের অবধারিত সব পাগলের পাগলামি দেখে কতবার হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পড়ে গেছি। কিন্তু জীবনে যখন প্রথমবারের মত 'আসল' পাগলের সাক্ষাৎ পেলাম, তখন ব্যাপারটা তেমন রসমধুর মনে হচ্ছিল না।

তো আমার সেই উন্মাদ সঙ্গী একদিন ভরদুপুরবেলা দৌড়ে তিন তলায় চলে গেলেন। তার পরেই দেখলাম আমার advisor দৌড়াতে দৌড়াতে আমার কাছে আসছেন। দেখলাম তার চোখমুখ সাদা। হারিয়ে ফেলা দম খুজতে খুজতে আমাকে যা বললেন সেটা হলো, আমার সঙ্গীটি এই মাত্র তাকে গিয়ে জানিয়েছে যে, গতরাতে সে যে 'অসাধারন' Signal Generator এর design করেছিল, আমি নাকি নিশুতিরাতে এসে সেইটা ভন্ডুল করে দিয়েছি। আগামাথা কিছুই বুঝে উঠবার আগেই advisor বললেন, জানি জানি, এতে তোমার করার কিছুই নেই। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, সে তোমার উপর বিষম রকম বিদ্বেষ পোষন করে আছে। আমি বলি কি, এই কয়দিন তুমি বাড়ি থেকেই কাজ কর। Electron এর 2D fluid model নিয়ে সেদিন যা আলাপ করেছিলাম, সেইটাই দেখ দাড়া করানো যায় কিনা। আমি ঢোক গিলতে গিলতে বাড়ি চলে এলাম।

অন্যসময় হলে আমার আনন্দের সীমা থাকত না এই 'অনির্ধারিত' ছুটি পেয়ে। রাজকন্যের সাথে জমিয়ে আড্ডা দেয়া যেত। কিন্তু সে উপায় ও নেই।

যাই হোক আমাকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে আমার ল্যাব-সঙ্গী মানসিক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গেলেন। তার যা কাজ ছিল, যাবার আগে সেইটে ও ভন্ডুল করে দিয়ে গেলেন।

আমি মুলতঃ ঠুটো জগন্নাথ হয়ে বসে রইলাম।

এই দুঃসহ সময়ে আমার যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত একমাত্র দূর সম্পর্কের আপন বন্ধু (ছোটবেলাকার) 'ফক্কুল' জানালো, চল দেশে গিয়ে ঘুরে আসি। কিন্তু দেশে যেতে তো মন চায় না। এই ডিসেম্বরেই কথা ছিল আমি দেশে ফিরব। কথা ছিল তখনই আমার ভূবন আলোয় ভরিয়ে দিয়ে আপন হবে রাজকন্যে।

ফক্কুল তার স্বভাবমত কিছুক্ষন কাঁই কাঁই করে ফোন রেখে দিল।

তার আধা ঘন্টা পরে, দেখা গেল আমরা টিকিট কেটে ফেলে, দুবাইতে Stayover টা কিভাবে যুতসই করা যায়, সেইটা নিয়ে তর্ক করছি।

তারপর?

তারপর এক উন্মাতাল হাওয়ার দিনে আমি NY তে চলে এলাম (দারুন বাতাস দিচ্ছিল সেদিন)। আমাদের দু'জনেরই প্ল্যান ছিল, বাড়িতে না জানিয়ে হাজির হওয়া। পরে আমাদের বাবা- মা এর বয়স চিন্তা করে এয়ারপোর্ট থেকে ফোন করলাম দেশে। দেখলাম, এতেও চমক কম ছিল না। ফক্কুল তার জায়গা থেকে NY আসছে বিমানে চেপে। আমার সাথে তার দেখা নেই প্রায় বছর খানেক। কাজেই আমার মুখে 'সুসংবদ্ধ' French cut দাড়ি দেখে প্রায় এক মাইল দূর থেকেই হেসে খুন। সঙ্গত কারনেই আমার ব্যাপারটা পছন্দ হল না। সে কাছে আসতেই বললাম, বাথরুমটা কোনদিকে জানিস? ফক্কুল মাত্র এসে এয়ারপোর্টে পৌঁছেছে। তার উপর আমার দাড়ি দেখে তার হাসির লহরা তখনো চলছে। কাজেই নিজেই খুজতে বেরিয়ে গেলাম। 'খাজনা' দিয়ে এসে দেখি সে ব্যাটা কিছু ধাতস্ত হয়েছে। এ কথা সে কথার পর জানতে চাইল, ইয়ে, বাথরুমটা জানি কোনদিকে? এইবার আমার কোর্টে বল। বললাম, যা নিজে খুঁজে বের কর। সে মাথা খানিক চুলকে আবার জিজ্ঞেস করল, ইয়ে বাথরুমটা জানি কোনদিকে? হাল ছেড়ে দিয়ে বুঝিয়ে দিলাম পথের ঠিকানা। ফক্কুল তীর বেগে ছুটে গিয়ে হঠাৎ দেখি ডানে মোচোড় মেরে দরজা ঠেলে এয়ারপোর্টের বাইরে চলে গেল। তারপরই জীব-টিব কেটে মুখ লাল করে ঠিক পথে রওনা হল। আমি দীর্ঘনিশ্বাস ফেললাম। এই বলদের সাথে আমাকে আগামী ২০/২১ ঘন্টা কাটাতে হবে।

টিকিট যিনি ইস্যু করছিলেন, তিনি বেশ সুদর্শনা। হয়ত একেবারে 'অপ্সরা' গোত্রের নন। তাতে কি? ফক্কুল মনে হল এতেই বিমোহিত। মহিলা আধো আধো বোলে আমাদের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছিলেন। ফক্কুলের মনে হল এই হলো মওকা।তাদের মধ্যে বাক্যালাপ ছিল নিম্নরুপঃ

ফঃ So...you work with Emirates..eh?
(Emirates কাউন্টার,Emirates এর টিকিট কাটছি, তো মেয়েটা কি
লুফথান্সার হবে?)

মঃ (নিরুত্তর)

ফঃ So ....how long have u been in this job?

মঃ yea.

ফঃ(চমকিত, বিস্মিত, কিন্তু অবিনাশী উৎসাহে কোনো ভাটা পড়ল না।)
(আবারো একই প্রশ্ন, মহিলার ও একই উত্তর।)

বোঝা গেলো, মহিলা 'এক কথার' মানুষ। সিট বরাদ্দের সময়, ফক্কুল আমাকে কনুই দিয়ে গুতিয়ে সরিয়ে দিয়ে মহিলার উপর প্রায় হামলে পড়ে জানালো যে সে 'আইলের' ধারে সিট চায়। অগত্যা আমাকে ভেতরের দিকে সিট নিতে হল। ফক্কুলের সারা মুখে বিশ্বজয়ের আনন্দ।
আনন্দের সময় মানুষ উদার হয়ে যায়। ফক্কুল বলল, দুবাই থেকে যাবার সময় আমাকে 'আইলে' বসতে দেবে। কিন্তু তার মুখ দেখে খুব একটা ভরসা পেলাম না।

যাইহোক, প্লেনের ভেতরে ঢুকে আমাদের চক্ষুস্থির। আমাদের সিট পড়েছে একেবারে বাথরুমের সামনে। ফক্কুলের 'সীমাহীন' উৎসাহে তাতে কোন ভাটা পড়ল না। আমাকে বলল, ভালোই হয়েছে, হাগা পেলে আর তেমন পরিশ্রম করতে হবে না, সিট থেকে উঠেই......

দেখা গেল আমার পাশে এসে বসলেন এক দারুন রুপসী মেয়ে। ফক্কুল একটু ডুবল। এর মাঝে মেয়েটির হাত থেকে ear phone পড়ে যাওয়ায় আমি নিচু হয়ে তুলে দিতে চাচ্ছিলাম। ফক্কুল 'ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস খাবার মত' করে আমার উপর দিয়ে ধাক্কা মেরে দিয়ে সেটা তুলতে গেল। সঙ্গত কারনেই পারলনা। আমি সেটা মেয়েটার হাতে তুলে দিতেই সে গলা খাকারি দিয়ে বলল, কি রে বেটা? মেয়ে দেখলে আর হুশ থাকে না, উঁ?

পাশেই বাথরুম থাকার সুবিধে আমরা কিছু ক্ষনের মাঝেই টের পেতে শুরু করলাম। হুটহাট করে লোকজন বাথরুমে যাচ্ছেন। আর বাথরুমটাকে কোনো ভাবেই মনোরম জায়গা বলা যাবে না। ফক্কুল দেখলাম মন মরা। কিছুক্ষন পরে দেখি সে তার সামনের ভিডিও প্যানেলে কি একটা ছবি দেখা শুরু করল। আমার এক পাশে অপ্সরা-প্রায় অষ্ট্রেলিয়ান মেয়ে, আর আরেক পাশে ফক্কুল। এ যেন --" মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী
আর হাতে রণতুর্য"।

যাই হোক ঘুমিয়ে আধা ঘুমিয়ে আমরা দুবাই পৌছলাম। ৮ ঘন্টা বসে থেকে জানলাম আমাদের আরেকটু দেরী হবে। দেরীর নমুনা খুব একটা সুবিধার মনে না হওয়ায় আমরা দেশে ফোন করে দিলাম। আমার বোন কি কাজে জানি ঢাকায় আসছে। কাজেই ও আমার জন্যে বাসের টিকিট কেটে রেখেছে। তাকে জানাতে হল যে, বাস মিস করার সমূহ সম্ভাবনা।

এক সময়, আমাদের যন্ত্রনার শেষ হল। ঢাকায় পৌছানো গেলো। কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে এখানে। ফক্কুলের এক বোন থাকেন ঢাকায়। উনি চাইছেন
ফক্কুল যেন আজকের দিনটা থেকে যায় ঢাকায়। আমি বললাম, তুই রয়ে যা, পরে ধীরে সুস্থে আয়। কিন্তু আমি থাকতে পারছিনা। ফক্কুল আমার দিকে কিছুক্ষন চাইল। তারপর
মাথা নাড়তে নাড়তে বাসের ২টা টিকিট কিনে আনল। আমার অবাক হওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, নাহ্‌, আমিও থাকতে চাইছিনা। তার বোন কে অশ্রু সমাকুল করিয়ে, প্রচুর ভালো ভালো খাদ্যের উৎকোচ অগ্রাহ্য করে আমরা বাসে চাপলাম।
যথারীতি, ফক্কুল 'আইলের' ধারে বসেছে।কোনো এক বিচিত্র কারনে দেখা গেল আমি আমার পা'টা সোজা করে বসতে পারছি না। পাশেই বসেছেন এক মুরুব্বী মানুষ। অত্যন্ত উচ্চকিত এবং অ-মায়িক কন্ঠের অধিকারী(মাইক লাগে না এমন)। সারা রাস্তা বাসের কন্ডাক্টারের সাথে পানির বোতল নিয়ে ঝগড়া করে গেলেন।

আমরা তখন ক্ষুধা-তৃষন্তায় একে বারে জর জর।

সব যাত্রা এক সময় শেষ হয়। আমাদেরটাও হল। বাস স্টপে নেমে অন্ধকারের মাঝ থেকে বাবাকে বুকে টেনে নিতে নিতে মনে হল, এই আমার শান্তির জায়গা। এই আমার নিরংকুশ আশ্রয়। আমার প্রবলের ভালবাসার বন্ধনে থেকে বাবা চি চি করে তখন বলে যাচচছেন, আরে ব্যথা দিবি রে, ব্যথা দিয়ে দিবি। বাসায় ফিরে দেখলাম, দরজার সামনে মা দাঁড়ানো। আমি আমার সকল অস্ত্র বিসর্জন দিয়ে, বয়সের সকল রেখা মুছিয়ে দিয়ে, সেই ছেলে বেলাকার মত মায়ের বুকে মিশে গেলাম।
কিছুক্ষন পরে চোখ ফিরিয়ে দেখলাম, আমার মায়ের চোখে নেমেছে অঝোর শ্রাবন।

আমার সকল পরাজয়, আমার সকল ব্যর্থতা, আমার সকল গ্লানি ভেসে গেল সে চোখের জলে।


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

চলুক

মাহবুব লীলেন এর ছবি

টাচি

নিঘাত তিথি এর ছবি

খুব ভাল লাগলো পড়ে।
---- কনফুসিয়াস
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

বহুত আচ্ছা

অনিকেত এর ছবি

সকল কে ধন্যবাদ।

ফারুক হাসান এর ছবি

ফাটাফাটি
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

অনিকেত এর ছবি

@ অরূপ
@ ফারুক হাসান

অসংখ্য ধন্যবাদ, সময় নিয়ে এই 'দীর্ঘ' লেখাটি পড়বার জন্য।
শুভকামনা।

অতিথি লেখক এর ছবি

হৃদয় ভিজে যায়। বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যাওয়াট‌া কি অসম্ভব আনন্দের। অবশ্য যারা যেতে পারে, তাদের জন্যই শুধু।

অনিকেত এর ছবি

খুব সত্যি কথা।
বোধকরি ঘরে ফেরাটা সবার কাছেই আনন্দের।
আর যেখানটায় আমার স্বজনরা রয়েছেন আমার অপেক্ষায় তাইতো আমার ঘর।
সারা পৃথিবী দূরে ফেলে রেখে, আমি ঘরে ফিরতে চাই।

ভালো থাকবেন।

রেজওয়ান এর ছবি

ভাবলাম রাজপুত্র - রাজকন্যার গল্প পরে দেখি বিজ্ঞানীর রোজনামচা। কাহানীমে টুইস্ট! শেষের দিকটা খুবই হৃদয় ছোঁয়া।

তবে তৃষ্ঞা মিটল না। আরও চাই! ফক্কুলনামাতেও আপত্তি নেই।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

অনিকেত এর ছবি

হা হা হা

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আমি আসলেই ভাবছি 'ফক্কুল নামা' নামের কিছু নামিয়ে দেয়া যায় কি না।

ভালো থাকুন।

স্নিগ্ধা এর ছবি

একইসাথে কষ্টের এবং মজার। আমিও একমত, ফক্কুল নামা চাই। সেই schizophrenic প্রাক্তন সহকর্মী কেমন আছে এখন?

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ, স্নিগ্ধা'পু, আপনার মন্তব্যের জন্য(যদিও সেটা চাপাচাপি করে আদায় করা হয়েছে)।

৩দিন আগে আমার সেই ল্যাব-সঙ্গীর সাথে রাস্তায় দেখা। দেখা হতেই তার একান ওকান জোড়া হাসি। কোন দিকে দৌড় দেয়া যায় সেটা আমি যখন দ্রুত ভেবে বের করার চেষ্টা করছি, সে হেলতে দুলতে এসে আমার সাথে করমর্দন করল। কাঁপা কাঁপা গলায় জানতে চাইলাম ভালো আছে কিনা।

দিব্যি আছি, হাসিমুখ তার জানাল।

একটু মনটা খচখচ করে উঠলেও, তার সেই নিরাপদ হাসি দেখে আসলে আমার ভালোই লাগল।

ভালো থাকুক সে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।