Archive

January 29th

ব্লগ: কি লিখবেন কিভাবে লিখবেন?

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: রবি, ২৯/০১/২০০৬ - ৮:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আগের লেখায় আমি যখন বলি যে ব্লগে কি লিখবেন তার একটি নির্দেশিকা থাকা দরকার, তখন অনেকেই একে অপ্রয়োজনীয় বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এর যে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা ক্রমশ: আরো তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে।
জ্যোতির্ময় ঘোষবাবুর স্প্যাম-মত ব্লগ সমস্যা তো আমরা দেখলাম। জাকিরুল হক তালুকদারের লেখা নিয়েও একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেকে তার লেখা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তিনি পালটা একটি লেখা লিখেছেন আগে ব্লগের সংজ্ঞা জেনে আসুন।
সুতরাং এই যে সংজ্ঞা নিয়ে বিরোধ তার একটা সমাধান


আমার বন্ধু শ্যাম

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শনি, ২৮/০১/২০০৬ - ৮:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শ্যাম, আমার স্কুলজীবনের বন্ধু।একই পাড়ায় থাকা,একই মাঠে খেলা। পরে আমি অন্য স্কুলে চলে গেলাম, আর সে স্কুল , পাড়া ছেড়ে গেল গ্রামে। কাঞ্চন গ্রাম, তার নানা বাড়ি। বছরখানেক পরে দেখা, স্কুলের বেতন দিতে পারবে না তাই তার শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি, শোলা দিয়ে বিভিন্ন খেলনা তৈরী করছে। আমি হাতের কাজে পটু না তাই চেষ্টা করেও খেলনা তৈরীর বিদ্যা শিখতে পারি নি। পাখি তৈরীটা আমার লোভের জিনিষ ছিলো। ওটার সাথে একটা ধনুকের মতো কঞ্চি থাকতো, চাপ দিলে পাখি মাথা নাড়াতো। তখন বিশাল বন্যা। 88 , স্কুল বন্ধ। শ্যামে র সাথে দেখা, যাচ্ছে গ্রামে। বললাম আমিও যাবো। চল, বলে রওনা হলো। রেল লাইন ধরে হাটা। হাটতে হাটতে রেল ব্রীজ, শিমুল তলা, শ্মশানের হাট, আমার দুরত্বের সব সীমা শেষ। যতবার বলি


January 28th

আলো কি করে নিষিদ্ধ করি

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ২৮/০১/২০০৬ - ১১:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ভুল বুঝবেন না আড্ডাবাজ। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নামের রাজনৈতিক দলটির প্রতি আপনার বিরাগ আমার বোধের অতীত নয়। কিন্তুতাদের সদস্যদেরকে আপনার লেখা ব্লগ থেকে দূরে রাখার কৌশল আমি গ্রহণ করতে পারছি না।
ইসলাম ও কোরান-সুন্নাহর আইন প্রতিষ্ঠার কথা বলেই তারা সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের সমর্থন জয় করে থাকে। তাদের কূটকৌশল সাধারণ মানুষের কাছে ধরা পড়ারও কথা নয়। সুতরাং তাদের সদস্যদের মধ্যেও অনেকে আছেন যারা বিভ্রান্ত। পূর্ণাঙ্গ সত্য জানার সুযোগ তাদের হয়নি। তারা সরল ব


আলো কি করে নিষিদ্ধ করি

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ২৮/০১/২০০৬ - ১১:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ভুল বুঝবেন না আড্ডাবাজ। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নামের রাজনৈতিক দলটির প্রতি আপনার বিরাগ আমার বোধের অতীত নয়। কিন্তুতাদের সদস্যদেরকে আপনার লেখা ব্লগ থেকে দূরে রাখার কৌশল আমি গ্রহণ করতে পারছি না।
ইসলাম ও কোরান-সুন্নাহর আইন প্রতিষ্ঠার কথা বলেই তারা সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের সমর্থন জয় করে থাকে। তাদের কূটকৌশল সাধারণ মানুষের কাছে ধরা পড়ারও কথা নয়। সুতরাং তাদের সদস্যদের মধ্যেও অনেকে আছেন যারা বিভ্রান্ত। পূর্ণাঙ্গ সত্য জানার সুযোগ তাদের হয়নি। তারা সরল ব


জামায়াতের বিরুদ্ধে আড্ডাবাজের যুদ্ধ ঘোষণা

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: শনি, ২৮/০১/২০০৬ - ১০:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আড্ডাবাজ একাই লড়াই করে যাচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর বিরুদেধ। তবে কিছু কিছু পত্রিকা যেমন হাসিনার নাম হাছিনা লেখে তেমনি তিনিও জামায়াতকে জামাত লেখে আনন্দ পান। তা ঠিক। শত্রুর নাম বিকৃতিতে আনন্দ পেতেই পারে মানুষ।
আড্ডাবাজ যথার্থই মনে করেন জামায়াতের বিরুদেধ একটি সচেতন আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত। যাতে জামায়াতের প্রতি মৌন সমর্থন না গড়ে উঠে। যাতে জামায়াতের প্রকৃত চরিত্র পাঠক-জনগণের কাছে প্রকাশ পায়। তার এই মতামত আবেগ তাড়িত মনে হলেও অযৌক্তিক নয়। আজকের বাংলাদেশ


আরেক দফা নাসিরুদ্দিন হোজ্জা

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: শনি, ২৮/০১/২০০৬ - ১০:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ইজতেমায় জঙ্গি মুসলিম রুখতে পাহারা নিয়ে লেখা আমার ঠিক আগের ব্লগটিতে হোজ্জার একটি গল্প বলেছিলাম। কিন্তুমহামতি হোজ্জার কোনো ছবি দেইনি। পরে খারাপ লাগলো এই ভেবে যে, কালো পোশাক পরা র্যাবের ছবি প্রাসঙ্গিক হলেও হোজ্জার ছবিই লেখাটিকে বাড়তি রস জোগান দিত। সেজন্যই আরেক দফা নাসিরুদ্দিন হোজ্জা। ক্যামেরা তখনও আবিষ্কার হয়নি। সুতরাং হোজ্জার ছবি মানে শিল্পীর গভীর কল্পনা শক্তির পরিচয়।
ছবি দিলেই তো আর ব্লগ হয়ে যায় না। সুতরাং একটি কৌতুকও সাথে লিখি। কালো পোষাকের


আলোর নীচে খোঁজা

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: শনি, ২৮/০১/২০০৬ - ৯:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পত্রিকায় সেখানে র্যাবের পাহারা দেখে নাসিরুদ্দিন হোজ্জার একটি গল্প মনে পড়লো। গল্পটি সম্পূর্ণ মনে নেই। তবু সারমর্মটিই বলি।
এক লোক রাতের বেলা হোজ্জাকে দেখলো রাস্তায় কিছু একটা খুঁজছেন। তো ভদ্রলোক হোজ্জাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি কিছু হারিয়ে ফেলেছেন? হোজ্জা বললেন জি্ব, আমার ঘরের চাবিটি ঐ অন্ধকারে পড়ে গেছে। ভদ্রলোক অবাক হয়ে বললেন, চাবি যদি ঐ অন্ধকারে পড়ে থাকে তবে আপনি এই আলোর নীচে খুঁজছেন কেনো? হোজ্জা বললেন,


January 27th

লেখার অভ্যাস

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: শুক্র, ২৭/০১/২০০৬ - ৮:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


প্রতিদিন বাংলায় কিছু একটা লেখার অভ্যাস হারিয়ে যাচ্ছিল প্রায়। বিদেশে বাংলা বলা হলেও লেখার সুযোগ খুব একটা আসে না। বাঁধ ভাঙার আওয়াজ সে সুযোগ ও পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে। সেজন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ।
যদিও পরিকল্পনা মাফিক লেখা হচ্ছে না। কারণ কোনো একটি বিষয় নিয়ে লিখতে হলে যে হোমওয়ার্ক করতে হয় সে সময় পাওয়া দুষ্কর। বেশ কয়েকটি বিষয় মনে মনে ঠিক করে রেখেছি। কিন্তু সেগুলো লেখার সময় করতে পারছি না।
সুতরাং লেখার পরিকল্পনা বদলে নিচ্ছি। এ যেন প্ল্যান বি। এখন থেকে


ভুল লক্ষ্যে আক্রমন

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/০১/২০০৬ - ৬:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একাত্তরের ঘাতক দালালদের এবং তাদের সহযোগি রাজাকারদের নিমর্ূল করলেই বাংলাদেশ সোনার বাংলা হয়ে যাবে এমন অলীকবিশ্বাস আমার নেই। এটা খুব ভালো একটা রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন, বেশ অনেক মানুষ এটাতে বিশ্বাস করে, নেতারা একাত্তরের চেতনা বলে কথার প্রাসাদ বানাতে পারে কিন্তু তেমনকোন যৌক্তিক ভিত্তি কথাটার নেই।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে, আমরা মর্যাদাসম্পন্ন একটা জাতি হিসেবে পরিচিত হবো, আমরা পাকিস্তানের কাছে বকেয়া টাকা ফেরত পাবো এসব আকাংক্ষা আমারও। আমার শ্রদ্ধা ভালোবাসা সব মুক্তিযুদ্ধে প্রতক্ষ্য বা পরোক্ষ্য ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতি। যারা একাত্তরের চেতনার কথা বলছেন তারা ধর্মনিরপেক্ষ বাঙ্গালি সংস্কৃতির সহায়ক একটা দেশ দেবার প্রচেষ্টা করছেন না। তারা রাজাকারদের কথা


January 26th

রাষ্ট্রিয় ব্যার্থতা ধর্মান্ধ জনতাকে উৎসাহিত করছে

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/০১/২০০৬ - ৫:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রায় তিন যুগ এবং দুই প্রজন্ম পার হয়ে গেছে '71এর পর। যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত হয়েছেন, যারা যুদ্ধের বিভীষিকার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ শিকার তাদের সম্মানিত অবস্থান যারা এই স্বাধীন ভুখন্ডে মর্যাদার সাথে বসবাস করছেন ও সুন্দর আগামির স্বপ্ন দেখছেন সবার চেতনায়।

মুক্তিযুদ্ধ একটা আদর্শ নিয়ে শুরু হয়েছিলো, আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম তাদের হতাশা, লজ্জা এটাই যে আমাদের পূর্ববর্তী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং অনাগত সব রাজনৈতিক নেতৃত্ব সেই আদর্শ ভুলে ক্ষমতালিপ্সু। আমি বেশ অনেক দিন ধরে শুনছি কথাটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা- কি সেই চেতনা তা পরিস্কার কেউ বলছে না। একটা ভালো বিজ্ঞাপনের শব্দ। সবাই নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত দাবী করছেন। কিন্তু চেতনা