ক্লিনিক-এ-আরিফগ্রাফিঃ এসো শিখি HDR (ভূমিকার পরের প্রথম পর্ব)

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি
লিখেছেন অনুপম ত্রিবেদি (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০৬/২০১২ - ১১:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডিসক্লেইমারঃ এই ব্লগে কুনু ছবি দেউয়া হয় নাইক্কা। এইটা একটা টিউটোরিয়াল সিরিজের পয়লা পর্ব। এইখানে আমরা HDR লয়া প্রি-প্রোসেসিং শিখুম। এর পর থিকা শুরু হইবো পোস্ট প্রসেসিং পর্বগুলান। HDR-এর ক্ষেত্রে শুধু পোস্ট প্রসেসিং-ই কিন্তু সব কিছুনা। প্রি-প্রোসেসিং এর সময় সব ঠিক মতো না হইলে কিন্তু ফাইনাল ছবিতে কুনু কারিশমা-কারিনা আইবো না। সুতরাং বাচ্চালোগ, HDR শিখতে চাইলে এখন থিকাই সব খিয়াল কইরা চলতে হইবো। তো, শুরু হো যা ... ...

বহুত দিন হয়া গেছে সচলে লিখি, বেহুদা লেখা আর কি ... লগে কতক গুলান আবজাব ছবি জুইড়া দেই আর তা দেইখা লুকজনে আহা-উহু করে। ভালুই লাগে !! কিন্তু অনেকজন অনেকবার রিকুয়েস্ট মারার পড়ও কেঞ্জানি কুনু 'হাউ-টু' লেখা বেশি লেখি নাই। খালি একটা লেখাই একবার দিছিলাম যে, ক্যাম্নে দামী দামী বড় এ্যপার্চারের হাম্বা ল্যান্স দিয়া ছবি না তুইলাও ব্যাকগ্রাউন্ড ঘুলা বানান যায়। সেই ১৯৫৩ সালের কতা এইটা, এইখানে আবার নয়া কইরা কইলাম আর কি (কইশ্যা একটা চউখ টিবি)। মাগার আইজ বসলাম ক্যাম্নে HDR করন যায় হেইটা লয়া লেখতে। পুলাপাইন, ঝাক্কাছ দেইখা কয়ডা তালিয়া বাজাউ ...

HDR কি, ইডা মাথাত দেয় নাকি লগে লয়া ঘুমায় - এইসব প্যাচালে খুব একটা যামু না। এমনকি কুন বিশাল ফটুগফুর এইটা লয়া কী অমর বাণী মারছে, হেইটাও কমুনা। মাগার কিছু তো একটা কমুই আর সেইটা হইলো - কেম্নে এই আজগুবি জিনিশটা লয়া মজাক করবেন হগলতে। পয়লা কতা খুউপ খিয়াল কইরা, সেইটা হইলো - অনেক সুনামনিরা আছেন যারা ভাবেন HDR হইলো জাস্ট খালি Differently bracketed কয়ডা ছবিরে কিছু সফটওয়্যার দিয়া একলগে কইরা টোনম্যাপ করা। ওরে, না রে সুনামনি, এইডা এতো সহজ না গো ...

সবার আগে ইম্পটেন্ট ঘটনা হইলো কয়টা bracketed ছবি লয়া কাজ করতে হইবো আর একটা ছবি থিকা আর একটা ছবির Exposure-এর পার্থক্য থাকবই বা কতো? এইবার আসেন 'ইয়া নবি' বইলা মিলাদে বসি, কারন সবকিছুর আগে জানতে হইবো Image Bracket জিনিশটা কী? ঘটনা হইলো গিয়া কয়ডা আলাদা আলাদা এক্সপোজারে একই দৃশ্যের ছবি তুলাডাই Image Bracket আর এই ছবির সেটরেই আমরা বলি Bracketed Image, ঘটনা পইস্কার? HDR করার আগে তাই ঐ এক সেট Bracketed Image লাগবো কারণ বিভিন্ন এক্সপোজারের ছবি গুলারে এক কইরা এগুলার নরমাল লাইট রেঞ্জরে বাড়ায়া দেয়ার নামই HDR বা High Dynamic Range ... লে হালুয়া ...

কেনো তুলুমঃ তুলতে হইবো এই কারনে যে কিছু হাই কন্ট্রাস্ট পরিবেশে একটা ইমেজ দিয়া লাইটের সবগুলান রেঞ্জরে ধরা মুশকিল। এইবার তো জিগাইবেন যে, লাইটের রেঞ্জ জিনিশটা ক্যাম্নে কী? ভাই, লাইটের পুরা রেঞ্জ হইলো - হাইলাইট, মিডটোন আর শ্যাডোর মইধ্যে যেই লটকা-লটকি টাইপ সম্পর্ক থাকে সেইটা। মাঝে মধ্যে কিছু দৃশ্য দেখবেন যেগুলাতে আকাশ মিয়ারে পার্ফেক্ট কর্তে গেলে সামনের গাছপালা কাইল্যা ভূত হয়া যায় আবার গাছপালার চেহারা মুবারক সুন্দর চাইলে আকাশ মিয়া এক্কেলে জ্বইল্যা শ্যাষ। ঠিক এই সময়ই স্বর্গ থিকা খাবলা খাবলা আগুন হাতে প্রমিথিউসের মতো আপনারে উদ্ধার কর্তে আসবে জনাব HDR ভাইসাব।

কয়টা তুলুমঃ এইবার আসেন লাইনে, কয়টারে ধইরা ক্যাম্নেকি !!! কনট্রাস্ট যতো বাড়বো এক্সপোজারের সংখ্যাও তত বাড়বো, বুঝেন নাই? মনে করেন টকটকা দুপুরে লাইটের কন্ট্রাস্ট বেশি থাকে আর হালকা আলোর বিকাল বা সন্ধ্যায় থাকে কম। তার মানে হইলো, হিসাব করতে হইবো পয়লা দুইডা চউখ দিয়া, তারপরে ক্যাম্রাবাজি। যদি দুপুরে ব্র্যাকেট কর্তে চান তইলে ৫/৭/৯ টা এক্সপোজার লইতে হইবো মাগার বিকালে বা সন্ধ্যায় ২/৩টাই কাফি হ্যায়। এখন আসেন আরেকটা ইম্পটেন্ট জাগাত, একটা ছবির সাথে আর একটা ছবির এক্সপোজারের পার্থক্য কখন কেমন থাকতে হইবো। কনট্রাস্ট বেশি এলাকায় যেহেতু বেশি এক্সপোজার নিবেন সেহেতু তখন এই পার্থক্যটা থাকতে হইবো কম। মানে হইলো একটা ছবি থিকা আরেকটা ছবির এক্সপোজারের পার্থক্য 0.7 বা 0.3 থাকতে হইবো। আর যেইখানে ছবি নিবেন কম, সেইখানে পার্থক্যটা এক্কেলে 1.0 বা 1.5 থাকলেই ভালো।

কি দিয়া তুলুমঃ
ক্যাম্রা দিয়া, আবার কি? কিন্তু কথা হইলো এক্কেলে এন্ট্রি লেভেলের ক্যাম্রায় আবার অটো ব্র্যাকেটিং অপশনই নাই, সেইখানে কর্তে হপে ম্যানুয়াল ব্র্যাকেটিং। এইটা নিয়া একটু পরে ... ...

ক্যাম্নে তুলুমঃ অবশ্যই ট্রাইপড লাগবো, ঐ হালকা এ্যলুমিনিয়ামের ট্রাইপড না, এক্কেলে শাহেনশাহ সিমনের মতো ভারী গ্যাব্দাগুব্দা সাইজের ট্রাইপড, নইলে ক্যাম্রা লড়বো আর ফাইনাল ইমেজ দেইখা আপনে আমারে হুদাই গাইল্যাইবেন!!! ক্যাম্রাতে অটো এক্সপোজার মোড অন কইরা (এইটা ক্যাম্নে কর্তে হয়, আমারে জিগায়েন না। আপনার ক্যাম্রার ইউজার ম্যানুয়াল দেইখা নিজে খাইট্যা করেন !!!) এক্সপোজার সেটাপ দিয়া রেডি করেন। মনে রাখবেন, এইটা কর্তে আপনারে কিন্তু এ্যপার্চার প্রায়রিটি মুডে ছবি তুলতে হইবো। আর সাথে যদি রিমোট শাটার থাকে তইলে কিন্তু মাম্মা এক্কেলে সুনায় সু-হাগা। যাগো ক্যাম্রায় অটো ব্র্যাকেটিং নাই, তারা পয়লা এ্যপার্চার প্রায়রিটি মুডে নিয়া ক্যাম্রা ট্রাইপডে বসান। তারপর শুধু এক্সপোজার বাড়ায়া কমায়া ( আবারও এইটা ক্যাম্নে কর্তে হয়, আমারে জিগায়েন না। আপনার ক্যাম্রার ইউজার ম্যানুয়াল দেইখা নিজে খাইট্যা করেন !!!) যেই কয়টা পার্থক্য লয়া ছবি তুলতে চান, তুলতে থাকেন। মনে করেন যে ছবির এক্সপোজারের পার্থক্য 0.7 আর ছবি নিবেন ৯টা, তখন এক্সপোজারের সিরিয়াল হইবোঃ -2.8, -2.1, -1.4, -0.7, 0, +0.7, +1.4, +2.1, +2.8, ঘটনাটা খিয়াল কইরা দেখেন প্রত্যেকটা এক্সপোজারের একটার সাথে আরেকটার পার্থক্য কিন্তু 0.7 ।

এ্যপার্চার প্রায়রিটি মুডে ক্যানঃ
কারণ এইখানে সবগুলা ছবির ফ্রেম যেমন একই থাকতে হইবো তেমনি ডেপথ অব ফিল্ডও কিন্তু এক থাকা লাগবো, নইলে রাপু খাপাং হয়া যাইবো সব!!! একটা ছবি থিকা আরেকটা ছবির এক্সপোজার বদল করা যায় অনেক ভাবে, যেমন - এ্যপার্চার বদলায়া, শাটার স্পিড বদলায়া, আই এস ও বদলায়া এবং এক্সপোজার কন্ট্রোলার (Exposure Bias) বাড়ায়া কমায়া। কিন্তু এ্যাপার্চারের সাথে যেহেতু ডেপথ অব ফিল্ড জড়িত, তাই আমরা এই ব্যাটারে স্থির রাইখা দিমু, ছামঝা বাচ্চালোগ?

কোন ফরম্যাটঃ
ইডা একটা খুউপ জরুলি কতা। JPEG হইলো ছবির একটা খুব কমপ্রেসড ফরম্যাট অর্থাৎ এতে লাইটের ডাটা পারলে এক্কেলে খুব একটা থাকেনা বললেই চলে। কিন্তু HDR করার ক্ষেত্রে সফটওয়্যার মিয়া এই ডাটা গুলা এ্যানালাইসিস কইরাই কিন্তু ফাইনাল ইমেজ দাড় করায়। তাই আমাগো ছবি হওন লাগবো ডাটা পাতায় ভরপুর। ঠিক এই কারনেই ভাই সকল RAW ফরম্যাটে ছবি তুলবেন।

কই গিয়া ছবি তুলুমঃ কয় কি, এইডাও আমি কয়া দিমু, তাইলে আপনের কি কর্বেন। উক্কে, জিগায়া যখন ফালাইছেন একটা কতা কয়াই দেই। যেসব জাগাত লড়াচড়া কম, মানে ব্যাস্ততা কম, সুন্দর নিবিরিলি - সেইসব জাগাত গিয়া এইটার ট্রাই মারেন, আখেরে ভালো হইবো। তারপর হাত পাইকা যখন তামার তার হয়া যাইবো তখন জাগাত দাড়ায়া আউয়াজ মারবেন, ব্যাস্ততার মইধ্যেও ক্যাম্নেকী হেইটা চিকনে শিখায়া দিমুনি ...

কি কি লাগবোঃ পয়লা তো কয়াই দিসি ক্যাম্রা আর ট্রাইপড লাগবো, লগে রিমোট শাটার হইলে বেশ ভালু। কিছু ঘুরাঘুরি করার মতো জায়গা, ঘুরতে যাওয়ার টাইম আর কয়টা পাগলা বন্ধু হইলে ভালো। কারন, দোস্তে আমার কাডির উপ্রে ক্যাম্রা রাইখা ছবি তুলতাছে রে মাম্মা - এইরাম ফিলিংসওলা দোস্তেরা আবার খুব কাজে আসে আর কাউরে 'ঐ লরবিনা, তোর ছবি তুলি' কয়া মডেলও বানাইতে পারবেন। তারপর বাসায় আসলে ছবি গুলা ডাউনলোড করার লাইগ্যা একটা কম্পুটার লাগবো, তারপর যখন ফিশিং দিতে যাইবেন তখন কিছু সফটওয়্যার লাগবো (আগের পোস্টেও দিছিলাম)-

১) ব্র্যাকেটেড ইমেজ টোনম্যাপিং-এর জন্য - Photomatix Pro
২) মজবুত ফিনিশিং-এর জন্য - Adobe Photoshop
৩) নাটকীয় করার জন্য - Nik Color Efex Pro (Photoshop Plugin)
৪) নয়েজ থেকে বাঁচার জন্য - Imagenomic Noiseware Pro
এই টরেন্টের যুগে আমারে এইটা কেউ জিগায়েন না যে, ভাই এইগুলান কই পামু। নিজের কাজ নিজে করেন ... মু হা হা হা হা হা ...

এইবেলা পক-পকান্তিছ শ্যাষ। এখন কাজ হাতে কলমে।

... ... ... ... ... ছইলবেই ছইলবে ... ... ... ... ...


মন্তব্য

তাপস শর্মা এর ছবি
অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

খাইছে

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

কৌস্তুভ এর ছবি

ভারি ছুডু পোস্ট খাইছে

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

এই ছুডু জিনিশের প্র্যাকটিশ কর্তেই কয়দিন লাগে দেখেন ... দেঁতো হাসি

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

অতিথি লেখক এর ছবি

বুঝবার পারছি.... কপালে বহুত খব্রি আছে..... যাউজ্ঞা, কি আর করে.....
সামনে পর্ব গুলানের লাইগা আবার ইটা রাইখ্যা গেলাম...

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

(গুড়)

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এক্সপোজারের পার্থক্য বাছাই করার বেস্ট প্র্যাকটিসটা কি? যেমন ধরেন আপনি ০.৭ এর পার্থক্যে একটা ৯ সেট ছবির সিরিজ বলেছেন: -2.8, -2.1, -1.4, -0.7, 0, +0.7, +1.4, +2.1, +2.8।

আবার ১ এক্সপোজার পার্থক্যেও একটা সিরিজ হতে পারে। যেমন: -4, -3, -2, -1, 0, +1, +2, +3, +4।

এই পার্থক্য কোনটা নিবো? কিংবা -1.4, -0.7, 0, +0.7, +1.4, +2.1, +2.8, +3.5, +4.2 এরকম শিফটেড সিরিজ নয় কেনো?

আমি বুঝতে পারছি যে, আমাদের আসল লক্ষ্য হচ্ছে আলোর পুরো রেইঞ্জটা কাভার করা। কিন্তু কিভাবে বুঝবো রেইঞ্জ কেমন হবে?

যেসমস্ত প্যারামিটার এই সিদ্ধান্তকে এফেক্ট করতে পারে:
১) দৃশ্যের আলোর রেইঞ্জ
২) কয়টা ছবি তোলা হচ্ছে: ৩,৫, ৭ বা ৯ টা

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

কনট্রাস্ট যতো বাড়বো এক্সপোজারের সংখ্যাও তত বাড়বো, বুঝেন নাই? মনে করেন টকটকা দুপুরে লাইটের কন্ট্রাস্ট বেশি থাকে আর হালকা আলোর বিকাল বা সন্ধ্যায় থাকে কম। তার মানে হইলো, হিসাব করতে হইবো পয়লা দুইডা চউখ দিয়া, তারপরে ক্যাম্রাবাজি। যদি দুপুরে ব্র্যাকেট কর্তে চান তইলে ৫/৭/৯ টা এক্সপোজার লইতে হইবো মাগার বিকালে বা সন্ধ্যায় ২/৩টাই কাফি হ্যায়। এখন আসেন আরেকটা ইম্পটেন্ট জাগাত, একটা ছবির সাথে আর একটা ছবির এক্সপোজারের পার্থক্য কখন কেমন থাকতে হইবো। কনট্রাস্ট বেশি এলাকায় যেহেতু বেশি এক্সপোজার নিবেন সেহেতু তখন এই পার্থক্যটা থাকতে হইবো কম। মানে হইলো একটা ছবি থিকা আরেকটা ছবির এক্সপোজারের পার্থক্য 0.7 বা 0.3 থাকতে হইবো। আর যেইখানে ছবি নিবেন কম, সেইখানে পার্থক্যটা এক্কেলে 1.0 বা 1.5 থাকলেই ভালো।

আসলে পুরো রেঞ্জটা ধরার জন্যই আপনাকে ৯টা এক্সপোজার নিতে বলা হয়েছে। তারপরও ১২টা নিলেও সমস্যা নেই। টোনম্যাপিং করার সময় এই ব্যাপারে যদি কোনো ফ্যাকরা থাকে তবে তা ধরা পরবে। সেক্ষেত্রে বেশি এক্সপোজার ব্র্যাকেট করার সুবিধা হচ্ছে - যদি হাইলাইট বার্ণ করে তবে আপনার ব্র্যাকেটেড ইমেজের ব্যাচ থেকে ১-২টা ওভার এক্সপোজড ইমেজ বাদ দিয়ে মার্জ করুন। আবার স্যাডো বেশি ক্লিপড হলে ঠিক তেমনিভাবে ব্যাচ থেকে ১-২টা আন্ডার এক্সপোজড ইমেজ বাদ দিয়ে মার্জ করুন।

আশা করি ক্লিয়ার কর্তে পেরেছি। তবুও আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে জানাতে সংকোচ করবেন না।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ঠিকাছে। থ্যাঙ্কস!

যুধিষ্ঠির এর ছবি

এহ, আরেকটু বেশি আশা করসিলাম এই পর্বে। যাক। শুরু তো হইসে।

যাদের ক্যামেরায় অটো-ব্রাকেটিং ফিচার নাই, বা যাদের আছে কিন্তু তিনটার বেশি অটো ব্রাকেট করা যায় না, তাদের জন্য একটা আইফোন অ্যাপ আছে (অবশ্যই তাদের আইফোন থাকতে হবে, হে হে), যেটা ভালোই কাজ করে - পাঁচটা, সাতটা, নয়টা যত ইচ্ছা এক্সপোজার নেয়া যায়, আরও অনেক কিছু করা যায় এটা দিয়ে। এর নাম DSLR.bot, ডাউনলোড করা যাবে এখান থেকে অথবা অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর থেকে। এই অ্যাপের সাথে একটা আই-আর কনট্রোলার লাগবে, যেটা (ই-বে'তে দুই ডলার দামে) কেনা যেতে পারে, না হলে নিজেই একটা বানানো যায় খুব সহজে, কিভাবে বানাতে হবে সেটাও ওই সাইটে দেখিয়ে দেয়া আছে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ভালই তো জিনিসটা!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

স্টাইলটা ভালো লাগছে। চলুক।

তারেক অণু এর ছবি

চলুক, শেষ হোক, তারপর শেখার চেষ্টা করে দেখুম, ঈমানে!

ক্রেসিডা এর ছবি

আমার তো ক্যাম্র্রা নাই, অদূর ভবিষ্যতে কিনার চান্সও নাই, তবুও পড়তাছি! ব্যাবহারিক এক্সাম দিবার পারুন না!

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

জব্বর হচ্ছে বস। চলুক।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

নীলকান্ত এর ছবি

টারাই দিয়া জানাইতাছি দেঁতো হাসি


অলস সময়

ধুসর গোধূলি এর ছবি

এতো কৈরা কৈলাম, শর্টকাট মারতে, হুনলো না! অই, দড়িডা ল দেহি, এইটারেও বান্ধি খাষ্টাঙ্গের পায়ার লগে!

বন্দনা এর ছবি

এখন ও টরেন্ট নামায়ে উঠতে পারিনাই, তয় আপনার টিউটোরিয়াল পড়ে যাচ্ছি।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

হা কপাল! এই বয়সেও টিওটোরিয়াল। তা, ঠিক মতো ফলো করতে না পারলে আবার বুঝায়ে দিয়েন। চলুক

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

আমার একখান ক্যামেরা আছে নিকন পি ৫০০

কিছু এক্সপেরিমেণ্ট করা যায় তবে ট্রাইপড নাই।
আপনার পোষ্ট পড়ে খুব ভাল লাগছে। আমি এগুলো সব বুকমার্ক করে রেখে দেব।

চালিয়ে যান। একটু পরে পরে হলেও বন্ধ করবেন না পিলিজ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সব শিখতাছি কইলাম...
তারপর ছবি তুলে ফাডায়ালামু

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ফাডাবেন কেন, ছবি তুলে মুছে ফেলবেন হাসি

jonaki এর ছবি

সুপার পোস্ট! এবার HDR শিখেই ছাড়বো!!
-জোনাকি

পল্লব এর ছবি

আমার ডি৯০তে অটোব্র্যাকেটিং একবারে ৩টার বেশি করা যায় না যদ্দুর বুঝসি। আপনার কথা মত ১০-১২ টা কেমন তুলব খুঁজতে গিয়া এই পোস্টটা পাইলাম। আমার মত গাধা লোকজনের কাজে লাগতে পারে।

আর আপনার পোস্টের ব্যাপারে - দেঁতো হাসি

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ব্লুবেরী-নাইট এর ছবি

একটা অফটপিক কুশ্চেন ভচ,
বিয়ে,গায়ে হলুদ জাতীয় অনুষ্ঠানের মানুষটারে ফোকাস কইরা যে খুব সুন্দর কালারের ছবি গুলি উঠায় ওগুলি কেমনে কি? আপনের কি এই জাতীয় কুন পোস্টাছে? ফেসবুকে বাংলাদেশি ব্রাইডাল নামের একটা গ্রুপ আছে, ঐ গ্রুপের ছবিগুলির মত ছবি তুলতে মন্চায়।

ইঁদুর এর ছবি

ভাল লেখা কিন্তু লেখার স্টাইলটা খুব একটা ভাল লাগেনি আমার কাছে। একটা ছবিকে স্টেপ বাই স্টেপ প্রসেসিং কি দেখান যায়?

পল্লব এর ছবি

ভাই, পরের পার্ট কই? মন খারাপ ছবি নিয়া বইসা আছি।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।