Archive - মে 25, 2007

:: কাল ঘুম নেমে আসে তার দু'চোখ জুড়ে ::

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: শুক্র, ২৫/০৫/২০০৭ - ৪:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
কাল রাতেও ঘটনাটা ঘটল। আমি খেতে বসতেই অনন্যা এসে হাজির। হিস হিস করে বলে, ‘ ভাবী তোমার লজ্জা করেনা? নিজের বুঝ ঠিকই বুঝ, আর অন্যের কিছু পেলে হুলস্তুল বাঁধিয়ে দাও!’ আমি আর খেতে পারলামনা। গলায় কষ্ট দলা পাকিয়ে ব্যাথা শুরু হল। চব্বিশ ঘন্টা আগের ঘটনাটা বলতে গিয়েও রুপার গলাটা ধরে আসে। কেঁদে ফেলে। জহির বউকে শান্তনা দেয়। আহা কেঁদনাতো। ঠিক হয়ে যাবে সব। কালই আমি বকে দেব অনন্যাকে। রুপার মন অন্যদিকে ফেরাতে চেস্টা করেন। তবু সে ফুঁপাতে থাকে। বলে যায়, মা-ও কিছু বল্লেন না। যেন আমি মহা অন্যায় করেছি। তারইতো মেয়ে। কিছু যদি হয়, আমার থেকেতো তারই বেশি কষ্ট হবে। কিন্তু তার ভাব দেখে মনে হল অনন্যা যা করছে ঠিক করছে। আমি এ নিয়ে কথা বলে অন্যায় করেছি! আর এমন কি


সাড়ে সাত হাজারের ভেলরি, আড়াই লাখের শফি সামি, আর দুই পয়সার আমরা..

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: শুক্র, ২৫/০৫/২০০৭ - ২:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটি সত্য ছবি:

তারুণ্যে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এই দেশ ঘুরে গিয়েছিলেন ৬৯ সনে।তারপর বোকা মহিলাটি আবার এদেশে ফিরে এসেছিলেন ৭২ সালে।রক্তাক্ত পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের ফিজিওথেরাপি দিতে ।কেউ তাকে ডেকে আনেনি।তবু তিনি চলে এসেছিলেন।পাগলী আর ফিরে যাননি।

৭৯ সনে অনেক চেয়ে চিন্তে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিত্যক্ত গুদাম ঘরখানি পেলেন।ঝেড়েমুছে শুরু করলেন একটা ছোট,খুবই ছোট ফিজিওথেরাপির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।সি.আর.পি।

তারপর সেই বোকা মেয়েটি তার সীমিত সাধ্যে একখান সাইকেল চেপে ঘুরতে লাগলেন দুয়ারে দুয়ারে।মাথা নিচু করলেন,হাত পাতলেন,অপমানিত হলেন,গঞ্জনা সইলেন,হতাশ হলেন তবু হাল ছাড়লেন না।নিজের জন্য নয়,সেই বোকা মানুষটি সব করলেন আমাদের জন্য।মেরুদন্ড ভেঙ্গে প


ছাদের কার্ণিশে কাক - ১৬

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: শুক্র, ২৫/০৫/২০০৭ - ১:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নাইট শিফটে কাজ করা ঝামেলা। দিনে না ঘুমালে রাত জাগা কষ্ট। বারবার কফি খেয়ে চোখ খোলা রাখতে হয়। ব্যস্ততা তেমন নেই। এর মাঝে সুপারভাইজর রায়হান ভাই চক্কর মেরে গেছে দু'বার। সরণ ভাবছে - ডিসেম্বরের মাঝে চাকরীটা পার্মানেন্ট হয়ে যাবে। রায়হান ভাই কয়দিন আগে হাল্কা পাতলা ইঙ্গিত দিয়েছে। সরণের ইচ্ছে ডিপার্টমেন্ট চেঞ্জ করবে। ইন্টারন্যাশনাল রোমিংয়ে কল করেছে। ওখানে হয়ে গেলে ভালো হয়। কল সেন্টারে আর ভালো লাগছে না। নানান লেভেলের লোক ফোন করে, কথা বুঝতে চায় না। তবুও মাথা ঠান্ডা রেখে কথা বলতে হয়। একটেল কাস্টমার সার্ভিসের ভয়ানক মহিলার গালাগালির অডিও ফাইল কাহিনী এখনো মানুষের স্মৃতি থেকে মুছেনি---! এসব ভাবার সময় কল আসে-
- সিটিসেল কল সেন্টার, সরণ স্পীকিং। মে আই হেল্প


ছাদের কার্ণিশে কাক - ১৫

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: শুক্র, ২৫/০৫/২০০৭ - ১:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে ওপেন এয়ার কনসার্ট। বাংলালিংকের স্পন্সরশিপ। ভীড়ে গিজগিজ অবস্থা। খানিকটা দূরে দাড়িয়ে সরণ ভাবছিল কোথায় বসা যায়। শিবলী-সাব্বিরদের কাউকে দেখা যাচ্ছে না। মোবাইলে কল করলেও রিসিভ করছে না। সরণ এসএমএস দিয়ে রাখে। একবার ভাবে - বাসায় চলে গেলে কেমন হয়? এরকম জনসমাগমে একা একা ভালো লাগে না, অস্বস্তি লাগে। সরণের মনে হয় - এখানে শুধু সে-ই একা এসেছে, আশেপাশে আর কেউ একা নেই। তারুণ্যের হৈ-চৈ। উচ্ছ্বল ছেলে-মেয়েদের দল। প্রেমিকা ধরে আছে প্রেমিকের হাত। প্রেমিকের গায়ে পাঞ্জাবী, স্কাই ব্লু জিন্স, প্রেমিকার সাদা শাড়ীতে লাল পাড়। মুহুর্তে মনে হয় - এ হৃদকম্পণের শহর হঠাৎ উৎসবের নগরী হয়ে গেছে। এক তরুণী অনভ্যস্ত হাতে শাড়ী গুছাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। ব