Archive - এপ্র 2007

সাদিক মোহাম্মদ আলম এর 'ফাকা আবেগ' তত্ব ও কলবের আয়না

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: সোম, ৩০/০৪/২০০৭ - ৮:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


এই ব্লগে যারা আমার সুহ্রদ আছেন, সাদিক মোহাম্মদ আলম নিঃসন্দেহে তাদের একজন । প্রিয় ব্লগার তালিকায় তার নাম একটা স্থুল উদাহরন হতে পারে ।
সুহ্রদ সাদিক তার পোষ্টে আমার মন্তব্যের জবাবে আন্তরিক এক উপদেশ দান করেছেন । বলেছেন আমার 'এই এটিচুড' বদলানোর জন্য । কেনো বদলানো? কি লাভ বদলালে? 'এই এটিচুড' যতো দ্রুত বদলানো যাবে, তত দ্রুত নাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত হবে ।

'এই এটিচুড' কি রকম 'এটিচুড'? সাদিকেরই লেখ্যমতে 'এই এটিচুড' হলো- মুক্তিযুদ


April 30th

: আমাদের ক, খ, গ, ঘ, এবং ঙ :

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: সোম, ৩০/০৪/২০০৭ - ১২:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক.

বাড়ির সামনেই কবরটা। সাদা মার্বেল দিয়ে বাঁধিয়ে রাখা। আগে ছিল লাল রংএর ইটের দেয়াল। তিন বছর আগে দাদা যখন সার্টিফিকেটধারী রাজমিস্ত্রি হল তখন মার্বেল দিয়ে বাঁধিয়ে দিল। এতে নাকি তার মেধার উন্নতি হবে। আগামিতে সে হবে ফাঁটাফাঁটি ইঞ্জিনিয়র। এমনই আমাদের বিশ্বাস। আমরা সবাই বিশ্বাস করি। যতকিছু আছে আমাদের ভালো সবই তার দোয়ায়। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের বিপদ আপদ সবই হয় যখন তিনি রেগে যান।

খ.

আমাদের মূলত নির্ভেজাল জিবনযাপন। আমদের বাড়ির ছেলে মেয়েরা পড়ালেখায় ভাল। পাশ করার আগেই তারা কাজ পেয়ে যায়। ভালো ভালো সব চাকরি। ভালো সব ব্যবসা। সবই আছে আমাদের।

গ.

রোজ স্কুল, কলেজ অথবা অফিস যাওয়ার পথে আমরা শান বাঁধানো কবরটার সামনে দাড়াই। নতজানু


আমরা যদি এই আকালেও স্বপ্ন দেখি,কার তাতে কী ?-(দ্বিতীয় এবং শেষ কিস্তি)

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: সোম, ৩০/০৪/২০০৭ - ১২:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তিন.
কম্পিউটার টিপে টিপে আমার যে সামান্য কমনসেন্স জন্মেছে তাতে করে আমি নিশ্চিত জানি ইন্টারনেট একটি ফ্রি মাধ্যম এবং এখানে কোন কিছু সেন্সর করার কথা বলা অর্থহীণ।আমি সর্বভূক ধরনের প্রানী।ব্লগে আমি তাই চোরের ছড়া,রাসেলের শিশ্ন সমৃদ্ধ লেখা,ত্রিভুজের মহাজ্ঞানী লেখা হোসেইন আর রাগইমনের পাল্টাপাল্টি পোস্ট কোন কিছুকেই বাদ দেই না,সব গুলোই পড়ি। যেটা সঠিক মনে হয়,সেটাকে সমর্থন করি,যেটা ভুল মনে হয় সেটাও বলি আর যেটা বুঝতে সক্ষম হই না,সেটা থেকে নীরবে কেটে পড়ি।

ব্লগে অম্লীল শব্দ,বাক্য এগুলো বাদ দেয়া সম্ভব না জেনেই আমি ব্লগিংয়ের প্রথম দিকে সবার কাছে বিনীতভাবে জানিয়েছিলাম,আমার এসব ভালো লাগে না,এবং আমি এসব পড়া থেকে বিরত থাকি।আমি যেমন কারো লেখার অধিকারকে বন


আমরা যদি এই আকালেও স্বপ্ন দেখি,কার তাতে কী ?-(প্রথম কিস্তি)

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: সোম, ৩০/০৪/২০০৭ - ৯:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক.
গরীব একটা দেশে থাকি,এখানে বিনোদনের সত্যি সত্যিই খুব অভাব।আধুনিক দেশে যাওয়ার সুযোগ হয় নি,তাই পাব,বার,নাইট ক্লাব ,পথের মোড়ে মোড়ে ধন্যধান্যে পুষ্পে ভরা পার্ক,এসবের কিছুই নেই আমাদের। উইক এন্ড কেটে যায় কোন্ বাজারে মাছ সস্তা সে খবর নিতে নিতে, ঠাসাঠাসি করা খোপের মতো বাসায় থাকি,বাসার পিছে ব্যাকইয়ার্ড বলে কোন ফাকা জায়গা নেই যে আয়েশ করে বসে বারবিকিউ করে খাবো। বিনোদনের মাঝে আছে বেইলিরোডে নাটক দেখা,আজিজ অথবা ছবির হাটের ফুটপাতে বসে বিড়ি ফুকে আড্ডা,বসুন্ধরা আর ইস্টার্ণ
প্লাজায় জানালা দর্শন শেষে কুড়ি টাকা প্লেটে ফুচকা খাওয়া।

পুওর মধ্যবিত্ত;গাড়ি কেনার মতো সামর্থ নেই,বাসের গাদাগাদি ভিড়ে ঠেলাঠেলি করতে অসুবিধা আর কালো ক্যাব আর স্কুটারকে বাপ ডেকে


নারীকে ক্ষমতাহীন করেছে একক ঈশ্বরের প্রবক্তারা-১ (উত্সর্গঃ জামাল ভাস্কর)

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: সোম, ৩০/০৪/২০০৭ - ৮:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সৃষ্টির অসীম রহস্যময়তা দেখে ভক্তিতে গদগদ হয়ে মাথা নোয়াতো অসহায় আদিম মানুষ। সৃষ্টির যত কর্মকান্ড তার মধ্যে সবচে জরুরি, তখনও মানুষের ব্যাখ্যা-অজানা আর গুরুত্বপূর্ণ ছিল মানব-জন্ম। (নারী আর পুরুষের মিলনের মধ্য দিয়েই ঈশ্বরকে বন্দনা করতো একসময় মানুষ। এই মিলন তখন ছিল উপাসনা, পবিত্র কর্ম। যখন নারীদেহ নাপাক ঘোষিত হলো তখন এই মিলন হলো নিষিদ্ধ আর পাপকর্ম।) আর এই অসম্ভব জটিল কর্মকান্ডটা ঘটতো নারীর উদরে; বিমুগ্ধ পুরুষের কাছে নারী ছিল তাই জীবনের আরেক নাম


সৎ মানুষের খোঁজে- সততা আসলেই দারিদ্র বয়ে আনে- ০১

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: সোম, ৩০/০৪/২০০৭ - ৬:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সব মানুষের সমান অধিকারের কথা ইশ্বর নির্মাণকারী কোনো ধর্মই বলে নি, নিরীশ্বর নৈতিকতাই সব সাম্যতার বোধের জন্ম দিয়েছে- নিরীশ্বর নৈতিকতাই সকল মানুষের সাম্যের কথা বলেছে- মানুষের অপরিমিত সম্ভবনার কথা বলেছে, বলেছে মানুষের জন্মগত যোগ্যতা আছে- এসব নীতির পেছনে কোনো শিখন্ডী ইশ্বর ছিলো না।
ইশ্বরপ্রধান ধর্মে মানুষের বর্ণাশ্রম প্রকারান্তরে মেনে নেওয়া হয়, কেউ কেউ বেশী যোগ্য হয়েই জন্ম নেয়, কেউ কেউ ক্ষীণযোগ্য হয়ে জন্ম নিবে- এটাই ইশ্বরের অভিপ্রায়= তিনি এভাবেই মানুষের পরীক্ষা নেন- এ অসমতা আসলে মানুষের ইশ্বরপ্রণততার পরীক্ষার নিমিত্তেই তৈরি করা হয়েছে। এমন একটা অর্থনৈতিক- যৌক্তিক কিংবা অযৌক্তিক অসমতাও মেনে নেওয়া হয় ইশ্বর প্রধান ধর্মে- এই মৌলিক নীতি ধর্মে প্রোথি


যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ৎৎ হবে না কেনো, হবে ...

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: সোম, ৩০/০৪/২০০৭ - ৪:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


নিজস্ব আগ্রহে গতকয়েকদিন থেকে পড়াশুনো করছি, গনহত্যা সংক্রান্ত জাতিসংঘ ঘোষনা, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট এইসব নিয়ে । অবশ্যই, অতি অবশ্যই বাংলাদেশ ৭১ কে মনে রেখে, আসলে সেই তাড়নাতেই ।
দেখছি , জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ তার অংগীকার ও দায়বদ্ধতা ঘোষনা করেছে বেশ কিছূ মানবাধিকার সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করে । যেমনঃ
১।geneva convention
২।Convention of the prevention and
punishment of the crime of genocide
৩।convention against


April 29th

হীরক রাজার দেশে ০৬

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: রবি, ২৯/০৪/২০০৭ - ৪:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপর সামরিক খবরদারি সমালোচিত হওয়ার পর যেভাবে সুশীল সমাজের দ্বারা নির্ধারিত নিষ্কলুষ বৃদ্ধ শিশু উপদেষ্টারা "তোমার সঙ্গে আড়ি আমার যাওÓ মনোভাব দেখাচ্ছেন তাতে কাষ্ঠ হাসি হাসতে পারি, তবে কোbI ভাবেই আমোদিত হতে পারছি না। তাদের শিï বলছি কারণ তারা নিজেদের কর্মকান্ডের পরিণতি সম্পর্কে অজ্ঞ, সেটা ইচ্ছাকৃত সামরিক শক্তির আস্ফালন হতে পারে কিংবা তাদের নির্বুদ্ধিতার স্মারক হতে পারে। তবে তাদের এই কাদায় পড়া ভঙ্গি আর ন্যুজ্ব মেরুদন্ড দেখে আমি বিরক্ত।

আত্ম সম্মান বোধ নামক চেতনাটা তাদের নেই। এই চেতনার সাথে অবশ্য সুশীল সমাজ পরিচিত না। মতাধরদের পদলেহন করতে করতে তাদের জিহ্বা মসৃন। সেখানে বিবেচনাহীন উক্তি জমে থাকে, মানসিক বিকলাঙ্গদের মতো অবো


April 27th

আরিল,এই সিদ্ধান্তটা আপনাকে নিতেই হবে,এখুনি..

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: শুক্র, ২৭/০৪/২০০৭ - ১০:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


স্যরি আরিল,আমি সাধারনত: কড়া কথা বলি না।আর ব্লগ নিয়ে কথাবার্তা বলা ছেড়ে দিয়েছি ,সেটাও অনেকে স্বাক্ষী দেবেন।ব্লগ নিয়ে কোন কথা বলে লাভ হয় বলে আমার মনে হয় না,মাঝখান থেকে আমার কথাগুলো হয়ে যায় নিখাদ রম্য। সে মজা আমি কাউকে দিতে চাই না।তাই ব্লগের পাতাটি খুব একটা খুলেও দেখি না গত কয়দিন।

তবু আমি আজ আপনার কাছে লিখছি।
আপনাকে লিখছি কারন,গত কয়েকদিন আগে আপনি একটা লেখা প্রকাশ করেছেন। সেখানে আপনি খুব গুরুত্ব পূর্ণ কিছু ইস্যু তুলে ধরতে চেয়েছেন।


যুদ্বাপরাধীদের বিচার না হওয়া||অপরাধপ্রবন সমাজের গোড়াপত্তন

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: শুক্র, ২৭/০৪/২০০৭ - ৮:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


একটা সমাজের ঠিক কত অংশ মানুষ অপরাধী হলে , গোটা সমাজ অপরাধপ্রবন হয়ে উঠে?
সমাজবিজ্ঞান কিংবা সাইকোলজি নিয়ে যারা কাজ করেন, নিখাদ তথ্য তারা দিতে পারেন । আমি বানিজ্য অনুষদের মানুষ । স্রেফ ব্যক্তিগত আগ্রহ এই সব ভাবনার জন্ম দেয় ।
বিশ্বের শীর্ষদুর্নীতিবাজ রাষ্ট্র চিহ্নিত হতে যেহেতু বাংলাদেশের সকল নাগরিকের দুর্নীতিবাজ হতে হয়নি, তাই উপলব্দি হয়- একটা ক্ষুদ্র অপরাধী গোষ্ঠি ও যদি ক্রমশঃ শক্তিশালী হয়ে উঠে, তারা বুঝে ফেলে বিচারের মুখোমুখি তাদের হতে